নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নতুন বাঙ্গাল

নতুন বাঙ্গাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারের চারবছর, একটি নাগরিক মুল্যায়ন।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

গত ৬ই জানুয়ারী মহজোট সরকারের ৪ বছর পুর্ন করে ৫ম ও শেষ বছরে পা দিল। এ উপলক্ষ্যে গতকাল বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে জনমত জরিপ সহ সরকারের সাফল্য ব্যর্থতার নানামুখী বিশ্লেষন প্রকাশ করেছে।তাই ভাবলাম একজন সাধারন নাগরিক হিসাবে সরকারের প্রতি আমাদের চাওয়া পাওয়ার একটা হিসেব করেই ফেলি।আমরা সবাই জানি তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসাবে যেকোন সরকারের জন্য দেশের মানুষের চাহিদার সব হয়তো পুরন সম্ভব না, তবে মানুষ চায় তাদের মৌলিক কিছু সম্যসার অন্তত সমাধান।সেই হিসাবে দেখি, এই সরকারের কাছে দেশের মানুষের মুল প্রত্যাশাগুলি কি ছিল ২০০৮ সালের সেই ভুমিধ্বস বিজয়ের সময়-



প্রত্যাশা:



১।দ্রব্যমুল্য সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা।



২।বিদ্যুত উতপাদন বাড়িয়ে লোডশেডিংমুক্ত দেশ।



৩।দুর্নীতিমু্ক্ত দেশ গড়া।



৪।জংগীবাদ ও সন্ত্রাস নির্মুল করা।



৫।তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া।



৬।কার্যকর কৃষি ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে সার,বীজের সরবরাহ নিশ্চিত করে খাদ্য উতপাদন বাড়িয়ে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসর্ম্পন করা।একই সাথে কৃষকের ন্যায্য মুল্য নিশ্চিত করা।



৭।শিক্ষা ব্যাবস্থার উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করে সামাজিক উন্নয়নসহ , জিবনযাত্রার মানোন্নয়ন।



৮।পদ্মাসেতু সহ দেশের সার্বিক যোগাযোগ ব্যাবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়ন।



৯।যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করা।



১০।সুশাসন ও গনতান্ত্রিক সরকারের কল্যনমুখি রাস্ট্র ব্যাবস্থা।





এবার আসুন জনগনের এই সব প্রত্যাশার বিপরীতে সরকারের প্রচেস্টার ফলাফল বিশ্লেষন করি-





১।দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রন।



এক্ষেত্রে সরকারের প্রচেস্টা খুব একটা কার্যকরি হয়েছে বলে মনে হয়না।সরকার ক্ষমতা্য় আসার পরপর ২০০৯ সালে দ্রব্যমুল্যের নাটকীয় নিন্মমুখিতা দেখা গেলেও সেটা ঐ বছরের শেষের দিকে বাড়তে শুরু করে এবং যা ২০১০ এবং ২০১১ সালে অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়।২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে সার্বিক মুল্যস্ফিতি উঠে যায় ১২ শতাংশের উপরে, যা খাদ্যপন্যের ক্ষেত্রে ১৪ শতাংশের উপরে।সরকারের সব প্রচেস্টা যখন ব্যর্থ,তখন অঘোষিতভাবে সরকার এ দায় স্বীকার করে তিন বছরের মাথায় বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দিয়েছে। বার বার সিন্ডিকেট ভাঙার ওয়াদা করেও চিনি ও সয়াবিন তেলের সিন্ডিকেট এখনো বিদ্যমান। টিসিবি এখনো কার্যকর হয়নি। সুতরাং ২০১২ সালে সরকারের উপর চ্যালেন্জ ছিল দ্রব্যমুলকে নিয়ন্ত্রন।এক্ষেত্রে সহায়ক মু্দ্রানীতি ও রেকর্ড খাদ্য উতপাদনের ফলে ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে অব্যহতভাবে মুল্যস্ফিতি কমে ৭:২২ এ নেমে আসে, যা সর্বশেষ গত নভেম্বরে ৭:৪১শতাংসে আছে।

২০১২ সালে মুলত চালের দাম সহনীয় থাকলেও ডাল,ডিম,মুরগীর মাংস সহ অন্যান্য জিনিষের দাম অনেক ক্ষেত্রেই ছিল সাধারনের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।



