![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বার্থপর মানুষ
১২ ডিসেম্বর ২০১৩ বৃহস্পতিবার রাত্র ১১টা ময়ূর ভিলা মোহাম্মদপুর ঢাকা-১২০৭
সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে 'মিরপুরের কসাই' নামে কুখ্যাত জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে আজ রাত্র ১০টা ১ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ানুযায়ী ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু কার্যকর করা হয়। জামায়াত-শিবির এবং স্বাধীনতার বিরোধীতাকারী ব্যক্তিগণ ব্যতীত প্রতিটি মানুষ আনন্দিত এজন্য যে, অবশেষে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হল; কসাই কাদেরের ফাঁসির মধ্য দিয়ে ৪২ বছর পর বাংলাদেশের দায়মুক্তির সূচনা ঘটল; কলঙ্কমুক্ত হওয়া শুরু করল।
ব্যক্তিগতভাবে যেকোনো মানুষের মৃত্যুতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করার বিরোধী আমি। কাদের মোল্লার ক্ষেত্রেও আমি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছি না। তবে আমি স্বস্তি পাচ্ছি এজন্য যে, আমাদের দেশে বিচারহীনতার যে অপসংস্কৃতি রয়েছে, তা থেকে মুক্ত হতে শুরু করেছি। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদেরও আইনের আওতায় এনে রায় কার্যকর করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা হয়েছে। একইভাবে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত এদেশীয় দোসরদের আইনের আওতায় এনে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে রায় কার্যকর করা শুরু হয়েছে।
জামায়াত-শিবির উন্মত্ত হয়ে উঠেছে। দেশ পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে। দুর্ভাগ্যজনক হল সরকার অনেক চেষ্টা করেও সহিংসতা দমন করতে পারছে না। সাধারণ মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন। সরকারের উচিত জনগণকে সম্পৃক্ত করার প্রয়াস নেয়া। একমাত্র তখনি সংঘবদ্ধভাবে জামায়াত-শিবিরের নৃশংসতা প্রতিরোধ করা যাবে। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হল বিএনপির নিশ্চুপ থাকা। কাদের মোল্লার ফাঁসিতে বিএনপি প্রতিক্রিয়াহীন। ভীষণভাবে অপ্রত্যাশিত তাদের এ ভূমিকা।
তবে জনগণকে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি আমি মনে করি সরকারের বিএনপির সাথে সমঝোতায় যাওয়া উচিত। বিএনপিকে রাজী করানো উচিত যে, তারা ক্ষমতায় গেলেও তাদের কাছে জামায়াত-শিবির কোনো প্রশ্রয় পাবে না; জামায়াতকে সহযোগী হিশেবে ত্যাগ করবে।
এদিকে দেশ ক্রমশ একটি প্রহসন ও তামাশার নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমার ধারণা গণতান্ত্রিক আওয়ামী সরকার সবচেয়ে বাজে নির্বাচনের নজির সৃষ্টি করবে।
লেখাটি শেষ করব আওয়ামী লীগ বিশেষ করে শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিবাদন জানিয়ে। শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কারণেই মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারকার্য শুরু হল; রায় হল; কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হল। জাতিসংঘ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি পর্যন্ত ফোন দিয়েছিল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করার জন্য। কিন্তু শেখ হাসিনা কর্ণপাত করেননি। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন অপরাধের বিচার হতেই হবে। এর বিকল্প নেই। জনগণ আওয়ামী সরকারকে ম্যান্ডেট দিয়েছে বিচার করার। শাবাশ শেখ হাসিনা! রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য।
©somewhere in net ltd.