![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জামাতে নামাজ আদায়কারিদের প্রশংসায় বলা হয়েছে,
তারা এমন ব্যাক্তি যে, ব্যবসা-বাণিজ্য তাদেরকে আল্লাহর স্মরণ হতে গাফেল করতে পারেনা।(সুরা নূর-৩৭
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এত দীঘ নামাজ আদায় করতেন যে, দাঁড়াইয়া থাকতে থাকতে পা ফুলে যেত।
হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাজবিদ ও তারতিলের সাথে তেলাওয়াত করতেন।
মুজাহিদ রহঃ হজরত আবু বকর ও আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (রাঃ) এর অবস্থা বর্ণনা করেন যে, যখন তারা নামাযে দাঁড়াতেন,তখন এইরকম মনে হত, যেন একটি কাষ্ঠখণ্ড মাটিতে গাড়া রয়েছে, অর্থাৎ, কোন প্রকার নড়াচড়া করতেননা।(তারিখুল খোলাফা)
এক ব্যাক্তি বলেন, হজরত ইবনে যুবায়ের (রাঃ) যখন সিজদা করতেন, তখন এতো দীর্ঘ এবং শান্ত ও অবিচল অবস্থায় সিজদা করতেন যে, তার পিঠে পাখী এসে বসে যেত।
যখন হাজ্জাজের সাথে যুদ্ধ চলছিল, তখন একটি গোলা এসে মসজিদের একটি অংশ উড়িয়ে নিয়ে গেলো। যা হযরতের দাড়ি এবং গলদেশের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে গেলো,এতদস্বতেও না তিনি বিচলিত হলেন, আর না রুকু সিজদা সংক্ষেপ করলেন।
একবার তিনি নামাজরত ছিলেন, উনার ছেলে হাশেম পাশে ঘুমাচ্ছিল। ছাদ হতে সাপ পড়ে, তার শরীরে জড়িয়ে গেল, সে চিৎকার করলে, বাড়ীর সমস্ত লোকজন দৌড়ে আসলো কিন্তু হজরত একাগ্রচিত্তে নামাজ পড়তে লাগলেন। সালাম ফিরিয়ে বলতে লাগলেন,কিছু শোরগোল শুনতে পেলাম, কি হয়েছিলো? উনাকে বলা হল, আপনার কোন খবরই নেই, তিনি উত্তরে বললেন, নামাজের মধ্যে অন্যদিকে মনোযোগ দিলে কি সেটা নামাজ থাকতো।
হজরত ওমর (রাঃ) কে জীবনের শেষ সময়ে খঞ্জর মারা হলে, সারাক্ষণ রক্তক্ষরণ হত, অধিকাংশ সময়ে বেহুশ হয়ে যেতেন। কিন্তু ঐ অবস্থায়ও যখন নামাজের ব্যাপারে সতর্ক করা হত, তখন ঐ অবস্থায় নামাজ আদায় করে নিতেন। তিনি বলতেন,ইসলামে ঐ ব্যাক্তির কোন অংশ নাই যে নামাজ ছেড়ে দেয়।
হজরত উসমান (রাঃ) সারারাত জাগতেন,এক রাকাতে পূর্ণ করআন খতম করতেন।
©somewhere in net ltd.