![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(আমার পরিবারের সদস্য সহ যাদের কথা আমার নিকট আমানত আছে তা যথাযথ আছে ভয়ের কারন নাই)
ক’দিন আগে একটা লেখা লেখছিলাম যে, প্রচলিত ভালোবাসা বিশৃংখলা ও পথভ্রষ্টের জন্য শয়তানের উঁৎপত্তি এবং এর চুরান্ত ফলাফল মৃত্যু। আজ একটা প্রমান দিচ্ছি ।
সিঙ্গাপুর একটা প্রেমিক ২২ তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিউজটা শুনছি কিন্তু প্রেমের কারনে তা জানতাম না । আজ ক্লাশ শেষে বের হয়ে আসতে ছিলাম তখন এক চাইনিজ বন্ধু পত্রিকাটা সামনে ধরে বললো তোমাদের মা”রা খারাপ। না বুঝে উত্তর দেয়া মশকিল। তাই আসল ঘটনা খোঁজ করতে যেয়ে দেখি আসলেই আমাদের দেশের মাহিলাগন মা’ শব্দ থেকে অনেক দুরে সরে যাচ্ছে। এখন মা’য়ের হাতে সন্তান খুনের ঘটনাও ঘটে। যা হউক ঘটনা টা জানি .........
এই প্রেমিকের কি হবে তা সে নিজেই লেখে গেছে যে, জাহান্নামে চলে যাচ্ছি। কিন্তু আমি তার প্রেমিকার মা’র বিচার টা চাই। কারন ছেলেটি বিদেশে আত্মহত্যার কারনে দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট হয়েছে এবং একটা পরিবারের সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় । তার মূল লেখাটা বাংলিশ( ইংরেজী অক্ষরে বাংলা) আমি পড়ার সুবিধার্থে বাংলায় লেখলাম-
পরে কিছু কথা লেখলাম।
চিঠিঃ
আমার জান............
আমার জীবনের শেষ কথাগুলো তোমাকে বলে যাওয়ার কোন মাধ্যম না পেয়ে ফেইজবুকের মাধ্যমেই পাঠাইলাম। কারন তোমার আম্মু আমার ইমু, ফোন নম্বর সব ব্লক করে দিছে!
জান! আমদের ভালোবাসার মধ্যে কোন অভিনয় ছিলো না। অভিনয় ছিলো তোমার মা’য়ের ভালবাসার ভিতরে! আমি ওনাকে আমার মা’য়ের আসনে বসাইছিলাম কিন্তু ওনি কি করলেন আমাদের সাথে!!!
আমি তোমাকে বিশ্বাস করে ভুল করি নাই। ভুল করিছি তোমার মা’কে বিশ্বাস করে......
যদিও আমার মা’ বলত দেখিস তুই বিদেশে চলে গেলে ওর মা’ ওকে অন্য জাগায় বিয়ে দিয়ে দিবে! কিন্তু তখন আমি আমার মা’য়ের কথায় গুরুত্ব দেই নাই। কিন্তু এখন ঠিক বুঝছি!!! আমার সব থেকে বেশি খারাপ লাগলো এই কারনেই যে, আমি কাল তোমার মা’কে বললাম আমি আপনার পায় ধরে অনুরোধ করছি। আপনি আমার জানের সাথে আমাকে শেষ বারের মতো এক মিনিট কথা বলতে দেন। কিন্তু ওনি এটা না করে তোমার মামার কাছে ফোন দিলো আর তোমার মামা আমাকে অনেক অনেক বাজে কথা বললো!
ও বললো আমি নাকি তোমাদের সম্পত্তির লোভে তোমাকে ভালোবাসছি! আসলে ওনার কোন দোষ নাই কারন ওনি জানেন না ভালোবাসার সম্পর্ক্য কি? ওশুধু চিনে টাকা!!!
আচ্চা মামা আমি যদি সম্পত্তির জন্য আপনার ভাগনিকে ভালোবাসতাম তাহলে আজ ওকে না পাওয়ার কারনে হাসি মুখে মরতে রাজি হতাম না!!!
জান, তোমার প্রতি আমার কোন রাগ নাই আছে শুধু বুক ভরা ভালবাসা! তোমার কাছে থেকে আমি যতটুকু ভালবাসা আর বিশ্বাস পাইছি তাতেই আমি সন্তুষ্ট। আর তোমার প্রতি ঐ ভালবাসা নিয়া আজ হাসি মুখে মরছি!! অনেকে বলবে আমি বোকা। তাই আমি একটা মাইয়াকে না পাওয়ার কারনে মারা যাচ্ছি!! কিন্তু তারা এটা জানে না যে, একটা ছেলের একটা মাইয়ার উপর কি পরিমান বিশ্বাস আর ভালোবাসা থাকলে ঐ মাইয়ার জন্য মারা যেতে পারে !
