![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইদানিং ইসলাম পালনের জন্য আমাদের বড় একটা সমস্যা হলো ফতোয়া । এটা হারাম ঐটা হারাম । আবার একজন হারাম করলে আর একজন হালাল করে দেয়। এর মধ্যে অনেকে দাঁত ভাঙ্গা জবাবও দেয় । আবার অনেকে অকাট্য দলিল দিয়ে হারাম করে বা হালাল করে। তখন আমরা যারা সাধারন পাবলিক তাদের বিপদে পরতে হয়।
কে সঠিক ? আর কে বেঠিক ? আমি / আমরা বুঝে উঠতে পারি না।
সুতরাং আমাদের কি করা উচিত । সেটা বলার আগে আর একটা কথা বলে নেই।
ইসলাম আমাদের কে একটা বিষয় বৈধ করে দিয়েছেন সেটা হলো চলোমান কিয়াস। প্রত্যেক মানুষই প্রতি মুহুর্তে কিয়াস করে বা কিয়াস করে চলতে হয়।
উদাহরন দিলে বুঝতে সহজ হবে । যেমন-
আপনি চরে ধান বা ফসল কাটতে গেছেন । ধান বোঝাই নৌকা নিয়ে রওয়ানা দিয়েছেন। আর মনে মনে নিয়ত করেছেন বাসায় এসে নামাজ পড়বেন । কিন্তু মাঝে এসে নৌকা ডুবে গেছে । আপনি একদিকে, নৌকা একদিকে , ধান এক দিকে , এর মধ্যে আপনার লুঙ্গি খুলে গেছে।
এখন আপনি কি করবেন?
সাঁতার কাটবেন?
লুঙ্গি পরবেন?
ধান ধরবেন?
না নৌকা ধরবেন?
এর মধ্যে আপনার মনে হয়েছে যে আপনি নামাজ পড়েননি । আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখেন নামাজের টাইমও শেষ হয়ে যাচ্ছে।
নামাজ ফরজ তাই পড়তে হবে ?
লংগি সতর , নদীতে না হলেও তিরে এসে তো লাগবে ?
নৌকা ভাড়া করে নিয়েছেন ? এটা ছাড়া যাবে না ।
ধান সারা বছরের খোরাক এটা তো আন্তেই হবে ?
এই সময় আপনি নামাজ পড়বেন?
কাযা করবেন ?
অজু করবেন?
নামাজ দাড়িয়ে পড়বেন ?
হাত তুলে নিয়ত করবেন ?
মাসালা জানার জন্য কি তখন আলেম খুঁজবেন ?
না কুরআন- হাদিস নিয়ে বসবেন?
না নিজে নিজে কিয়াস করবেন?
বিবেক-বুদ্ধি খাটাবেন?
না নদীর দু'তীর থেকে চিল্লাইয়া কিছু লোক কথা বলতেছে বা কেঊ গালি দিচ্ছে তা শুনবেন?
তার মানে আপনাকেই একটা সিধান্ত নিতে হবে কিয়াসের মাধ্ম্যে।
এবং
আপনি একটা কিয়াস করবেন ?
কিভাবে আপনি নামাজ সারবেন?
কিভাবে তীরে আসবেন? বা বাকী কাজ কিভাবে সহজ করে করবেন?
এটা কিয়াস । এরকম প্রতিদিন প্রতি মূহুর্ত আমারা অনেক সমস্যায় পড়ি এবং এই কিয়াস করে করে চলি
মানুষ যে প্রতি মুহুর্তে কিয়াস করে তার আর একটা উদাহরন দেই ।
যেমন - আপনি লঞ্চে বরিশাল যাচ্ছেন এশার নামাজের জন্য ইচ্ছা করলেন অজু করবেন। প্রথমে গেলেন পানির নিকট । যেয়ে দেখেন নদীর পানি গন্ধ । পবিত্রতার চেয়ে অপবিত্র হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ।
এখন আপনি কি করবেন?
