নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যাথিত হৃদয় বীষে ভরা আজ স্বপ্ন ট্রুটির এক ফসল বুনা জমিন চাষে...
আমার মন খারাপ হলে সবচেয়ে যে কাজটি করতে বেশী ইচ্ছে করে তা হল রেল লাইনের স্লীপার দিয়ে হাঁটতে। হাঁটতে- হাঁটতে ক্লান্ত হলে পরে ষ্টেশনের চা দোকান থেকে একটি চা পান করি।চা পান করতে- করতে শত -শত যাত্রির গন্তব্যর উদ্দশ্যে গাড়ির জন্য অপক্ষো করা দেখি। বরাবরের মতো আজ আমার মন খারাপ তাই রেল লাইনের স্লীপার দিয়ে হাঁটছি ,হাঁটতে -হাঁটতে অনেকটা দূর চলে আসছি ,সামনে রেল গেইট।গাড়ি আসবে গেইট আটকে দিচ্ছে গেইট ম্যান। দু’পার্শ্বে যানগুলো অপেক্ষা করছে ট্রেন আসার। ট্রেন চলে গেলে ওরা যেতে পারবে।
এমন সময় পেছন থেকে একটি মৃদকন্ঠ 'স্যার দুইডা ট্যাকা দিবেন?' আলতো করে শরীরের বাম পার্শ্বে ছোট্ট একটি হাতের নরম স্পর্শ অনুভব হল। ফিরে তাকাতেই দেখলাম একটি ১০/১১ বছররে ছোট্ট খুকি তার বাম হাতের মুঠোয় কিছু টাকা ডান হাতে আমার কাছে চাচ্ছে। আমি মেয়েটির দিকে তাকাতেই দেখতে পেলাম অসহায়ত্বের করুণ ছাপ তার সমস্ত্য মূখজুড়ে।উজ্জ্বল চেহেরাটি মলিন , ক্ষুদায় মুখটি ছোট্ট হয়ে আসছে , কথা অস্পষ্ট।
আমি পকেট থেকে দশ টাকার একটি নোট দিয়ে বললাম ১০ টাকায় খাওয়া হবে?
মেয়েটি বলছে ,
-জি অইবো ,আপনি যা দিছেন আর আমারগুলান আম্মাকে দিলে আম্মা চাল কিন্না রান্না কইরা দিবো। আমাগোর খাওন অইয়া যাইবো।
আমি হতচকিয়ে গেলাম এই মেয়ে বলে কি !এমনিতে মেয়েটি ক্ষুদায় চলতে পারছেনা। এখন তার আরো সময় অপক্ষো করতে হবে দিনের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ সময় শেষ !মেয়েটির হাত ধরে বললাম।
- চল আমার সাথে। আমি তোমাকে খাওয়াবো।একটি ভাল হোটেলের মজার -মজার খাবার । মেয়েটি কোন মতইে রাজি হচ্ছেনা। তার দশ টাকাই চাই এর বেশী দরকার নাই । আমি অনেক জুরা জুরি করছি ।
মেয়েটি বলছে স্যার,
-মা কইছে কোন পুরুষ মানুষ একলা কোন খানে যাইতে কইলে যাওন নাই।পুরুষ মানুষগুলাইন ভালা অয়নাগো স্যার।
আমি মেয়েটির মুখে পুরুষ ভীতির কথা শুনে চমকে যাই।মেয়েটির মায়ের দেওয়া হুশিয়ারী আমাকে মনে করিয়ে দেয় টিভি , পত্র পত্রিকায় আসা নানান বয়সের শিশু নির্যাতনের খবর গুলো । সত্যিই এই সমাজের হায়েনাগুলো ওতপেতে বসে আছে সুযোগে ছিড়ে খাবে এই নি:ষ্পাপ শিশুদের দেহ। ছি: ছি: ছি :মেয়েটির কাছে নিজের পুরুষ পরিচয়টি ঘৃন্নিত লাগছে।
তারপরেও মেয়েটিকে বুঝিয়ে বললাম সামনেই একটা ভাল হোটেল আছে। চল ওখানে অনেক মানুষ আছে ,সমস্যা নাই । তুমি সবার মতো খেয়ে বের হয়ে যাবে । টাকা আমি দিব। অাজ আমি তোমাকে খাওয়াবো। তুমি আমার কথাটা রাখ । আমি খারাপ কেহ নয়।
পরে ক্ষুদার জ্বালায় অসহায় মেয়েটি রাজি হল। আমি তাকে নিয়ে সামনেই একটি ভাল হোটেলে সুজা চলে গেলাম।মেয়েটিকে নিয়ে একটি টেবিলে বসলাম। আজ আমার ইচ্ছামতো মেয়েটিকে ভাল খাবার পরিবেশন করব। যেমনটি আমি আমার প্রেমিকা হলে করতাম।ওয়েটারকে ঢাকতে একটি মেনু নিয়ে হাজির বলছে ’স্যার চয়েজ করে ওর্ডার করুন। আমি মেয়েটিকে বলছি কি কি খাবে বল?
