নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মুহাম্মদ নুরুল হুদা দানিয়াল, পেশায় ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার,আমি একজন তলেবে এলেম(কোরআন ও হাদিসের ছাত্র) ।

আল্লাহ আমাদের দেখছেন

আল্লাহ আমাদের দেখছেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'চাইলেই দিয়ে দিবো কলিজার হাফ, বন্ধুর বেলাতে সব দোষ মাফ\'

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

এয়ারটেলের 'বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল' বিজ্ঞাপনটির কথা আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে। যেখানে ছেলেদের বন্ধু হিসেবে টপস আর ট্রাউজার পড়া কয়েকটি মেয়েকে এবং মেয়েদের বন্ধু হিসেবে ডিজুস মার্কা কয়েকটি ছেলেকে উপস্থাপন করা হয়েছিল। ছেলেমেয়েরা আনন্দে একজন আরেকজনের গায়ে হাতাহাতি করছিল। অর্থাৎ বিজ্ঞাপনটির মূল থিম ছিল-এই রকম টপস পড়া মেয়ে বন্ধু অথবা ডিজুস মার্কা ছেলে বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল!!
-
-সাম্প্রতিক সময়ে বাংলালিংক-3G এর বিজ্ঞাপনটা নিশ্চয়ই অনেকে দেখেছেন যেখানে বিজ্ঞাপনে থাকা ছেলেমেয়েগুলোর ড্রেস আপ ও শারিরীক অশালীন অঙ্গভঙ্গী এয়ারটেলের "বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল" বিজ্ঞাপন থেকেও একধাপ বেশী। তবে অনেকেই হয়তো বাংলালিংকের এই বিজ্ঞাপনটির কথাগুলোর দিকে মনোযোগ দেননি। দিলে হয়তো আঁতকে উঠতেন। কথাগুলো হচ্ছে-
-
"চাইলেই দিয়ে দিবো কলিজার হাফ, বন্ধুর বেলাতে সব দোষ মাফ। মাস্তিতে ফুর্তিতে গলা ছেড়ে গাই, বন্ধুরা থাকলে জিতবে সবাই। দুষ্টুমি বাঁদরামি ছাড়বেনা পিছু, একেকটা দিন হবে নতুন কিছু।"
-
-যে কথা বলার জন্যে এত কথা বলা, সেই আসল কথাটি হচ্ছে-
"গতকাল ঢাকায় বন্ধুদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার তরুণী। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার তরুণী (১৮) জানান, তার বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ী। গত দুই মাস ধরে রাজধানীর একটি হোস্টেলে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির কোচিং করছেন। গতকাল শুক্রবার বিকালে নিজ গ্রামের দুই বন্ধু নীলয় ও শাওনের সঙ্গে ঘুরতে হোস্টেল থেকে বের হন তিনি। এরপর ওই দুই বন্ধু তাকে মগবাজারের একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে।"
-
-এবার বাংলালিংকের ঐ বিজ্ঞাপনটির সাথে উপরের এই ঘটনাটি মেলান। তরুণী তার ছেলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে ঘুরতে বের হয়েছে, মানে তরুণী এটা মেনেই বের হয়েছে যে, 'চাইলেই দিয়ে দিবো কলিজার হাফ, বন্ধুর বেলাতে সব দোষ মাফ'। ছেলেগুলো হয়তো কলিজার হাফ নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি, তাই এর চেয়েও বেশি নিয়ে নিয়েছে!! তাছাড়া বলাইতো আছে, 'বন্ধুর বেলাতে সব দোষ মাফ!!'
_
-তাছাড়া বিজ্ঞাপনটিতে আরও বলা হয়েছে, 'দুষ্টুমি বাঁদরামি ছাড়বেনা পিছু, একেকটা দিন হবে নতুন কিছু।' তাহলে ছেলেগুলোরই বা দোষ(??) কি?? তারা কি তাদের বান্ধবীর সাথে একটু দুষ্টুমি বাঁদরামি করার অধিকার রাখে না??!! হয়তো দুষ্টুমি বাঁদরামিটা একটু বেশিই করে ফেলছে!!
-
-এবার তরুণীদের বলি- তুমি যখন এইসব বিজ্ঞাপন দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে দুই-তিনটা ছেলে বন্ধু নিয়ে আড্ডা দিতে ঘুরতে বের হও তখন বিজ্ঞাপনের কথা মতো তোমার ছেলে বন্ধুরা যখন তোমার সাথে একটু আধটু দুষ্টুমি বাঁদরামি করেই ফেলে তখন তুমি এর জন্যে কাউকেই দোষারুপ করতে পারোনা, দোষারুপ যদি করতেই হয় তাহলে নিজেকেই করো।
-
-শেষ কথা- "অমুক জায়গায় বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষনের শিকার তরুণী" শিরোনামের সংবাদগুলোর জন্যে যদি এয়ারটেল-বাংলালিংকের এইসব নোংরা বিজ্ঞাপনগুলোকে দায়ী করি তাহলে কি খুব বেশী ভুল বলা হবে??? তাছাড়া এইসব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে যে ইনপুটটা দিচ্ছে তার আউটপুটটা নিবেন না, তা কি করে হয়??
Courtesy :- Tanvir Ahmad Arjel ভাই

