নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব সময় সাধারন, অনেক ভাব আনার চেষ্টা করছি কিন্তু আসে ন। শিশু,কিশোর ও বয়স্ক মানুষ ভালবাসি । একা থাকি, পড়তে থাকি।

প্রাইমারি স্কুল

অতি সাধারন

প্রাইমারি স্কুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামি মুফতী

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৩৬


ইসলাম সর্বজনীন একটা ধর্ম। এর গুরুতপূর্ণ টার্মগুলোও গুরুত্ব পূর্ন। যদি ইসলামি পলিটিক্স, ইসলামি গনতন্ত্র, ইসলামি সমাজ, ইসলামি ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারে,তাহলে ইসলামি আলেম আর ইসলামি মুফতি কেন হতে পারবেনা। সোসাল যুগের এই দিনে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যে সব ইসলামের ব্যাখ্যাকারী আছেন তারাই ইসলামি মুফতি। --ইসলামী মুফতি রিদাহ।
রিদাহ পল্লব একজন ইসলামিষ্ট, মুফতি, ও ফিলোশফার। এই ইসলামিষ্টের নাম রিদাহ পল্লব । রিদাহর মত এখন হাজার হাজার ইসলামিষ্ট আছে। যাদের জনপ্রিয়তার কারন ফেইজবুক। রিদাহ তার আসোল নাম নয়। এটা ফেইজবুকী নাম। আসোল নাম জানা জায়নি। তিনি (রিদাহ) মনে করেন ইসলামকে আধুনিক করা দরকার। তাই তার সংগ্রাম।

মাঝেরচর গ্রামে উনানব্বই পারসেন্ট মুসলিম। মুসলিম আছে ইসলাম নাই। আরবরা ব্যবসার উদ্দেশ্য এখানে এসেছিলো। ব্যবসার সুবিধার জন্য মুসলমান বানাইয়া লইছে। ফলে ইসলাম শিখাইতে পারে নাই। আর যে ক'জন আরব ভালো ছিলো তারাও ঠিকমত শিখাইতে পারে নাই। কারন মাঝেরচরটা নদীমাতৃক। যাতায়াত সুবিধা জনক না। এর মধ্যে ইংরেজরা আসে একই উদ্দেশ্যে । ইংরেজরাএসে মুসলমানের নাম রেখে বাকীগুলো নিয়ে গেছে আর খেয়ে ফেলছে। ফলে মাঝের চরে মুসলিম নামগুলো বাদে বাকী সব ইতিহাস।

গ্রামটা হাটলে দেখা যায় মাথায় দেরহাতের পাগরী, পাগরীর নিচে টুপি,জায়নামাজে দাড়িয়ে দাঁত মেসওয়াক,টাকনু গীরা পর্যন্ত গোল লাম্বা জামা। তার নিচে লুঙ্গি আর লুংঙ্গির নিচে জাংগা এবং মাথায় একটা নুমাল । এরপরও বউকে মাঝে-মাঝেই মারে। আর মেয়েকে গার্মেন্টস দিয়ে সেই টাকা দিয়া দ্বীনের কাজে তাবলীগী চিল্লায় যায়। কি অদ্ভদ!

আরও মজার ব্যাপার হলো পরিবারে যখন কাজের চাপ বেশি হয় তখনই চিল্লায় চলে যায় । এই যেমন মেয়ে বা ভাগ্নির বিয়ার সময়, ছেলে বা ছোট ভাইর পরীক্ষার সময় গরুগুলো রেখে চলে যায়, মা'র অসুস্থ্যর সময়। আল্লাহর রাস্তায় সময় দিলেই জান্নাত নিশ্চত। ইসলামটা আরব থেকে আসলেও এই চিল্লায় যাওয়া আসছে ভারত থেকে। কি যে অদ্ভুদ কান্ড!!!
ফেইজবুক নামে একটা বস্তু আবিষ্কারের ফলে নতুন নতুন মাসালার উদ্ভব যেমন হয়েছে ঠিক তেমনি নামে বেনামে ইসলামী মুফতী, ইসলামী আলেম, ইসলামী বক্তা, ইসলামী ফেইজবুকারও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এরা প্রতি মিনিটে একটা ইসলামী ফতুয়া বা কমেন্স,বা ইসলামী লাইক না দিলে তাদের ফ্রেন্ডস ও ফলোয়ারগন হতাশ হয়ে অইসলামি আচারনে আকৃষ্ট হয়।

