নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চক্ষে আমার তৃষ্ণা

না বলা কথা... [বি:দ্র: এই ব্লগটি কাউকে না পড়ার জন্য অনুরোধ করিছ। এটি একান্তই ব্যক্তিগত ব্লগ। ধন্যবাদ। ]

পপকর্ণ

স্বার্থপর মানুষ

পপকর্ণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্মোহ মূল্যায়ন চাই

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

১ ডিসেম্বর ২০১৩ রবিবার রাত্র ১১:০২ ময়ূর ভিলা মোহাম্মদপুর ঢাকা-১২০৭



নির্মোহ মূল্যায়ন চাই



ওমর হাসান আল জাহিদ



আমাদের জাতীয় জীবনে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হলো মুক্তিযুদ্ধ। লাখো শহীদের প্রাণের বিনিময়ে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে বাঙালি জাতি তার পরম আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আমরা যারা তরুণ প্রজন্ম, যাদের একাত্তর দেখার সুযোগ হয়নি, তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ এক অপার বিস্ময়, ভীষণ আবেগ ও গৌরবের! আমরা এটুকু অনুধাবন করতে পারি যে, বাঙালি জাতি মুক্তির জন্য কতটা উদগ্রীব হলে এভাবে স্বাধীনতার জন্য অকাতরে জীবন দান করতে পারে! স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আপামর জনসাধারণকে মুক্তি সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন; মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সুমহান আত্মত্যাগের জন্যই আজ আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি; সে দেশের গর্বিত নাগরিক হিসেবে তারই আঁচলতলে বড় হয়েছি; বিশ্বসভায় সগর্বে মাথা উঁচু করে অবস্থান করতে পেরেছি।

আমাদের জাতীয় ইতিহাস অত্যন্ত গৌরবের হলেও, সেখানে বেশ কিছু কলঙ্কতিলক রয়েছে। যেমন একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে না পারা। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত পাকিস্তানি হানাদারদের ছেড়ে দিতে হয়েছিল আন্তর্জাতিক রাজনীতির কূটনৈতিক মারপ্যাঁচের কারণে; যদিও পাকিস্তান অঙ্গীকার করেছিল তারা অভিযুক্তদের বিচার করবে। পাকিস্তান তাদের বিচার তো করেইনি; আজ পর্যন্ত ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যার জন্য রাষ্ট্র হিসেবে দুঃখ প্রকাশ পর্যন্ত করেনি। আমাদের আরেকটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, একাত্তরে বাঙালি নিধনে পাকিস্তানি হানাদারদের দোসর হিসেবে কাজ করেছে আমাদেরই একটি ক্ষুদ্র অংশ। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এসব নরপশু স্বজাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে ধর্ম রক্ষার নামে হানাদারদের সহযোগিতা না করলে এত মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হতো না; আমাদের মা-বোনরা এভাবে সম্ভ্রম হারাতেন না; নির্মম নির্যাতনের শিকার হতেন না। তারা শুধু হানাদারদের সহযোগিতা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বিজয়ের অন্তিম মুহূর্তে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে, যাতে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও পঙ্গু হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু এসব কুলাঙ্গারের বিচার করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন, আইন প্রণয়ন করে বিচারের সম্মুখীন করেছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। পঁচাত্তরের পটপরিবর্তনের পর তাদের বিচার আর সম্পন্ন হয়নি, অভিযুক্তরা মুক্তি পেয়ে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এ দেশেই রাজনীতি করে আবার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে; শহীদদের আত্মা দীর্ঘ ৪২টি বছর মরেও শান্তি পায়নি।



জনগণের, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের সুতীব্র দাবির প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের এদেশীয় দোসরদের বিচার করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে সেই বিচার এখনও চলছে। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে যারাই রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করুক, তারা অভিযুক্তদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে রায় বাস্তবায়ন করবে। এ বিচারটি আমাদের ভীষণভাবে প্রয়োজন শহীদদের স্বজনদের সন্তুষ্টির, শহীদদের আত্মার শান্তির জন্য সর্বোপরি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে জাতীয় দায়মুক্তির জন্য।



