নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার দেশটার মত মহান হতে চাই facebook.com/khudro.khadem

ক্ষুদ্র খাদেম

ক্ষুদ্র খাদেম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণধর্ষিত এক জাতির প্রতিনিধি :( :|

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৮

“বিশ্বায়ন” খুবই বড় ধরণের গুরুত্ব বহন করে আজকের দিনে এই আধুনিক পৃথিবীতে। কেন বহন করে? কারণ, আজ আর কোনও দেশ ই স্বয়ং সম্পূর্ণ নয়। কেউই নিজেদের সব চাহিদা নিজেরাই পূরণ করতে পারে না। আর তাই, বিশ্বায়ন আর মুক্তবাজার অর্থনীতি আজ এই পৃথিবীর চালিকাশক্তি।



কেন এইসব কচকচানি আমার??? আসি মূল কথায়...



যেখানে অন্যান্য অনেক দেশ কিছুদিন হল মাত্র বিশ্বায়ন এর ছোঁয়া পেয়েছে (কিছুদিন বলতে এখানে ধরে নিতে হবে ৩০০-৫০০ বছর সর্বোচ্চ) B:-/ । আমরা বাঙ্গালিরা (এখানে বলা দরকার এই পুরো উপমহাদেশ) সেই তুলনায় অন্যান্যদের তুলনায় অনেক এগিয়ে আছি !:#P !:#P । আমরা বিশ্বায়নের ছোঁয়া পেয়েছি কম করে হলেও ২০০০-২৫০০ বছর বা তারও অনেক বেশিদিন আগেই।

এবার আসি, সেটা কিভাবে, সেই প্রসঙ্গে।



সম্পদ আর ভূ-প্রাকৃতিক কারণেই হোক আর যে কারনেই হোক, দুনিয়ার অনেক পরাক্রমশালী শক্তি আমাদের ওপরে আঘাত হেনেছে যুগে-যুগে। আবার অনেক সাধু-সন্ত আর পীর আর তাদের মুরিদান-আশেকানরাও আমাদের মাঝে এসেছেন তাদের বাণী নিয়ে। আর তাঁরা এসেই ক্ষান্ত হননি, অনেকেই চেয়েছেন স্থায়ী হতে এদেশে, আর সেখানেই যত বিপত্তি /:) /:)



আমাদের দেশের বিশ্বায়ন শুরু হয়েছে তখন থেকেই, আমরা বহন করছি বহুজাতিক রক্ত, যা আমাদের শিরা-উপশিরা-ধমনীতে প্রতিনিয়ত পরিবাহিত হচ্ছে।



এবার আসি, লেখার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে।



আমরা অনেকেই বলে থাকি আমাদের চৌদ্দগোষ্ঠীতে এরকম কেউ নেই, এরকম কেউ করেনি হ্যান-ত্যান এইসব। বিজ্ঞান বলে, একজন মানুষের শরীরে তার পিতার পূর্ববর্তী সাত প্রজন্ম আর মাতার পূর্ববর্তী সাত প্রজন্ম থেকে জিন বাহিত হয়। এর অর্থ হচ্ছে আজ আমি-আপনি আমরা সবাই যা-ই করছি না কেন তার অনেকটাই আমাদের জিনের দ্বারা পরিবাহিত। তার মানে দাঁড়ায়, আজকের আমাদের অন্যদেশ প্রীতি, তাদের সংস্কৃতি প্রীতি আর তাদের অন্যায় অবিচার আর শোষণ কে যে মেনে নেয়ার প্রবৃত্তি সেটা আজ তৈরি হয়নি। এটা বরং পরিবাহিত হচ্ছে, এবং হবে। B:-) B:-)



কারণ, আমরা জাতি হিসেবে পরিশুদ্ধ নই। আর আমার পূর্ব প্রজন্মে কেউ যে ডাকাত ছিল আর কেউ যে সাধু ছিল তাদের উভয়ের ভালো আর মন্দ দুটোই আমার মাঝে আছে। তাই, দেখা যায়, ভালো মানুষের ভালো দিকটা আর খারাপ মানুষের খারাপটা আমাদের মাঝে খুবই প্রকটভাবে সহাবস্থান করে। আর তাই, আমাদের হুজুগটা ও অনেক বেশিই পরিমাণে আছে।

এখানে, সমস্যাটা তখনই হয় যখন আমরা নিজেরাই একটা ক্ষেত্রে খুব ভালো, আবার সেই একই মানুষ আরেক ক্ষেত্রে চরম বিপরীত। X( X(



আজ কেউ কোনও ভালো কাজ করলে বা করা শুরু করলে, আমরা প্রথমেই তার পেছনে কোনও না কোনও কারণ খুঁজি। কেন খুঁজি?? কারণ, আমরা স্বভাবতই ধরে নেই, কেউ কারো স্বার্থ হাসিল করতেই নিশ্চয় এই কাজ করছে।

এর পেছনের কারণ হচ্ছে, আজ আমাদের এই সময়েও অনেকেই আছে যারা আমাদের ওপর দিয়ে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাইছে। স্বভাবতই, মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি অনুসারে সে সন্দেহপ্রবণ ই হবে।



এতে অবশ্য আমাদের দোষ খুব বেশী আমি পাই না, যখন আমি জানি কেউ একজন অতি দুঃখে লিখেছিলেন “মানুষের ওপর থেকে বিশ্বাস হারানো পাপ, আর বাঙ্গালির ওপর বিশ্বাস রাখা বিপদজনক”। কারণককারণ, যুগে যুগে যারাই আমাদের শোষণ করেছে, তাদেরই দোসর ছিল আমাদেরই আপনজনেরা।



আমাদের দেশে মানুষ খুব অল্পতেই কোনও কিছুকে সত্যি বলে মনে করে, আবার তার বিশ্বাস ভাঙ্গতেও খুব বেশী সময় লাগে না। আর, এই সুযোগটাই কিছু সুবিধাবাদী আর অতি ধূর্ত লোক গ্রহণ করেছে। তাঁরা, আমাদের দেশে অনেক কিছুই করতে পেরেছে আমাদের অনুভুতিগুলোকে কাজে লাগিয়ে। আর এর পেছনের কারনের মধ্যে অন্যতম, আমরা নিজের ভালো ও বুঝি না। কথায় বলে, পাগলেও নাকি নিজের ভালো বোঝে। সেই হিসেব করলে, আমরা সাধারণ জনগণ, পাগলের ও অধম। আজও আমরা, সবকিছু জেনে-শুনেও কিছু লোকের মিত্থ্যে প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করি, আর ভাবি, এরা বোধহয় আগের বার থেকে ভালো হবে, কিন্তু, তা কেবল আমাদের আশায় ই থেকে যায়, বাস্তবে আর পরিণত হয়না।



যে জাতি, আজ হাজার হাজার বছর ধরে বাইরের শক্তির আক্রমনের শিকার, তাঁরা তো আর অল্প কয়েক বছরেই ঘুরে দাঁড়াবে না, কিন্তু এই গণধর্ষিত জাতির মধ্যেও যারা আজ আমাদের জেগে ওঠার পথ দেখাতে চাইছে তাদের নিয়েও শুরু হয়েছে কুৎসা রটনা। এর পেছনে, কারণ আর কিছুই না, আমাদের নিজেদের জিনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সেই চিরায়ত দ্বিমুখী সত্ত্বা।



জানি না এর শেষ কবে, কোথায়???

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.