নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

abaliyo kothon

আমি বাংলাদেশী, কোন সমস্যা

মারসেনারি

পরে বলি

মারসেনারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

জহুরুল হক হলের ঘটনাটা কি চোখের আড়ালেই থাকবে?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০১

জহুরুল হক হলের ঘটনাটা কি চোখের আড়ালেই থাকবে?



অনেক ঘটনাই থাকে যা আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। এর মধ্যে কিছু ঘটনা আমাদের মধ্যে ভাবালুতা তৈরি করে না, আর কিছু ঘটনার ভাবালুতা তৈরি করার ক্ষমতাই থাকে না।



আমাদের ভার্সিটি লাইফে রেগিং একটা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়েই দাঁড়িয়েছিলো। ভার্সিটির বাইরের মানুষকে এই রেগিং নামক মানসিক অত্যাচারের কথা বললে তারা বিশ্বাসই করেন না। আবার হলের বড় ভাইদের জানালে তারা এটাকে কিছু মনেই করেন না। তাদের জবাব, "আমরাও ওরকম ব্যাবহার পেয়ে এসেছি।"

গত কয়েকদিন আগে মাহবুব হাসানের লেখায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মেয়ের রেগ খাওয়ার ঘটনাটি পড়লাম। ঘটনাটি দুঃখ জনক। তবে সত্য কথা এই যে ভার্সিটির ফার্সট ইয়ারের ছেলে-মেয়েরা এই রেগিং নামক পশুসুলভ অত্যাচার অহরহই ভোগ করে থাকে।



যে ঘটনাটি বলতে চাচ্ছি, সেটি হয়তো অন্যান্য বারের মতো আমার কাছে স্বাভাবিক বলেই বিবেচিত হতো যদি না মাবুব হাসানের লেখাটি আমি না পড়তাম। গত রবি বারের ঘটনা বলছি।



জহুরুল হক হল। ঢাকা ইউনিভার্সিটি। রাত ১০ টায় ফার্সট ইয়ারের সব ছেলেকে গেস্ট রুমে ডাকা হয়েছে। গেস্ট রুমে ঢুকার সময় সবাইকে জনপ্রতি সালাম, হ্যান্ডশেক করতে হয়। তারপর সবাইকে সামনে দাঁড় করিয়ে শুরু হয় অকথ্য মানসিক নির্যাতন। এরই ফাঁকে সদ্য গ্রাম থেকে এসে ঢাবি-তে ভর্তি হওয়া এক ছেলেকে এক বড়ভাই প্রস্ন করলো:

-নাম কী?

ছেলে: (মি। এক্স)

ভাই: সোজা হয়ে দাঁড়াও। দাড়ি কামাও নাই কেন?

ছেলে: ভাইয়া, সময় পাই নি।

ভাই: হাস ক্যান? দাঁত দেখা গেলে চড়ায়া দাঁত ফেলে দিমু।

ভাই ২: এই ছাগল, চোখ নিচে নামা। চোখে চোখে তাকাস ক্যান?

ছেলে: স্যরি ভাইয়া...

ভাইয়া ৩: এই তুইই না হ্যান্ডশেকের সময় হাত ঝাঁকি দিসস? হাত ঝাঁকি দিসস ক্যান?

ছেলে: ...মানে..মানে..

ভাইয়া: এই মাদার চোদ ! কথা কস না ক্যান?

ভাইয়া ২: ..ওই প্যান্ট খোল, ..প্যান্ট খোল.. !

(ছেলেটি প্যান্ট খুললো)

ভাইয়া ২: (আরেক জনকে উদ্দেশ্য করে).. ওই একটা কিরিচ নিয়ে আয়।

বলার সাথে সাথেই এক ছেলে একটা ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলো। এবং সাথে সাথেই ছেলেটি ফিট হয়ে যায়।

জাহাঙ্গীরনগরের ঘটনা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ ঘটনাটাকে গুজবও বলছেন। কিন্তু জহুরুল হক হলের ঘটনাটি মিথ্যা নয়, এই নিশ্চয়তা আমি ১০০% দিতে পারি।



ঢাবিতে পড়তে এসে ছেলেটির বর্তমান মানসিক অবস্থা একবার আপনাদের কল্পনা করার অনুরোধ করছি।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

হাঁসি মুখ বলেছেন: ঘটনা সত্য নাকি জাবির মত ভুয়া?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

মারসেনারি বলেছেন: ভাই আমার সামনে ঘটছে

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

শূন্য পথিক বলেছেন: ভালোই শুরু হইছে! X(( X(( X((

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

মারসেনারি বলেছেন: এটা এখন শুরু হয়নাই, অনেক আগে থেকেই চলছে

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

স্বপ্নের মানুষ বলেছেন: :( :( :( :(




ব্লগ? ফোরাম? চ্যাট?
সব কিছু এইখানে

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

মারসেনারি বলেছেন: ভালোই বিজ্ঞাপন দিলেন

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

মোঃ নুর রায়হান বলেছেন: হাঁসি মুখ ভাই, জাবির ঘটনাও যেমন সত্য, এই ঘটনাও সত্য

সবখানেই রাগিং আছে ভাই। এইটা নিয়ে বেশ লেখালিখি হচ্ছে। আশা করছি আশু এর সমাধান হবে। X( X( X( X(

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২১

মারসেনারি বলেছেন: রেগ হবেই, কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত রেগের মানে কি

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

মোঃ নুর রায়হান বলেছেন: আমারও এই একি কথা। মাত্রাতিরিক্ত রেগের মানে কী!
তবে ভাই আমার মতো নিষ্ঠুর রেগ আমি কাউকে খেতে দেখি নি বা কখনো শুনিও নি।
আমি চাই আমাদের দেশের শিক্ষাঙ্গন থেকে এই রেগ মূলোৎপাটন হোক।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