যাই হউক জান, তুমি আমার কথা ভেবে কষ্ট পেওনা। যানো জান, আমি কাল রাতে চেক ঐ গেঞ্জি টা পরে আছি যাতে তোমার শরিরের ছোঁয়া লেগে আছে । আর আমি তোমাকে আগেই বলছিলাম আমি ঐ দিনই গেঞ্জিটা পরবো যে দিন তোমাকে কাছে পাবো না হয় যে দিন আমি মারা যাবো!!
আজ সকালে বাথরুমে মুখ ধূইতে যাইয়া আয়নার দিকে তাকাইয়া দেখি বুকের বাম দিকটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে ! তখন ভাবছিলাম সেই আমি আছি । আমার গেঞ্জিটাও আছে । কিন্তু আমার বুকের বাম দিকে আমার জানের মাথাটা নাই!!! তখনও তোমাকে খুব মিস করছিলাম আর এই ভাবে তোমাকে সব সময় মিস করতে হবে বলেই সবাইকে ফাঁকি দিয়া চলে যাচ্ছি জাহান্নামের দিকে !
তুমি আমাকে অনেক বুঝাইছো । আমার মা’ বাবা বন্ধু-বান্ধব সবাই বুঝাইছে । কিন্তু কিছুতেই যে আমার বুঝ মানে না । যখন কেউ আমাকে বুঝায় আমার খুব খারাপ লাগে। ভাবি এমন কাজ আর করবো না । কিন্তু যখন একা থাকি আর ভাবি তুমি না থাকলে আমি কি করবো। তখন আমার আর মাথাটা কাজ করে না। তাই অনেক আগ থেকেই তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকার চিন্তা বাদ দিয়া দিছি!!!
জান, তুমি আবার নতুন জীবন শুরু কর! আমার জন্য তুমি একটুও মন খারাপ করবা না!
আমি তো আছি তোমার ভিতর, তোমার বাহিরে দেখতে যে টা সবাই দেখে সেটা তুমি । আর যেটা ভিতরে আছে যেটা কেউ দেখেনা সেটা আমি ! তাই জান তুমি আমাকে তোমার ভিতরে বাচাইয়া রাখো আর আমার ইচ্ছা গুলো পূরন করার চেষ্টা কর!!!
আমার শেষ ইচ্ছা ছিলো মারা যাওয়ার আগে আমি তোমার মুখ থেকে আই লাভ ইউ জান কথাটা শুনবো। কিন্তু সেটা আর আমার কপালে হলো না ! এতে আমার কোন দুঃখ নাই কারন জীবনে অনেক ইচ্ছেই পূরন হলো না তাই এটা পূরন না হলেও সমস্যা নাই!!!
জান আমার মৃত্যুর জন্য তুমি নিজেকে কখন দায়ী মনে করবা না!! আমার মৃত্যুর জন্য কেঊ দায়ী না! আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমি নিজেই। কারন আমি তোমাকে পাই নাই বলে আমার দুক্ষ নাই! তোমাকে না পাওয়ার বেধনা ভুলার জন্যই তো আমি এই পথ বেছে নিছি । কিন্তু আমার খারাপ লাগে আমার পরিবারের কথা ভেবে! আমার পরিবারে সবাই আমার কাছে অনেক কিছু আসা করে । কিন্তু আমি তাদের কিছুই দিতে পারলাম না!!! আমার মা’ আমাকে যে পরিমানে ভালোবাসে সাত বার জন্ম হয় আর আমি যদি সাত বারই আমার মা’র পা ধুইয়া পানি খাই তবুও আমার মা’র ঋন আমি শোধ করতে পারবো না!!!
আরে আমার বাবাও আমাকে অনেক অনেক ভালবাসে। আর আমার ছোট বোনটা আমি বাড়ি থাকলে সব সময় আমার সাথে মারামারি করতো কিন্তু এখন থেকে আমার জন্য কাঁদবে! আমার পরিবারের এতো ভালবাসা সত্বেও আমি আমি তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে বেচে থাকি। বেঁচে থাকতে পারছিনা কারন আমি অনেক চেষ্টা করছি কিন্তু পারি না । তাই আমার তাদের প্রতি ক্ষামা চাওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নাই!!!
