![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশে দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন প্রয়োজনে পুলিশের কাছে যেতে হয় । আমি অনুরোধ করব সবাই প্লিজ এ লেখাটা পড়বেন। এখানে আমি পুলিশের আসল চরিত্র দেখানোর চেষ্টা করব।
এটা তো আমরা সবাই জানি যে এদেশের পুলিশ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চামচা, এবং ঘুষখোর । কিন্তু আপনারা আসল অবস্থাটা এভাবে বুঝবেন না। আপনি যদি কোন প্রয়োজনে পুলিশের কাছে যান তবে কি হতে পারে সে সম্পর্কে একটা অগ্রীম ধারনা তো নিশ্চয়ই থাকে। তবে আপনার সকল ধারনা তারা পরির্তন করে ফেলতে তারা বাধ্য করবে। আমি এখানে যে তথ্যগুলো দিব সেগুলো আমি নিজে দেখছি। এ ঘটনাগুলোর কুশীলবদের আমি চিনিও।
১। পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ নিয়ে গেলে প্রথমেই তারা আপনার পোশাক দেখে আর্থিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করবে। এরপর আপনার মুখে আপানার সমস্যার বিবরন শুনবেন। আপনি তো মহা বিপদে পড়েই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে থানায় যাবেন। কিন্তু তাদের মুখ থাকবে হাসি হাসি। শুধু আপনার মামলায় সম্ভাব্য আসামী যারা হতে পারে তাদের কথা উঠলেই দেখবেন একটু আগ্রহী হয়ে উঠবে পুলিশের চোখ। তারা বোঝার চেষ্টা করবে যে সম্ভাব্য আসামীদের কি পরিমার টাকা আছে। এই মামলাটি কিভাবে করলে তারা আসামীদের কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করতে পারবেন।
মনে করেন আপনার অবস্থা তো খুব খারাপ , আপনার উপর মারধোর করা হয়েছে। আপনি চান আজই আসামী ধরা হোক । তারা ফোর্স নিয়ে বের হওয়ার বিনিময়ে আপনাদের কাছে টাকা দাবী করবে। যদি না দেন তাহলে আসামীদের এলাকায় লোক পাঠিয়ে খবর দেবে যে তাদের নামে মামলা হয়েছে, টাকা না দিলে সেদিনই আসামী ধরার হুমকী দিবে। ধরেন আপনার উপর এমনিতেই তো অন্যায় হয়েছে আপনি তো টাকা দিতে চাইবেন না। তখন আসামীপক্ষের কাউকে বলবে আপনার নামে পাল্টা মামলা করতে। অবিকল এই ঘটনার সাক্ষি আমি অন্তত পাাঁচটি ঘটনায়। এর মধ্যে প্রথম ঘটনায় যে বেচারা মামলা করেছিলো সে টাকা দেয়নি।
আসামীদের মধ্যে আই এ পড়–য়া একটা মেয়ে ও ছিল। পুলিশ খুব উৎসাহ নিয়ে তাকে ধরে আনে। এবং মেয়েটি সুন্দরী ছিলো , তাকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে এসি (এএসপি, আমি তার নাম ও বর্তমার পোষ্টিং ও জানি) নিজের রুমে নিয়ে যায়। বাইরে মেয়ের বাবা মা অপেক্ষা করে ছিলো । কিন্তু সবাই ই বুঝতেছিলো আসলে কি হতে যাচ্ছে। পরে মামলার আইও মেয়ের বাবার কাছে বলে যে তখনই ৫০ হাজার টাকা না দিলে সে তার মেয়েকে রাতে ভোগ করবে। শেষে অসহায় মেয়ের বাবা সেই সময়ই টাকা দিয়ে দেয়। এবং সারারাত মেয়ের আশেপাশে পাহারায় থাকে।
পরেরদিন কোর্টে হাজির করার জন্য যখন গাড়িতে তুলছিলো তখন সবার সামনেই আইও মেয়েটির বুকে হাত দেয়। মেয়ের বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে পাল্টা মামলা করতে বলে। সে রাজী না হওয়ায় তার মেয়েকে রিমান্ডে নেয়া হবে বলে হুমকী দেয়। শেষে কোর্টে হলফনামা দিয়ে দুই পক্ষ মিলে গেলেও পুলিশ ফাইনাল রিপোর্ট দিতে গিয়ে ছয় মাস ঘুরায় ও দুই পক্ষের কাছ থেকেই টাকা খায় ।
