নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব সময় সাধারন, অনেক ভাব আনার চেষ্টা করছি কিন্তু আসে ন। শিশু,কিশোর ও বয়স্ক মানুষ ভালবাসি । একা থাকি, পড়তে থাকি।

প্রাইমারি স্কুল

অতি সাধারন

প্রাইমারি স্কুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাঁচামরিচের বিয়ে (রম্য গল্প)

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৪১


মাঝের চরের সবচেয়ে বড় চাষী সুলতান মোল্লা। তিনি এক শষ্যের সাথে সমগোত্রীয় ফসল ফলান। মিষ্টি আলুর সাথে ডেরশ,কাচা মরিচ। বাঁধাকপি সাথে গোল আলু ইত্যাদি। এবার তিনি চাষ করলেন বাঁধাকপির সাথে গোল আলু ও ডেরশ। পাশের জমিতে চাষ করলেন মিষ্টি আলু ও কাঁচামরিচ। সুলতান মোল্লা প্রভাবশালী চাষী। চাষ করতে করতে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তিনি সবার ভাষা বুঝেন। সবার বলতে সব ফসলের। মাঝে মাঝেই তিনি ফসলের সাথে কথা বলেন। শুয়ে শুয়ে গান শুনান। আবার গল্পও করেন। চরের সবাই তাকে ভালবাসেন। ভালবাসাটা ভয়ের। বয়স্ক মানুষ। আবার সবার মুরুব্বি। ব্যাপক টাকা পয়সা ও পাওয়ার আছে তার। চরের একছত্র অধিপতি বলা চলে।
একদিন দুপুর বেলা সুলতান মোল্লা এ জমি থেকে ঐ জমিতে দৌড়াদৌড়ি করছিলেন। চরের বাকি চাষা লক্ষ্য করে দেখছে। কিন্তু কিছুই বুঝে ওঠতে পারছে না। তারা চাচার কান্ড-কারখানা অবাক দৃষ্টিতে দেখছে। আর মনে মনে ভাবছে চাচা এরকম করছে কেন?
সবাই তাকে ভয়ে ভালবাসে। তাই জিঙ্গাস করতে সাহস পাচ্ছে না। কিন্তু অনেক সময় হয়ে যায়। এবার তারা সবাই একাত্র হয়ে সুলতান মোল্লার নিকট আসল। সবাই এক সাথে জিঙ্গাস করল।
চাচা ? ঔ চাচা?
চরের সবাই তাকে চাচা বলেই ডাকে।
অনেকে চাষীর মাষ্টার,
বা কেউ কেউ বলে ফসলের ইন্জিনিয়ার।
তবে,চাচা হিসাবেই পরিচিত।
চাচা কি হয়েছে?
চাচার জবাব বিচার করছি!!
চাষীদের প্রশ্ন জমির মধ্যে!!
কিসের বিচার চাচা?
চাচা- বিবাহের বিচার
কার বিবাহ?
কাচাঁমরিচের। ( মুখ বন্ধ করে সবাই হাসলেন)
সবাই চুপ
একজন অন্য জনের দিকে তাকিয়ে -নিরব নিস্তব্ধ। মনে মনে সবাই ভাবলো যে,
চাচা কি পাগল হয়েছে? জমির মধ্যে দৌড়া-দৌড়ি
আবার বলে কাঁচামরিচের বিয়ে।
হঠাৎ চাচা রেগে যায়। হাতে থাকা পাইচন (লাঠি)দিয়ে আগাত করে ফসলের উপর।
এ বার ক'য়েক জন চাচাকে ধরে এনে জোড় করে টোং ঘরে বসালেন।
চাচার শরির থেকে ঘাঁম ঝরছে।
বড় বড় শাস্ব নিচ্ছে আর ছাড়ছে।
এক চাষী পানি এনে মাথায় দিলেন।
কেউ বাতাস করলেন। টেনশন।
একটু শান্ত হওয়ার পর চাচাকে চাষীদের প্রশ্ন -
চাচা তুমি এরকম করলে কেন?
কি হয়েছে তোমার!
এবার নিরবতা ভেঙ্গে চাচা বললেন - শোন তোমরা
আমি তো ওদের ভাষা বুঝি।
সবাই জি চাচা।
চাচা- বলতে লাগলেন
