নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চক্ষে আমার তৃষ্ণা

না বলা কথা... [বি:দ্র: এই ব্লগটি কাউকে না পড়ার জন্য অনুরোধ করিছ। এটি একান্তই ব্যক্তিগত ব্লগ। ধন্যবাদ। ]

পপকর্ণ

স্বার্থপর মানুষ

পপকর্ণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডার জব লাইফ

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩

৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বৃহস্পতিবার রাত্র ১২:৩৩ ৩৫ প্লামরোজ, টরন্টো



সবচেয়ে বিরক্তিকর ব্যাপার হলো যখন ল্যাপটপের সামনে বসি, অথচ লেখার বিষয়টা মাথায় কাজ করে না! কী লিখব, বুঝে উঠতে পারি না! আচ্ছা, এটাকেই কি রাইটার্স ব্লোক বলে? হুমায়ূন আহমেদের লেখায় পড়েছিলাম যে, তিনি মাঝেমধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হন। অদ্ভুত বিষয় হলো যখন বাসে কিংবা ট্রেনে থাকি, এমনকি বাথরুমে থাকি, মাথার মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে লেখার চিন্তা কাজ করতে থাকে। তখন মনে হয় ল্যাপটপের সামনে বসেই লিখে ফেলব! কিন্তু ল্যাপ্পির সামনে বসলেই মাথা শূন্য হয়ে যায়! মহা বিরক্তিকর! তখন সংক্ষেপে লিখেই উঠে যেতে হয়। যেমনটা এখন হচ্ছে!



কানাডায় আসার এক সপ্তাহর মধ্যেই আমি কাকির সাথে ড্যানফোর্থ-ভিক্টোরিয়ার সাবওয়েতে যাই কাজের ট্রেনিং নিতে। বেশ কিছুদিন এভাবে কাজ করতে হয়। অবশ্যই বিনা বেতনে। বেশ কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতাও হয়। যেমন- ইরানি মেহেরদাদের কক্সওয়েলের স্টোরে সন্ধ্যা ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কাজ করি। অর্জুন পাঞ্চাল নামের এক ভারতীয় ছেলের সাথে পুরো রাত্র কাজ করতে হয়। কানাডা আসার পর ওই দিন সকালে এসে বাসায় কেঁদেছিলাম। কানাডা আসার পর ওটাই আমার প্রথম কান্না । প্রতিশোধপরায়ণতায় আমি বিশ্বাস করি না। না হলে অর্জুনকে দুটি থাপ্পড় দিতে পারলে ক্ষাণিকটা স্বস্তি পেতাম মনে হয়!



তারপর জে ও মাধুর স্টোরেও কাজ করলাম কয়েকদিন। অবশেষে তন্দ্রা আপু আমাকে সনি নামে আরেক ভারতীয়র কাছে পাঠালো। সেপ্টেম্বরে ক্লাশ শুরু হবে শুনে আমাকে সে নেয়নি। পরে তন্দ্রা আপু আমাকে সাথে করে জনের কাছে নিয়ে গেলেন। জন একজন মধ্যবয়স্ক ইরানি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক যিনি ডাউনটাউনে তিনটি সাবওয়ের গর্বিত মালিক। জন আমাকে দেখে পছন্দ করলেন। ১৬ জুন জয়েন করতে বললেন। প্রথম আমাকে তিনঘন্টা করে শিফট দেয়া হলো। ৫ জুলাই থেকে ৭ ঘন্টার শিফট দেয়া হলো। ৫ জুলাই থেকে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত টানা ৩৭ দিন কোনো বন্ধ ছাড়াই প্রতিদিন ৭ ঘন্টা কাজ করেছি, এমনকি ঈদের দিনেও। (প্রসঙ্গত, এবছর ২৮ জুলাই ঈদ উদযাপন হয় কানাডাতে)।



১১ অগাস্ট ছুটি নিয়েছিলাম ইয়র্ক ইউনিতে অরিয়েন্টেশন থাকার কারণে। তারপরও বেশ কয়েকদিন ছুটি নেয়া হয়। মালিককে জানালাম যে, আমার ক্লাশ শুরু হয়ে যাচ্ছে। আমি এভাবে ৭দিন কাজ করতে পারব না। তিনদিন কাজ করতে চাই; অথবা দুইদিন ১২ ঘন্টা করে শিফ্ট দিলেও হবে। তিনি রাজী হলেন। কিন্তু হঠাৎ করে জানতে পারি আমাকে মাত্র দুইদিন দেয়া হবে; তাও ৭ ঘন্টা প্রতিদিন। আমি জনকে বিশেষ কিছু বলিনি। অবশেষে জনকে জানালাম যে, আমি আর কন্টিনিউ করতে চাইনা। অন্যতম কারণ হলো সোহেইলা নামে ইরানানি মহিলা যার অন্যতম প্রিয় কাজ হচ্ছে আমাকে সর্বোচ্চভাবে হার্ডটাইম দেয়া। খুব চমৎকারভাবে অত্যন্ত সফলতার সাথে কাজটি করেছে সে। এক পর্যায়ে তার কথা শুনতাম না আমি আর। মাঝেমধ্যেই ওর সাথে আমার লাগতো। ঝগড়াও হয়েছে বেশ কয়েকবার যা একেবারেই আমার স্বভাবের বিপরীত; কিন্তু ওর আচরণ আমার ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে দিয়েছিল। অবশেষে জনকে সোহেইলার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বেশ কয়েকটি মেসেজ দেই। সেগুলো আমি হুবুহু তুলে রাখছি এখানে-













এদিকে তন্দ্রা আপু আমাকে জনের আপন ছোটো ভাই মাসুদের কাছে নিয়ে যায়। সেখান গত এক সপ্তাহে সর্বমোট ৪৭ ঘন্টা কাজ করেছি। তার মধ্যে গত তিনদিন সাড়ে ১০ ঘন্টা করে কাজ করেছি। আজকে ওখানেও জব ছেড়ে দিয়ে আসছি। সুতরাং আপাতত আমি মুক্ত; সাবওয়ে থেকে মুক্ত!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.