তাই সর্বিক বিচারে সরকার এক্ষেত্রে সফল বলা চলে না।তবে পারিপার্শিক সবকিছু যেমন আন্তর্জাতিক বাজার, বিশ্বমন্দা ইত্যাদি বিবেচনায় ২০০৯ ও ২০১২ সাল কিছুটা সহনীয় বলা চলে, তবে ২০১০ ও ২০১১ সাল ছিল ব্যর্থ।তাই দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রনে সরকার অসফল, তবে পুরোপুরি ব্যর্থ কিনা সেটা তর্কসাপেক্ষ।



পদটীকা: অনেকে হয়তো বলতে চাইবেন পুরোপুরি ব্যর্থ, আমি তাদেরকের বলব বর্তমান পরিস্থিতিতে কৃষককে তার ন্যায্যমুল্য দিয়ে আপনি এর থেকে কমে খাওয়ার আশা করাটা ভুল হবে, বার্ডফ্লুর কারনে ডিম এবং মুরগীর মাংসের দাম বেড়েছে, যেটা উত্তোরন হতে সময় লাগবে, একই ভাবে অন্য আমদানী নির্ভর নিত্যপন্য গুলো আন্তর্জাতিক বাজার, মুনাফাখোর ব্যবসায়িদের দৌরাত্বের কারনে অনেকটাই নিয়ন্ত্রনহীন, যা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করা কোন সরকারের পক্ষেই হয়তো সম্ভবনা , যার প্রমান ফকরুদ্দীনের সময় আমরা দেখেছি।তাই দ্রব্যমুল্য নিয়্ন্ত্রনে এই সরকার প্রত্যাশা পুরন না করতে পারলেও, অন্য কোন দল বা সরকারের উপর নির্ভর করার কোন যুক্তিসংগত কারন দেখছি না।





২।বিদ্যুত উতপাদন বৃদ্ধি করা।



নানা সমালোচনা থাকলেও বাস্তবতা হচ্ছে বিদ্যুত উতপাদনে বর্তমান সরকারের সাফল্য ঈর্ষনীয়। স্বাধীনতার পরে প্রায় চল্লিশ বছরে যেখানে আমাদের মোট বিদুত উতপাদন ছিল চার হাজার মেগাওয়াট এর নিচে, সেখানে বর্তমান সরকার তার চার বছরে মোট ৩ হাজার ৫৯৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত গ্রিডে যুক্ত করেছে এবং বিগত চার বছরে ৭ হাজার ৬৪৯ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৫৭টি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে, এরই মধ্যে সরকারী ও বেসরকারী খাতে ৫ হাজার ৪৮ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ২৮টি বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। তাই লোডশেডিং এবং মুল্যবৃদ্ধির বিড়ম্বনা আর কুইক রেন্টালের সমালোচনা থাকলেও এক বাক্যে সবাই সরকারকে বিদ্যুত উতপাদনে সফল বলতে হবেই।



বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি চাহিদাও বেড়েছে। তাই চাহিদা অনুযায়ী নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ ও লোডশেডিং পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।আন্য দিকে গ্যাসের সংকটের বিপরিতে, দুটি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার এবং দুটি গ্যাসক্ষেত্র পাওয়ার ঘটনাও সরকারের বিদ্যুত ও জ্বালানী খাতের সফলতার দৃষ্টান্ত।





৩।দুর্নীতিমুক্ত দেশ।



বরাবরের মত এই সরকারের আমলেও এই চাওয়াটি অপুর্নই রয়ে গেছে।অপেক্ষাকৃত নবীন এবং অপরিচিত মুখ নিয়ে মহাজোটের মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রথম দুই বছরে দু্র্নীতির তেমন কোন অভিযোগ না উঠলেও।২০১০ এর ডিসেম্বরে শেয়ারবাজার কেলেংকারি দিয়ে শুরু হয়ে আবুল হোসেনের পদ্মাসেতু কেলেংকারি, হলমার্ক কেলেংকারি, ডেসটিনি কেলেংকারি সহ একের পর এক আর্থিক অনিয়ম,দুর্নীতি সরকারের প্রথম দুই বছরের ইমেজ সহ অন্যসব সাফল্যকে ম্লান করে দেয়।শেয়ার বাজার,হলমার্ক,পদ্মাসেতু,ডেসটিনি সহ প্রতিটি বিষয়ে সরকারের ধীর এবং অপরিপক্ক পদক্ষেপ মানুষকে শুধু হতাশই করেনি বরং ক্ষেত্র বিশেষে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে।