মিষ্টি আলু এই ফসলগুলোর রাজা
মানে সরকার। সে বিচার দিলো যে-
কে যেন বাধাঁকপির সাথে কাচামরিচের বিয়ের কথা বলছে।
কিন্তু কাচাঁমরিচ রাজি না, কারন হলো বাধাঁকপি পর্দায় থাকে।
পর্দা ওলা তার পছন্দ না। ওর নাকি শরিরে অনেক কাপুর। এটা কাচাঁমরিচ লাইক করে না। তাই কাচাঁমরিচ বাধাঁকপিকে বলছে বিয়ে করা তার পক্ষে সম্বভ না।
বাধাঁকপি পর্দা করে? (এক চাষার প্রশ্ন)
হিম, জন্মের পর থেকেই ওকে কাপুর পড়াইয়া দিতে হয়। তখন নিজে নিজে কাপুর পড়তে পারে না।
একটু বড় হলে আর লাগে না। আর কাপুর ময়লা হলে ও নিজে নিজেই নতুনটা পরে নেয়। আর পুরাতন কাপুর খুলে ফেলে দেয়।
কেন তোরা দেখছনি যে আমি ওর কাপর পরিয়ে মাটি দিয়ে ভার দিয়ে রাখতাম।
ওখুব লাজুক। আসলে কি পর্দা যারা করে তারা লাজুক হয়। তারা পবিত্রও বটে। পর্দা ছাড়া বাকীদের উপর বিশ্বাস রাখা যায় না। তোরা যারা বিয়া করনি তারা অবশ্যই পর্দা মেয়ে বিয়া করবি। বুঝতে পারছো।
একচাষী বলে উঠলো বিচার কি হলো চাচা ওটা বলো-
চাচা - ও হে
কাচাঁমরিচ রাজি হলো না পর্দানশীন বাধাঁকপিকে বিয়া করতে।
সে বিয়া করবে ডেরশ কে
আর ডেরশ হচ্চে লুচ্চা, লোড লোড, পিছোল আর এটা কোন কাপর পরে না। মানে পর্দা করে না। লুচ্চা চিনে লুচ্চারে।
একজন বলল চাচা তারপর!
চাচা আবার বলল ডেরশ হলো মিষ্টি আলু সরকারে শিক্ষা মন্ত্রী গোল আলুর মেয়ে।
ধামধুম করে বিয়া হলো। বিয়ার ক'দিন পরই কাচাঁমরিচ আর ডেরশ চাউলে তিতাইলে বাজলো। বিশ্বাস নাই কারো প্রতি। বিশ্বাস না থাকলে ভালবাসা তৈরি হয়? দু'টাই লুচ্চা, খালি ফ্রি ডু মারতে চায়। এর মধ্যে-
কাচাঁমরিচ তো বড় লুচ্চা। সে সবাইকেই কাদাঁয়।
এমন কি! কোন মানুষ নাই যে কাচামরিচের কারনে কাদেঁ নি। শেষ পযর্ন্ত নিজের সমগোত্রীয়দেরও কাদাবে। এটা শিক্ষামন্ত্রী গোল আলু কোনদিন মেনে নিবে না। আসলে মেনে নেয়া যায়ও না। আবার নিজের মেয়ে বলে কথা।তাই প্রধানমন্ত্রী মিষ্টি আলুর নিকট বিচার দিল।
কাচাঁমরিচকে তুলে দিতে।
যাতে করে মিষ্টি আলুর ক্ষেত থেকে কাঁচামরিচ আর না থাকে। প্রধানমন্ত্রী মিষ্টি আলু আমাকে (চাচা) বলল যে আমি যাতে কাচামরিচ কে তুলে দেই। আমি কি করে তুলি বল তোরা?
জমির মালিক কি আমি। আমি শুধু চাষ করি। আমার উপর দাদা আছে না? তাই আমি হালকা করে তার বিচার করলাম।
এক চাষীর প্রশ্ন চাচা তুমি কি বিচার করছো
চাচা রাগ করে বললেন
বিচার করছি কই ক'টা পিটান দিয়েছি
কাকে চাচা?
তুই দেখে নে কাকে?যার রাগ বুঝা যায় তাকে। ধমকের সুরে চাচা বললেন।
বিচার পরে হবে। মুল বিচার করবে আমার দাদা। সব বিচারই তো দাদা করেন। আমাকে দিয়ে করায়। তাই-
ওয়েট......

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.