নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর উৎসবে আঁধারে আবদ্ধ ...!!!

মুচি

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে- অবাক বিস্ময়ে ....

মুচি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময়ের দাবী

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬



স্বাধীনতার প্রায় ৪৮ বছর পরও আমাদের এসব দেখতে হচ্ছে !! এর জন্যই কি তাঁরা যুদ্ধে নেমেছিলেন?

ব্যপারটা খুবই আশঙ্কাজনক। মতের মিল না হলেই একপক্ষ আরেক পক্ষকে কিছু বিশেষ বিশেষায়িত করে দিচ্ছ। এতই কি সোজা !!

কোন কিছুই কারো জন্য ফিক্সড নয়। মানুষের মনও ফিক্সড কিছু। উদ্যাম প্রেমে মত্য প্রেমিক যুগলেও ফাঁটল ধরে। সারাজীবন একসাথে থাকার সংকল্পও ভেঙে যায়, দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এককালে তোমায় ভালোবেসেছিল বলেই যে একালেও তোমায় ভালোবাসবে- তা কিন্তু নয়।

তেমনি একজন দেশপ্রেমিক, সর্বোচ্চ ত্যাগীর বংশধরও তারমত বীর হবে, তার মত শৌর্য্যের অধিকারী হবে, তা কিন্তু নয়। বংশের নিচে জেনেটিক পরিবর্তন আসে। দেশপ্রেমিকের রক্তে দেশদ্রোহীর বীজ উপ্ত হতেই পারে। তার দ্বারা দেশের উন্নতি-ই হবে, এ কথা কিন্তু বলা যায় না।

আমার জানামতে, মুক্তিযোদ্ধারা একটা পরিমাণ সম্মানী পান। একজন মুক্তিযোদ্ধা শুধুমাত্র তাঁর সন্তানের উপর নির্ভর করবেন, এটা হতে পারে না। তার জন্য যথাযথ সম্মানী ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক। সন্তান তার পিতা-মাতাকে দেখবে, এটাই আমাদের কালচার। ৯৯.৯৯% ক্ষেত্রে দেখে থাকে। সুতরাং সন্তান পিতার সুবিধা পাবে, মেনে নেয়াই যায়। কিন্তু তাই বলে নাতী!!! এটা কি করে সম্ভব!!! কোনো দাদা-দাদী তাঁর নাতীর উপরে নির্ভর করবেন!! হয়তো ০০.৯৯% হতে পারে। সরকারের উচিৎ তার লোকবল নিয়ে এদের একটা ব্যবস্থা করা।

আর দেশটা শুধু একটা বিশেষ গোষ্ঠীর নয়। দেশটা সবার। আর পাব্লিক সেন্টিমেন্ট ম্যাটারস। সংস্কার প্রয়োজন। প্রায় অর্ধশত বছর আগের চিন্তা-চেতনা এই যুগে চলে না। ৭১ এ এখনকার প্রযুক্তি ছিল না। কিন্তু দেশের প্রতি তাঁদের টান অতুলনীয় ছিল। তাঁরা যেভাবে ভেবেছেন, আজকের আমরা কি সেভাবে ভাবতে পারছি? কিংবা আমরা যে দেশ চাচ্ছি, তাঁরা কি সেটা রেখে যেতে পেরেছেন।

কোটা থাক, যার দরকার সে পাক। কিন্তু একজন স্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার বংশধরের জন্য সুবিধার ব্যবস্থা করে, আরেকজন অসহায় পরিবারের প্রতি দৃষ্টিপাত না করার জন্যই কি সেদিন ডাক এসেছিল?

এখানে দু'পক্ষ হবে কেন? এখানে কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি হবে কেন? সবাই বাংলাদেশি। যার প্রয়োজন সে পাবে, যার প্রয়োজন নেই, সে কেন পাবে? দেশের প্রতিটা নাগরিক সমান, সংবিধান তা-ই বলে। এখানে কোন বিভাজন চলবে না। যদি তাই হয়, তবে সংবিধান পরিবর্তন করে তাঁদের এলিট ঘোষণা করে বাকি সবাইকে দ্বিতীয় শ্রেণি করা হোক। এলিটের পরিবার বংশ পরম্পরায় সব খাবে, আর দ্বিতীয় শ্রেণি-
দাসের মত তাদের সেবা করে যাবে। প্রাগৈতিহাসিক হয়ে যাক বাংলাদেশ।

দেশটা আমার। দেশটা প্রতিটা বাঙালির। এখানে কেন গুলি খেয়ে রাস্তায় পড়ে থাকতে হবে? এদেশ কি তবে আমার নয়????

