![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগামী দিনে কে দিবে বিশ্ব নেতৃত্ব?
এই প্রশ্ন সবার মুখে। অ্যামেরিকা কি পতনের দিকে ?
ট্রাম্প যদি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিজ দেশ নিয়েই ভাবেন তাহলে চীন কি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিশ্ব নেতৃত্ব নিয়ে নিতে পারবে? প্রশ্নগুলো আন্তর্জাতিক সেমিনার থেকে করেছিল।
এরকম আরও প্রশ্ন উঠেছে, সত্যিই যদি যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব নেতৃত্ব থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয় তবে তার শূন্যস্থানটি পূর্ণ করবে কে। অর্থনৈতিক এবং সামরিক প্রভাবের দিক থেকে চিন্তা করতে গেলে বিশ্ব নেতৃত্বের প্রতিযোগিতার দৌড়ে এগিয়ে আছে চীন এবং রাশিয়া। অপরদিকে পশ্চিমের নৈতিক রাজনীতিতে মুখ্য হয়ে উঠতে পারে জার্মানি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র যদি বৈশ্বিক নেতৃত্ব ছেড়ে দেয় এবং নিজেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থানে সরিয়ে নেয়, তবে কি উদীয়মান পরাশক্তি তার স্থলাভিষিক্ত হবে?
আলোচনা করতে যেয়ে আনেকেই বলেছে যে বিশ্বের নেতৃত্ব এখন আর ইউরোপ আমেরিকার হাতে থাকছে না দ্রুত এশিয়ার হাতে চলে আসছে। এশিয়ার এখন ন্যাচারাল লিডার হলো চীন। আর রানার্স আপ হচ্ছে ভারত। আমেরিকা চেষ্টা করছে ভারতকে তুলে আনতে। কিন্তু ভারত আর চীনের মাঝে যে গ্যাপ তা সহজে, সহসা পুরণ করা যাবে না।
যদি আসলেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে নেতৃত্ব চলে যায় তবে এতে শুধু চীন একাই লাভবান হবে, না কি বিশ্ব রাজনীতিতে রাশিয়া এবং জার্মানিও নিজের প্রভাব বিস্তারে চেষ্টা চালিয়ে যাবে। বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করছেন, কোনো দেশ এককভাবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো একইসঙ্গে অর্থনৈতিক, সামরিক এবং নৈতিক ভূমিকা পালন করতে পারবে না। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের বিচ্ছিন্নতা স্বাভাবিকভাবেই এক ধরনের ক্ষমতাশূন্যতা সৃষ্টি করবে।
এরকম একটা আলোচনায় যদি বাংলাদেশের নাম আসে তাহলে কেমন হবে। জলবায়ুবিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারের পরে কথা হয় আন্তর্জাতিক ইউনিভার্সিটির প্রফেসরের সাথে । রাশিয়ার এই প্রফেসর পড়ালেখা করেছেন আমেরিকায় । সেমিনারের পরে পরিচিত হতে গেলাম । জানতে চাইলেন বাড়ি কোথায়। বললাম বাংলাদেশ ।
বাংলাদেশ!!
জি স্যার।
আই লাইক বাংলাদেশ, আই লাভ বাংলাদেশি স্টুডেন্ট।
আমি বললাম কেন স্যার ?
বললেন, আমি সব দেশের ছাত্রই পড়িয়েছি। মোটামোটি ভাবে । কিন্তু বাংলাদেশি ছাত্র আনেক বেশি ট্যালেন্ট, পরিশ্রমী, ও আত্মবিশ্বাসী। লিডিং পাওয়ার আনেক বেশি। বাংলাদেশের ব্যাপারে কথা শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা । আর আজ প্রশংসা শুনে আমি ফুলেফেপে একাকার । আমি মনোযোগ দিয়ে শুনছি।
এরপর বললেন তুমি কি জানো এই ............ বিশ্ববিদ্যালয় ৬০ জনের মতো বাংলাদেশি শিক্ষক আছেন। আমি বললাম না , আমি জানি না।
স্যার বললেন হ্যাঁ এই ............... ইউনিভার্সিটিতে ষাট জন বাংলাদেশি শিক্ষক আছেন । যাদের মধ্যে ২৮ জন ফুল প্রফেসর । আন্তর্জাতিক ইউনিভার্সিটিতে ভিনদেশি একটা ছোট দেশের যদি ষাট জন প্রফেসর থাকে । তাহলে আমি বলতে পারি না যে, আগামী দিনে বিশ্ব নেতৃত্ব বাংলাদেশ দিবে। হাহাহা ...........হাসি । প্রশংসার ধরন দেখে আমার কাছে মনে হলো শেষে আপমাণ করবে ? তাই বললাম প্রভলেমও আছে স্যার ।
স্যার বললেন ইয়েস
দিস ইস ইন্টারিস্টিং পয়েন্ট?
এই ষাট জন প্রফেসর একদিনের জন্য বা একবারের জন্যও একসাথে হয়নি?
দ্যাট ইজ হোয়াই
- তাদের ভিতের ইউনিটি নাই। তারা সবাই লিড দিতে চায়, সবাই লিডার হতে চায়। একজন আন্যজনের ব্যাপারে দোষ বলে। সে নিজেই সব পাইতে চায়। তার ভাইর জন্য কিছেই রাখতে চায় না ।
সো বাংলাদেশ কখনো ভালো কিছু করবে না। এর মধ্যে আজারভাইজানের এক প্রফেসর এসে টপিস পরিবর্তন করে ফেলে। আর আমিও আশা-হতাশা নিয়ে চলে আসলাম। আর মনে মনে ভাবলাম আমরা কি এই প্রভলেম টা কাটিয়ে উঠতে পারি না ? কেন পারি না ?
০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৯
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: আমি মনে করি পারবে শুধু দরকার একজন লিডার
২| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: তাদের ভিতের ইউনিটি নাই। তারা সবাই লিড দিতে চায়, সবাই লিডার হতে চায়। একজন আন্যজনের ব্যাপারে দোষ বলে। সে নিজেই সব পাইতে চায়। তার ভাইর জন্য কিছেই রাখতে চায় না ।
এই দুই লাইনেই আমাদের চরিত্র প্রস্ফুটিত!!
০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫১
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপী
৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৪৩
আবদুল মমিন বলেছেন: শুধু দরকার একজন লিডার ।
০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫২
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: সহমত , ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৮
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: এই দেশে খুব কম পরিবারই আছে যেখানে স্বামী-স্ত্রী কখনো কোন বিষয়ে একমত হতে পেরেছে। সেখানে জাতীয় ঐক্য আশা করাটা বেমানান। ইন্ডিয়া এই কঠিন কাজটা করতে পেরেছে বলেই এগিয়ে যাচ্ছে।