![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বার্থপর মানুষ
১৯ জুলাই ২০১৩ শুক্রবার রাত্র ১১:১৩ ময়ূর ভিলা মোহাম্মদপুর ঢাকা-১২০৭
লিখতে বসেছিলাম হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে; কিন্তু মন-মেজাজ ভীষণ খারাপ হয়ে গেছে নাসির মামার ফোন পেয়ে। মামা প্রথমেই অনুযোগ করলেন আমি কেন কোনো খোঁজ নিলাম না! আমি তো অবাক হয়ে গেলাম! কিসের খোঁজ নিবো! পরে মামার কাছ থেকে শুনলাম গত শনিবার লাইজু মামির সিজার হয়েছে এবং একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। ছেলেটি বর্তমানে খুব অসুস্থ। জন্মের পর থেকেই স্যালাইন চলছে। তবে লাইজু মামি সুস্থ। তারা বরিশাল হাসপাতালে রয়েছেন।
এত বড় একটা সংবাদ; অথচ আমি কিছুই জানি না! আরো যে ব্যাপারটিতে অবাক হলাম, তা হল, আব্বু-আম্মু নাকি এখন বরিশালের লঞ্চে; আগামিকাল সকালে ঢাকা এসে পৌছঁবেন। অথচ এটাও আমি জানিনা। এমনকি মিম পর্যন্ত নাসির মামার ঘটনা জানে; আমাকে কিছু জানায়নি। গত দু-তিনদিন যাবত আব্বু-আম্মু আমাকে কোনো ফোন দেননি। সর্বশেষ আম্মু ফোন দিয়ে অঝোরে কেঁদেছিলেন। তারপর আর ফোন দেননি।
আমি ভীষণ দুশ্চিন্তাগ্রস্থ। আমি জানি না কি অপেক্ষা করছে আমার জন্য! আম্মুকে কি বলব? তাঁর চোখের দিকে তাকাবো কি করে?! কী জবাব দিবো তাদের?! হাতে কোনো টাকাই নেই। অথচ আম্মুর সাড়ে সতেরো লক্ষ টাকা পাওনা আমার কাছে।
মুডটাই নষ্ট হয়ে গেল! সব কিছু এলোমেলো লাগছে!
ধুর! কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছি না! মৃত্যু হলেই এখন খুশি হতাম! এই জীবন আর ভালো লাগে না। আত্মহত্যারও সাহস নেই। নতুবা সবচে ভালো হতো আমাদের বাসার ছাদে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পরলে। আজ দুপুরবেলা হঠাৎ করেই বৃষ্টি শুরু হলো। আমি আর মিম গিয়েছিলাম ছাদে ভিজতে। আমি বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়েছিলাম মূলত হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করে। ১০তলার উপর থেকে বার কয়েক নিচে তাকিয়েছি। মনে হয়েছে লাফ দিলেই ভালো হয়! মিমকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞেসও করেছি যে, উপর থেকে লাফ দিলে বা এখান থেকে পড়ে গেলে তুমি কি করবে? মিম হাস্যেজ্জ্বলভাবে প্রত্যুত্তরে বলেছিল যে, আগে তুমি নিচে পড়ে যাও; তারপর দেখা যাবে কি করব!
কী করব আমি! ধুর! অস্থির লাগছে!! আব্বু-আম্মুকে কী বলব আমি!!
©somewhere in net ltd.