নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চক্ষে আমার তৃষ্ণা

না বলা কথা... [বি:দ্র: এই ব্লগটি কাউকে না পড়ার জন্য অনুরোধ করিছ। এটি একান্তই ব্যক্তিগত ব্লগ। ধন্যবাদ। ]

পপকর্ণ

স্বার্থপর মানুষ

পপকর্ণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আব্বুর রান্নাবান্না এবং অন্যান্য

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

১৬ মার্চ ২০১৩ শনিবার রাত্র ১১:৩১ ময়ূর ভিলা মোহাম্মদপুর ঢাকা-১২০৭



১.

গতকাল ক্যাম্পাস থেকে রাত্রে ফেরার পথে ইলিশ মাছ এবং চিংড়ি মাছ কিনলাম ধানমন্ডি থেকে; এক হাজার টাকা ব্যয়ে। আমার সাথে ইমরান এবং প্রিন্স ছিল। আমার খুব কাছের দুজন মানুষ। আব্বুর আসার কথা শুনে দুজনেই বাসায় আসতে রাজি হল; মূলত রান্না করার উদ্দেশ্যে। কারণ, বাসায় জাফর নেই। আব্বু সকালে বাসে উঠেছেন বরগুনা থেকে; রাত্রেই বাসায় পৌঁছে যাবার কথা। মিমের জন্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটা শেষ করে বাসায় এসেই আমি চলে যাই ফ্ল্যাটমালিকদের মিটিং-এ আর ইমরান-প্রিন্স ব্যস্ত হয়ে পড়ে রান্নাবান্না নিয়ে।



আব্বু বাসায় এসে পৌঁছলেন রাত্র সাড়ে দশটার দিকে। এদিকে আম্মু ক্রমাগত ফোন দিয়ে যাচ্ছেন, আব্বুর খোঁজ-খবর নিচ্ছেন, রাতের খাবার আয়োজনের তাগিদ দিচ্ছেন। আব্বু এসে ভাত খেলেন ইলিশ মাছ ও চিংড়ি মাছ দিয়ে। বিশেষ করে চিংড়ি মাছটা দারুন রান্না হয়েছিল। মূলত প্রিন্সের রান্না। ইমরান সহকারী। আমি কোনো কিছুই না।



২.

আজ একদম সকালে ঘুম ভাঙল আব্বুর ডাকে। খাবার গরম করতে হবে। আজ মিমের প্যারেন্টস ডে। আব্বুর ঢাকার আসার প্রধান কারণ হল এটি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক একটি ব্যাপার ঘটে যায়। আব্বু ইলিশ মাছ গরম করতে গিয়ে ভুলক্রমে পুড়ে ফেলে। আর আমিও ওভেনে খাবার গরম করতে পারছিলাম না। ফলে আব্বু মিমের জন্য ইলিশ মাছ ও চিংড়ি মাছ নিতে পারেনি। তবে অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে যায়। যেমন- কুল বরই, আপেল কুল, কমলা, চকলেট, চিপস, সাফারি ইত্যাদি।



৩.

আজ গণজাগরণ মঞ্চের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে আইন বিভাগ সংহতি সমাবেশের আয়োজন করে। আয়োজক কার্জন স্যার। অনুষ্ঠান ছিল সকাল সাড়ে দশটায়। আমি ঘুম থেকে বেশ দেরি করে উঠি। অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছাই সোয়া এগারোটার দিকে। কার্জন স্যার প্রত্যাশা করেছিলেন আমি অনেক আগেই ঘটনাস্থলে আসব যেহেতু আয়োজকদের মধ্যে আমিও একজন। আমাকে দেখে তাঁর মুখ কালো হয়ে গেল।



আজাদ উপস্থাপনা করছিল। আমাকে দেখেই কানে-মুখে বলল, আজ কিন্তু তোমার আবৃত্তি করতেই হবে। সেই প্রথম বর্ষে বন্ধু দিবসের অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেছিলাম, আর আজ আবার আবৃত্তি করলাম। মাঝখানে প্রায় ছ'টি বছর কেটে গেল। আবৃত্তি করেছিলাম 'বাতাসে লাশের গন্ধ'।



পরে মিটিং শেষে আমরা র‌্যালি করে অপারাজেয় বাংলার পাদদেশে যাই। সেখানে মূল অনুষ্ঠান চলছিল। বৈশাখী টিভি থেকে আমার সাক্ষাৎকার নিলো। সেখানে প্রায় দুটো পর্যন্ত ছিলাম। শামীম ভাই, জহির, কামাল, নাদিম, আজাদ ও আমি একত্রে অনেকক্ষণ আড্ডা দেই।



বাসায় ফিরে আসি তিনটার দিকে। প্রিন্স আগেই রান্না করে রেখেছিল। খেয়ে ঘুম দিই। উঠি সন্ধ্যার দিকে। প্রিন্স চলে যায়। আব্বুও ময়মনসিংহ থেকে চলে এসেছেন।



আমি ডায়েরি লিখতে বসি। কেস ডায়েরি। আগামি ২০ মার্চ বার কাউন্সিল মৌখিক পরীক্ষা। আব্বু রান্না করতে কিচেনে ঢুকে পড়েন। আমি সহযোগিতা করতে গেলে আমাকে পড়াশুনায় মনোনিবেশ করতে বলেন। তিনি একাই ভাত, আলু ভর্তা ও ডাল রান্না করেন। টেবিলে পরিবেশনও করেন তিনি। আমি এর মধ্যে বেশ কয়েকবারই তাঁকে সহযোগিতা করতে যাই। কিন্তু প্রতিবারই তিনি আমাকে ফিরিয়ে দেন।



৪.

রাত্রে বৈশাখী টিভিতে আমার সাক্ষাৎকারটা দেখলাম। তবে কয়েক সেকেন্ডের জন্য মাত্র। রাত্র আড়াইটা বাজে। ঘুমাবো এখন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.