নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চক্ষে আমার তৃষ্ণা

না বলা কথা... [বি:দ্র: এই ব্লগটি কাউকে না পড়ার জন্য অনুরোধ করিছ। এটি একান্তই ব্যক্তিগত ব্লগ। ধন্যবাদ। ]

পপকর্ণ

স্বার্থপর মানুষ

পপকর্ণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্র্যাকটিস জীবন

১৮ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১

১৮ জুন ২০১৩ মঙ্গলবার বিকেল ৬:১১ ময়ূর ভিলা মোহাম্মদপুর ঢাকা-১২০৭



বাসায় ফিরলাম কিছুক্ষণ আগে। অথচ গতকাল বাসায় ফিরেছি রাত্র সাড়ে এগারোটায়। কখন কি হবে, সব কিছু অনিশ্চিত!



গতকাল ঢাকা কোর্টে নতুন এক চেম্বারে যোগদান করলাম। এখানেও যোগদান করার মাধ্যম মোহনা এবং ওর সিনিয়র মোর্শেদ স্যার। আমার বর্তমান সিনিয়রের নাম মো: মোয়াজ্জম হুসেন। গাজীপুরের কাপাসিয়াতে বাড়ি। সিভিল প্র্যাকটিস করেন। মধ্যবয়স্ক মানুষ। দুদিন কাজ করে বেশ স্বস্তি পেয়েছি। আমাকে প্রতিদিন দু'শ টাকা দেন। পরশুদিন তিনি নিজেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, আমার কোনো চাহিদা আছে কিনা। আমার উত্তরের অপেক্ষা না করে মোহনা বলে বসল, অন্তত আসা-যাওয়া-খাওয়ার খরচটা তো ওঠা উচিৎ। তখন তিনি বললেন যে, আমাকে প্রতিদিন ২০০ টাকা দিবেন।



গতকালই তিনি আমাকে প্রথম সরাসরি কোর্টে পাঠিয়ে দেন মুভ করার জন্য। তিনটি কোর্টে, তিনটি ভিন্ন বিষয়ে। বিষয়গুলো হল--- সময়ের আবেদনের (টাইম পিটিশন) শুনানি, মামলা প্রত্যাহার আবেদনের শুনানি এবং জামিন শুনানি। আমি বেশ উত্তেজিত ছিলাম। জীবনে প্রথম কোর্টের সামনে দাড়াবো, কথা বলব। তাছাড়া গাউনও পড়লাম গতকালই প্রথম। গাউন কেনার একটি কাহিনী আছে। পরে লিখব। যাই হোক, যা বলছিলাম, শেষ পর্যন্ত কোনো কোর্টেই মুভ করা হয়নি। কেননা, প্রথমোক্ত বিষয় দুটিতে কোর্টই বসেনি। আর হেরোইন মামলার আসামীকে কোনো শুনানি ছাড়াই জামিন না-মঞ্জুর করে দিয়েছে আদালত। তাতে আমি খুশি হয়েছি। কেননা, আমি নিশ্চিতভাবেই জানতাম যে, জামিন দিবেনা। সুতরাং এটা চাইনি যে, জীবনের প্রথম মুভেই কোনো প্রতিকার না পাই।



স্যারের এখানে দুদিন কাজ করে ভালোই লাগল। যেটা বেশি ভালো লেগেছে, তা হল স্যার সব কাজ আমাকে দিয়ে করান। আমি এমনটাই চাচ্ছিলাম। এমনকি তিনি প্রথম দিনই আমাকে চেম্বারের চাবি দিয়ে দিলেন। বিষয়টি বেশ ভালো লাগল। ওয়ারেন বাফেটের কথা মনে পড়ল। তাঁর একটি কৌশল হল, যখন কাউকে কোনো কাজে নিয়োগ দেন, তখন তিনি পুরো দায়িত্বভারটা তার উপর তুলে দেন। এতে এক ধরনের আস্থা এবং ভালো-লাগা কাজ করে কর্মীর মধ্যে। যদি অন্য কোনো ব্যতিক্রম না ঘটে, তাহলে এই চেম্বারে কাজ চালিয়ে যাবার ইচ্ছে আছে।



২.

কিছুদিন আগে অন্য একটি চেম্বারে যোগদান করেছিলাম। সিনিয়রের নাম অ্যাডভোকেট মো: হুমায়ুন কবির ভূইয়া। বৃদ্ধ মানুষ। কিন্তু বেশ ঝানু আইনজীবী। প্রচুর টাকা-পয়সার মালিক। বেশ সম্পদশালীও। তার ওখানেও যোগদান করি মোহনার মাধ্যমে। আমাকে প্রতিদিন ২শ টাকা দেবার কথা। কিন্তু প্রথম দিন দিলেন দেড়শ টাকা। দ্বিতীয়দিন একশ টাকা। প্রথম দিনেই তার চেম্বারে গিয়েছিলাম সন্ধ্যায়। তিনি মাত্র একশ টাকা দিলেন। খুব হতাশ হয়ে চলে আসছি। এরপর আর যাইনি চেম্বারে। যিশু ভাইয়ার অপারেশনের কথা বলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। এরপর আর যোগাযোগও করিনি।



হুমায়ুন স্যারকে মানুষ হিসেবেও আমার ভালো লাগেনি। তবে ওনার বাসার চেম্বারে যেয়ে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। পুরো ফ্ল্যাটজুড়ে শুধু আইনের বই। অসংখ্য বই।



৩.

গাউন কেনার কাহিনীটি লিখব এখন। সাধারণত সবাই গাউন কেনে ঢাকা কোর্ট প্রাঙ্গণ কিংবা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে। কিন্তু আমি আর মোহনা গেলাম পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলীতে।



কেনাকাটা বিশেষ করে দরাদরির ব্যাপারে আমি বরাবরই ভীষণ অদক্ষ। এই একটি ভীতির কারণে আমি ফিক্সড প্রাইস দোকান থেকে সব সময় কেনাকাটা করি। তবে মোহনাকে দেখলাম দরাদরিতে বেশ পটু। সে আমাকে অবাক করে দিয়ে ১৩শ টাকা চাওয়া গাউনের দাম চার-পাঁচশ বলে বসে থাকল! যাহোক, দু-তিনটা দোকান ঘুরে শেষ পর্যন্ত ৮শ টাকায় কিনলাম। আর গাউনটাও বেশ সুন্দর। কাপড় চমৎকার। তাও মোহনা আমার উপর ক্ষিপ্ত। তার ধারণা এই গাউন ছ'শতেই কেনা যেতো। আমি নাকি বেশি টাকা দিয়েছি! :|



যাহোক, ধন্যবাদ মোহনা। :)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.