বিশেষ করে পদ্মাসেতু নিয়ে সরকারের নানমুখি বক্তব্য ও কর্মকান্ড সরকারকে জাতী্য় এবং আন্তর্জাতিক ভাবে দুর্নীতিপ্রবন/সহয়ক হিসাবে কলংকিত করেছে।



তবে রাজনৈতিক সরকারের আমলেও দুদুককের সক্রিয় ভুমিকা কিছুটা মানুষকে কিছুটা আস্বস্ত করেছে।এবং প্রথম দুই বছর টিআইবির রিপোর্টেও দুর্নীতির সুচকের নিন্মমুখি অবস্থান ছিল।



যদিও দেশের মানুষ গত চারবছরে হাওয়া ভবনের অন্য কোন বিকল্প ভবনের দুর্নীতি বা কেলেংকারি দেখেনি,

তবে সব কিছু ছাপিয়ে পদ্মাসেতু, হলমার্ক,ডেসটিনি,রেলও্য়ে কেলেংকারি, শেয়ারবাজার সরকারের দুর্নিতী/অনিয়ম দমনে ব্যার্থত্বারই উদাহারন হিসেবে আলোচিত।এবং আগামি নির্বাচনে এসকল অভিজোগ মোকাবেলা করাই সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেন্জ।





৪।জংগীবাদ ও সন্ত্রাস নির্মুল করা।



জংগীবাদ নির্মুলে সরকার পুরোপুরি সফল ।চারদলীয় সরকারের সময় জংগিবাদ,বিচ্ছিন্নতবাদিদের অভায়রন্যের দেশ এর পরিচিতি থেকে গতচার বছরে বাংলাদেশকে জংগিবাদমুক্ত দেশ হিসাবে পরিচিতি দিয়েছে সরকার।এখন আর দেশে আত্মঘাতি হামলা হয়না।বর্তমান বাংলাদেশ জংগিবাদ মু্ক্ত দেশ, এটা সরকারের একটা বড় সাফল্য।



বর্তমান সরকারের সময়ে একদিনে ৬৩ জেলায় বোমা ফাটা, কিংবা এমপি/সাবেক মন্ত্রি/ বিরোধী দলের নেতার উপর বোমা বা গ্রনেড হামলা না হলেও সরকার সন্ত্রাস দমনে খুব একটা সফল ছিল না।প্রথম দুই বছর আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে তেমন অভিযোগ না থাকলেও।২০১০ এর শেষের দিক থেকে বিচারবর্হিভুত হত্যাকান্ড, গুম , খুন, অপহরন আশংকাজনকভাবে বাড়তে থাকে।এর মধ্যে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি সিমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে নিহত ফালানীর কাটা তারে ঝুলন্ত লাশ সারা দেশে ব্যাপক সমালোচিত হয়।এর সাথে পুরোটা সময় জুড়ে ছাত্রলিগ,যুবলীগের চাদাবাজি, টেন্ডারবাজি,দখল,সংঘর্ষ ,গ্রুপিং, খুনোখুনি সর্বশেষ গত ৯ ডিসেম্বর ছাত্রলীগ কর্মিদের হাতে নিরিহ যুবক বিশ্বজিত হত্যাকান্ড পুরো জাতিকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।তবে সরকার এক্ষেত্রে দ্রুততার সাথে দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনেছে।এছাড়া সৌদি কুটনিতিক খালাফ হত্যাকান্ড, সাগর-রুনি, আমিনুল হতাকান্ড সহ ইলিয়াস আলি নিখোজ ইস্যুতে সরকারকে সমালোচনায় পরতে হয়েছে।



সার্বিকভাবে জংগিবাদ দমনে সরকার সফল,তবে চারদলীয় জোট সরকারের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হলেও, সন্ত্রাস দমনে সরকার তেমন সফলতা দেখাতে পারেনি।





