নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চক্ষে আমার তৃষ্ণা

না বলা কথা... [বি:দ্র: এই ব্লগটি কাউকে না পড়ার জন্য অনুরোধ করিছ। এটি একান্তই ব্যক্তিগত ব্লগ। ধন্যবাদ। ]

পপকর্ণ

স্বার্থপর মানুষ

পপকর্ণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইইএলটিএস টেস্ট এবং জুডিশিয়ারি প্রিলি পরীক্ষা

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

২৬ আগস্ট ২০১৩ সোমবার দুপুর ১২:০৮ ময়ূর ভিলা মোহাম্মদপুর ঢাকা-১২০৭



১.

প্রস্তুতি নিয়েছি বাসায় একাই। কোথাও কোনো কোচিং করিনি। ক্যামব্রিজের বইগুলো প্র্যাকটিস করেছি। সাধারণত রিডিং ও লিসেনিং-এ ৪০-এর মধ্যে ৩০-৩৬ এর মধ্যে থাকত স্কোর! অথচ পরীক্ষা বেশ খারাপ হল। :(



আইইএলটিএস পরীক্ষা দিলাম গত ২১ আগস্ট ও ২৪ আগস্ট। ২১ আগস্ট স্পিকিং টেস্ট দিলাম। ২৪ আগস্ট লিসেনিং, রিডিং ও রাইটিং টেস্ট দিলাম। পরীক্ষা দিয়ে মোটেই খুশিনা। যথেষ্ট খারাপ হয়েছে। স্পিকিং টেস্টে কত ভুল করেছি কে জানে! লিসেনিং টেস্টে মনোযোগ হারিয়ে ফেলেছি! রিডিং টেস্টে প্যাসেজগুলো ছিল বেশ বড়! রাইটিং টেস্ট যথা সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারিনি। উপসংহারও ভালো করে দিতে পারিনি। খুবই নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম। জীবনে সম্ভবত প্রথম কোনো পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাত কেঁপেছে! পেটে ছিল প্রচন্ড ক্ষুধা! :(



আগামি ৬ সেপ্টেম্বর রেজাল্ট দিবে। জানিনা কত পাবো! অথচ বিদেশে পড়াশুনা করতে হলে ৭.৫ লাগবে অল ব্যান্ড স্কোর। :(



২.

গত ২৩ আগস্ট জুডিশিয়ারি প্রিলি পরীক্ষা দিলাম। জীবনে এই প্রথম কোনো পরীক্ষা দিলাম একদম একটা শব্দও না পড়ে এবং কোনোরকম প্রস্তুতি ছাড়াই। পরীক্ষা দিয়ে ভেবেছিলাম ২০টাও মনে হয় সঠিক হবে না। আশ্চর্যজনক বিষয় হল কামালের সাথে মিলিয়ে দেখি আমার ৫১টা হয়েছে! আরো ২/১টা হয়ত হতে পারে! পাসমার্কস ৫৫! ইস্! আমার কেন যে এত দুর্ভাগ্য! আল্লাহ, তুমি আমার সহায় হও!



জীবনে প্রথম কোনো পরীক্ষা মোহনা আর আমি একসাথে দিলাম। ফর্ম একসাথে জমা দেয়ার সুবাদে আমাদের রোল নাম্বারও পাশাপাশি পড়েছে। এবং সেই অনুযায়ী পরীক্ষার হলে সিটও পড়েছে। কিন্তু তাতে অবশ্য বিশেষ কোনো লাভ হয়নি। কেননা, বিয়ে হবার কারণে মোহনার কোনো প্রস্তুতি ছিল না। আর আরো যেটি বেশি দুর্ভাগ্যজনক, তা হলো, মোহনা ওইদিন মোটরবাইকে এক্সিডেন্ট করে। মিঠু ভাইর সাথে পরীক্ষা দিতে আসছিল। স্পিডব্রেকারে ওঠার সময় মটরবাইক থেকে ছিটকে ১০ হাত দূরে পড়ে যায় এবং অনেকখানি টেনে নিয়ে যায়! ভাগ্যিস পিছন থেকে কোনো গাড়ি আসেনি তখন! তাহলে অনেক খারাপ কিছু ঘটতে পারত! স্রষ্টার কাছে হাজার শুকরিয়া যে সে-রকম বীভৎস কিছু ঘটেনি।



চুলের খোপা থাকার কারনে মাথা রক্ষা পেয়েছে; তবে কোমড়ের নিচের অংশে ব্যথা পেয়েছে। পায়ের চামড়া উঠে গেছে! সবকিছু মিলিয়ে বেশ খারাপ অবস্থাই! সেই অবস্থাতেই সে পরীক্ষা দিতে এসেছে। ওর সাহসের প্রশংসা করতেই হয়!



স্বাভাবিকভাবেই তার অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। সুতরাং পরীক্ষার হলে আমাদের মধ্যে তেমন কোনো কথাবার্তাই হয়নি। শুধু ও আমাকে দু-তিনটি প্রশ্ন করেছিল; কিন্তু সেগুলোর সঠিক উত্তর আমি জানিনা।



৩.

আব্বু সেই ঈদের আগে ঢাকা এসেছিলেন। এরপর যিশু ভাইয়াকে ডাক্তার দেখাতে কলকাতা ঘুরে আসলেন ঈদের পরপরই। যিশু ভাইয়া গতকাল চাকরিতে পুনরায় যোগদান করেছেন। আব্বু আজ বরগুনা চলে যাচ্ছেন। আব্বুকে নিয়ে আমার অনেক কিছু লেখার ইচ্ছে। আমি নিশ্চয়ই লিখব একদিন। শুধু এটুকু বলব--- আমার বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা; আমার দেখা শ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন মানুষ।



৪.

আজ প্রিন্সের জন্মদিন। প্রিন্স আমার প্রিয় বন্ধুদের একজন। ওর অনেক কিছুই আমার ভালো লাগেনা; ওর অনেক কর্মকাণ্ড ব্যক্তিগতভাবে সমর্থনও করিনা এবং সেগুলোতে আমাকে কখনো সে জড়াতেও চায়নি। তবে ছেলেটি আমাকে খুব ভালোবাসে। আমি সেটা অনুভব করতে পারি।



আজ জন্মদিন উপলক্ষ্যে ওর বাসায় খাবারের আয়োজন করেছে। শুধু আমাকে আর সাব্বিরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। একটুপর সেখানে যাবো। খারাপ লাগছে যে, আমার কাছে টাকার চরম অভাব! ওকে যে কোনো উপহার দিবো, সেই অবস্থাও নেই! গত ২১ আগস্ট ওর বিবাহবার্ষিকী গিয়েছে। তখনো ওকে কোনো উপহার দিতে পারিনি। তবে সাড়ে পাঁচশ টাকা দিয়ে আমি কেক দিয়েছিলাম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.