মারসেনারি বলেছেন: ভাই আপনার ঘটনাটা লিখুন

৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

মুহাই বলেছেন: কবে ঘটছে?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

মারসেনারি বলেছেন: গত রবিবার ভাইয়া

৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

ইলুসন বলেছেন: ইদানিং একটা ব্যাপার অনেক বেশি করে লক্ষ্য করা যায়। কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন নেতিবাচক খবর আসলেই ওই প্রতিষ্ঠানের সবাই উঠে পড়ে লাগে সেটাকে মিথ্যে প্রমাণ করতে। আসলেই ঘটনাটি ঘটেছে কিনা তার থেকে বড় হয়ে দাঁড়ায় নিজের প্রতিষ্ঠানের মান মর্যাদা রক্ষা করা।

১। যুদ্ধাপরাধ, বিএনপির সাথে জামাতের জোট

২। ভিকারুন্নিসা, পরিমল

৩। পারসোনা, কানিজ আলমাস, প্রথম আলো

৪। ইউ ল্যাব, ইভ টিজিং

৫। বিশ্বজিৎ, আওয়ামীলীগ

৬। র‍্যাগিং, জাহাঙ্গিরনগর

আজকে আবার এই ঘটনা শুনলাম। এর মাঝে কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা তা জানি না। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই দেখা গেছে নিজেদের গা বাঁচানোর একটা চেষ্টা। নিজের প্রতিষ্ঠানের মান মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে আপনি আপনার আরেক ভাই/বোনের অধিকার খর্ব করেছেন কিনা, তার ক্ষতি করছেন কিনা সেটা ভেবে দেখা দরকার। কারন, জীবনটা খুবই জটিল, আজকে তার যে অবস্থা সেই অবস্থায় বা তার থেকে বাজে অবস্থাতে আপনি পড়তে পারেন। তখন হয়ত কেউ আপনাকে সাহায্য করতে না এসে নিজের প্রতিষ্ঠানের গা বাঁচাতে চাইবে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

মারসেনারি বলেছেন: আমাদের কাছে প্রতিষ্ঠানের ইমেজ সবসময়ে বড় , ভালো পয়েন্ট তুলে ধরেছেন, ধন্যবাদ ভাইয়া

৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: ইলুসন ভালো পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। গা বাচনো নীতি খুব খারাপ। সাময়িক সমাধান মনে হলেও আপনার বিপদ আসলে আরো ঘনীভূত হয়। আফসোস এরা কেউ বোঝে না। মায়ায় অন্ধ হয়ে থাকে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

মারসেনারি বলেছেন: গা বাঁচানো নীতি ছাড়া আমরা কি করতে পারি, রেগ খাওয়া ছেলেরা প্রায় সবাই গ্রাম থেকে আসে

৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

মোঃ নুর রায়হান বলেছেন: লিখবো ভাই, একটা পোস্ট লিখব এইটা নিয়ে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

মারসেনারি বলেছেন: ভাই আমাদের সচেতনতা দরকার, আমার কিচ্ছু করতে পারবনা
বিশ্বাস করুন , আমরা আর কিচ্ছু করতে পারবনা

১০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

ধৈঞ্চা বলেছেন: আমি প্রথম বর্ষের প্রথম দিনেই হলের বড় ভাইদের দ্বারা চরম রেগিংয়ের শিকার হয়েছিলাম। প্রথম কিছুদিন মনে কষ্ট পেলেও যে ২টা বেশী উৎসাহী ছিল আমরা কয়েকজন তাদের টার্গেট করে রেখেছিলাম। এর প্রায় কয়েক বছর পর ঐ ২টা মাষ্টর্স শেষ সেমিষ্টারের ছাত্র, আমরা সবে ফাইনাল ইয়ারে উঠেছি। একটা হঠাৎ হল ছাড়ল টের পেলাম না। তাই দেড়ি না করে অন্যটাকে সুযোগ পেয়ে আমরা ৪জন সেই মজাটা করলাম যা আমাদের সাথে করা হয়েছিল। বড় ভাইয়ের গায়ে হাত তুলতে সামান্য লজ্জা হচ্ছিল তবে অতীতের কথা মনে হওয়ায় সমস্যা হয়নি। বড় ভাই অবশ্য ব্যাপারটাতে পলিটিক্যাল রং লাগাতে চেষ্টা করেছিল কিন্তু সুবিধা করতে পারে নাই।
এখন যারা রেগিংয়ের শিকার হচ্ছ তাদের প্রতি উপদেশ হলো তোমরা কতৃপক্ষের দিয়ে চেয়ে থেকে সমাধানের আশা করো না। যাষ্ট টার্গেট করে রাখো, সময় ও সুযোগ একসময় আসবেই, তখন কাজে লাগিও.........

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১০

মারসেনারি বলেছেন: ভাইয়া , আমরাও রেগ করব কিন্তু সুস্থ রেগ যাতে কেও অজ্ঞান না হয়

১১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

আতাউররহমান১২০০৭ বলেছেন: র‍্যাগিং বহুদিন ধরেই বিশ্ব বিদ্যালয়ে নতুন পড়ুয়া ছাত্র -ছাত্রীদের জন্য এক অমানুষিক যন্ত্রনার নাম। এটা নিয়ে আমাদের মিডিয়ায় কোন উচ্চবাচ্য নাই। কেউ কিছু প্রকাশ ও করেন না। যারা একবার র‍্যাগিং এর শিকার হন তারা পরের বার অন্য কাউকে র‍্যাগ দিতে তক্কেতক্কে থাকেন। বিশেষ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এই কাজের জন্য সুবিখ্যাত !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.