ইসলামী মুফতীদের এর চেয়ে বড় ভয় হলো ফেইজবুকী জাহেলি যুগে অন্য কোন ইসলামী সেলিব্রেটির প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে যাবে কি?
কনক্রিট রুদ্র এখন মুসলিম। এই সোসাল মিডিয়ার মাধ্যেমে ইসলামে দাখিল হয়েছেন। নতুন নতুন মাসালা তিনি স্ট্যাটাসের মাধমে জানতে চান। মাঝে মাঝে তিনিও নতুন ফতুয়া বা মাসায়ালা দেন।
ইসলামিষ্ট মুফতিরা মাক্সসিজমের সাথে ইসলাম,রোমান্টিসিজমের সাথে ইসলামকে মিলেতে চান। সাথে বিজ্ঞান ও পশ্চাত্ততের আধুনিকতা। ফলে ইসলামে ব্যাখ্যাকারীর কোন অভাব নাই।

রুদ্র নতুন ফতুয়া জানতে চেয়েছেন যে, হাওয়া ( পাত বা গ্যাশ) ছাড়লে ইসলামের বিধান কি?
নামাজের মধ্যে যদি হাওয়া ছাড়ার বেগ আসে তাহলে কি সে হাওয়া ছাড়াবে না চেপে ধরে নামাজ শেষ করবে?
আর যদি হাওয়ায় গন্ধ আসে তাহলে ওযু করবে?
কারন ঐ সময় ওযু করতে গেলে আমাকে সবাই তো চিনে ফেলবে এতে আমার লজ্জা পাবে এবং
মান-সন্মান চলে যাবে। সন্মানের দিকে তাকিয়ে ওযু না করে নামাজ পড়ে নিলে নামাজ কি হবে না? ইমামদের মতামতসহ দলিল দিবেন।

২৩৫৬ টি কমেন্টস আসছে। তবে সব ফতুয়া নয় কিছু গালিগালাজও আছে। সোসাল মিডিয়ায় ইসলামিক মুফতিগন তাদের ব্যাখ্যা করেছেন একজন ফতুয়া দিয়েছেন যদি সে মনে করে যে, চেপে রেখে নামাজ শেষ করতে পারবে তাহলে চেপে রাখবে। কারন বারবার ওযু করায় পানির অপচয় হয়। একই সাথে সন্মানও রক্ষা হবে।
আর একজন ইসলামি মুফতি লেখেছেন এই ব্যাপারে আমি একটা স্ট্যাটাস দিতে চেয়েছিলাম সময়ের অভাবে পারিনি। নজর রাখুন আমার টাইমলাইনে বিস্তারিত লেখবো। ইনশাল্লাহ।

একদিন পর তিনি লেখেছেন অনেকে আমাকে তরুন মুফতি বলেন। আসলে আমি মুফতি না তবে যতটুকু পড়ালেখা করেছি সে আলোকে বললে বলা যায় যে, ইসলাম সব যুগের ও চাহিদা লক্ষ রাখে। আবার ইসলাম হলো আধুনিকিসিজম,রোমান্টিসিজম,সোসালিজম। এর চেয়ে বড় কথা হলো ইসলাম ডেমোক্রেসির বাহিরে না। সব দিক বিবেচনায় বলা যায় যে, গন্ধ না আসা পর্যন্ত এটা পাতই না। পাত মানে গন্ধ। আর গন্ধ হলে ওযু করা লাগবে। তবে শর্ত থাকে যে, ওযু করতে সে যদি লজ্জা ফিল করে তবে মনে মনে তাইয়াম্মু করে নিবে। কিন্তু নামাজ ছাড়া যাবে না।

দু'হাজের উপর কমেন্টস করেছে-
কেউ বলে সঠিক বলেছেন
কেউ বলে যুগ উপযোগী মাসালা।
কেউ বলেছেন।ব্যাখ্যা কারী অনেক মেধাবী আলহামদুলিল্লাহ।
এই যুগে এতো সুন্দর উপস্থাপনা আর কেউ করতে পারেনি। অসাধারন!!