অজু করবেন না তাইয়াম্মুম করবেন?
এখন এই সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য কি লঞ্চে বসে আলেম খুঁজবেন যে আপনার কি করা উচিত?
না !
কুরআন হাদিস পড়া শুরু করে দিবেন ?
কুরআন হাদীসে কি লেখছে তা দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নিবেন?
আমরা কি করি?
তখন আসলে আমরা উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে কিয়াস করে নেই? বিবেক বুদ্ধি কে কাজে লাগাই।
এবং এই কিয়াস একেক জনের টা একেক রকম হয়। আপনি খেয়াল করে দেখবেন কেউ এই পানি দিয়েই অজু করছে ,
কেঊ এই পানি দিয়েই গোসল করছে,
আবার কেউ তাইয়াম্মুম করছে ।
আরো একটা ব্যাপার লক্ষণীয় কেউ এই পানি খাচ্ছেও ।
এই পানি ব্যাবহার করে লঞ্চে রান্না হচ্ছে এবং বুঝে না বুঝে সেই রান্না VIPথেকে শুরু করে সবাই খাচ্ছে।
প্রমানের জন্য মাঝে মাঝে সদর ঘাট যেয়ে দেখে আসবেন । আর যারা বিদেশে যান তারা আরো সহজে বুঝতে পারেন। অন্য ভাবে।
আপনি কি বলতে পারবেন কে সঠিক আর কে সঠিক না? এখানে কার জন্য কি ফতোয়া হবে ? কার ইমান নাই আর কার ইমান আছে?
কে জান্নাতি আর কে জাহান্নামি?
এই অধিকার কি আল্লাহ কাউকে দিয়েছেন?
( আমি দেখতেছি যেভাবে একজনে আরেক জনকে ইমান নাই বলা শুরু হয়েছে তাতে ইমানদার কোন লোকি নাই। আবার যেভাবে জাহান্নামি বলা হচ্ছে তাতে আমাদের আলেমগন কাউকেই জান্নাতে যেতে দিবে না।)
এবার আসি নতুন ফতোয়া নিয়ে। আসলে কি করবো আমরা ? এই দু'দিনে ২ টি নতুন ফতোয়া পেয়েছি- ১। একামতে দ্বীন জায়েজ নাই
২। হরতাল জায়েজ নাই এবং এটা কিয়ামত পর্যন্ত হারাম? যেহেতু দু'দল একদল পক্ষে একদল বিপক্ষে ? এবং দু'দলেরই শক্ত দলিল আছে? এক্ষেত্রে আমরা ক'য়েক টা প্রশ্ন করে নিতে পারি ।
মানুষের চিন্তাশক্তি, যুক্তি বিশ্লেষণ কাজে লাগাতে পারে বিভিন্ন প্রশ্ন করে করে । যে এগুলো হারাম না হালাল । যেমন- যা দিয়ে প্রশ্ন করতে হবে। তা হলো-
১। কি?
২। কে ?
৩। কেন?
৪। কিভাবে?
৫। কোথায়?
৬। কখন?
৭। ক্ষতি?
৮। লাভ?
বিভিন্ন ভাবে প্রশ্ন করা যেতে পারে নিজে নিজেই যেমন _ কেন করে ? কি করে ? কিভাবে করে? কখন করে?
আবার কে বলেছে ? কেন বলেছে? কখন বলেছে? কিভাবে বলেছে? ( অনেক সময় বলার বাচন ভঙ্গি বলে দেয় বলাটা আদর্শগত দাওয়াত না শত্রুতা )
কোথায় বসে বলেছে ?
কার কথায় বলেছে?