মেয়েটি কিছুই বলছেনা, ভয়ে না হয় লজ্জায় ।
কি বসে থেকে লাভ কি? হোটেলে যখন আসছ খেতে হবে এখন বল কি খাবে?
মেয়েটিকে দেখে মনে হচ্ছে এমন আদোর করে এই প্রথম কেহ তাকে আপ্যায়ন করছে ,চেহারায় কিছুটা পুলক লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আমি বললাম না তুমি খাবে তুমি পছন্দ কর।
ভাত অইলে অইব।
শুধু ভাত খাবে ! ভাতের সাথে আর কিছু না?
ভাতের সাথে তরকারি দিতনা , অইডা অইব।
বিরানী খাবা , নাকী অন্য কিছু?
না , সাদা ভাত চলবো। লগে তরকারী যেইডা অয় ।
গরুর মাংস বুনা , মুরগীর রোস্ট খাবেতো?
মেয়েটি মুচকি হাসল আমি তার দিকে তাকিয়ে দেখছি ,তার পুলকিত মুখখানা। আমার অনেক ভাল লাগছে। এ যেন একটি পরীর হাসি।দাঁতগুলো ঝক-ঝকে সাদা ,অল্প ফর্সা মেয়েটির চেহেরাতে একটি নিশ্চিত প্রশান্তির রেখাপাত হচ্ছে ।এতক্ষনে তার ভয়টি কেটে গেছে পুরো-পুরি।আমাকে তার আপন মনে হচ্ছে।
ওয়েটার আসতইে তাকে বললাম মুরগীর রোস্ট একটি , গরুর মাংস বুনা এক প্লেট আর সাদা ভাত ।
ওয়েটার খাবারগুলো আমার সামনে এনে দিয়ে গেল ।মনে করছে এগুলো আমার জন্য ,মেয়েটি কাজের মেয়ে হয়তো শুধু দেখবে আর আর আমি খাব।আমি খাবারগুলো মেয়েটির কাছে সরিয়ে দিয়ে বললাম ,খাওয়া শুরু কর।
আপনে খাইতনে না?
না আমি খাবনা । তুমি খাও। আমি দেখছি।
না আপনে ও খান আমার লগে।
আরে আমার ক্ষুদা নেই , একটু আগেই খেয়েছি। আমি শুধু চা খাব। তুমি খাও ।
মেয়েটি খাচ্ছে মজা করে আর চুপি চুপি আমার দিকে তাকাচ্ছে।আমার অনেক ভাল লাগছে। আমার ভাগ্য কত ভাল একটি পথশিশুর এক বেলার অন্ন দিতে পারছি।প্রশান্তিতে আমার হৃদয় ভরে যাচ্ছে।এমন করে মেয়েটি আর কোনদিন খেতে পেরেছে কি না জানিনা।
মেয়েটির খাবার শেষ হলে । আমি বলছি আর কিছু নিব ।
না । আর কোন লাগবো না।
এই ওয়েটার ভাই একটা সেভেন আপ দিনতো ।
মেয়েটি স্ট্র মুখে দিয়ে টান দিতেই বলে উঠল, টেল্খাআআ।
আমার হাসি পেল ।
হাসলেন কিরে?
না এমনিতে।
খাবার খাওয়া শেষ এখন বিল দিয়ে বের হয়ে যাব। মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করি তোমার নামতো জানা হল না , কি নাম তোমার?
মেয়েটি বলল ,চম্পা ।
বাহ্ চম্পা ।
সুন্দর নামতো তোমার।
আচ্ছা তোমার বাসায় কে কে আছে ?
