![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বার্থপর মানুষ
৬ এপ্রিল ২০১৪ রবিবার রাত্র ১১:৫৮ ময়ূর ভিলা মোহাম্মদপুর ঢাকা-১২০৭
প্রিয় মৃন্ময়ী,
প্রথমেই যা বলা প্রয়োজন, তা হলো কোনো ত্রুটি ছাড়াই সফলতার সাথে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ সম্পন্ন হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার খুবই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। প্রমাণিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের ইভেন্ট সফলভাবে আয়োজন করতে পারে বাংলাদেশ।
তারপরই যে বিষয়টি লেখা প্রয়োজন, তা হলো বাংলাদেশের দর্শকদের ক্রিকেটের প্রতি নিরবচ্ছিন্ন শর্তহীন ভালোবাসা। স্বাগতিক দেশ হিশেবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে তেমন কোনো অর্জন নেই। বরং সার্বিক পারফরম্যান্স বেশ হতাশাজনক। তারপরও বাংলাদেশের দর্শক সেটাকে পাত্তা দেয়নি। শর্তহীনভাবে জাতীয় দলকে সমর্থন করে গেছে। হারলেও, জিতলেও। তাছাড়া অন্যান্য দেশগুলোর খেলার সময় স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক ছিল। অকুন্ঠ চিত্তে পছন্দের দলকে সমর্থন করেছে। পুরো আয়োজনটা উৎসবমুখর করে তুলেছে। বাংলাদেশের মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দর্শক- নি:সন্দেহে বলা যায়।
আজ ভারত-শ্রীলংকার চূড়ান্ত খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারত সম্ভত পরাপর তিনবার বিশ্বকাপ নিয়েছে। তবে আজ জয়ী হলো শ্রীলঙ্কা। আমার ধারণা ভারতের নিদারুণ পরাজয়ে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ খুশি। আমার নিজেরও প্রত্যাশা ছিলো শ্রীলঙ্কা জয়ী হোক। অবশ্য আমার সমর্থনের প্রধান কারণ ছিল সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনের শেষ টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচ। সাঙ্গাকারা হাফ সেঞ্চুরি করেছে, জয়াবর্ধনেও ক্রিজেই ছিল। দুজনে যৌথভাবে রান চেজ করে জিতেছে। বিশ্বকাপ সাঙ্গাকারার প্রাপ্য ছিল। শচীনের মতই সাঙ্গাকারার রাজকীয় বিদায় ঘটল টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের মঞ্চ থেকে।
সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপ জিতেছিল ১৯৯৬ সালে, স্বাগতিক দেশ হিশেবে। দীর্ঘ ১৮ বছর পর আবার বিশ্বকাপ জেতার আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হলো।
লেখাটি শেষ করব। আমরা সপরিবারে বাসায় বিশ্বকাপ ক্রিকেট দেখেছি। এটাকে বেশ দুর্লভ সময় বলা যায়। পরিবারের পাঁচজন মানুষ একত্রিত হবার সৌভাগ্য আমাদের জন্য বিরল। মিম তো আগেই ঢাকা এসেছে। পরশুদিন আব্বু-আম্মু-ভাইয়া ঢাকা আসার সুবাদে সেই বিরল সৌভাগ্য অর্জিত হলো আমাদের সবার জীবনে।
©somewhere in net ltd.