আল্লাহ বলেছেনঃ
Truly, the worst of all creatures in the sight of Allah are the deaf, the dumb, those who do not use their reason/think. ( 8:22)
আল্লাহর দৃস্টিতে নিকৃষ্ট প্রাণী তারাই যারা চিন্তাশক্তি বা যুক্তি ব্যবহার করে না। আল্লাহ আবার বলেছেনঃ
সূরা ফুরকানের ৪৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহরাব্বুল আলামীন এরশাদ করেছেন:
أَمْ تَحْسَبُ أَنَّ أَكْثَرَهُمْ يَسْمَعُونَ أَوْ يَعْقِلُونَ إِنْ هُمْ إِلَّا كَالْأَنْعَامِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ سَبِيلًا (44)
“(হে নবী) তুমি কি মনে করো যে, তাদের বেশিরভাগ (সত্য) শোনে অথবা তা উপলব্ধি করে? তারা তো চতুষ্পদ জন্তুর মতো; বরং তার চেয়েও নিকৃষ্ট।” (২৫:৪৪)
এ আয়াতের শিক্ষণীয় দিকগুলো হলো:
১. চতুষ্পদ জন্তুর বিবেক নেই, তাই ভালো-মন্দ এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্য উপলব্ধি করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু যারা পথভ্রষ্ট তারা হয় নিজেদের বিচার-বুদ্ধিকে কাজে লাগায় না অথবা সত্যকে উপলব্ধি করার পরও তা মেনে নেয় না।
২. সত্য পথ পেতে হলে আল্লাহর বাণী শুনতে এবং তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। মানুষের অন্তরে আল্লাহর প্রতি যে ভালোবাসা সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে তাকে জাগিয়ে তোলার জন্য ঐশীবাণী শোনা অপরিহার্য।
৩. যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশিত পথ মেনে নেয় তার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ নেমে আসে। আর যে ব্যক্তি সত্যপথ থেকে দুরে থাকে সে পশুর চেয়েও অধম হয়ে যায়।#
অতএব কাউকে দোষ না দিয়ে । কারো কথায় মন খারাপ না করে, নিজেই বের করে নিতে হবে আপনি কি করবেন। এবং মনে করতে হবে আপনি যা করেন সেটাও সঠিক আর অন্যরা যা করে সেটাও সঠিক । কাউকে অপমান করা যাবে না । যেহেতু ইসলমী রাট্র আমাদের নাই।
আল্লাহকে যারা বিশ্বাস করে তাদের সবাইকে নিয়ে উম্মাহ ক্রুন।
Allah plz help us!!
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৩৯
এম এ কাশেম বলেছেন: কিছু দালাল শ্রেনীর আলেম নামের জালেম আছে ,
এরা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুর আশাপাশে ঘুরে
টু-পাইস ফেলে পকেটে পুরে
আর নতুন নতুন ফতোয়া বের করে,
এরা মুনাফেক।
মুনাফেক থেকে দূরে থাকুন।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪০
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: কাউকে গালি দেয়া ঠিক না কারন আমরা জানি না কে কি,
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:০৪
মলাসইলমুইনা বলেছেন: দ্বীন কিন্তু কঠিন না |দ্বীন সহজ করেই দেওয়া হয়েছে | আমাদের সমস্যা হলো আমরা নিজেরাও ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করিনা, আমাদের অনেক আলেমই (যাদের আমরা আলেম বলে জানি) তাদেরও মনে হয় ইসলাম নিয়ে পর্যাপ্ত পড়াশোনা নেই | আর যাদের আছে তাদের কথা আমরা তেমন শুনতে পারিনা |