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাই আপনি বলেছেন "এরপর ওই দুই বন্ধু তাকে মগবাজারের একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে।"- একটা মেয়ে কিভাবে তার দুই ছেলে বন্ধুর সাথে মগবাজারের মত এলাকার একটি হোটেলে যায়। তাকে কি জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল? আমি আগে ঐ এলাকা দিয়ে প্রতিদিন অফিসে আসা যাওয়া করতাম। মগবাজারের মত এলাকায় আমার জানা মতে এমন কোন আবাসিক হোটেল নাই যার মান খুব ভাল, যে ঐখানে কোন মেয়ে গেলে নিজেকে নিরাপদ মনে করতে পারে। বাইরে থকে হোটেলের চেহারা দেখলেই ত ১০০ হাত দূরে থাকার কথা।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭

আল্লাহ আমাদের দেখছেন বলেছেন: "ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার তরুণী (১৮) জানান, তার বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ী। গত দুই মাস ধরে রাজধানীর একটি হোস্টেলে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির কোচিং করছেন।'"
বুঝা জায়, মেয়েটি ঢাকায় নতুন,তাই মগবাজার নিয়ে হয়ত তেমন কোন আইডিয়া ছিল না।

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাই একটু বুঝার চেষ্টা করেন। বিষয়টা মগবাজার নিয়ে আইডিয়ার বিষয় না। আমি আপনারে কেমনে বুঝাই। এইটা বুঝার জন্য আপনি একটা কাজ করতে পারেন, আপনি আপনার সাথে একজন বন্ধু এই দুই জনে মিলে অথবা আপনি একা আপনাদের পরিচিত অথবা ক্লোজ মেয়ে বন্ধু (যদি থাকে- বাংলাদেশের যেখানেই হোক না কেন) কে এই জাতীয় " চল আমরা একসাথে আবাসিক হোটেলে যাই" অথবা " চল আমরা একসাথে হোটেলে যাই" অথবা " চল আমরা হোটেলে গিয়ে সময় কাটাই" কিছু বলে দেখতে পারেন। যদি পারেন বইলা দেইখেন আর জুতার বারি কয়টা খান আইসা আমারে বইলেন।

বিদ্রঃ রেস্টুরেন্ট আর আবাসিক হোটেল এক জিনিস না। রেস্টুরেন্টে থাকে চেয়ার টেবিল আর আবাসিক হোটেলে থাকে খাট পালঙ্ক। কোন মেয়ে সে বাংলাদেশের যে কোন যায়গারই হোক না কেন, কোন ছেলের সাথে হোটেলের রুমে একসাথে খারাপ উদ্দেশ্য ছাড়া কখনই যাবে না, যদি না জোর করে নিয় যাওয়া হয়। একই ভাবে কোন ছেলে কোন খারাপ উদ্দেশ্য ছাড়া কোন মেয়েকে হোটেলে নিয়ে যাবে না। এইটা বাংলাদেশ, ইউরোপ বা আমেরিকা না।
আপনি যে ঘটনার কথা বলেছেন, তা আমি জানি না। আমি শুধু আপনারা লেখার সুত্র ধরেই কথা বলেছি।

৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩

হানিফঢাকা বলেছেন: -এবার বাংলালিংকের ঐ বিজ্ঞাপনটির সাথে উপরের এই ঘটনাটি মেলান। তরুণী তার ছেলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে ঘুরতে বের হয়েছে, মানে তরুণী এটা মেনেই বের হয়েছে যে, 'চাইলেই দিয়ে দিবো কলিজার হাফ, বন্ধুর বেলাতে সব দোষ মাফ'। ছেলেগুলো হয়তো কলিজার হাফ নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি, তাই এর চেয়েও বেশি নিয়ে নিয়েছে!! তাছাড়া বলাইতো আছে, 'বন্ধুর বেলাতে সব দোষ মাফ!!- এই বিষয়ে আমি আপনার সাথে একমত।

৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১১

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: এইসব এডগুলার উদ্দেশ্যও ঠিক পরিষ্কার না...তারা আসলে কী বুঝাইতে চায়, আর আমরা আসলে কী বুঝি...আর ফলাফল কী?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.