আমাগো তিন বইন, কোন ভাই নাই। এই লাইগ্যা আমার আব্বা আামার মা'রে ছাইড়া চইলা গেছে।
আমরা রেল লাইনের অইখানে বস্তিতে থাকি।অামার চোখের কোনে জল এসে গলে। হায়রে দুনিয়া। নিজের সন্তানকে ছেড়ে চলে যায় বাবা । এ কেমন বাবা! মেয়ে আর ছেলে কি সবইত সমান। সবাইতো সন্তান।
আচ্ছা চম্পা খাওয়াতো শেষ হল এবার উঠা যাক। তুমি এখন চলে যাও তোমার মায়ের কাছে।
কিছু টাকা দিয়ে চম্পাকে বিদায় দিলাম। আর চেয়ে থাকলাম চম্পার চলে যাওয়া পথটি ধরে , চম্পা ছোট্ট -ছোট্ট পায়ে এক পা - দু’পা করে সামনে চলে যাচ্ছে আর মাঝে মধ্যে আমার দিকে ফিরে তাকাচ্ছে। আমিও তার দিকে তাকিয়ে আছি এক দৃষ্টিতে, তার চলে যাওয়া আমার কষ্ট হচ্ছে , মনে হচ্ছে মেয়েটি যদি আমার আপন কেহ হতো তাহলে তাকে যেতে দিতামনা না। কিন্তু সেত পথের কেহ তাকে থাকতে হবে তার মায়ের কাছে । মেয়েটিকে বিদায় দিতে -দিতে মনে পড়ল আমার এক মেয়ে বন্ধু সোহাগীর কথা। প্রত্যেক বার তার সাথে দেখা করার পর রিক্সা করে তার বাসার সামনে নামিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম তার চলে যাওয়া পর্যন্ত। যতক্ষন দেখা যেত দাঁড়িয়ে তাকিয়ে থাকতাম , সে ও তাকাতো ফিরে ফিরে। এখন আর তার সাথে তেমন যোগা যোগ নেই। আর হবওে কিনা জানি না। চম্পাও চলে যাচ্ছে ,আস্তে আস্তে মিলিয়ে যাচ্ছে অনেক মানুষের ভীরে , তাকে আর দেখা যাচ্ছে না। আমি দূরে ষ্টেশনের দিকে তাকিয়ে চম্পাকে খুঁজছি লোকের ভীরে সে যেন বেলা শেষে সূর্যের মতো হারিয়ে গেল অন্ধকারে।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৩
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ধন্যবাদ আমার ব্লগে মন্তব্য রাখার জন্য।কদাচিৎ ভাল কর্মগুলো স্মৃতি বটে। সবসময় ওদের জন্য কিছু করা হয়ে ওঠেনা ভাই।
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে দিন দিন পুরুষ ভীতি বাড়ছে, তবে আপনি একটি ভাল কাজ করেছেন
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: জি অামি আপনার সাথে একমত। এর জন্য এই সমাজের এক শ্রেনীর মানুষ রূপী হায়েনারা দায়ী। আরো অভাব আমাদের সামজিক শিক্ষার । ধন্যবাদ আমার কথন টুকু পড়ার জন্য বোন।
৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০০
আরজু পনি বলেছেন:
সুপ্রিয় সুজন, আপনার লেখাটা আপনার ভালো মনের একটা প্রতিচ্ছবিই যেনো।
অনেক ভালো থাকুন।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ধন্যবাদ আপুনি । তুমি ভাল আছ? আজ কাল ব্লগে তেমন একটা দেখা যায়না। আমি সাড়াদিন ব্লগে থাকি । পরিচিতদের অনেককে মিস করি। এর মধ্যে তুমিও। বই এর কাজ কি শেষ? এবার দেশে এসেও তোমার সাথে যোগা যোগ করা হয়ে ওঠেনি। কেমন করে যেন ১০০ দিন ছুট্টি চলে গেল। সামনের ছুট্টিতে তোমার সাথে যোগা যোগ করব যদি অনুমতি থাকে। ভাল থাক সেই কামনাই তোমার ভ্ক্ত ভাইটি।
৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১১
অতৃপ্তচোখ বলেছেন: বাংলার আনাচে কানাচে বহু চম্পার বসবাস। আমরা খুঁজে দেখি না! আমাদের সমাজ দেখে না, দেখেনা রাষ্ট্রও!
