![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বার্থপর মানুষ
২৩ মার্চ ২০১৪ রবিবার সন্ধ্যা ৬টা এয়ারটেল অফিস পিঙ্কসিটি গুলশান- ২ ঢাকা
প্রিয় মৃন্ময়ী,
গতকাল শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরির দোতলার সেমিনার কক্ষে নাটক/ফিল্মের পাণ্ডলিপি লিখনের উপর কর্মশালার আয়োজন করা হয়। আয়োজক ও প্রশিক্ষক ছিলেন চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক শাহজাহান শামীম। নিয়মিত ব্লগার হবার সুবাদে দীর্ঘদিন যাবৎ তাকে চিনি; তবে স্বচক্ষে দেখার সুযোগ হল গতকাল।
আমার কলিগ পুষ্পাল পাল বাপ্পি'দার ইচ্ছায় দুজনে এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেই। বিকাশের মাধ্যমে ২০৪০ টাকা পাঠিয়ে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে আমরা নিবন্ধন করি। কিন্তু গতকাল সকালে হঠাৎ অসুস্থতাজনিত কারণে পুষ্পাল দা অংশগ্রহণ করতে অপরাগতা জানান। নিতান্তই অনিচ্ছায় আমি একাই অংশগ্রহণ করি।
মোট অংশগ্রহণকারী ছিল ৩৪ জন। সকাল ১০টা থেকে রাত্র ৮টা পর্যন্ত একটানা চলে কর্মশালা। পুরোটাই সঞ্চালনা করেন শাহজাহান শামীম। ব্যবস্থাপনা মোটামুটি ভালো ছিল। দুপুরবেলা এফডিসির খাবার খেলাম। এফডিসির খাবারের কথা অনেক শুনেছি; তবে খাবার সুযোগ হল গতকাল প্রথম। এছাড়াও সকাল-বিকাল হালকা নাস্তার ব্যবস্থা ছিল। চায়ের পর্যাপ্ত সরবরাহ ছিল। তবে শেষের দিকে একঘেয়ে লাগছিল। শাহজাহান শামীমের উপস্থাপনা আকর্ষণীয় নয়, ম্যাড়ম্যাড়ে। তবে ওনার প্রচেষ্টা নি:সন্দেহে প্রশংসনীয়।
বিস্তারিত জানলাম পাণ্ডুলিপির লিখনের কৌশল সম্পর্কে। সত্যি কথা বলতে, ভালো পাণ্ডলিপি লিখতে হলে নিয়মিত লেখার বিকল্প নেই; পাণ্ডুলিপির উপর ফিল্ম নির্মাণ করে অভিজ্ঞতা সঞ্চার করতে হয়; বিভিন্ন বিষয়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়; সিনেমাতে উপস্থাপনযোগ্য চমৎকার গল্পের প্লট নির্বাচন করে অভিজ্ঞতার যথাযথ ব্যবহার ও পরিমিত উপাদেয় উপস্থাপনার উপরই পাণ্ডুলিপি লিখনের মুনশিয়ানা নির্ভর করে।
কর্মশালায় আমার অংশগ্রহণ করার মূল উদ্দেশ্য ছিল শাহজাহান শামীম কর্তৃক প্রদেয় প্রায় ৫ হাজার ইবুক এবং বেশ কিছু ভিডিও টিউটোরিয়াল সংগ্রহ। সেগুলো আমার ল্যাপটপে সংগ্রহ করলাম। তবে প্রায় সাড়ে তিনশ পেজের পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনটাও চমৎকার। সেসব ভালোভাবে রপ্ত করতে পারলেও অনেক কাজে লাগবে।
২.
একটি বিষয় লক্ষ্য করলাম। যখন ভ্রমণরত অবস্থায় থাকি, যেমন- রিকশা, বাস কিংবা হন্টন, এবং যখন বাথরুমে থাকি, মাথার মধ্যে তখন বিভিন্ন বিষয় ঘুরপাক খায়, নানা গল্পের প্লট সাজাই, চিন্তা করি অনেক কিছু; কিন্তু যখনি বাসায় পড়ার টেবিলে ল্যাপটপ নিয়ে লিখতে বসি, তখন আর কিছুই মাথায় আসে না। চিন্তা করার শক্তিটাও যেন হারিয়ে ফেলি! লেখালেখিতে এক ধরনের আলস্য কাজ করে; অনাগ্রহ পরিলক্ষিত হয়। অদ্ভুত! এই রোগ কবে যে সারবে!
৩.
ঋতুরাজ বসন্তের চমৎকার একটি দিক হলো গাছে-গাছে নতুন পাতার আগমণ। পুরনো পাতাগুলো ঝরে যায়। মনে হয় প্রকৃতি পুরনোকে বিদায় জানিয়ে নতুন সাজ আবাহন করেছে। এই নতুন সাজ মনকেও রাঙিয়ে দেয়।
গতকাল ছিল বিশ্ব পানি দিবস। প্রকৃতিও যেন বৃষ্টি ঝড়িয়ে জানান দিলো পানি দিবসের অস্তিত্ব। নতুবা গতকাল রাত্রে হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হলো কেন? বৃষ্টির মাঝেই রিকশাতে নীলক্ষেত থেকে বাসায় ফিরলাম। বৃষ্টিস্নাত রিকশাভ্রমণ অন্য রকম আনন্দের।
©somewhere in net ltd.