নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যাথিত হৃদয় বীষে ভরা আজ স্বপ্ন ট্রুটির এক ফসল বুনা জমিন চাষে...
- মাহমুদুর রহমান সুজন
বইঃ শান্তির পথে
লেখকঃ লোকমান হোসেন পলা
প্রকাশনায়ঃ পূর্বাপর
প্রচ্ছদ্রঃ সৃজন
মূল্যঃ ১৩০/
লোকমান হোসেন পলা ব্লগার(সেতুর বন্ধন) যার সাথে আমার কৈশোর কেটেছে। সময়ের আবর্তে কৈশোরের কিছু স্মৃতি যে শুধুই রুপালী...
তোমাকে নিয়ে কবিতা লিখা হলো না।
প্রতিবার যখন কবিতার জন্য দুই,চারটি শব্দ ধার করে
মনের জানালা খোলে বসি
আজ একটি কবিতা লিখব,
লিখব, তোমার চুল থেকে পায়ের পাতা অবধি
কিন্তু উপমার অভাবে আর...
হৃদয় উড়ে যেতে চায় কোন সে দূরে...
কোন অবগাহনে হে
যেথায় দু\'চোখ যায়_
আকাশ সেতো দৃষ্টির সীমানার ভিতর
এর পরে আরো কতদূর দিগন্ত মিলিয়ে গেছে
কত সহস্র বছর পথ অতিক্রম করে...
এমরান চাচা তার সাথে আমার বহুদিনের চলাফেরা। সেই কবে থেকে, যখন আমি হাইস্কুলে পড়ি একদিন আমাকে রাস্তায় দেখে বলে,
-তুমি এমুক ভাইয়ের ছেলে না?
আমি বলি -জি আমি আপনার ওমুক ভাইয়ের ছেলে।...
বড্ড অসহায় লাগে
যখন হাত সংকুচিত থাকে
দুই কড়ি দিতে গিয়ে শূন্য হাত ফিরে আসে
তখন মনে হয় বড়ই প্রয়োজন ছিল অর্থ কুড়াবার
নিজের করে নিয়ে সুখ রচিবার
ক্ষুদার জ্বালায় জ্বলছে মানুষ
হাত পাতে দ্বারে-...
বন্ধু,একটা ছবি তুলে দিবে আমায়?
তোমার বাহারি লেন্সের আলোর খেলায়
আমাকে কতটুকু সজিব তুলতে পারে
আমি আমাকে মিলাতে চাই কুড়ি বছরের তনুতরে
যেখানে আমার পুরো কৈশোর অঙ্কিত একটি ফ্রেমে
দাঁড়াও!
মুখে দর্পিত আলো এখনো পড়েনি...
হিম জল করতটে
ব্যাথাতুর হৃদয় -রোগ্ন মনের কিছু দুঃস্বপ্ন গ্রাসে
শহরের বহুপথ হেটে ক্লান্ত পথিক আমি
নীয়নের আলোয় রংচটা দেহ
কোথায় যাই ...কোথায় আমার আপন গৃহ?
অবনত মস্তক বিবিকের কাছে...
এই মিছিলের অগ্রজ আমি
হেয়-রে হেয়ো শ্লোগান আমার
আমি নিজেকে স্বাধীন মুক্ত বিহঙ্গ করে
বিলিয়ে যেতে চাই নীল অবগাহনে।
যেখানে চাঁদ আর তারারা থাকে
সীমাহীন দূরত্বে চমকিত আলোর বলয়
আমাকে সম্মোহিত করে নিয়ে...
তুমি কোথায়,
একবার দেখা পাব কী তোমার?
নয়ন মেলে কত চেয়ে দেখি কোথাও তুমি নেই
চাঁদ তারারা মাঝে -মাঝে লোকচুরি খেলে
বুঝাতে চাও কী তাদের একটি তুমি
রাত পোহালেই আবার সবিতার রূপ মনে হয়...
শুধুই কি বনিতা
নাকি অভিলাসী প্রেম
নশ্বর চিন্তারা ঘুরপাকে সারাক্ষন
মননে শুধু এক জলক আঁলোর ফালি
সেই কতদিন আগে
চলার পথের কোন এক বাঁকে
হঠাৎ তোমার চোখে আমার চোখের সন্ধিতে
তোমার চঞ্চুতে যে...
আমার মন খারাপ হলে সবচেয়ে যে কাজটি করতে বেশী ইচ্ছে করে তা হল রেল লাইনের স্লীপার দিয়ে হাঁটতে। হাঁটতে- হাঁটতে ক্লান্ত হলে পরে ষ্টেশনের চা দোকান...
আমাকে একটি কবিতার পট দাও
যেখানে আমি কবিতার স্তবকে-স্তবকে ফুটাতে চাই
একরাশ বেগুনী বন ফুলের ঝাঢ়
যেখানে আকিঁতে চাই তোমার আর আমার পাঁচ বছরের প্রণয়ের
সুখ স্বপ্ন খচ্চিত একটি স্তম্ভ।
প্রথম ভাল লাগার...
কুলষিত এই মনের কুৎসিত চিন্তাগুলো
খরতাপে শিরা শিরায় বইয়ে দেয়
বেচেঁ থাকা অনর্থক মনে হয়
যা কিনা মনের ব্যাধি
এই মন পুড়ে গেলে বাকি থাকে কি?
অঙ্গার এই মনের ভস্ম- ছাইগুলো
তিতাসের নিন্মস্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে...
আজো আধো মনে পরে
স্মুতিতে তোমার অধরা মুখ খানি
তোমার টুল পরা চিবুক
হরেক রকম ফিতাতে বেনী করা চুল
এইতো সেই দিন
পথপরে তোমার সাথে দেখা হয়েছিল
হিসেব করতে গিয়ে দেখি...
আমি কি পেরেছিলাম তোমার নিরবে চলে যাওয়া অবলোকন করতে
তখন থেকে তোমার চলে যাওয়ার গন্তব্যের শেষটা
খোঁজতে- খোঁজতে আমার ২০টি বছর চলে গেল
এরপর। এখনো সেই তুমি চলছ তোমার পথে...
©somewhere in net ltd.