৫।তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া।



বর্তমান সরকারের সময়ে অন্যতম বিকশিত খাত হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি খাত।বর্তমান সরকারের উদ্যোগে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে স্থাপিত হয়েছে তথ্য সেবা কেন্দ্র।প্রত্যেক জেলার জন্য চালু হয়েছে ওয়েব পোর্টাল।ই-গভর্মেন্সের সুচনা হয়েছে এই সরকারের আমলেই।এখন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির আবেদন থেকে শুরু করে ফলাফল,সরকারি বিভিন্ন চাকরীর আবেদন ফরম, টেন্ডার বিণ্গপ্তি সবই হচ্ছে অনলাইনে।গ্রামের দিনমজুর থেকে শ্রমিক সবাই ব্যাবহার করছে মোবাইল।আর এই মোবাইলেই তারা করছে ব্যাংকিং।দেশে চালু হয়েছে থ্রিজি মোবাইল সেবা,বেড়েছে আউটসোর্সিং সহ অনলাইন কেনাকাটা ও পরিসেবা।



২০১৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট উতক্ষেপনে চলছে ব্যাপক ততপরতা।



মোটকথা সরকারের সফল উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতায় সত্যিকার ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মানে আমরা গত চারবছরে বৈপ্লবিক উন্নতি করেছি। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে সরকার পুরোপুরি সফল।



৬।কৃষি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও খাদ্য উতপাদন বৃদ্ধি।



কৃষিতে গত চার বছর বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে এখন আমরা উদ্বৃত খাদ্যের দেশ।গেল বছর ২লাখ ৭০ হাজার কোটি মেট্রিক টন খাদ্য চাহিদার বিপরীতে উতপাদন হয়েছে ৩ লাখ কোটি মেট্রিক টন খাদ্য, এটা অবশ্যই অভাবনীয় সাফল্য আমাদের কৃষক ও সরকারের কৃষি ব্যবস্থাপনার।কৃষিক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো কার্যকর হয়েছে বলেই কৃষি উৎপাদন বেড়েছে। যার ফলশ্রুতিতেই দেশে খাদ্যের মজুত গতকাল পর্যন্ত সরকারি হিসাবে চাল গম মিলিয়ে ১৫ লাখ মেট্রিক টন। সরকার খাদ্যশস্য রপ্তানির উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে।সরকারের চার বছরে সার্বিক কৃষি উৎপাদনে ইতিবাচক গতি আসার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই নন ইউরিয়া সারের মূল্য অর্ধেকে নামিয়ে আনার বিষয়টি। পর পর কয়েক দফা কমিয়ে একেবারে কৃষকের ক্রয়সাধ্যের বাইরে চলে যাওয়া সারের দাম একেবারেই সুলভ করে দেওয়া হয়। এতে কৃষক ফসলের চাহিদামাফিক সার দিতে পেরেছে বলে ফলনের হার বেড়ে গেছে। নন ইউরিয়া সারে ৫৫ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। যে কারণে কৃষক ২২ টাকা কেজি টিএসপি, ২৫ টাকা কেজি এমওপি ও ৩০ টাকা কেজি ডিএপি কিনতে পারছে। একসময় সেই সারই কিনতে হয়েছে ৭০-৮০ টাকা কেজিতে। এ সরকারের আরেকটি ভালো উদ্যোগ হলো দেশের ১ কোটি ৮০ লাখ কৃষকের জন্য উপকরণ সহায়তা কার্ড দেওয়া এবং ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট করার সুযোগ। এর মধ্য সরকারি ভর্তুকির কিছু টাকা সরাসরি কৃষকের ব্যাংকে জমা হওয়ায় প্রতারণা ও অবিশ্বাস থেকেও মুক্ত হতে পেরেছে সে। কৃষকের কাছে তথ্যসেবা পেঁৗছে দেওয়ার জন্য এই সরকারের সময়েই দেশের ৪ হাজার ৫০১টি ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ। যা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়িত করছে। দিন যত যাবে এই উদ্যোগটির ইতিবাচক ফলাফল আসতেই থাকবে। কৃষিঋণের হার ও রকম বেড়েছে। প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে বর্গাচাষি ঋণ চালু হয়েছে। কৃষকের জন্য বেসরকারি ব্যাংকগুলো ঋণ সুবিধা ছাড়াও কৃষকবান্ধব ব্যাংকিং চালু করেছে। সরকারের চার বছরের মধ্যেই কৃষিক্ষেত্রে দুটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সাফল্য সূচিত হয়েছে। একটি হচ্ছে পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন, অন্যটি পাটসহ বিভিন্ন উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকর ছত্রাকের জীবন রহস্য উন্মোচন। এটি দুটি যুগান্তকারী সাফল্যের পেছনেও রয়েছে সরকারের অবদান। বৈরী জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় এ সরকারের সময় ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ধানের কয়েকটি বৈরী সহনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে ।