নামাজ পড়তে হবেই সময় মতো |যুদ্ধের মাঠেও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নামাজ পড়েছেন সবসময় (যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে পড়া এই নামাজের আলাদা একটা নামই আছে, মনে করতে পারছি না)| খন্দকের তীব্র যুদ্ধে নামাজ কাযা হয়ে গিয়েছিল বলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কঠিনতম শাস্তির বদদোয়া করেছিলেন শত্রুদের জন্য | কিন্তু জীবন বাঁচানো ফরজ | তাই আপনি যে অবস্থার কথা বললেন তখন আগে জীবন বাঁচাতে হবে, তারপর ফরজ নামাজের দায়িত্ব পালন করতে হবে | আশা করতে হবে আল্লাহ এই অনুগ্রহের প্রতিদান দেবেন | সাহাবীরা ঘর বাড়ি, পরিবার পরিজন ছেড়েছেন ইসলামের জন্য | সেই পরিমান ঈমান নেই বলে আমাদের কাছে আমাদের সম্পদ আর নামাজের মধ্যে কোনটা বেশি ইম্পরট্যান্ট সেই তুলনা চলে আসে |
ওযুর ব্যাপারেও তাই | ওযুর ব্যাপারটা হলো পরিষ্কার পরিছন্নতার ব্যাপার | পানি যদি পরিষ্কার না হয় তবেতো ওযুই হবে না | আর প্রবহমান পানি তো অপবিত্র নয় | নদী, সাগরের পানি দিতে তাই সবসময়ই ওযু করা যাবে | এ'ব্যাপারে সহীহ হাদিস আছে | নামাজের ক্ষেত্রে ওযুই প্রথম | আর বেশিভাগ মানুষ যা করছে সেই ভাবেই তখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে | সম্ভব হলে পানি দিয়ে ওযুই করতে হবে |ওযু একেবারেই সম্ভব না হলে তারপর আসবে তাওয়াম্মুমের প্রশ্ন |এর মধ্যেতো খুব বেশি জটিলতার কিছু নেই | এই ব্যাপারগুলোর সমাধান কুরআন হাদিসেই আছে | এগুলোর জন্য নিজের বিবেচনা বোধের দরকার নেই আর তা সঙ্গতও নয় |দ্বীনের মৌলিক ব্যাপারগুলো মানুষের ব্যক্তিগত মতামতের উপর নির্ভর করে না | সেগুলো মানতে কুরআন হাদিস আর ফিকাহর সিদ্ধান্তগুলোই অনুসরণ করতে হবে | " অতএব কাউকে দোষ না দিয়ে । কারো কথায় মন খারাপ না করে, নিজেই বের করে নিতে হবে আপনি কি করবেন “- তাই এটা দ্বীনের মৌলিকতম বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে করা যাবে না | অন্য ক্ষেত্রে করা যেতে পারে |
হরতাল প্রশ্নতো দ্বীনের প্রশ্ন নয় |এটা হালাল হারামের মাপকাঠিতে মাপাই ভুল | শাসক যদি নামাজ পড়তে বাঁধা দেয়, দ্বীন পালনে বাঁধা দেয় তবে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অনুমতি দেওয়া আছে | আর বাংলাদেশতো ইসলামিক আইনে চলে না | এখানে হরতাল জায়েজ -নাজায়েজ বা হালাল হারামের প্রশ্নই অবান্তর |এখানে প্রশ্নটি রাজনৈতিক তাই এর সমাধানও হতে হবে রাজনৈতিক |
সূরা ৮:২২ -এই ভার্সটি আল্লাহ সম্পর্কে ভাবনার জন্য প্রযোজ্য |ইসলাম পালনের জন্য নয় |ইসলাম পালন করতে গেলে মৌলিক বিধি বিধানগুলো সম্পর্কে কুরআন, হাদিস এবং সর্বসম্মত স্কলারদের ফায়সালাই মানতে হবে |এখানে নিজস্ব চিন্তা বা যুক্তি ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই |
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৩
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে লেখাটা অপূর্ন যে ছিলো সেটা পূর্ন হলো ধন্যবাদ আপনাকে