আবার গালিও দিয়েছেন। বলেছেন এগুলো হলো জাহান্নামের কীট। এদের কাছ থেকে আল্লাহ রক্ষা করুন।ইত্যাদি।
মুফতি সাব আর একটা স্ট্যাটাস দিয়ে লেখলেন যে, "কখন বুঝবেন আপনি সঠিক পথে আছেন যখন দেখবেন লোকেরা আপনাকে গালিগালাজ করছে। আপনার লেখার প্রতিবাদ করছে।

জি জি আপনি লেখেন সব বিষয় আর কেউ লেখতে পারে না। আপনারা ক'জন আছেন যারা বিতর্ক করতে পারেন। আর বিতর্ক হলেই তো সঠিকটা বের হবে। রুদ্র দেখেন আজ সবাই মুফতি এতো ব্যাখ্যা এতো গালি কোনটা সঠিক। চিন্তিত রুদ্রু!!
মনে মনে বলেন এর চেয়ে অন্য ধর্মই ভালো।

আরো কিছু মাসায়ালা দেখা যায় যেমন-
গভীর রাতে স্ত্রী তার স্বামীর মাথায় হাতবুলিয়ে দেয়ার ইসলামি হুকুম কি?
শশুর-শাশুরী এবং বিদ্ধাশ্রামের সাথে ইসলামের মিল কি?
সৌদিতে যদি উলুউলু দিতে পারে তবে আমরা কেন নয়? কত যে মাসায়ালা?

রুদ্রের হঠাৎ মনে হলো তার বাসার পাশে একটা মাদরাসা আছে। ঐ মাদরাসার প্রিন্সিপ্যাল হুজুর বড় বড় কিতাব পড়েন। ফেইজবুকে বেশি একটিভ না। কিন্তু তিনি কথা গোছালো বলেন।।হেসে হেসে কথা বলেন। যা বলেন ছোট করে বুঝিয়ে বলেন। কুরআন-হাদীস দিয়ে কথা বলেন। আমার মনে হয় তার কাছে যাওয়া দরকার।

রুদ্র মনে করেন রিদাহ ও তার মতো ইসলামি মুফতিগনই ইসলামের খন্ডন বেশি করে। সবাই ব্যাখ্যা করলে শুনবে কে?
আর মানবে কে?
আজ বলার লোক আছে মানার লোক নাই।
আল্লাহর নিকট হাত তুলে..রুদ্র বলে হে আল্লাহ তুমি ঐ মাদরাসার আলেমদের নিকট থেকে ইসলাম শিখার তাওফিক দাও ..........।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

খরতাপ বলেছেন: আপনারা কেউ এই ব্লগারের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করছেন না কেন?

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪

প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: আপনি আমার নিচের অংশ পড়েননি, অথবা বুঝেননি। যাদের ইসলাম নিয়ে কথা বলার কথা না তারাও ইসলামের বিতর্কিত বিষয় নিয়ে ব্যাখা করে সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। নেগেটিভ কিছু বলিনি, বর্ত্মান চিত্র তুলে ধরছি মাত্র।

২| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২১

সত্যের ছায়া বলেছেন: আপনি ফেসবুক মুফতিদের নিয়ে লিখতে চেষ্টা করছেন। লাইক, কমেন্ট মারা ভিউয়ারদের সমালোচনা করেছেন। সেখান থেকে তাব্লিগ জমাতে চলে গেছেন। সর্বশেষ মাদ্রসার বড় হুজুর পর্যন্ত।

আপনার অবস্হান পরিস্কার নয়!

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২৮

প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: ঐ মাদরাসার প্রিন্সিপ্যাল হুজুর বড় বড় কিতাব পড়েন। ফেইজবুকে বেশি একটিভ না। কিন্তু তিনি কথা গোছালো বলেন।।হেসে হেসে কথা বলেন। যা বলেন ছোট করে বুঝিয়ে বলেন। কুরআন-হাদীস দিয়ে কথা বলেন। আমার মনে হয় তার কাছে যাওয়া দরকার।

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



মাথা আউলায়ে গ্যাছে গা নি?

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১১

হাফিজ রাহমান বলেছেন: আপনার মনের কথাটা কষ্ট করে হলেও বুঝতে পেরেছি। কিন্তু উপস্থাপনায় বিভ্রান্তির উপাদান রয়েছে। আরেকটু পরিষ্কার করে বললে ভাল হতো। কথা সত্য। কিন্তু মতলব সত্য বা ভাল কি না তা অনেকের জন্য বোঝা কষ্টসাধ্য।

৫| ০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা পড়লাম। কিন্তু আমি কোনো মন্তব্য করবো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.