নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চক্ষে আমার তৃষ্ণা

না বলা কথা... [বি:দ্র: এই ব্লগটি কাউকে না পড়ার জন্য অনুরোধ করিছ। এটি একান্তই ব্যক্তিগত ব্লগ। ধন্যবাদ। ]

পপকর্ণ

স্বার্থপর মানুষ

পপকর্ণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ককটেল নিক্ষেপকারী কয়েকটি কচি ছেলে এবং অপরাজনীতি

১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১৫

১৩ মে ২০১৩ সোমবার রাত্র ১১:১৫ ময়ূর ভিলা মোহাম্মদপুর ঢাকা-১২০৭



নিত্যদিনের মত আজো সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। সাড়ে আটটার দিকে ডাচের ওখানে ককটেল ফোটার শব্দ পেলাম। হঠাৎ ধর-ধর শব্দ শুনে তাকিয়ে দেখি একটি ছেলে প্রাণপণে দৌড়াচ্ছে আর কয়েকটি ছেলে তাকে ধাওয়া করছে। ছেলেটি হাতেনাতে ধরা পরল। আমরাও অকুস্থলে হাজির। ততক্ষণে এক পশলা মার খেয়েছে ছেলেটি। সে জানালো তারা তিনজন ছিল এবং তার মাধ্যমেই অন্য দুজনকে ডাকিয়ে আনা হল। তিনজনের একজনের কাছ থেকে ৫টি ককটেলও উদ্ধার করা হল।



তিনজনেই বেদম মার খেল। দু:খজনক ব্যাপার হল, তিনটি ছেলেই অল্প বয়সী। ধারণা করি, ওদের বয়স সর্বোচ্চ ১৬-২০ বছরের মধ্যে হবে। অথচ এরা ক্যাম্পাসের মত স্পর্শকাতর জায়গায় ককটেল ফোটাতে এসেছে! ককটেল ফোটানোর জন্য কত টাকাই-বা এরা পেয়েছে! ২০০! ৫০০!! মাত্র ক’টা টাকার জন্য ককটেল ফোটাতে এসে তিনজনই বেদম গণধোলাই খেলো সবার হাতে। আর সবাই এতটাই ক্ষিপ্ত ছিল যে-যেভাবে পারছিল, মেরেই যাচ্ছিল! মারার সুযোগ কি আর হাতছাড়া করে বাঙালি! সুযোগ পেলে পঙ্গু ব্যক্তিটাও পারলে দুটো লাথি মারে! পরবর্তীতে তাদেরকে প্রক্টরের হাতে সমর্পণ করা হল। ততক্ষণে অবশ্য তিনজনের অবস্থাই ভয়াবহ! গণধোলাই খেয়ে একদম হতচ্ছাড়া!



পাবলিক প্লেসে সবাই যখন ক্ষিপ্ত হয়ে গণধোলাই দেয়, তখন কিছু করার থাকে না! মায়া লাগছিল ছেলেগুলোর জন্য! কচি বয়স! অথচ এদেরকে ব্যবহার করা হয় ককটেল ফোটানোর জন্য! এরাও ব্যবহৃত হয়! এর আগেও আমরা দেখেছি বিভিন্ন মিছিলে কিংবা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে শিশু-কিশোরদের ব্যবহার করা হয়। খুবই ভয়ঙ্কর প্রবণতা! শিশু-কিশোরদের অপরাজনীতি থেকে মুক্ত করতে না পারাটা ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত।



[উপরের লেখাটি ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাস]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.