এ তো গেল একটি ঘটনা। আর একটি ঘটনায় বাদী মামলা করার পরে তৃতীয় দিন পর আসামী ধরে আনে পুলিশ। আসামীদের টাকা ছিলো । তারা পুলিশের চাহিদা মত টাকা দিয়ে দেয় ”। পুলিশ বাদীর নামে পাল্টা মামলা করে আর বাদীর তিন দিন আগে করা এফ আই আর ছিড়ে ফেলে। এই ঘটনাও যারা ঘটিয়েছে তাদের নাম বলতে পারব। কিন্তু বিশ্বাস করুন এর কোনো প্রতিকার নাই। পুলিশের মধ্যে কোনো চেইন অব কমান্ড নাই। সাধারন এ এস আই ও একজন ওসির শালিকে নিয়া মস্করা করে। আর ঢাকার পুলিশের অবস্থা তো আরও খারাপ। ঢাকায় স্বাভাবিক ভাবে পোষ্টিং! নিয়ে কেউ আসতে পারে না। এখানে আসতে হলেই তার কোনো না কোনো মন্ত্রী বা উপদেষ্টাদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে আসতে হ’য় । শুধু তাই না নিয়মিত মাসোহারা ও এদের দিতে হয় ।
দেখা যায় এসি সাহেব চলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাওয়ারে, আর ওসি এইচ টি ইমামের পাওয়ারে আবার একই থানার একজন এস আই বা এ এস আই র বাড়ী গোপালগঞ্জ। কেউ কাউকে গোনে না। ইচ্ছামত খায় আর মাইয়া মানুষ আসামী হইলেই ভাগাভাগী করে। সুন্দরী মেয়ে আসামী হলেই ওসির কাছে লাইন লাগায়। মাঝে মাঝে দেখেন না যে হোটেলে রেইড করে মেয়েদের আটক। এদের আটক করার পর কি হয় সে নিউজ কখোনো দেখেছেন আপনারা?
চোরে চোরে মাসতুতো ভাই । মন্ত্রী , পুলিশ সব এক। আমাদের ধরে ধরে মেরে ফেলবে । এখনই কিছু করা উচিৎ, ভাই আমি পরামর্শ চাই , আমাদের করনীয় কি হতে পারে সেই পরামর্শ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:২৭
সুমন এম রহমান বলেছেন: জানি না। তারা সাধারনত এগুলোই ঘটায়। এটা তাদের স্বাভাবিক আচরন..
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৫০
বিতর্কিত উন্মাদ মানব বলেছেন: এ অবস্থা অনেকদিন ধরেই চলছিল। কিন্তু ইদানিং উৎপাত প্রকট হয়েছে। দুঃখের বিষয় এর কোন প্রতিকার নেই
২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:১২
সুমন এম রহমান বলেছেন: কিছু করা উচিৎ..
৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৫২
নষ্ট কবি বলেছেন: দুঃখের বিষয় এর কোন প্রতিকার নেই / /
২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:১৫
সুমন এম রহমান বলেছেন: প্রয়োজনে মিছিল মিটিং করে আন্দোলনে যেতে হবে।
৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:১৪
স্রাবনের রাত বলেছেন: এরা আমাদের সমাজের একটা অংশ । এরা বাবা, চাচা, মামা বা অন্য কোন ভাবে আমাদের সাথে সামাজিক ভাবে জড়িত । তাই আসুন আমরা এদের সামাজিক ভাবে বর্জন করি । তাহলে এক দিন হয়ত এরা ভাল হতে পারে । যদিও আমি এদের ঘৃনা ছাড়া কিছু করি না । আমার এক খালু আছে পুলিশ অফিসার । আমি তার বাসা যাই না ঘৃনায় যাই না ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:২০
সুমন এম রহমান বলেছেন: পুরো পুরি একমত...সুন্দর পরামর্শ ....
আসুন পুলিশকে সামাজিক ভাবে বয়কট করি...
৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:০৭
বিতর্কিত উন্মাদ মানব বলেছেন: লেখক বলেছেন: কিছু করা উচিৎ.