বিজয়ের মাস শুরু হয়েছে। আমাদের এখন প্রয়োজন স্বাধীনতার ৪২টি বছরকে মূল্যায়ন করা। আমরা কতটুকু আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্যগুলোকে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি, তা আজ আমাদের রাজনীতিকদের মূল্যায়ন করতে বসা উচিত। কিন্তু সে রকম কোনো উদ্যোগ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। সরকার বা বিরোধী দলের এসব নিয়ে কোনো মাথাব্যথাও নেই। একটি দেশকে তখনই স্বাধীন বলা যায়, যখন বহিঃশক্তি থেকে দেশটি সম্পূর্ণ মুক্ত থাকে, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়, জনগণ নিজস্ব সংস্কৃতির চর্চা করতে পারে, সর্বোপরি প্রতিটি মানুষ পূর্ণ মানবিক মর্যাদা ভোগ করতে পারে। তেমন একটি সত্যিকারের স্বাধীন দেশ জনগণকে উপহার দিতে পারেন একমাত্র আমাদের রাজনীতিকরা। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের রাজনীতিকদের ওপর জনগণ পূর্ণ আস্থা রাখলেও তারা সেই আস্থার যথাযথ প্রতিদান দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ক্ষমতার নেশায় তারা উন্মত্ত হয়ে রয়েছেন। আমরা চাই আমাদের রাজনীতিকরা সহিংস রাজনীতি ছেড়ে বিগত ৪২টি বছরের নির্মোহ বিশ্লেষণ করে একটি সত্যিকারের আত্মনির্ভরশীল স্বাধীন দেশ বিনির্মাণে নিয়োজিত হন।

আইনজীবী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী







২.

উপরিউক্ত লেখাটি আজ দৈনিক সমকালে ছাপানো হয়েছে। গতকাল দুপুরে ধানমন্ডি ছিলাম আমি আর ফারিয়া। হঠাৎ করে একটার দিকে একরামুল হক শামীম ভাই ফোন দিয়ে বললেন এক-দুই ঘন্টার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের উপর ৪০০/৫০০ শব্দের একটি লেখা দিতে হবে। তৎক্ষণাৎ আমি ফারিয়াকে নিয়ে বাসায় চলে যাই। ল্যাপটপ চালু করে দেখি ইন্টারনেট নেই। তারপর আবার ইন্টারনেট চালু করার জন্য কার্ড কিনতে গেলাম। বাসায় এসে দেখি ২টা বেজে গেছে। ফারিয়ে যিশু ভাইয়ার সাথে গল্প জুড়ে দিলো। দরজাটা চাপিয়ে দিয়ে আমি এক নাগাড়ে লিখে গেলাম, যা মনে আসল। তারপর দ্বিতীয়বার না পড়েই সরাসরি ইমেইল করে শামীম ভাইকে পাঠিয়ে দিলাম ৩টার দিকে। শামীম ভাইকে ফোন দিয়ে জানালাম। পরে আমি আর ফারিয়া ধানমন্ডি গেলাম। শাওনের সাথে আড্ডা দিলাম। মনিরকেও ফোন দিয়েছিল ফারিয়া। মজার ব্যাপার হল মনির আসার কথা বলেও পরে আর আসেনি। তখনি আমরা বুঝে গিয়েছিলাম যে, মনির তামান্নার সাথে আছে। পরে বুঝতে পারলাম মনির আর তামান্না আর্মি স্টেডিয়ামে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের আয়োজিত প্রোগ্রাম দেখতে গিয়েছিল।



মজার ব্যাপার হল প্রিন্স মনিরকে ফোন দিয়েছিল রাত্রে বেশ কয়েকবার। প্রিন্সও আর্মি স্টেডিয়ামে গিয়েছিল। কিন্তু মনির ফোন ধরেনি। পরে প্রিন্স মেসেজ দিলো। তারও কোনো উত্তর দেয়নি মনির। মনিরের লুকোচুরিটা ভালোই লাগে!



৩.

