নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চক্ষে আমার তৃষ্ণা

না বলা কথা... [বি:দ্র: এই ব্লগটি কাউকে না পড়ার জন্য অনুরোধ করিছ। এটি একান্তই ব্যক্তিগত ব্লগ। ধন্যবাদ। ]

পপকর্ণ

স্বার্থপর মানুষ

পপকর্ণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এয়ারটেল অফিসে বসে লেখা প্রথম ব্লগ

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮

৭ অক্টোবর ২০১৩ সোমবার বিকেল ৫:৩০ এয়ারটেল অফিস পিঙ্কসিটি গুলশান-২, ঢাকা



প্রিয় মৃন্ময়ী,



এয়ারটেল অফিস ডেস্কে বসে আজকে প্রথম ব্লগ লিখছি। আগেই লিখেছি যে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর এয়ারটেলের লিগ্যাল টিমে যোগদান করেছি। এবং পুরো ঘটনাটি অকস্মাৎ ঘটেছে, তাও বর্ণনা করেছি। সবচেয়ে বড় কথা এমন একজন ব্যক্তির মাধ্যমে আমি এখানে যোগদান করেছি যার সাথে কি-না আমার একবার তর্ক হয়েছিল একটি অপ্রীতিকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবং এক প্রকার যোগাযোগবিচ্ছিন্ন ছিলাম। শুধু তাই নয়, সেই ঘটনার জের ধরে অভাবনীয়ভাবে তিনি আমাকে ফেসবুক থেকে আনফ্রেন্ড করে দিয়েছিলেন; যদিও পরবর্তীতে তিনি নিজেই আবার আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন। যাই হোক, এসব বিষয়ে পরে একদিন লিখব যদি সময় পাই।



কেমন কাটল এ ক'দিন এয়ারটেলে? এক কথায় বলা যায়, মন্দ নয়। এয়ারটেলে যোগদান আমার ব্যক্তিগত জীবনে বেশ বড় একটা ঘটনা। মোবাইল কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের শীর্ষ করপোরেট প্রতিষ্ঠান। শুধু বাংলাদেশ নয়, যেকোনো দেশেই মোবাইল কোম্পানিগুলো শীর্ষ করপোরেট প্রতিষ্ঠান এবং এসব কোম্পানির স্যালারি তুলনামূলকভাবে বেশ ভালো হওয়ায় মানুষের আগ্রহও বেশি এসব জায়গায় জব করার।



এক সময় আমার মধ্যে এরকম একটি স্পৃহা ছিল যে, আই উইল বি আ করপোরেট কিং। কিন্তু কর্পোরেট জগতের মানুষগুলো সম্পর্কে কেন যেন ভালো ধারণা জন্মায়নি আমার মধ্যে। এখানে সব মানুষগুলো কোয়ালিফাইড হলেও মানবিকতার বিচারে এদেরকে অনেক নিচু মনে হয়। মিথ্যা বলা, পিছনে কথা লাগানো, শয়তানের চূড়ান্ত হলেও সব সময় একটি ভালো মানুষির রূপ ধরে থাকা ইত্যাদি ইত্যাদি। করপোরেট জগতে মেয়েরাও অ্যাবিউজড হয় অনেক। এরকম অনেক ঘটনা আছে। ইত্যকার নানা কারণে একটি বিতৃষ্ণা জন্মে গেছে করপোরেট জবের প্রতি। আর এমনিতেই ব্যক্তিগতভাবে তো জবের চরম বিরোধী ছিলাম আমি। এসব ঘটনা কর্পোরেট কিং হবার ইচ্ছেটাকে আরো মাটিচাপা দেয়।



তারপরও এয়ারটেলে যোগদান করলাম, মূলত কৌতুহল থেকে; তার চেয়েও বড় কারণ হল প্রয়োজন থেকে। বর্তমানে আমার উপার্জন করা অপরিহার্য হয়ে দাড়িয়েছিল। বাসা থেকে টাকা নেয়ার সুযোগ নেই। আম্মুর টাকাগুলো এভাবে নষ্ট করেছি! (এখন ব্যাপারটা নষ্ট করার মতই দাড়িয়েছে; কেননা, আমার উদ্দেশ্য যতই ভালো হোক, বাসায় কোনো প্রতিদান দিতে পারিনি ! এই একটি ঘটনায় সমস্ত জীবন অনুতপ্ত থাকব; নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না।)



এখানে কাজের পরিবেশ মোটামুটি ভালো। আমার সহকর্মী হলেন পুষ্পাল পাল এবং হাসান তারিক পলাশ ভাই। পলাশ ভাই বরগুনার; তাছাড়া তিনি আমাদের আইন বিভাগের ২৪তম ব্যাচের। আর পুষ্পাল দা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যাল থেকে এলএল.বি., এলএল.এম. করেছেন।



বর্তমানে আমরা গুলশান এভিনিউর পিঙ্ক সিটিতে বসি; এটা মূলত বনানীর হেডঅফিসের এক্সটেনশন। আমাদের জোনে একই সাথে করপোরেট সেলস টিম বসে। করপোরেট সেলস টিমের প্রধান হলে বাংলাদেশের প্রধান পুরুষ মডেল নোবেল। তাঁকে আগেও সামনাসামনি দেখেছি। আর এখন তো প্রতিদিনই দেখি। ভীষণ লম্বা, ফর্সা, স্মার্ট, হ্যান্ডসাম। চেহারায় বয়সের ছাপ পরেনি তেমন।



একটি বিষয় বেশ লক্ষ্যণীয়। এখানে কর্মরত প্রতিটি মানুষ বেশ স্মার্ট।



(... অসমাপ্ত)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.