![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বার্থপর মানুষ
২৪ মার্চ ২০১৪ সোমবার সকাল ১১:৪৮ এয়ারটেল অফিস পিঙ্কসিটি গুলশান- ২ ঢাকা
প্রিয় মৃন্ময়ী,
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত বিসিএস পরীক্ষা সম্ভবত ৩৪তম বিসিএস। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় রেকর্ডসংখ্যক ৯৬ হাজার পরীক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। অবশ্য প্রথমে মাত্র ১২ হাজারের মত উত্তীর্ণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পুনরায় প্রকাশিত ফলাফলে এত বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্য ঘোষণা করা হয়।
বিসিএস পরীক্ষার স্বাভাবিক প্রবণতা হল প্রিলিমিনারি পরীক্ষা থেকে হাজার দশেক পরীক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ করা হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল ঘোষিত হবার দু-এক মাসের মধ্যেই লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষা ব্যতিক্রম। নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় ঘটিয়ে বিএনপির ক্ষমতায় আসার প্রবল সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে অনেকের মধ্যে ধারণা ছিল যে, ৩৪ তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন বাতিল হবে। যাই হোক, নানা অনিশ্চয়তা পিছনে ফেলে প্রায় ৮ মাস পর লিখিত পরীক্ষা শুরু হলো আজ। চলবে এক সপ্তাহ। সকাল-বিকাল দুটি করে পরীক্ষা দিতে হবে। প্রতিদিন ৮ ঘন্টা করে লেখা চাট্টিখানি কথা নয়! রীতিমত শাস্তি!
আমিও প্রথম উত্তীর্ণ ১২ হাজারের সৌভাগ্যবান একজন। এখন আমার পরীক্ষার হলে লিখতে ব্যস্ত থাকার কথা। আমি লিখছি বটে, তবে তা ব্লগে, অফিসে অবস্থান করে। পরীক্ষা দিলে আমি কি টিকতাম? জানি না; তবে যেহেতু কোনো প্রস্তুতি নেই, সেহেতু সম্ভাব্য এবং সবচেয়ে যৌক্তিক উত্তর হলো 'না'। এত বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর মধ্যে টিকে থাকা আসলেই খুব কঠিন কাজ যদি না পর্যাপ্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। আবার এও সত্য যে, অনেকেই এই বিসিএসের ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত রয়েছে। আক্ষরিকর্থেই বিরতিহীন একটানা সকাল-বিকাল পরীক্ষা শাস্তি ব্যতীত অন্য কিছু নয়।
©somewhere in net ltd.