কিছু-কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটা ভালো। সেসবের মধ্যে দিয়ে সত্যিকারের মানুষ চেনা যায়। মনিরকেও আমার চেনা হয়ে গেছে। খারাপ লাগছে এটা ভেবে যে, মোহনার যে কথাগুলোই আমি শুনিনি, প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। মনির আমার সাথে বন্ধুত্বই গড়ে তোলে ওর স্বার্থকে কেন্দ্র করে। আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে নাটক বানালো। অথচ শুটিং-এর দিনগুলোর আচরণ আমি কোনোদিন ভুলব না। তখনি আমার বোঝা উচিৎ ছিল এই ছেলে কেমন প্রকৃতির! নাটকে আমি বিশাল লস খেলাম। তারপর আমাকে কথা দিয়েও নিজে গিয়ে মাহবুব ভাইদের সাথে ব্যবসা শুরু করল। ওর কাছে টাকা ছিল না। আমি ৩ লক্ষ টাকা লস দিয়ে শেয়ার সেল দিয়ে ওকে দেড় লক্ষ টাকা ধার দিলাম। এভাবে বিভিন্ন সময়ে আমি মনিরকে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছি। বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি প্রতিটি ক্ষেত্রে। কিন্তু ছেলেটি শুধু ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার সাথে এরকম আচরণ করল! অবাক লাগে ভাবতে! এখন অনুভব করি এই ছেলেটির সাথে কত্ত সময় অপব্যয় করলাম! অথচ আমি যদি কামালদের সঙ্গ না ছেড়ে মোহনার কথামত ওদের সাথে পড়াশুনা করতাম, তাহলে এতদিন আমি বিসিএস ক্যাডার হয়ে যেতাম। সেই যোগ্যতা আমার ছিল বলেই মনে করি।



অবশ্য মনিরের ব্যাপারে প্রিন্স আমাকে অনেক আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল। স্পষ্ট বলে দিয়েছিল ছেলেটা সুবিধার না; ওর মত ছেলের সাথে তোর এত ঘনিষ্ঠ হওয়া ঠিক হয়নি। এমনকি ইমরানের বিয়েতেও ঝিলু-নিটোল বলল, মনিরের মত ছেলের সাথে আমার এত বন্ধুত্ব হয় কি করে! মনির তো যে-কোনো মেয়ে দেখলে গলে পড়ে যায়! ওরকম ব্যক্তিত্বসম্পন্ন কোনো ছেলেও না সে! ওরা খুব অবাক হয়েছে মনিরের মত ছেলের সাথে আমার এত ভালো বন্ধুত্ব দেখে!



যাই হোক, আমি মনিরের সাথে এখন এমনিতেই দূরত্ব রেখে চলব। আগের মত মাখামাখি সম্পর্ক রাখার ইচ্ছে আর পোষণ করি না। আমার মত ছেলে মনিরের বন্ধু না হলে ওর কিছুই যায় আসবে না তাতে!



আর যে তামান্নাকে পাবার জন্য মনির আমার সাথে প্রতারণটা করল, সেটাও সুখকর হবে না। আমি জানি না আমার কেন যেন মনে হয় তামান্না যদি সমবয়সী কাউকে বিয়ে করে, তাহলে হ্যাপি হবে না। আর সেটা যদি মনির হয়, তাহলে তো কথাই নেই। অবশ্য একদিক থেকে ওদের চরম মিল। ওরা দুজনেই খুব ভালো অভিনয় করতে পারে। দুজনেই বেশ কৌশলী। দুজনেই প্রেজেন্টেশন করতে পারে সেরামভাবে। আর মনির যে তামান্নার কাছে অনেক কিছু লুকায়, সেটা তো তামান্না জানেই না। উদহারন দেই। যেমন- বৃষ্টির বিষয়টি বিস্তারিত তামান্না কিছুই জানে না। বৃষ্টিও তামান্নার সাথে মনিরের ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি ভালো করে জানে না। আবার মনির যে নিয়মিত ফারিয়ার সাথে ফোনে কথা বলে, এমনিক ফারিয়াকে ইনিয়েবিনিয়ে ঘুরতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল, মাঝে-মধ্যেই আমরা একত্রে দেখা সাক্ষাৎ করি, এসব তামান্না কিছুই জানে না। তামান্না শুধু জানে মনিরের সাথে ফারিয়ার মাঝেমাঝে ফোনে কথা হয়। তামান্না ফারিয়াকে ফোন দিয়ে এটাও বলল যে, তোর আর মনিরের মধ্যে তো মাঝেমধ্যে কথা হয়; দেখা তো আর হয়না। ফারিয়া ঘাপলাটা বুঝতে পেরে বলল, হ্যা, মাঝেমধ্যে কথা হয়। ফারিয়া আর দেখা হবার বিষয়টি বলেনি। কারণ ফারিয়া চায়নি তামান্নার কাছে মনির ছোট হোক।



যাই হোক, এসব খুটিনাটি চিন্তা করে লাভ নেই। যে যেভাবে পারুক, খুশি হোক। জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।B-)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.