![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মত আমার জীবন, আমি জীবনকে লালিত করি । জীবন সে তো কাগজের নৌকা ।
আশুরার রোজা
নবী করিম (সা.) বলেন, যদি আমি আগামী বছর বেঁচে থাকি তাহলে ৯ তারিখেও অবশ্যই রোজা রাখব
বছরের সব কয়টি দিনের মধ্যে ১০ মহররমের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক বেশি। এ দিনে মহান আল্লাহ তায়ালা তার কুদরত প্রকাশ করেছেন। বনি ইসরাইলের জন্য সমুদ্রে রাস্তা বানিয়েছেন এবং সে রাস্তা দিয়ে তাদের নিরাপদে পার করেছেন। পক্ষান্তরে ওই রাস্তা দিয়ে ফেরাউন ও তার অনুসারীদের ডুবিয়েছেন।
(বোখারি : ১/৪৮১)।
এ নেয়ামতের শুকরিয়াস্বরূপ মুসা (আ.) তার কওমকে নিয়ে আশুরার দিনে রোজা রাখতেন। নবী করিম (সা.) এ দিন গুরুত্ব সহকারে রোজা রাখতেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি নবী করিমকে (সা.) আশুরার দিন ও রমজান মাসে যেভাবে যতেœর সঙ্গে রোজা রাখতে দেখেছি, সেভাবে অন্য কোনো সময় দেখিনি। (বোখারি : ১৯০২)।
অন্য এক হাদিসে আছে, আবু কাতাদাহ থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, আমি আশা করি, আশুরার রোজার ওসিলায় আল্লাহ তায়ালা অতীতের এক বছরের (সগিরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। (তিরমিজি : ৭৪৯)।
আলীকে (রা.) এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিল, রমজানের পর আর কোন মাস আছে যাতে আপনি আমাকে রোজা রাখার আদেশ করেন। তিনি বললেন, এ প্রশ্ন নবী করিম (সা.) এর কাছে জনৈক সাহাবি আরজ করেছিলেন, তখন আমি তার খেদমতে উপস্থিত ছিলাম। উত্তরে নবী করিম (সা.) বললেন, রমজানের পর তুমি রোজা রাখতে চাও তবে মহররম মাসে রাখ। কারণ এটি আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন আছে, যে দিনে আল্লাহ তায়ালা একটি জাতির তওবা কবুল করেছেন এবং ভবিষ্যতে ও অন্যান্য জাতির তওবা কবুল করবেন। (তিরমিজি : ৭৩৮)।
আশুরার রোজা সম্পর্কে অন্য এক হাদিসে আছে, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) এরশাদ করেছেন, তোমরা আশুরার রোজা রাখ এবং ইহুদিদের সাদৃশ্য পরিত্যাগ কর, আশুরার আগে ও পরে আরও একদিন রোজা রাখ। (মুসনাদে আহমাদ : ১/২৪১)।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, যদি আমি আগামী বছর বেঁচে থাকি তাহলে ৯ তারিখেও অবশ্যই রোজা রাখব। (মুসলিম : ২১৫৪)।
মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান
কায়রো, মিসর থেকে
©somewhere in net ltd.