তবে রেকর্ড উতপাদন করেও বরাবরই নিস্ব থেকেছে কৃষক, ন্যায্য মুল্য না পাওয়ায়।এক্ষেত্রে সরকার কার্যকর বাজার ব্যাবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারেনি।



সব মিলিয়ে সরকারের অন্যতম সফল খাত ছিল কৃষি।



৭।শিক্ষা, স্বাষ্থ্য ও জিবনযাত্রার মানোন্নয়ন।



শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য অকল্পনীয়।সরকারের বাস্তবমুখি পদ্মক্ষেপে আজ পুরো শিক্ষাব্যাস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে গত চার বছরে।স্বাধীনতার ৪০ বছরে এই প্রথম একটি যুগুপযোগী শিক্ষ নীতি প্রনয়ন করতে পেরেছে এই সরকার।এছাড়া পিএসসি, জেএসসি পরীক্ষা প্রচলন ও সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি প্রবর্তন করে সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে অভাবনিয় পরিব্তন এনেছে।তাছাড়া সবস্তরে নতুন পাঠ্যক্রম, মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন করেও সবার প্রশংসা পেয়েছে সরকার।বিগত বিভিন্ন সরকারের সময় পাঠ্যপুস্তক নিয়ে নানা কেলেংকারি হয়েছে,ফলসরুপ শিক্ষার্থীরা মার্চ/এপ্রিলে ও বই পায় নি। কিন্তু এ সরকারের আমলে ২৭ কোটি নতুন বই বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীরা হাতে পেয়েছে।এবং প্রাথমিক এর পাশাপাশি মাধ্যমিক পর্জন্ত সবাই বিনামুল্যে বই পেয়েছে।এছাড়া দেশের ২৮ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতিয়করনের সিধান্ত একটি যুগান্তকারি ঘটনা।একই সাথে ৯০ হাজার শিক্ষকের চাকরি জাতিয়করনও একটি শসি পদক্ষেপ, যা শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে।



তাই শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য অভাবনীয়।



স্বাস্থ্য:

একইভাবে প্রায় ৯ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরায় চালু করে নতুন ডাক্টার নিয়োগের মাধ্যমে সরকার গ্রামিন ও সুবিধাবন্চিত মানুষের স্বাথ্যসেবা নিশ্চিত করেছে।এছাড়া হাসপাতালের আসন বৃদ্ধি, ণতুন ডাক্তার নিয়োগ সহ নানা পদক্ষেপের ফলে স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়েছে।



তবে স্বাস্থ্যসেবার বানিজ্যিকিকরন হয়েছে ব্যপকভাবে বিগত কয়েক বছরে। প্রাইভেট হাসপাতালের নামে ফাইভস্টার হোটেল বানিয়ে মানুষের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে গলাকাটা ফি, কিন্তু অনেকক্ষেত্রে কাংখিত সেবা না দিয়ে প্রতারনা করা হয়েছে।



সবমিলিয়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য থাকলেও সটা অনেকটা রুটিন সাফ্যল।



জিবনযাত্রার মান:

বর্তমান সরকারের সময় মানুষের আয় বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে জিবনযাত্রার মান। শহর, গ্রামের সর্বত্রই সেটা পরিলক্ষিত। এখন একজন দিনমজুর কিংবা রিক্সাচালক ও মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে।উত্তরের মানুষের কাছে সেই মংগার বিভিষিকা এখন শুধুই সৃম্তি।যেকোন উতসবে সব শ্রেনীর মানুষ তার সাধ্যমত খরচ করে।দ্রারিদ্রতার অভিশাপ থেকে মুক্ত মানুষ জিবনকে উপোভগের অভিলাষ থেকে নানা ভোগ্য সাম্গ্রী ক্রয় করছে।এজন্য অনেক শ্রমিকের ঘরে টিভি, ফ্রিজ শোভা পাচ্ছে।