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৫:২৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: খুবই সুন্দর একটা বিষয় অবতারণা করেছেন। তবে আমার এ ব্যপারে জ্ঞান কম। আমি যেটা বুঝি বা বুঝে তৃপ্তি পাই তা হলো, এখন আসলে দ্বন্দ্বটা হলো চিরাচরিত অনেক ইসলামী নিয়ম কানুন, ফতোয়া ভুল বলে রায় দিচ্ছেন বর্তমানের অনেক শিক্ষিত আলেম। যারা মূলত মক্কা, মদীনার আলেমদের দলিলের ভিত্তিতে (অনেকে যাদের ওয়াহাবি বলে গালি দেয়, যদিও ঠিক না) কথা বলে থাকেন। আপনি যে কিয়াসের কথা বলেছেন, আমাদের পুরোনো ধ্যান ধারণার আলেমরা এই কিয়াসকে এখন উপরে তুলে আনতে চাইছে। যার ফলশ্রুতিতে কল্যাণকর বিদআ'ত, নফল ইবাদত সহ ইত্যাদি কথা বলে দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু শুরু করা তথা তাদের পুরোনো নিয়ম কানুনগুলোকে জারি রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন আপনি বলতে পারেন ঐ পক্ষের ফতোয়া যে সঠিক তার প্রমাণ কি? সে ক্ষেত্রে নিজেকে আরো সংস্কারক হতে হবে। দুই পক্ষের আলোচনা শুনতে হবে। আপনি জেনে থাকবেন, যখনই অথেনটিক দলিলের কথা বলা হয় তখন পুরোনো আলেমরা একটা কথা বলে থাকেন, হালাল কাজের জন্য দলীল এত বেশী জরুরি না, তবে হারাম সাব্যস্ত করার জন্য জরুরী! আমাদের উপমহাদেশের আলেমরা মক্কা, মদীনার আলেমদের এক তুড়িতে বাতিল যেভাবে করে দিচ্ছেন ভয় হয় তেনারাই একদিন এভাবে বাতিল হয়ে যাবেন! আল্লাহই সর্বজ্ঞ। আল্লাহ আমাদের সঠিক ইসলাম জানার তৌফিক দান করুক। আমিন...
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৬
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে , আমি বলতে চাইনি কে সঠিক আর বেঠিক, আমি আমাদের বিবেক দিয়ে কাজ করে যাবো । সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করবো
৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৩৯
নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: ‘হালালের খোঁজ শুধু খাবারে, টাকার বেলায় নয়’ খাদ্য হালাল কিনা তা নিয়ে মুসলিমদের যতটা উদ্বেগ আছে, আয়ের বৈধতা নিয়ে ততটা নেই বলে খেদ প্রকাশ করেছেন মালয়েশিয়ার ইসলামবিষয়ক উপমন্ত্রী।
মুসলিম বিশ্বের মুল সমস্যা হচ্ছে তারা ধর্মকে একটি সমাজ বিছিন্ন রীতিতে পরিনত করেছে যে রীতি অনুযায়ী শুধু নামাজ , রোঝা , হজ্ব পালন এবং হালাল খাবার খাওয়াই হল ধর্ম পালন, এর বাইরে আর কিছু নাই। নামকরা সব ইসলামিক স্কলারদের বক্তব্যও এইসব রিতিনীতি ঘিরেই। অথচ আমাদের নবীজির জীবন বিশ্লেষন করলে দেখা যায় যে আমাদের প্রতিটা পদক্ষেপেও ইসলাম পালনের কতটা জরুরী। আপনি যদি কাজে সৎ না হন, নিষ্ঠাবান না হন, আপনার রোজগার যদি হালাল নাহয় তাহলে আপনার দ্বারা আপনার চারপাশের সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে , দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এওথচ এইসব বিষয়ে কোন ফরোয়া জারি হয় না, ইস্লামিক স্কলারদের বক্তব্যও দিতে শুনি না।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৯
