![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মত আমার জীবন, আমি জীবনকে লালিত করি । জীবন সে তো কাগজের নৌকা ।
একটা সময় বিশ্ব টেনিসে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘জার্মান বোম্বার’ হিসেবে। ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৮৫ সালে তিনি জিতেছিলেন উইম্বলডন শিরোপা। হ্যাঁ, বরিস বেকারের কথাই বলা হচ্ছে। টেনিস ক্যারিয়ারে প্রায় সবকিছুই পেয়েও কোথায় যেন তাঁর একটুখানি শূন্যতা। চেয়েছিলেন ফুটবলার হতে। জীবনের শুরুতে বায়ার্ন মিউনিখে ট্রায়ালও দিয়েছিলেন। কিন্তু বিধাতা যে তাঁর কপালে ফুটবলার হওয়ার বিষয়টি রাখেননি। টেনিস তারকা হয়েই বিশ্বসেরা হয়েছেন। কিন্তু মনের গহিনে যে এখনো ফুটবলের প্রতি তাঁর ভালোবাসা অটুট, সেটা প্রমাণ করলেন তিনি লন্ডনে বায়ার্নের শুভেচ্ছাদূত হয়ে এসে।
বরিস বেকারের বয়স এখন ৪৫। এই বয়সে তিনি চুটিয়ে বায়ার্ন মিউনিখের কাজ করে যাচ্ছেন। শুভেচ্ছাদূত হয়ে এসে বায়ার্নের জার্সি গায়ে ফুটবল নিয়ে একটু ক্যারিকেচার দেখাতেও বাদ দেননি তিনি। বলেছেন, ফুটবলটা সব সময়ই তাঁর কাছে ভালোবাসার বিষয়।
প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ইউরোপীয় ফুটবলের দিগদর্শনই পাল্টে দিয়েছে। বায়ার্ন মিউনিখ ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা হয়ে কাজ করে যাওয়া বরিস বেকারও তা-ই মনে করেন। তাঁর মতে, জার্মান ফুটবলের সবচেয়ে সুন্দর দিক এর আক্রমণাত্মক মেজাজ।
বরিস বেকার বলেন, ‘আমার টেনিস-জীবন জার্মান ফুটবলে প্রভাবিত ছিল। আমি সব সময়ই আমার টেনিসে জার্মান ফুটবল দলের “প্রতিপক্ষকে ছিঁড়ে ফেলার’ মনোভাবটা বজায় রাখতাম। জার্মান ফুটবল অনুসরণ করে আমি তো সফলই হয়েছি।’
বরিস বেকার গর্বিত জার্মান ফুটবল নিয়ে। নিজের দেশ যে দুবার বিশ্বকাপ জিতেছে, এই ব্যাপারটা তাঁকে দারুণভাবে টানে। তাঁর মতে, জার্মান ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতীকের নাম ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার।
আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে টেনিস বিশ্বে জার্মানির পতাকা উড়িয়েছিলেন বরিস বেকার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্টেফিগ্রাফ। ওই সময় কোর্টে এই দুই জার্মানের রাজত্ব মোহাবিষ্ট করে তুলেছিল ক্রীড়ামোদীদের। ওই সময়টা চিরজাগরূক বরিস বেকারের হূদয়ে। ‘সত্যিই, দারুণ ছিল সময়টা’, বলেছেন বরিস বেকার।
©somewhere in net ltd.