এতো বেশি ভালোবেসে ফেলছি যে তোমাকে ছাড়া আমার একটা পা সামনে বাড়াতে পারব না! আমি পা বাড়াতে গেলেই তোমার সৃত্মি আমাকে তিলে তিলে মেরে ফেলবে! তাই ঐ মৃত্যু থেকে এই মৃত্যুটাই আমার কাছে ভাল মনে হলো! এখন আমি মারা গেলে আমার কোন দুক্ষ থাকবে না!
আমি জানি তোমার মামারা তোমাকে গ্যাস খাওয়াই বিয়া দিছে! আমি ঐ ভয় টাই সব সময় করতাম আর ওটাই আজ সত্য হলো! তাই আমিও সব সময় মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত ছিলাম । আমি যখন বাড়ি থেকে আসি আমার তখনই মনে হয়েছিলো আমি তোমাকে আর পাবনা!!! আর এখন সব হিসাব মিলে যাচ্ছে! তোমাকে পাই নাই বলে আমার দুঃখ নাই!!!
(লেখা ২ বার আসছে) তোমাকে না পাওয়ার বেধনা ভুলার জন্যই তো আমি এই পথ বেছে নিছি কিন্তু আমার খারাপ লাগে আমার পরিবারের কথা ভেবে! আমার পরিবারে সবাই আমার কাছে অনেক কিছু আসা করে। কিন্তু আমি তাদের কিছুই দিতে পারলাম না!!!
আমার মা’ আমাকে যে পরিমানে ভালোবাসে সাত বার জন্ম হয় আর আমি যদি সাত বারই আমার মা’র পা ধুইয়া পানি খাই তবুও আমার মা’র ঋন আমি শোধ করতে পারবো না!!!
আরে আমার বাবাও আমাকে অনেক অনেক ভালবাসে আর আমার ছোট বোনটা আমি বাড়ি থাকলে সব সময় আমার সাথে মারামারি করতো কিন্তু এখন থেকে আমার জন্য কাঁদে! আমার পরিবারের এতো ভালবাসা সত্বেও আমি আমি তাদের মুখের দিকে তাকি বেচে থাকি বেঁচে থাকতে পারছিনা কারন আমি অনেক চেষ্টা করছি কিন্তু পারি না তাই আমার তাদের প্রতি ক্ষামা চাওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নাই!!!
জান, ৩০ জানুয়ারী তুমি যখন বলছিলে , তোমার যে কোন সময় বিয়া দিয়ে দিবে তখন থেকেই আমি ভয়ে থাকতাম আর নিজেকে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত করতাম । আমি তোমাকে বলতাম যে তুমি যেই ক’দিন আমার আছো আর আমি যে ক’দিন বেঁচে আছি তুমি সেই ক’দিন আমাকে প্রান খুলে ভালবাসো। আর আমিও তোমাকে প্রান খুলে ভালোবাসবো! আর তুমি আমার কথা শুনছিলে আমার এই ক’দিন দু’জন দু’জনের আরোও কাছে চলে গেছিলাম!
তোমার বিয়ার দিন সন্ধ্যা বেলাতেও তুমি আমার সাথে কতো সুন্দর ভাবে কথা বললে আমিও বললাম কিন্তু আমি বুঝতে পারিনি এই কথাই তোমার সাথে আমার জীবনের শেষ কথা হবে!!! তার পরোও জান, আমি তোমার উপর সন্তুষ্ট আর এই সন্তুষ্টি নিয়েই আমি হাসি মুখে মরবো!!!
কিন্তু আমি তোমার মা’র উপর সন্তুষ্ট হয়ে মরতে পারলাম না। কারন তার মুখোস কাল খুলে গেছে । আমি কাল ওনার আসল চেহারা দেখতে পেলাম! তোমার মা কাল কি কাজটা করলো তোমার কাছে ফোন না দিয়া তোমার মামাকে দিলো! আমার কথা হলো আজ থেকে তিন বছর আগে যখন তোমার প্রথম আমাদের সম্পর্কের কথা জানলো তখন কেন তোমার মামাকে বলল না । তাহলে তো আমাদের এতো কষ্ট পেতে হতো না!!
আর আমাকে মরতেও হতো না আর কাল যখন তোমার বিয়ার পর আমি আমি মরার আগে তোমার শেষ বারের মতো কথা বলতে চাই ছিলাম আর তখন কি না মামা জানলো! তোমার মা’য়ের অভিনয়ে আমি মুগ্ধ! আচ্ছা তোমার মা কেনো আমাকে এতো আসা দিছিলো আমাকে আজ তিনটা বছর আসা দিয়া রাখছিলো কোন উঁদ্দেশ্যে! আমি তো তার কাছে কোন অনুরোধ কছিলাম না! তবে কেন আমাদের জীবন নিয়া ছিনিমিনি খেললো কি লাভ পেলো ওনি !!!
