নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চক্ষে আমার তৃষ্ণা

না বলা কথা... [বি:দ্র: এই ব্লগটি কাউকে না পড়ার জন্য অনুরোধ করিছ। এটি একান্তই ব্যক্তিগত ব্লগ। ধন্যবাদ। ]

পপকর্ণ

স্বার্থপর মানুষ

পপকর্ণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারত-পাকিস্তান সমর্থন ও বিরোধিতা

৩১ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

৩১ মার্চ ২০১৪ সোমবার দুপুর ১:১৬ এয়ারটেল অফিস পিঙ্কসিটি গুলশান- ২ ঢাকা



প্রিয় মৃন্ময়ী,



টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আয়োজক বাংলাদেশ। ঢাকা শহরটিকে বেশ চমৎকার করে সাজিয়েছে সরকার। বোধকরি চট্টগ্রাম ও সিলেটকেও সুন্দরভাবে সজ্জিত করা হয়েছে। সরকার টাকাও ঢালছে দেদারচে। এই আয়োজনের সাথে বিশ্বসভায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তির প্রশ্ন জড়িত।



বাঙালি সর্বদা বিতর্কপ্রিয় বিভক্ত জাতি। কোনো একটি বিষয় নিয়ে সব সময় বিতর্ক করতে ভালোবাসে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া সর্বদা নানা বিষয় নিয়ে সরগরম থাকে। সেখানে তিন ধরনের মানুষ লক্ষ্য করা যায়। একদল থাকে বিতর্কের পক্ষে, অপরদল বিপক্ষে, আরেকদল মধ্যপন্থী। সর্বশেষ কতগুলো বিতর্কের বিষয়বস্তু হলো- এ আর রহমানের কনসার্ট, কনসার্টে প্রখ্যাত গায়ক আইয়ূব বাচ্চুর দর্শকদের উদ্দেশে হাততালিসংক্রান্ত মন্তব্য, ভারত-পাকিস্তানের পক্ষ-বিপক্ষ ইত্যাদি। বর্তমান বিতর্কের বিষয় হচ্ছে মুসা ইব্রাহীম আসলেই এভারেস্টের শীর্ষে উঠেছিলেন কিনা? একদল মানুষ (অণু তারেক-মুহিত-বাবু গ্রুপ) দাবি করছে মুসা ইব্রাহীম এভারেস্টের চূড়ায় আরোহন না করেই 'প্রথম বাংলাদেশী এভারেস্ট জয়ী' হিশেবে নিজেকে দাবি করেছেন। তবে মুসা ইব্রাহীম বরাবরই তা অস্বীকার করছেন। তিনি এটাকে ষড়যন্ত্র হিশেবে দেখছেন।



যাই হোক, আমার আজকের আলোচ্য বিষয় অন্ধ ভারত-পাকিস্তান সমর্থন ও বিরোধিতা। এটা সব সময়ের জন্যই মুখরোচক আলোচ্য বিষয়। বিশ্বকাপ ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে তা আরো হাওয়া পেয়েছে। ভারত-পাকিস্তান প্রীতি এতটাই প্রকট হয়েছে যে, বিসিবি বাধ্য হয়ে বাংলাদেশী নাগরিকদের বাংলাদেশ ব্যতীত অন্য কোনো দেশের পতাকা নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। ভারত-পাকিস্তানের সমর্থনের ব্যাপারে আমার অবস্থান খুব পরিস্কার। আমার ভাবনাটা নিচে লিপিবদ্ধ করছি।



আমাদের ভারত-বিরোধিতার দীর্ঘ একটা ইতিহাস আছে। মূলত বঙ্গভঙ্গ থেকেই ভারতবিরোধী (যদিও তখন ভারতীয় উপমহাদেশ, তারপরও হিন্দুবিরোধী) মনোভাব বিরাজ করে। তারপর ১৯৪৭ সালেও ভারতবিরোধীতার তীব্র বহি:প্রকাশ দেখা যায়। ভারতীয় উপমহাদেশ ভেঙে জন্ম হয় ভারত-পাকিস্তানের। তারপর পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের অর্ন্তভূক্ত থাকা অবস্থায়ই পাক-ভারত যুদ্ধ হয়, যাতে বিজয়ী হয় ভারত। তখনো ভারতবিরোধীতা প্রবল ছিল বাঙালির মধ্যে। ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও সমর্থন নিয়ে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়। ভারত প্রায় ১ কোটি শরণার্থীর অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করে। আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের পক্ষে কূটনৈতিক সমর্থন আদায়ে ভারত প্রধান ভূমিকা পালন করে। বাংলার দামাল সন্তানদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ প্রদান করে পাকিস্তানি হায়েনাদের বিরুদ্ধে গেরিলা পদ্ধতিতে প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ভারতের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মৃত্যুবরণ করে। দেশ স্বাধীন হবার পর ২৫ কোটি টাকার ঋণ দেয় যা তৎকালীন সময়ে খুবই প্রয়োজনীয় ছিল বাংলাদেশ সরকারের জন্য। অর্থাৎ এই একটা মাত্র সময়ে ভারতের মানুষের সাথে বাংলাদেশের মানুষের হৃদ্যতা ঘটে।



(...অসমাপ্ত)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.