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: এখন এক দল এমন হবে যারা কোন দলাদলিতে যাবে না । মানুষের সামনে সঠিক টা তুলে ধরবে কিন্তু সেই একদল তো আমরা পাচ্ছিনা
৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ইসলামের মৌলিক বিষয়ে নাক গলানোর কোনই সুযোগ নেই তবে কোরআন এবং হাদিসে যদি স্পষ্ট না থাকে অর্থাৎ বুঝতে অসুবিধে হয় তখন ইজমা কিয়সের প্রশ্ন আসে এবং বর্তমান যুগে উদ্ভুত কিছু বিষয়ে ইজমা কিয়াসের বিষয়টি চলে আসে। ইজমা কিয়াসের সিদ্ধান্ত দিবেন কারা? যারা কোনআন ও হাদিসে পন্ডিত এবং স্থানীয় আরবী ভাষাতেও অভিজ্ঞ সেই সংগে বিশ্বের সমসাময়িক প্রেক্ষাপট সহ মানুষের আচার আচরণ এবং স্থানীয় সংস্কৃতির বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান রাখেন তারই সিদ্ধান্ত দেবেন অন্য কেউ নয় কারণ কোন বিষয়ে ইজমা কিয়সের সিদ্ধান্ত দিতে গেলে এইসব বিষয় আমলে না নিলে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হবে পারবেন না।
@মলাসইলমুইনার মন্তব্য ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫১
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: আপনি আমার লেখাটা না পড়ে মন্তব্য করেছেন । ভালো করে পড়েন আশাকরি বুঝতে পারবেন
৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২১
দি রিফর্মার বলেছেন: আপনার পোষ্টটি পড়ে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, আপনি ধর্ম পালনে আগ্রহী এবং ধর্মের প্রতি অনুরক্ত। তাই আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ। আপনার শিরোনামটি বর্তমান সময়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দিন দিন ভ্রান্তির বেড়াজারে জড়িয়ে যাচ্ছি নিজের অজ্ঞতার জন্য এবং সেই সাথে তৃতীয় পক্ষের চটুকদার কথার মারপেঁচে। যারা পূর্নাঙ্গভাবে ইসলাম মেনে চলতে চান তাদেরকে অবশ্যই ইসলাম ধর্মের সাধারণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তারপর একটি নীতি মালা মেনে চলতে হবে যে, ইসলামে যা ফরয করা হয়েছে সেই বিষয় পালনে প্রয়োজন অনুসারে জ্ঞান অর্জন করাও ফরয। যে বিষয়টি সুন্নত তার জ্ঞান অর্জন করা সুন্নত এবং যে বিষয় বা কাজ মুস্তাহাব সে বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করাও মুস্তাহাব। এর বাইরে যারা গভীর জ্ঞান অর্জন করতে চান তবে তিনি আলেম বা মুফতির স্মরনাপন্ন হবেন অথবা একাডেমিক জ্ঞান অর্জন করবেন। যিনি কৃষক তার ব্যবসার মাসআলা যানার প্রয়োজন নেই আবার ব্যবসায়ীরও কৃষি বিষয়ক মাসআলা জানা দরকার পড়বে না। এই সাধারণ জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আমরা একজন সাধারণ মুসলিম হিসাবে পরিগণিত হতে পারব। বর্তমানে অধিকাংশ লোকের ফরজ, সুন্নত, ওয়াজিব, মুস্তাহাব, হালাল, হারাম ইত্যাদির সংজ্ঞাই জানা নাই, তাহলে আমল করব কিভাবে। আর এই সুযোগে কিছু নামধারী আলেম আমাদেরকে বিভ্রান্ত করে চলেছে। ধর্মের বেসিক নলেজ না খাকলে তাদের ফাঁদে পা দিয়ে ঈমান আমল সব বরবাদ হয়ে যাবে।