আর ১.৫ ঘন্টা পর আমি আত্ম হত্যা করবো ভাবছি!! তাই এই সময়ে আমি তোমার সাথে শেষ বারের মতো কথা বলবো ভেবে কল দিছি কিন্তু তোমার মা’ কল কেটে দিচ্ছে! যদিও আমি কাল রাতে তাকে বলছি আন্টি আমি এই সময় এই কাজ করবো আপনার মাইয়ার সাথে মরার আগে একটা মিনিট কথা বলতে চাই কিন্তু ওনি এখন ফোনই রিসিপ করছেন না!
কতো পাষান তার হৃদয়! তার পরও আমি মরার আগে ক্ষমা করে হাচ্ছি( hachi!) আমার এই সব লেখাতে যদি তুমি কষ্ট পাইয়া থাকো তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিও আর যদিও তুমি কোন দোষ করনি তবুও অজানতে কোন দোষ হয়ে থাকে তাহলে আমিও তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম!!!
আর কথা বাড়াতে চাই না আমার সময় প্রায় শেষ হয়ে আসছে তাই এখন একটু আমার পরিবারের সদ্যসদের সাথে কথা বলতে হবে তোমার সাথে কথা বলা তো আমার কপালে নাই ফোনে যে টায় বলতাম সেটা sms ই বলছি আই লাভ ইউ জান!!! আমি তোমাকে আমার জীবন থেকে বেশি ভালবাসি আর সেটা আমার জীবন দিয়ে প্রমান দিয়ে গেলাম!! জান ভালো থেকো সুখে থেকো আল্লাহ হাফেজ!!!!!
যা পাওয়া যায়
১। ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রেমিকার মা’ জানতো
২। মেয়ে কে বিবাহ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে
৩। মেয়ে কথা বললে নিষেধ করে নি
৪। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত কথা বলেছে আরও..................তাই মহিলার বিচার হওয়া উচিত।
৫ ছেলেটি নিজের না পাওয়া টা দেখল বাট তার বাবা-মা'র না পাওয়া টা দেখলো না
৬। প্রেমটা তাকে অন্ধ করে তুলেছে
৭। যে মেয়ে কে ভালবাসছে তাকে অন্যরা ভালবাস্তে পারে এই সাধারন কমনস্নেটা হলো না
প্রেমের কারনে যা হতে পারে
১) আবেগ একজন মানুষকে অপরের ভুলগুলো সম্পর্কে অন্ধ করে তুলতে পারে; যেমনটি বলা হয়ে থাকে “ভালোবাসা অন্ধ”। একপক্ষ বা উভয়পক্ষেরই এমন কিছু সমস্যা থাকতে পারে যেগুলো তাদেরকে বিপরীত পক্ষের জন্য তাকে অযোগ্য করে তুলতে পারে, কিন্তু এই ত্রুটি গুলো ঠিক পরেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
২) প্রেমিক-প্রেমিকারা ভেবে থাকতে পারেন যে, এই জীবন শুধুই ভালবাসার পথে অন্তহীন একযাত্রা, তাই দেখা যায় তাদের মাঝে কেবল ভালবাসার গল্প আর স্বপ্নের জাল বোনা আর একজন আরেকজনকে খুশি করার জন্যে আবেগ প্রবণ কথাবার্তা ।
তারা বাস্তব জীবনের সমস্যা এবং সেগুলোর সমাধান নিয়ে সে সময়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না। এই প্রবণতাটি বিয়ের পর কেটে যায়, যখন তারা নানা দ্বায়িত্ববোধ ও সমস্যার মুখোমুখি হয়।
৩) প্রেমিক-প্রেমিকা যুগল তিক্ত আলোচনা কিংবা পারস্পরিক তর্কে কম অভ্যস্ত হয় কেননা বেশিরভাগ সময়ই একে অপরকে খুশি করবার জন্য ত্যাগ ও মেনে নেয়ার প্রবণতা থাকে। তাদের মধ্যে যখনই কোন কথা কাটাকাটি হয়
তখন একপক্ষ ত্যাগ স্বীকার করে অপর পক্ষকে খুশি করতে চায়। কিন্তু পর ঠিক উল্টোটি ঘটে। কেউ কাউকে ছাড় দিতে চায়না এবং তাদের বিবাদগুলো সমস্যায় রূপ নিতে থাকে এবং শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি, দাম্পত্য কলহ ।
৪)বিয়ের আগে অর্থাৎ প্রেম করার সময় কোন পক্ষই অপর পক্ষের সত্যিকার রূপটা বুঝে উঠতে পারে না। কারন উভয় পক্ষই অন্যের কাছে নিজেকে শান্ত, ভদ্র হিসেবে তুলে ধরতে ও তাকে সন্তুষ্ট করতে প্রাণপণ চেষ্টা করে কারণ না হলে ছেড়ে চলে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
