![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বার্থপর মানুষ
১ মে ২০১৩ বুধবার রাত্র ১১:৪৩ ময়ূর ভিলা মোহাম্মদপুর ঢাকা-১২০৭
প্রিয় মৃন্ময়ী,
২৪ মে বিসিএস পরীক্ষা। প্রস্তুতির জন্য চেম্বার পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছি। পড়াশুনা করছি ভীষণভাবে। এতই পড়ছি যে, পরাপর তিনটি বই শেষ করে ফেললাম। হুমায়ূন আহমেদ-এর 'দেয়াল', এম সাখাওয়াত হোসেনের 'বাংলাদেশ: রক্তাক্ত অধ্যায় ১৯৭৫-১৯৮১' এবং এবিএম মূসার 'মুজিব ভাই'। বর্তমানে পড়ছি আরেকটি বই- নীল লোহিত-এর 'সুদূর ঝর্ণার জলে।' আর হ্যাঁ, 'নীল লোহিত' হল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম। আর বইটি আমার জন্মদিনে তামান্না গিফট করেছে।
যাহোক, পঠিত তিনটি বই নিয়ে আমার মন্তব্য লিখব। এখানে একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য। মোটামুটি তিনটি বই-ই বঙ্গবন্ধু, জিয়া, তাঁদের শাসনকাল এবং তাঁদের শাসনকালে সংগঠিত অভ্যুত্থান নিয়ে। একেকজন একেক দৃষ্টিভঙ্গিতে লিখেছেন। হুমায়ূন আহমেদ-এর উপন্যাসে তাঁর মনের খেয়ালে ইচ্ছেমত কাউকে বড় করে দেখিয়েছেন, কাউকে-বা খাটো করে তুলে ধরেছেন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা তীব্রভাবে প্রকাশ পেয়েছে। উপন্যাসটি লেখার ক্ষেত্রে তিনি নির্মোহ ছিলেননা- একথা স্পষ্টই বলা যায়। আনিসুজ্জামানের সাথে আমিও একমত। উপন্যাসটি বিতর্কিতই থেকে যাবে। তবে বইটি পড়তে মজা আছে। হুমায়ূন আহমেদের চিরাচরিত গল্পের ধাঁধাঁ, কানামাছি খেলা, স্বভাবসুলভ রসিকতা--- সবই বিদ্যমান বইটিতে। উপন্যাসটি ইতিহাস আশ্রিত, তবে ইতিহাসটা নির্মোহভাবে উপস্থাপন করেননি লেখক। বরং নিজের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ইতিহাসের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। তারপরও সব মিলিয়ে সুখপাঠ্য বলা চলে।
এম সাখাওয়াত হোসেন তাঁর বইটিতে চেষ্টা করেছেন আপাতদৃষ্টিতে একটি নিরপেক্ষ ইতিহাস তুলে ধরার। তবে তিনি কতটা সফল হয়েছেন, সেটা প্রশ্নবিদ্ধই থেকে যাবে। তাছাড়া তিনিও বইটি লিখেছেন একজন সেনা কর্মকর্তার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। অবশ্য একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিশেবে সেটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া তিনি আবার রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধা নন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তিনি পাকিস্তানে বন্দী সময় কাটিয়েছেন। সেই ছাপও তাঁর লেখায় পড়েছে।
(...অসমাপ্ত)
©somewhere in net ltd.