৮।পদ্মাসেতু সহ দেশের সার্বিক যোগাযোগ ব্যাবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়ন।



সারাদেশে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা ও যোগাযোগ ব্যাবস্থার কারনে ২০১১ সালের প্রথম থেকেই সরকার ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে।তারপর পদ্মাসেতু মহাজোট সরকারের জন্য মহাকেলেংকারিতে পরিনত হয়েছে শেষ পর্যন্ত।

যদিও শুরু থেকেই এয়ারপোর্ট থেকে নারায়নন্জ পর্যন্ত এলিভেটেত এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা চিটাগং চার লেন প্রকল্প, ঢাকা-ময়মনসিংহ চারলেন,ঢাকা-চিটাগং রেলওয়ে ডাবললাইন,পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, যা্ত্রাবাড়ি-পলাশি ফ্লাইওভার, মিরপুর-এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার, কুড়িল ফ্লাইওভার সহ পদ্মাসেতুর মত বড় বড় প্রকল্প নিয়ে প্রথম থেকেই ব্যাস্ত থেকেছে যোগাযোগ মন্ত্রনালয়।বেশ কিছু প্রকল্পের অর্থায়ন চুড়ান্ত হয়ে কাজও শুরু করেছিল তারা।কিন্তু শেষ পর্যন্ত পদ্মাসেতু কেলেংকারীতে সব সাফল্য ম্লান হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ খাতে।তবে বর্তমান মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ততপরতায় মাণুস এখনো আশাবাদি। এর মধ্যে বনানী ফ্লাইওভার চালু হয়েছে। আগামি কয়েক মাসের মধ্যে যা্ত্রাবাড়ি-পলাশি ফ্লাইওভার, মিরপুর-এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার, কুড়িল ফ্লাইওভার চালু হলে ঢাকার যানজট কমে আসবে।একই সাথে মেট্রোরেল ও এলিভেটেত এক্সপ্রেসওয়ে কাজ শুরু হবে এ সরকারের আমলেই।পাশাপাশি ঢাকা চিটাগং চার লেন ও ঢাকা-ময়মনসিংহ চারলেন এর কাজ অচিরেই শেষ হবে।তবে শেষ পর্যন্ত সকল স্থবিরতা কাটিয়ে যদি সরকার পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করতে পারে, তাহলে যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের আবুল সৃস্ট দুর্নাম হয়তো অনেকটাই কেটে যাবে।



অন্যদিকে গত ২ জানুয়ারি উদ্ধোধন হওয়া হাতিরঝিল প্রকল্প পুরো রাজধানীর এক অন্য চেহারা দিয়েছে।যা নগর বাসিকে সস্তি এনে দিয়েছে।



তাই সার্বিক বিবেচনায় এই সরকারের আমলে বর্তমান মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অব্যাহত প্রচেষ্টায় সকল স্থবিরতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতে যুগান্তকারি উন্নয়ন সাধিত হবে, যা হয়তো দৃশ্যমান হতে আরও সময় লাগবে।



৯।যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করা।



নানামুখী বাধা স্বত্তেও বর্তমান সরকার যুদ্ধোপরাধীদের বিচারের কার্যক্রম এগিয়ে নিয়েছে। ইতিমধ্যে সাঈদী, বাচ্চু রাজাকারের মামলা শেষ হয়েছে যে কোন দিন রায় ঘোষনা করা হবে।একই সাথে নিজামী,গোলাম আজম,কাদের মোল্লা,সাকা চৌধুরি, আব্দুল আলীম ও মীর কাশেম আলীর মামলার কার্যক্রম অনেকদুর এগিয়েছে।তবে সম্প্রতি বিচারপতি নিজামুল হকের পদত্যাগ, জামাত শিবিরের তান্ডব সহ, আন্তর্জাতিক লবিস্টরা বিচার ঠেকাতে নানা মুখী ততপরতা চালাচ্ছে।



এবং এক্ষেত্রে সরকারের সম্বনয়হীনতা ও রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলিদের কিছু দুর্বলতা বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে শংকা সৃস্টি হয়েছে।তবে সরকারের দৃড় অবস্থান ও ব্যপক জনমত থাকায় শেষ পর্যন্ত ভালভাবেই এই বিচার শেষ হবে বলে আশা করা যায়।