নিজেকে এভাবে উপস্থাপনের ঘটনাটা ঘটে থাকে তথাকথিত “ভালোবাসার” পর্যায়ে, কিন্তু কেউই সারা জীবন এই প্রবণতাকে ধরে রাখতে পারে না। ফলে সত্যিকার চিত্র ফুটে ওঠে বিয়ের পরে এবং জন্ম দেয় নানা সমস্যার।
৫)ভালবাসার সময়টা থাকে স্বপ্ন আর বিলাসিতার যা বিবাহ.পরবর্তী বাস্তবতার সাথে সাংঘর্ষিক বলে প্রতীয়মান হয়। প্রেমিক মনে করে যে সে তার প্রেমিকাকে একখন্ড চাঁদ এনে হাতে দেবে এবং সে তার প্রেমিকাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ হিসেবে না দেখতে পেলে নিজেও সুখী হতে পারবে না।এবং বিনিময়ে প্রেমিকা তার সাথে একই ছাদের নিচে থাকবে এবং তার অন্য কোন আবদার থাকবে না, কোন অনুরোধ থাকবে না।
অপরদিকে প্রেমিকা বলে “আমাদের জন্য একটা ছোট্ট কুটিরই যথেষ্ট” এবং “দু-একমুঠো ভাতই আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে” কিংবা “তুমি আমাকে এক টুকরো অমুক অমুক খাবার এনে দিলেই আমি খুশি থাকবো”।
এগুলো নিতান্তই বাস্তবতা বিবর্জিত ও কল্পনাপ্রসূত কথাবার্তা এবং বিয়ের পর উভয়পক্ষই এগুলো ভুলে যায়। স্ত্রী তার স্বামীর আর্থিক দুরাবস্থার অভিযোগ করে এবং স্বামী স্ত্রীর চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়। তখন স্বামীও পালটা অভিযোগ আনে স্ত্রীর বেশি বেশি চাওয়া-পাওয়া নিয়ে।
এগুলো এবং আরো বেশ কিছু কারনে যখন উভয় পক্ষ বলে যে আমরা প্রতারিত হয়েছি এবং বেশি তাড়াহুড়ো করে ফেলেছি সেটা শুনে আমরা অবাক হই না। স্বামী আক্ষেপ করে কেন বাবা-মায়ের পছন্দের অমুক অমুককে বিয়ে করলাম না কিংবা স্ত্রী আক্ষেপ করে কেন সে অমুককে বিয়ে করলো না অথচ প্রকৃতপক্ষে তারা নিজেরাই সেটা করেনি নিজেদের আকাঙ্ক্ষার কারনে।
ফলে মানুষ যেটাকে ভাবে পৃথিবীর জন্য একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে অর্থাৎ তাদের “ভালোবেসে বিয়ে” টি সেটি কিন্তু কিছুদিন পরেই ভেঙ্গে যায় এবং রেখে যায় সারা জীবনের আক্ষেপ ও যন্ত্রণা। যে যন্ত্রণা কাউকে বলা যায় না, শেয়ার করা যায় না। শুধু চোখের জলে বালিশ ভেজাতে হয়।
যারা প্রেম করে বিবাহ করবে তাদের সংসারে শান্তি আসবে না।
তাদের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরি হবে।
এর প্রভাব নিজের সন্তানের মধ্যে পরবে।
কোন কোন সন্তান পিতা-মাতার চেয়েও ভয়ংকার হতে পারে।
সংসারে সব সময় বিশৃংখলা লেগেই থাকবে।
পরিবারে শান্তি চলে যাবে।
২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ ভোর ৫:১০
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: ঠিক বলছেন, ধন্যবাদ
৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩
টারজান০০০০৭ বলেছেন: প্রেমে মরা জলে ডোবে না...............................আ। তয় ফাঁসিতে মরে, ছাদ থেইকা উইড়া মরে, ট্রেনে , বাসে , হারপিক খাইয়া মরে ! আফছুস! মরার আগে সবাই নিশ্চয় বাঁচতেই চাইতো !
৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০৪
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: আত্মশুদ্ধি একটা ব্যাপার আছে এটা না হলে মানুষ এই কাজ টা করে
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:০১
ওমেরা বলেছেন: পাগল কাকে বলে !!