নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ও মন লাগে , ভাব নিতে হয় । ভাবস মারো ।

ভাইস চ্যান্সেলর

আমার মত আমার জীবন, আমি জীবনকে লালিত করি । জীবন সে তো কাগজের নৌকা ।

ভাইস চ্যান্সেলর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

বাড়ির কাছেই নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন ব্লগার রাজীব হায়দার। যুদ্ধাপরাধের আপসহীন বিচারের দাবিকারী আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর মতো আরও অসংখ্য ব্লগার জড়িত। সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হওয়ার পর তিনি এখন পরিণত হয়েছেন আন্দোলনের ত্যাগী প্রতীকে। এই প্রতীককে ঘিরে শাহবাগ নতুন করে জাগ্রত হয়েছে, যেকোনো হামলা-নাশকতার বিরুদ্ধে অবিচল থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

এই বেদনাদায়ক ঘটনা এমন সময়ে ঘটল, যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে কেবল শাহবাগ নয়, সারা দেশ উত্তাল। রাজীব হায়দার তাঁর ব্লগের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিটি পাঠকদের কাছে তুলে ধরেছেন, আন্দোলন করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর আদর্শিক প্রত্যয়ের যোগসূত্র ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। মৌলবাদী আদর্শের একটি ব্লগ যে তাঁর বিরুদ্ধে নিয়মিত প্রচারণা চালাত, তার সঙ্গে কারা জড়িত ছিল, এসব প্রচারণার কী উদ্দেশ্য ছিল, তা-ও অনুসন্ধান করে দেখা জরুরি। তবে পুলিশ সন্দেহভাজন পাঁচজনকে আটক করেছে।

বলার অপেক্ষা রাখে না, এ ঘটনায় আন্দোলনের কর্মীদের নিরাপত্তা তথা বৃহত্তর জননিরাপত্তা কিছুটা হলেও হুমকিগ্রস্ত হয়েছে। অবিলম্বে হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করা না হলে, জনগণের নিরাপত্তাহীনতার বোধ কাটবে না। উপরন্তু এই হতাশা তাদের আরও ক্ষুব্ধ করে তুলতে পারে। আশা করি, সরকার পরিস্থিতির গুরুত্ব ও স্পর্শকাতরতার বিষয়টি উপলব্ধি করে আন্তরিক পদক্ষেপ নেবে।

ব্লগার রাজীব হায়দার ‘থাবা বাবা’ ছদ্মনামে ব্লগ ও ফেসবুকে বিভিন্ন বিষয়ে মতামত দিতেন। তাঁর মতামত অনেকের অপছন্দ হতে পারে; কিন্তু মতামতের জন্য যদি তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে থাকেন, তবে তা সত্যিই গভীর উদ্বেগের বিষয়। উল্লেখ করা যেতে পারে, গত মাসে এ রকম আরেকজন ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীনের প্রাণনাশের চেষ্টা চলে। তিনি গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর কিনার থেকে ফিরে এসেছেন। সেই ঘটনার হোতাদের গ্রেপ্তার করা গেলে রাজীবের ওপর হামলা চালাতে অপরাধীরা এতটা সাহসী হতো না।

একদিকে বিচারহীনতা, অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধের বিচারে শিথিলতার বিরুদ্ধেই কিন্তু তরুণ সমাজ যুগান্তকারী আন্দোলনের সূচনা করেছে। রাজীব হায়দার খুনের ঘটনা তাদের আরও ক্ষুব্ধ করে তুলতে পারে। আন্দোলনকে বিপথগামী করতে বা একে উসকে সহিংস করে তোলার অপশক্তিরও অভাব নেই দেশে। তারা দেশে সংঘাতমূলক পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। তাদের ফাঁদে পা না দিয়ে আন্দোলনকারী উভয়েরই সতর্ক, শান্তিপূর্ণ ও দূরদর্শী কর্মসূচি দেওয়া উচিত।

সরকারের প্রতি আহ্বান, সারা দেশে জামায়াত-শিবিরের নাশকতা-হামলা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে নবজাগ্রত বাংলাদেশের চেতনা, গণতন্ত্র এবং জীবনের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বশক্তি নিয়োগ করা হোক

তখ্যসূত্র ঃ Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.