![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিভাবে শুরু করা উচিত ঠিক বুঝতে পারছি না, প্রসঙ্গ আমাদের বাংলাদেশীয় নারী। যখন ব্লগটা লিখছি, তার কিছুক্ষণ আগে আমি বসাছিলাম ঢাকার ব্যস্ততম একটি রাস্তার পাশে। বিভিন্ন ধরণের লোক সামনে থেকে আসা যাওয়া করতেছিল, গাড়ির হর্ন বাজতেছে,সব কিছু দেখতেছিলাম শুনতেছি্লাম। সারা দিন মন খারাপ ছিল, তাই মন ভাল করার জন্য বের হওয়া। প্রথমে ভাবলাম নিরিবিলি কোথাও যাবো, পরে ভাবলাম ঢাকা শহরে হর্নের শব্দের মত,মধুর জিনিস আর কি হতে পারে। কেননা মোরা এই শব্দে ঘুমিয়ে পড়ি, আবার এই শব্দ শুনে সকাল হয়। তবে যে জিনিসটা আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল সেই সম্পর্কে বলব।
এক সাদা চামড়ার ভদ্র মহিলা, না! সাদা চামড়া সুনতে কেমন যেন লাগে তার চেয়ে বরং বিদেশিনী বলি...আমার সামনে থেকে যাচ্ছিল, আমার ভাবতে অবাক লাগে ভদ্র মহিলার সাঁজ-সজ্জায় পুরাদস্তুর একজন বাঙালি নারী। বিদেশী নারী মানেই আমাদের সামনে ভেসে আসে বিকিনি পরিহিত কোনো নারী অথবা জিন্সপ্যান্ট শার্ট পরিহিত কোনো নারী। এমনটা চিন্তা করা অস্বাভাবিক কিছু নয়, কারণ হলিউড-বলিউড মুভিতে আমরা যেমনটা দেখি। আক্ষেপ এ যুগের বাঙালি নারীদের নিয়ে, যেখানে পশ্চিমা নারী সম্প্রদায় তাদের কালচার থেকে বেরিয়ে আসতেছে, ঠিক সেই মুহূর্তে অতি উৎসাহী হুজুগে বাঙালি রমণীরা ছুটছে পশ্চিমা রীতির পিছনে। রাস্তায় নামলে দেখা যায় টপস,গ্যাঞ্জি,শার্ট,প্যান্ট এবং ভিবিন্ন ধরণের লেগিন্স পরিহিত নারীরা নিজেদেরকে সেক্সি রূপে সাজিয়ে চলা ফেরা করতে। দয়া করে, আমাকে আবার তেঁতুল হুযুর ভেবে বসবেন না। আমার মা-বোনদের প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধাবোধ আছে। আমি শুধু ওইসব নারী সমাজকে বলছি, যারা ভদ্র ঘরের মেয়ে হয়েও নিজেদের কে বাজারের পণ্য সাজিয়ে রাস্তায় নামায়। please, দীপিকার মত চেঁচিয়ে উঠে বলে বসবেন না “YES!I am a Woman.I have breasts AND a cleavage! You got a problem!!??”
শরীরের বিশেষ অঙ্গ প্রদর্শন করা যদি আধুনিকতা হয় কিংবা বিনোদনের মাধ্যম হয়, তাহলে আমরা এই ধরণের বিনোদন চাই না। আপনারা আমাদের সমাজকে কুলুসিত করছেন। বিশ্বাস করেন আপনেরা নিজেরাই বিপদ ডেকে আনছেন। তার ফল সরূপ দেখা যায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে ধর্ষণের হার।
যখন সারা দেশে ইভটিজিং নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা চলছে, তখন একদিন আমার এক মেয়ে বন্ধুকে বললাম, তোরা পোশাকে একটু পরিবর্তন আনলে ইভটিজিং অনেকাংশে প্রতিরোধ সম্ভব। ও উত্তরে আমাকে বলেছিল, তোরা মেয়েদের দিকে না তাকালেই পারিস। ওর কথা যে ভুল, তা বলব না। মেয়েদের যেমন নিজেকে পর্দা করে চলাফেরা করা উচিৎ, তেমনি পরুষেরও চক্ষের পর্দাসহ যথাযথ অঙ্গের পর্দা করা জরুরি। যদিও বিপরীত লিঙ্গের প্রতি পরুষের আকর্ষণ স্বভাবজাত। কেননা এইভাবেই আমাদের সৃষ্টি করা হইছে।
আমরা কেন ইউরোপ,অ্যামেরিকা এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে শিক্ষা নেই না? যেখানে প্রতি ঘণ্টায় একজনেরও বেশি নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এইভাবে পশ্চিমা রীতি তথা আধুনিকতার স্রোতে গাঁ ভাসালে, একদিন আমাদের দেশে যে, নারীর সম্মান হারাবে না,তা কে বলতে পারে?
এর অনেক সমাধান আছে, আমি বলছি না ঘরে চুরি পরে বসে থাকতে, আমি বলছি না নারীদের লেখাপড়া বন্ধ করতে কিংবা কর্ম সংস্থানের পথ বন্ধ করতে। এর সহজ সমাধান একটাই ধর্মীয় মূল্যবোধ বাড়ানো। আমি নিশ্চিত কোনো ধর্মই নারীকে খোলামেলা চলাফেরা করতে বলে না। তো কেন আপনেরা নিজেদের অপমানিত করছেন?? আপনে কি কখনও নিজেকে হিজাব পরা মেয়েটির সাথে তুলনা করেছেন?? হিজাব একটি মেয়ের ভদ্রতার নমুনা। আজ প্রতিটা মেয়ে হিজাব গ্রহণ করুক, কাল থেকে দেখা যাবে ইভটিজিং অথবা ধর্ষণ পরিমাণ শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। এছাড়া কোনো সরকারী আইন,এই ইভটিজিং ধর্ষণ প্রতিরোধ করতে পারবে না। এমনকি তা যদি হয় মৃত্যুদণ্ড!!
প্রথমে শুরু করছিলাম বিদেশিনীকে কে দিয়ে-- আমি তার সাথে কথা বলি নাই, তবে তাকে দেখেছি বাঙ্গালির প্রতিরূপে। যা আমার জন্য তথা বাংলার বাংলাদেশীদের জন্য গর্বের। আমি আশা করি, বাংলাদেশ আশা করে তার সন্তানেরা ফিরে আসুক সরূপে নিজের মাটিতে......।।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৭
মোহাম্মাদ শফিক বলেছেন: আপনার উপদেশের জন্য ধন্যবাদ। ধর্ষণের ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেছেন, যদিও ধর্ষণ শব্দটি আমার লেখার মূল বক্তব্য ছিল না। আপনি পোষ্টটা ভালভাবে লক্ষ্য করলে বুঝতেন আশা করি। তাছাড়া আপনি একটি পোস্টের কথা বলেছেন, শিরোনাম সহ উল্লেখ করলে আমার জন্য উপকার হত।
ধন্যবাদ..
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: পোষ্টের মূল বক্তব্য ভালো লাগলো ।
ধর্ষণের বিষয়ে কিছুটা দ্বিমত রয়েছে , এই বিষয়ে আমার বেশ কতগুলো পোস্ট আছে , সেখানে একটা সংকলন পোস্ট আছে অন্যান্য অনেক ব্লগারের লেখা নিয়ে । সময় করে দেখবেন আশাকরি ।
ভালো থাকবেন