আল্লাহ্পাক আমাদের সবাইকে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শন করুন।
আমীন।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৪
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও
আল্লাহ্পাক আপনাকে ও আমদেরক সবাইকে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শন করুন
৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১৫
কানিজ রিনা বলেছেন: আজকাল এমন ভাবে ইসলামের কিছু নতুন
পন্ডিত ফতয়া নামের বেদাত নিয়ে বাড়াবাড়ি
শুরু করেছে যেন তাদের উপর আর কোনও
পন্ডিত নাই তারাই সঠিক।
ইসলামে দলবেদলের সব দলেই পন্ডিত আছে।
দলের পন্ডিত ব্যক্তিদয় এক জায়গায় হয়ে
ফতয়া নিয়ে তর্ক করতে দিলে হয়ত যুদ্ধে
উপনিত হবেন। জ্ঞানী আলেমেদীন ইহাদের
থেকে দুরে থাকেন।
এখন থেকে ঠিক আর কতদিন বাদ আছে
মসজিদ গুলও দলে ভাগ হবে। কিছু জায়গায়
দেখাও যাচ্ছে তবলিগদের মসজিদে ঢুকা
নিশেধ। আমরা মুসলিমরা দলের তারনায়
সাধারন মানুষ বিভ্রান্তিতে আছে।
এক আলেম এক ফতয়া মসজিদে সম্মিলিত
মোনাজাত বেদাত, তারাবী নামাজ ২০ রাকাত
হবেনা ৮ রাকাত হবে এরকম অসংখ্য বেদাত
নিত্য নতুন কত প্রকার কি কি। ঢেঁকিতে চাল
ভেনে খাওয়া বেদাত মেশিনে ভানতে হবে।
মোটা চাল খাওয়া বেদাত চিকন চাল খেতে
হবে। আমরা চিকন চাল খাই তোমারাও চিকন
খেতে হবে। মসজিদের ইমামকে ঘরে ডেকে
কোরআনের আলোচনা ঠিকনা বেদাত। তাদের
খাওয়ানো যাবেনা তারা গরীব খুশি করে টাকা
দেওয়া যাবেনা বেদাত।
বেদাতের গর্জনে কান ঝালাপালা। আসলে
কি বলব মানুষের বিবেক বুদ্ধি দিয়ে আল্লাহর
বিধি নিষেধ মান্য করে চলাই অপরিহার্য।
হাদীস মানুষের জন্য,হাদীসের জন্য মানুষ নয়।
আমিরুল মোমেনিনগন যখন পৃথিবীতে ইসলাম
প্রচারে ছড়িয়ে পড়েন। দেশ অনুসারে যেখানে
যে হাদীস প্রয়োগ করার বিবেচনা মনে করেছেন তাই করেছেন। ইসলামে চারজন
খলিফার চার রকম মতবাদ সবই কোরআন
হাদীস থেকে বিশ্লেসন।
সারা পৃথিবীতে হাদীস প্রোয়গের রকম ফের
দেখা যায়। তা নিয়ে বেদাত বেদাত বলে বলে
মুখে ফেনা তুলে বলা হয় জাহান্নম জাহান্নাম।
মনে হয় যেন জাহান্নাম থেকে তারা ঘুরে
এসেছেন। আরে কে জাহান্নামে যাবে তা তো
আল্লাহর হাতে নিদৃষ্ট। বেহেস্ত দোজক
আল্লাহর পূর্ব নির্ধারিত স্থান, প্রতিটি ধর্মই
স্বর্গ নরক বিশ্বাস করে। ধন্যবাদ আপনার
সুন্দর বিশ্লেন উপস্থাপনের জন্য।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৬
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: আপনি সুন্দুর কথা বলছেন । ধন্যবাদ আপনাকে
৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১
বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: একুশ শতকের এই নূতন যুগে এসে ধর্মকে আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
যে কোন অবস্হায়/পরিস্হিতে একজন মানুষ তার নিজের কমনসেন্স ব্যবহার করেন; যে যত শিক্ষিতও দক্ষ তার সমাধানগুলো বেশী অনুকুলে থাকে; এর বাইরে কিছু নেই।