অবহেলা আর অনাদরে অনেক চম্পারা তলিয়ে জীবন নামের মহাসাগরে।
ভালো লাগা রেখে গেলাম লেখকের প্রতি। চম্পাদের প্রতি মানুষ, সমাজ, রাষ্ট্রের নজর পড়ুক প্রত্যাশা।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৮
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: জী ভাই । আপনার উপলব্ধিকে শ্রদ্ধা জানাই। এই বঞ্চিতদের পাশ্বে আসুক হৃদয়বান সকল মানুষ, সমাজ , রাষ্ট্র সেই প্রত্যাশায় । মন্তব্যও পাঠের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন সবসময়।
৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অন্ততঃ দশ জনই যদি এমন করে যেতাম, তাহলে সমাজ বদলাতে বেশী সময় লাগতো না।।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫০
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সত্যিই ভাই, অামরাও তাদের খবর রাখি না তাই ওরা আজ সমাজের নীচুতলার তলানী। আপনাকে ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ার জন্য।
৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজন ,
আপনার এমন দরদী, স্নেহাতুর মনটি যেন এমনি করেই থাকে আপনার সাথে .................
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস পাঠে ও মন্তব্যে। দোয়া রাখবেন আমি এমন দৃষ্টিতে যেন বঞ্চিত মানুষদের দেখতে পারি ওরাও আমার মতো মানুষ।
৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আপনার মধ্যে কেমন যেন আমার নিজের কোমল মনের ছবিটিই দেখতে পাচ্ছি!
প্রার্থনা করছি আপনার মনটা যেন এমনি নরম, কোমল থাকে!
২৬ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: দোয়া করবেন বিলিয়ার রহমান ভাই । কারোর জন্য কিছু করতে পারাটা যে কথটুকু সার্থকথা, কাজটা করার পরে নিজে নিজে নিরবে একটু চিন্তা করলে তার পুরো ফলটাই উপলব্ধি করা যায়। আপনার জন্য ও রইল অনেক দোয়া ।
৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: অবশ্যই দোয়া করব( দোয়া করার সময় যদি মনে থাকে আরকি)!
ভালোথাকুন ভাই!
২৬ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমি যেহেতু দোয়া চেয়েছি। আপনি যখন দোয়া করবেন তখন অটোমেটিক দোয়াদার হয়ে যাব। উত্তম যাযা দিক আপনাকে আল্লাহ।
৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমার প্রিয় সুজন ভাই যে একজন কবি মনের পাশাপাশি খুব উঁচু মানের একজন কথাসাহিত্যিক তা জানতাম না এই পোষ্টটি পড়ার আগে। একদম আহমেদ জী এস ভাইয়ের ক্যাটাগরি। প্রিয়তে রেখেছি ভাই। আমার খুব ভালো লাগলো আপনার এই চম্পাদের প্রতি ভালোবাসা জেনে। অনেক শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা রেখে গেলাম ভাই।
(এসেছিলাম আমার সুজন ভাইয়ের খোঁজ নিতে, এসে সুন্দর একটা পোষ্ট পড়ে মুগ্ধতা নিয়ে ফিরছি। ব্লগে বেশি সময় থাকিনা ভাই, তাই আড্ডা ঘরে যাওয়া হয় না। ভুলে যান নি তো!)
শুভকামনা রইল আমার প্রিয় কথাসাহিত্যিক সুজন ভাইয়ের প্রতি।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২০
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আরে আড্ডার মতোই এখানেও মনের কথা হাবি যাবি লিখে দিলাম। তবে অাপনাকে খুঁজি প্রতি দিনি। ভাল থাকবেন সবসময়।
আড্ডাতে অাছি যতদিন থাকবে আড্ডা সচল। সময় পেলে আসবেন।
১০| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি কিন্তু দোয়া করেছি। গতকাল থেকে সত্যি কাঁদার জন্য সচেষ্টা ছিলাম, আপনার গল্প পড়ে আমি সফল হয়েছি।
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করবেন। আমিন।
০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ৯:৩৮
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমিন। কেন কেন গুরু কাঁদবেন কেন! আমি ভালো আছি, আপনার দোয়া সবসময় কাম্য।
১১| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ৯:৪০
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি আসলে ঝামেলায় আছি, এখন একমাত্র চোখের জলে তা সমাধান হবে। মারা মারি কাটাকাটি করে লাভ হবে না। চোখের জলের শক্তি বেশি।
সবার মঙ্গল হোক।
০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ৯:৪৮
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সর্বশক্তিমান আল্লাহ ওনি বান্দার দু:সময় সহযোগিতা করেন। আল্লাহ আপনার সাথে থাকবেন।
১২| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৩
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমিন।
চোখের জলে কত শক্তি আমরা জানি না। তবে আমি জানতে শুরু করেছি। দোয়া করবেন আমার জন্য। মুখ খুলে বলতে পারি না। মনের ভিতর রাখতেও পারি না। এখন আমি সত্যি কাজ করতে পারিন। হাল্কা পাতলা কাজ কি হয়?
