নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চক্ষে আমার তৃষ্ণা

না বলা কথা... [বি:দ্র: এই ব্লগটি কাউকে না পড়ার জন্য অনুরোধ করিছ। এটি একান্তই ব্যক্তিগত ব্লগ। ধন্যবাদ। ]

পপকর্ণ

স্বার্থপর মানুষ

পপকর্ণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুচিত্রা সেনের মহাপ্রয়াণ, ঘুম দিবস ও অন্যান্য

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০২

১৭ জানুয়ারি ২০১৪ শুক্রবার রাত্র ১১:৫৯ ময়ূর ভিলা মোহাম্মদপুর ঢাকা-১২০৭



প্রিয় মৃন্ময়ী,



ঘুমের জন্য আমার বন্ধুমহলে ইতোমধ্যে বেশ বিখ্যাত/কুখ্যাত হয়ে উঠেছি। দিনের একটি বিশাল সময় ঘুমিয়ে কাটাই। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমি 'ঘুম দিবস' উদযাপন করেছি। সমস্ত দিন ঘুমিয়েছি। গতকাল রাত্রে ৩টার দিকে ঘুমিয়েছি। আজ সকালে ঘুম ভাঙলেও বিছানা ছাড়িনি। পত্রিকা পড়তে-পড়তে ঘুমিয়ে পড়েছি। দুপুরে একবার উঠে ভাত খেয়ে আবার ঘুমিয়েছি। সন্ধ্যায় বিছানা ছেড়ে গোসল করে আল্লাহ করিম মার্কেটের সামনে ফারিয়ার সাথে দেখা করে একত্রে নিউমার্কেট গেলাম। অর্ণবের জন্য দুজোড়া চশমা বানাতে দিলাম। তারপর নীলক্ষেতের বিপুল ভাইর দোকান থেকে ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ফল ২০১৪-এর অফার লেটারটি স্ক্যান করালাম। পরে ফারিয়াকে সীমান্ত স্কয়ারে (রাইফেল্স স্কয়ার) নামিয়ে ধানমন্ডির একটি রেস্টুরেন্টে (নামটি ভুলে গেছি; ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ অফিসের পাশে) চিকেন-ফেঞ্চ ফ্রাই-ড্রিঙ্কস খেয়ে আবার দেখা করলাম ফারিয়া-শাওন-মনিরের সাথে রবীন্দ্র সরোবরে। সেখানে আড্ডা দিয়ে যে-যার বাসায় চলে গেলাম।



২. চিরবিদায় মহানায়িকা সুচিত্রা সেন



আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে আটটার দিকে সুচিত্রা সেনের চির বিদায় ঘটে। সংসারের অন্তরাল থেকে অনন্ত অন্তরালে চলে গেলেন ভীষণ জনপ্রিয় এই নায়িকা। উত্তমকে বলা হয় বাংলার মহানায়ক, সুচিত্রাকে মহানায়িকা। বাংলা চলচ্চিত্রাঙ্গনে সবচেয়ে জনপ্রিয় রোমান্টিক জুটি উত্তম-সুচিত্রা। বস্তুত ১৯৭৮ সালের পর থেকেই সুচিত্রা লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। তৎপরবর্তীতে মাত্র দুবার তিনি বেরিয়েছিলেন জনসম্মুক্ষে। একবার উত্তমের মৃত্যুতে, আরেকবার ১৯৮৯ সালে। সুচিত্রা সেন ২০০৫ সালে ভারতের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার 'দাদাসাহেব ফালকে' প্রত্যাখ্যান করেন কেবল দিল্লীতে গিয়ে পুরস্কার গ্রহণ করতে হবে বিধায়। শুধু পরিবারের মানুষ ছাড়া বাইরের যারাই তাঁর ফ্ল্যাটে যেতেন, তারাও দেখা পাননি সুচিত্রা সেনের। ৮২ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেও রমা চৌধুরী জনমানসে চিরযৌবনা সুচিত্রা সেন হিশেবেই বেচেঁ থাকবেন। তবে আমি নিশ্চিত কোনো একদিন সুচিত্রার বৃদ্ধ বয়সের ছবি প্রকাশ পাবে।