সহমত।
৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:০৭
বিতর্কিত উন্মাদ মানব বলেছেন: লেখক বলেছেন: কিছু করা উচিৎ.
সহমত।
৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:২৮
নূর আদনান বলেছেন: আমিও এদের সম্পর্কে জানি তারপরেও লেখাটি পড়ে নির্যাতিত দের জন্য খারাপ লাগল আর পুলিশের ওপর ঘৃনা আরো বেরে গেল | উপায় হল নিজে যেন কখনো এরকম কোন বিপদে না পরেন সেই চেস্টা করুন | আর এরকম কোন ঘটলে চোখ বন্দ ও কানে তুলা দিয়ে থাকবেন তাছাড়া নিজেই কস্ট পাবেন | সবাই ভাবছেন কোনো উপায় নাই কারন ওরা যে আইনের লোক !!!
কিন্তু তাই বলে কোনো উপায়ই কি নেই ??? আমার মনে হয় দেশ জুড়ে গনআন্দলন ও গনবিক্ষোব করতে হবে | দেশের সকল নাগরিক একত্র হয়ে সংগঠিত ভাবে এদের এই অত্যাচার প্রতিরোধ করতে হবে | আমি কি ভুল লেখলাম ?
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৩
সুমন এম রহমান বলেছেন: না..
৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:২৯
ভাঙ্গা হৃদয় বলেছেন: দরকার লিবিয়ার মত কিছু করা। যারা বলছেন প্রতিকার নাই তাদের মা অথবা মেয়েকে নিয়ে করলে ঠিকই প্রতিকার খুজে বের করবেন।
৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:০০
বাচ্চা ভুত বলেছেন: যা লিখেছেন তা বাস্তবে ঘটছে, কিন্তু এই ছবিটা না দিলেই কি হত না?এটা যার ছবি তার অনুমতি কি নেওয়া হয়েছিল?এটাকি তাকে আবারও হেয় করা নয়??
এটেনশন সিকিং এর জন্য অন্য পন্থাও তো আছে, তাই না?মেয়েটার ছবি না দিয়ে কোন অসৎ পুলিশের ছবিও দিতে পারতেন।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৪
সুমন এম রহমান বলেছেন: এই ছবিটা জাতীয় পত্রিকায় একাধিকবার ছাপা হয়েছে।
১০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:০৬
এসাসিন বলেছেন: গোঁড়ায় গলদ আগে ঠিক করতে হবে আর সেটা হচ্ছে
আম্লিগ, বিম্পি ও এদের সহযোগীদের লাত্থাইয়া দেশ থেকে বের করতে হবে।
দেখেন সৎ পুলিশ অফিসার রা খাগরাছড়ি বা নিঝুম দ্বীপে আছে শুধু এই কুত্তা রাজনীতিবিদ দের জন্য।
আমাদের মহল্লার সবচেয়ে বখাটে ছেলে যে ছিল তার ঈদ শুভেচ্ছা মূলক পোষ্টার আজ দেখলাম।সে এখন বিরাট নেতা।
একদিন সেই হয়ত আমার ভাগ্য নিয়ত্রন করবে সংসদে বসে।
১১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:০৮
এসাসিন বলেছেন: এদের কাজকর্ম দেখে আজকাল উপরওয়ালার উপর ও ভরসা হারিয়ে ফেলসি।
১২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:১০
কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: চলুন জেনে নেই পুলিশ(POLICE) মানে কি
১৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৪
সাহস বলেছেন: ভাই শুধু পুলিশ কেন বাংলাদেশের সবই এমন। এই যে দেখেন মহামান্য বিচারপতি শাহালম এর ছোট ছেলেকে বেকসুর খালাস দিয়ে দিল। আপনি কি মনে করেন এমনি এমনি দিয়ে দিয়েছে ? এর পেছনের কাহিনীতো আর খোজা হয় না।
কি হবে ভাই দেশের ?
তবে একটা কথা ঠিক ভাল মন্দ মিলিয়েই সব। বিচারপতি দের মাঝে যেমন ভাল মন্দ লোক আছে পুলিশের মাঝেও ভাল মন্দ দুটোই আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:২২
কবীর হুমায়ূন বলেছেন:
পুলিশের এহেন অবাঞ্ছিত কয়েকটি ঘটনা আমিও জানি। এর থেকে বের হওয়ার উপায় কী?