১০।সুশাসন ও গনতান্ত্রিক সরকারের কল্যনমুখি রাস্ট্র ব্যাবস্থা।



সুশাসন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকারি আমলা ও সুবিধাবাদি রাজনৈতিক নেতারা অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি করেছিল।বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্বৃত্তায়ন ও অনিয়ম প্রকট আকারে ছিল।তাই সরকারের চার বছরে সুশাসন ও জনকল্যানমুখি কর্মকান্ডে ব্যাপক অর্জন নেই।তবে বিগত সরকারের তুলনায় সামগ্রিক পরিস্তিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।





বিশেষ অর্জন:



বর্তমান সরকারের অন্যতম বড় সাফল্য মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা মামলায় জয়লাভ, যাতে আমাদের প্রায় ১লক্ষ ১২ হাজার বর্গকিমি সমুদ্র এলাকায় আধিকার প্রতিস্ঠিত হয়েছে।এছাড়া রোহিংগা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর দৃড় অবস্থান ও সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে মামলায় যাওয়া সাহসী ও প্রশংসিত পদক্ষেপ।



বিশেষ ব্যর্থতা:

তিস্তা চুক্তি না হওয়া , ইউনুস ইস্যুতে অনর্থক বিরোধ, বিশ্বব্যাংকের সাথে টানা পোড়েন সরকারের অন্যতম ব্যর্থতা।



উপরোক্ত বিশ্লেষন একান্তই আমার সাধারন ভাবনা, কেউ দ্বিমত পোষন করতেই পারেন তবে, অনুরোধ করবো তথ্য দিয়ে ব্যাখা করে সমালোচনা করবেন যাতে সংশোধন করা যায়।



তথ্য সুত্র: বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: এ সব বাস্তবায়ন সকলের সম্মিলিত অবস্থানে সম্ভব

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: ধন্যবাদ। আসলে সবার সম্মিলিত প্রয়াস অবশ্যই জরুরি, তবে আমি এখানে সরকারের মুল্যায়ন তুলে ধরার চেস্টা করেছি

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২০

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: ২। বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করা : বিদ্যুৎ খাতকে দুর্নীতিতে ঠাসা হয়েছে । দুর্নীতির বিচার থেকে বাচতে ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছে । সরকারি খাতে উৎপাদন না বাড়লেও ফারুক খানের সামিট গ্রুপকে একসাথে ২৪০০ মেগাওয়াট ও ওরিয়েন্ট গ্রুপকে ১৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে দেয়া হয় । এর কুপ্রভাব সম্পর্কে একটি কথাই বলব, চিলিতে ক্ষমতা দখল করতে ( পিনোচেট কর্তৃক ) এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকানা বড় কাজ করেছিল । সরকার এদের কথা না শুনলে সরকার পতনে এরা বড় ভূমিকা রাখতে পাড়ে । নাকি সরকার চায় তারা ছাড়া অন্য কেউ যেন ক্ষমতায় না থাকতে পাড়ে ।

আর একটা কথা চুলা নষ্ট বলে, চুলা ঠিক না করে প্রতিদিন পিজা কিনে খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ না ।

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: ইনডেমেনিটি দেয়া টা অবশ্যই অন্যায় ছিল, এবং বিষয়টা নিয়ে অনেক সমালোচনাও হয়েছে, অনেকের মতে কুইক রেন্টালে আসলে কুইক রমরমা ব্যাবসা হয়েছে।তবে বাস্তবতাটা ছিল মানুষ যে কোন উপায়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পক্ষে ছিল।তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে যেমন সত্য, এবং এক্ষেত্রে কিছু অনিয়ম হয়েছে সেটাও তেমন সত্য। তবে স্বস্তির ব্যাপার হল বিদ্যুৎ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

শয়ন কুমার বলেছেন: ইনডেমেনিটি দেয়া টা অবশ্যই অন্যায় ছিল, এবং বিষয়টা নিয়ে অনেক সমালোচনাও হয়েছে, অনেকের মতে কুইক রেন্টালে আসলে কুইক রমরমা ব্যাবসা হয়েছে।তবে বাস্তবতাটা ছিল মানুষ যে কোন উপায়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পক্ষে ছিল।তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে যেমন সত্য, এবং এক্ষেত্রে কিছু অনিয়ম হয়েছে সেটাও তেমন সত্য। তবে স্বস্তির ব্যাপার হল বিদ্যুৎ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