সুচিত্রা সেনের পরিণত মৃত্যুতে বিভিন্ন মানুষ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তাঁর মধ্যে ফারুক ওয়াসিফের প্রতিক্রিয়া সবচেয়ে ভালো লেগেছে। নিম্নে তুলে রাখলাম-



"পাবলিক লাইফের বাংলা যে 'লোকচক্ষু' সেটা সুচিত্রা সেন থেকে শিখলাম।



লোকচক্ষে যিনি সুচিত্রা, মনশ্চক্ষে তিনি কি রমা? রমা কেবল ডাকনাম না, রমা তার আরেকটা ‌'আমি'। সুচিত্রাকে বাঁচাতে রমা লোকজীবন ত্যাগ করেছিল অনেক আগেই। ভীড়ঘর্ষণে দিনে দিনে ধার হারানো দেখার চাইতে নিজেকে সুচিত্রার ছবি করে ফেলার পেছনে কী চিন্তা ছিল রমা সেনের? নিজের মোহনীয় ইমেজ অক্ষয় করা বা না থেকেও থাকা, অনুপস্থিতের হাজিরানা?



নাকি, রমা সুচিত্রার ইমেজের কাছে পরাজিত হয়ে আত্মগোপন করেছিলেন? রমা বুড়ি হয়, সুচিত্রার বয়স তাই আর বাড়ে না। যে মুখ ভক্তরা দেখতে চান না, নিজের সেই সত্যিকার মুখকে ঘৃণা করা শুরু করেছিলেন?



সুচিত্রার মৃত্যুতে আমার কেন যেন রমার জন্যই শোক হচ্ছে।



যাই বলি, রমার এই 'অ্যাকশন' সুচিত্রাকে মরণোত্তর ভিজিবিলিটি দিয়েছে। আর কে না জানে, ভিজিবিলিটিই আজকাল জীবনের সতীন। রমা আমৃত্যু সুচিত্রাকে ঈর্ষাই করতেন মনে হয়। যেমন ঈর্ষা করে এ যুগের বারবি প্রগতির নায়িকারা।



লোকচক্ষে সুচিত্রাই জীবিত ছিলেন এবং আছেন। যিনি মারা গেছেন তিনি রমা সেন। তাকে আমরা কখনো দেখিনি, কখনো চিনিওনি।



পুনশ্চ:

সুচিত্রার আবেদন হৃদয়ে। সেই আবেদন জাগে চোখের চাহনিতে, গ্রীবার গর্বিত বাঁকে, ঠোঁটের অহংকারি ঠাটে। সুচিত্রাকে দেখে ধরতে ইচ্ছা করে না, ছানতে ইচ্ছা করে না, ভালবাসার বন্দনায় ভরিয়ে দিতে ইচ্ছা করে। আজকের বারবিদের ধরতে-ছানতে ইচ্ছা করে। সুচিত্রা বলে আমাকে দেখ, অনুভব করো, গভীর হও। সুচিত্রার যৌনাবেদন তার চোখে, বলিউডি নায়িকাদের আবেদন দেহে। তাই কারিনারা বলে, আমাকে ধরো উপভোগ করো; তা পারবে না বলে ছটফট করো। দুই মডার্নিটি কত আলাদা। সুচিত্রা যৌনাবেদনময়ী, ক্যাটরিনা ইরটিক। সুচিত্রা এ যুগের প্রাচ্যের যৌনতার শিল্পিত অবদমিত ভাব (art of love), ক্যাটরিনা-অ্যাঞ্জেলিনারা ফুকো কথিত scientia sexualis বা art of pleasure এর প্রতীক। প্রেমের ইমাজিনেশন ইরটিসিজমের কাছে হেরে গেলেও সুচিত্রা হারেননি। তিনি এখনো অনেক পুরুষ এবং অনেক নারীর কল্পদেবী।"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.