নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেহলভী

দেহলভী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা যারা "নন- কোটার" অন্তর্ভুক্ত

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৪৮

বর্তমানে আমি একজন চাকুরী অনুসন্ধানী ব্যাক্তি হিসেবে বিভিন্ন জব সাইট ও পত্রিকার চাকুরীর বিজ্ঞাপনগুলোতে চোখ বুলাই। সেই কারণে কিছুদিন যাবত একটি ব্যাপার আমার বিশেষ পীড়ার কারণ হয়েছে বলে আজ সেটা সবার সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে হল। ব্যাপারটা হল, বিভিন্ন চাকুরীতে বিশেষকরে সরকারী চাকুরীতে যে "কোটা" সিস্টেম চালু আছে সেটা।

ভাবতে খুবই খারাপ লাগে যে বাংলাদেশে বিভিন্ন সরকারী চাকুরীতে সাধারণ মেধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত হয় মাত্র ৪৫%। বাকী ৫৫% এর মধ্যে ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আর ২৫% হয় নারী, প্রতিবন্ধী, আদিবাসী ইত্যাদি কোটায়।

আমি একটি কথা স্পষ্ট বলতে চাই, আমি মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিপক্ষে নই। কিন্তু যেখানে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রার্থী অপর্যাপ্ততার পরও সেটা সাধারণ মেধা কোটার প্রার্থী দ্বারা পূরণ করা হয় না সেখানে আমার কিছু বলার আছে এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার নাতী-নাতনী পর্যন্ত বর্ধিত করার পক্ষেও আমি অবস্থান নিতে পারি না।কারন, তাতে আমি সন্দিহান থাকি পাছে আমার অধিকার খর্ব হয়। আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা নন সেটা নিশ্চয়ই আমার অপরাধ নয় এবং সে কারণে নিশ্চয়ই আমি সবসময় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারি না।

কিছুদিন আগে সোনালী ব্যাংকের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। আমার যতদূর মনে পড়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটিতে সর্বমোট ১১২৫ টি শূন্য পদের উল্লেখ ছিল। কিন্তু সেটা প্রযোজ্য ছিল শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের জন্য। এমনকি সেটা অন্য কোন কোটার প্রার্থীদের জন্যও প্রযোজ্য ছিল না।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এ "সহকারী পরিচালক(প্রশাসন)" পদে নিয়োগ দিবে ১২ জন তারমধ্যে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আর বাকি ৭ জন সাধারণ কোটায় যার মধ্যে আবার বিভাগীয় প্রার্থীরাও প্রযোজ্য মানে যারা আগে থেকেই ওখানে চাকুরী করে তারা।

আজ (০১/০২/১৩) "চাকরির খবর" পত্রিকায় একটা বিজ্ঞাপন দেখলাম "বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন" এর। যেখানে সিনিয়র অফিসার এ ৯জন ও অফিসার এ ১৫ জন সহ মোট ৩৯ জন নিয়োগ দিবে। দেখে ভাল লাগল এই ভেবে যে, চাকরি পাই না পাই পরের ব্যাপার অন্তত আবেদন করা যাবে। আবেদনের নিয়ম কানুন গুলো পড়া শুরু করতেই পত্রিকাটা ছুঁড়ে ফেলতে হল। কি লেখা ছিল জানেন? "সকল পদে শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।"

আমি জানি না পরবর্তীতে আমাদের মত চাকরি প্রার্থীদের জন্য আরও কী অপেক্ষা করছে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:১০

আহসান২০২০ বলেছেন: ভাই বাংলাদেশের সবাই মুক্তিযোদ্ধা। গুটিকয় রাজাকার ছাড়া। কারও সার্টিফিকেট আছে, কারও নেই। কেউবা ক্ষমতার দোহাই দিয়ে বানিয়ে নিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে কার অবদান নেই দেশের তরে? যে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তার স্বাভাবিক জীবনে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন সেই মুক্তিযোদ্ধা। দেশের জন্য সামান্যতম কিছু ত্যাগ করেছেন সেই সময় তাকে মুক্তিযোদ্ধা বলা উচিত। আর চাকুরির ক্ষেত্রে এই বৈষম্য আমাদের প্রশাসনিক দূর্বলতা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যোগ্য প্রার্থী রেখে মুক্তিযোদ্ধা খুজতে খুজতে সার্চলাইটের ব্যাটারী শেষ।

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:১৭

বুলবুল আহ্‌মেদ বলেছেন: আমি মুক্তিযোদ্ধা হতে পারি কিন্তু আমার ছেলে তো যুদ্ধ করেনি।

৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩

মুসা আহমেদ বলেছেন: +++++

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮

শেলী বেলী বলেছেন: আমারও অনেক বলার আছে কোটা-সুবিধা নিয়ে । তবে সব কথার শেষ কথা হল- এমন বৈষম্যের নিন্দা জানায় ।

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৮

ইমরান খান সবুজ বলেছেন: এই বাল ছাল েয কবে যাবে। শুয়োরের বাচ্ছাগুলার লজ্জাও নাই.........
দেশ আবার স্বাধীন করতে হবে, আওয়ামী+মুক্তিযোদ্দা হতে।

৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫৬

তানিয়া হাসান খান বলেছেন: বৈষম্যের নিন্দা জানাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.