শয়ন কুমার বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষন ।

আবুলকে হাজতে না ভরাটা সরকারের বড় ব্যর্থতা বলে আমি মনে করি ।শুধুমাত্র চালের দাম ছাড়া দ্রব্যমূল্যের অন্যান্য ক্ষেত্রে সরকার সফল নয় ।আর ডেসটিনি কেলেংকারির দায় আমি শুধু একা এ সরকারের উপর দিবো না , এ দায় বিম্পি-ফখরুদ্দিনের উপরেও বর্তায় । কেননা ওদের আমলেও ডেসটিনি তার আকাম-কুকাম বহাল তবিয়তে করেছিল ।সেই ডেসটিনির নায়কদের জেলে পুরাটা আমি এ সরকারের কেলেংকারি মনে না করে সফলতা মনে করি , যদিও তা দেরীতে ঘটেছে, আগেই নায়কদের জেলে পুরাটা উচিৎ ছিল ।

৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: ধন্যবাদ। ডেসটিনি বিষয়ে আপনার মতামত সঠিক। আসলে ডেসটিনির গাছে পানি দিয়েছে জোট সরকার, যত্ন নিছে ফকরুদ্দিন আর এই সরকারের সময় ডালপালা সহ ভাইন্গা পড়ছে।তাই চিল্লাপাল্লা সহ সরকারের বদনাম হইছে।এখনও মনে হয় ডেসটিনি নিয়ে সরকার কিছুটা দ্বিধাদন্দে আছে, কারন ৪৫ লাখ রাম ছাগল এর সাথে জড়ায়ে গেছে।

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আপনার মুল্যায়ন অনুযায়ী এই সরকারতো খুবই সফল এবং যেকোন ধরনের নির্বাচনে এদেরই পুনরায় জিতে আসার কথা - তাহলে আদালতের কাধে বন্দুক রেখে নির্দলীয় তত্তাবধায়ক সরকার বাতিল করা কেন? আর বিরোধী দলের দাবি অনুযায়ী নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও কেন এত অনিহা?

তাহলে কি সরকারের নেতৃস্থানীয় লোকেরা আপনার থেকেও কম জানেন? কম বোঝেন?

বাস্তবতা হচ্ছে - সরকার এখন যে অবস্থায় আছে তাতে খুব কঠোর দলীয় অবস্থান ছাড়া নির্বাচনে জেতার কল্পনাও করতে পারছে না। কিছুদিন আগে ডাক্তারদের সংগঠন বি.এম.এ নির্বাচনে সরকারপন্থীরা যা করেছে জাতীয় নির্বাচনেও সেই পথে যাওয়া ছাড়া তাদের কোনই উপায় নাই। আর যদি কোন কারণে তারা নির্বাচনে হেরে যায় তাহলে যে কী করুণ পরিনতি হবে সেটা আপনি না বুঝলেও সরকারী দলের লোকেরা ঠিকই বুঝে।

একেই বলে বাঘের পিঠে সওয়ার হওয়া - যতক্ষন পিঠের উপরে থাকে ততক্ষন সবাই তাকে মানে, যদি কোন ভাবে পিঠ থেকে পরে যায় তাহলে সেই বাঘের হাতেই প্রাণ দিতে হয়।

১০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: দেখুন সরকার সার্বিকভাবে সফল না ব্যার্থ সেটার চুড়ান্ত মুল্যায়ন হবে , আপনার আমার সবার সামগ্রিক মুল্যায়নের উপর।আগামী নির্বাচনে সরকার জিতবে কি হারবে সেটা আমার বিব্যেচ্য বিষয় নয়।আমি শুধু আমার ব্যাক্তিগত মতামত তুলে ধরেছি, যেটা আপনার মতামতের সাথে নাও মিলতে পারে।আমার মুল্যায়নের কোন জায়গায় যদি দ্বিমত থাকে তবে অনুরোধ করবো তথ্য দিয়ে সমালোচনা করুন যাতে আমি সংশোধন করতে পারি।

তবে হ্যা আপনার মত আমিও চাই তত্ত্বাবাধয়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচনটা হোক।আর সেটা মনে হয় দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের দাবি, এই দাবি মেনে নিতে সরকার যত দেরী করবে তাদের জনসমর্থন ততই কমবে।

ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.