০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ১০:০১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গুরু চোখের জল সে অনেক শক্তিশালী তাও মহান রবের কাছে। এই দুনিয়ার মানুষ শুধুই উপহাস করে। আল্লাহ আপনাকে রহমত করবেন।
১৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ১০:০৫
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমিন। এখন চোখের জলই আমার সম্ভল। আমি আর হিংস হতে চাই না। রাগারাগি রেষারেষি করে শুধু নাশ হয়।
দোয়ার সময় আমি সত্যি কাঁদতে ভালোবাসি কিন্তা পারি না। মন যেন পাথর হয়েছে।
আপনার দোয়ায় আমার পাথর মন নিশ্চয় নরম হবে। আমি কাঁদে পারলে আপনারও মঙ্গল হবে। সবার মঙ্গল হবে। আমিন।
০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৫
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: দোয়ার সময় যত বেশি এস্তেগফার পড়বেন আল্লাহ দোয়া বেশি কবুল করবেন।আল্লাহ আমাদের হেদায়াত দান করুণ। অামি নগন্য অতি ক্ষুদ্র তবো সৃষ্টির সেরা। আমার রব এই মহা বিশ্বের স্রষ্টা।
১৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ১০:৪১
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: নিশ্চয়, আল্লাহ হলেন একমাত্র স্রষ্টা এবং আল্লাহর সৃষ্টি জাহান্নাতে আমরা স্থান পাব। আমিন।
০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ১০:৪৮
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমিন। জি এই পৃথিবীর আমাদের ক্ষনস্থায়ী থাকার যায়গা। আল্লাহ যদি আমাদের পরপারে সু ব্যবস্থ্যা করেন।
১৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ১০:৫১
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: বিশ্বাসিরা স্বর্গে যাবে।
০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ১১:০৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই পৃথিবীর সবাই বিশ্বাসি হউক। আমাকে যেন পূর্ণ বিশ্বাসি করে যেন মৃত্যু দেন।
১৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ১১:১৪
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমিন।
১৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: এই পোস্টটা পড়ে আপনার দরদী এবং স্নেহপ্রবণ মনের পরিচিয় পেলাম। খুব ভাল লাগলো পড়ে।
গল্পে ভাল লাগা + +
১১ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০০
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: জনাব আমি তেমন লিখিয়েন না। শুধু বাস্তব কোন একটা ঘটনা শিয়ার মাত্র। অাপনিও অনেক সুন্দর মনের মানুষ তাইতো আপনাদের অনুসরণ করি।
১৮| ২৭ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮
রাকু হাসান বলেছেন: মেয়েটি মনে রাখবে দিনটি ,খুব সম্ভবত আপনি ও । এভাবে আপ্যায়ন করার দৃশ্যটা কি যে অকৃত্রিম ! চোখের সামনে ভাসছে । মুহূর্ত ক্যামেরাবন্ধি করতে পারলে বেশ ভাল হত । এভাবে িএগিয়ে আসুক সমাজের বিত্তবান রা । আপনার মন খারাপের দিনগুলো কাজ ভাল লাগছে । যা অন্যের মন ভাল করে দিয়েছে । অনেক বেশি ভাল থাকুন । শুভকামনা ।
২৭ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ফ্লাস ব্যাকে গিয়ে আপনি গল্পটি পড়েছেন দেখে অনেক খুশি হয়েছি। আপনার জন্যও অনেক শুভ কামনা রইল। আল্লাহ আপনাকে সদায় ভাল রাখুন।
১৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২০
ইয়াসিনুর রহমান ফাহিম বলেছেন: চমৎকার কন্সেপ্ট। তবে শব্দ বাছাইয়ে কিছুকিছু জায়গায় ফাঁক-ফোকর আছে।
যেমন- লাইনের মধ্যে হঠাৎ 'কেহ' শব্দটা লেখার চমৎকার গতিকে থমকে দিয়েছে।
খুবই ভালো বিষয়বস্তু। আপনার পোস্টে প্লাস++
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: নিজের কথন নিজের মতো করে করা। এইটা যে কোন লিখার পর্যায়ে হিসেব করিনি। আর এমনিতে আমিও তেমন ভাল লিখকও না। আপনার সুন্দর মন্তব্য সত্যি প্রীত হলাম।
ভাল থাকবেন প্রত্যাশা সবসময়ের।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো, মেয়েটির জীবনে একটি ভালো দিন কেটেছে