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন:




এসব কথা বললে চেতনার বিষে যাতনা জুটবে মোদের

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:০০

মুচি বলেছেন: জুটুক। কি আর আসবে-যাবে। পরিবর্তন আসুক। হয় ১০%, না হয় ১০০%। দুটোই পরিবর্তন। :-0

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫০

ভীতু সিংহ বলেছেন: কোটার পাশাপাশি নিয়োগ বানিজ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার এখনি সময়।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯

মুচি বলেছেন: একটার পর আরেকটা আসবে। পরিবর্তন আসবেই, পজিটিভ না নেগেটিভ, সেটা দেখতে হবে। পজিটিভ হলে দেশের জন্য ভালো, আর না হলে....... দেখা যাক কি হয়।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও : ------বলেছেন "এসব কথা বললে চেতনার বিষে যাতনা জুটবে মোদের।"

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:০০

মুচি বলেছেন: ১০% না হলে ১০০% ..... তবে তা-ই হোক।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সাধারন জনগনের কথা ভাবার মত এদেশে মনে হয় কেউ নেই।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১২

মুচি বলেছেন: আশায় থাকুন। আশা সাধারণের একমাত্র ভেলা।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দেশটা সবার!

কথা সেটাই! স্বৈরাচারিতা কখনোই ভাল ফল আনে না। না দলের না দেশের না আমজনতার!
চেতনা জুজু কারো পৈতৃক সম্পদ নয়। এটা সামগ্রিক, সার্বজনীন সার্বভৌমত্বের মতো অনুভব।

কে কি বলবে ভাবলে মুক্তিযোদ্ধারাও যুদ্ধে যেতে পারতেন না। অনুভবে স্বকীয় দৃঢ়তাই পৌছে দিয়েছে সাফল্যে

ব্রেক দা সাইলৈন্স!

হুমায়ুন আহমেদের নাটকে তোতা যেমন জোয়ার এনেছিল এক ডায়ালগে- তুই রাজাকার
তেমনি জোয়ার আসুক ভয়ের অর্গল ভেঙ্গে- তোতা বলুক- তুই স্বৈরাচার!

জহির রায়হানের মতে- সময়ের প্রয়োজনে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

মুচি বলেছেন: ধীরে ধীরে চেতনাহীন হয়ে পড়ছি। সবাই ভালো থাক। দেশটা ভালো থাক।
তখনই ভয় লাগে, যখন কেউ বলে এদেশে থেকে কি হবে? কি আশ্চর্য্য এক সময় !
এত হতাশা!! এর জন্য দায়ী কে? কারা?

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: কোটা দলের স্বার্থ সংরক্ষণের অন্যায় পথ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯

মুচি বলেছেন: সব জায়গায় ফাঁকি ভাই, শুভঙ্করের ফাঁকি। সবাই নিরাপদে থাক।

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

সৈয়দ তাজুল বলেছেন: এদেশ আমার, আর আমি প্রতিবার মরেছি নতুন ভাবে সৃষ্ট হওয়া পুরাতন স্বভাবী শকুনদের কাছে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:১০

মুচি বলেছেন: স্বভাবী শকুনের কবল থেকে এদেশ মুক্তি পাক। এজাতি এগিয়ে যাক।

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ভাই হক কথা বলছেন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

মুচি বলেছেন: শোনার লোক কোথায়?

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

পদ্মপুকুর বলেছেন: ছবিটা যেই তুলুক, দুর্দান্ত হয়েছে। সেই উনসত্তুরে প্রেসক্লাবের সামনে চলা মিছিলের সামনে থাকা টোকাইয়ের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

মুচি বলেছেন: প্রতিটা আন্দোলনেই কিছু দুর্দান্ত সাহসের গল্প লেখা হয়। এটিও তেমন একটি। এই ভাই দাঁড়িয়েছিলেন অসীম সাহসে।

১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর ও যুক্তির কথা।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৭

মুচি বলেছেন: যুক্তির কথা শোনার লোক কি আছে ভাই !! কেউ শুনতে চায় না, সবাই বলতে চায়।

১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: সব জায়গায় ফাঁকি ভাই, শুভঙ্করের ফাঁকি। সবাই নিরাপদে থাক।

আজ আমাদের মওলানা ভাসানীর মতোন নেতা দরকার।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৫৯

মুচি বলেছেন: দেশের সবগুলো মানুষ ভালো থাক। দেশটা ভালো থাক। দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতা এসে জাতিকে বাঁচাক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.