![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনুমতি ব্যতিত কোনো লেখা বা লেখার অংশ কপি করবেন না। এই নিন্দনীয় কাজটা আমিও করি না, আশা করবো আপনিও করবেন না।
(১)
আমি চুপচাপ ছাদে বসে আছি। ভোর হচ্ছে। মৃদুমন্দ বাতাস বইছে। সূর্য আর কিছুক্ষণের মাঝেই উঠবে। আমি সূর্যোদয় দেখার অপেক্ষায় বসে আছি। তবে সূর্যোদয় দেখতে পারব কিনা বুঝতে পারছি না। পূব আকাশে মেঘ জমেছে। মেঘের কারণে সূর্যের আগমন ঠিকমত বুঝা যাচ্ছে না। আশেপাশে বেশ কিছু বাড়ির ছাদে দুই-একজন মানুষ উঠেছে। তারাও আমার মত চুপচাপ বসে আছে।
একটু পর মিলি কফি নিয়ে ছাদে উঠে এলো। সাথে একটা বাটিতে একটু মুড়ি। সিমেন্টের বসার জায়গার এক কোনায় আমি সরে আসলাম। মিলি বসার জায়গার মাঝখানে মুড়ির বাটি আর দু মগ কফি রাখল। আমি বাটি থেকে এক মুঠ মুড়ি মুখে দিয়ে কফিতে চুমুক দিলাম। মিলিও মুখে মুড়ি দিয়ে কফি খেতে লাগল।
-নিতুর ঘুম ভাঙছে? খেতে খেতে আমি প্রশ্ন করলাম।
-না এখনো ভাঙে নাই। ঘুমাক আরেকটু। আজকে তো অনেকদূর জার্নি করতে হবে।
আমি মাথা নাড়লাম। -হুম। ঘুমাক আরো কিছুক্ষণ।
পাশের একতালা বাড়ির ছাদে জামান সাহেব উঠলেন। হাতে গাছে পানি দেয়ার পাত্র ধরে রেখেছেন। ভদ্রলোকের বাগান করার শখ। হরেক রকম গাছ লাগিয়েছেন বাগানে। কিছু গাছ ফুলের, কিছু ফলের। এই কিছুদিন আগে ওনার গাছের আম খেয়েছি। হরেক রকম গোলাপের গাছ আছে। আমি শখ করে ওনার কাছ থেকে লাল, কালো আর সাদা গোলাপের চারা এনে লাগিয়েছিলাম আমাদের বাসার সামনের ফাঁকা জায়গাটায়। তবে কিছুদিনের মধ্যেই শখ চলে গেছে। বাগান করা যথেষ্ট খাটুনির ব্যাপার। এখন মিলি ফুলের গাছের যত্ন নেয়, গাছে পানি দেয়, আগাছা পরিষ্কার করে। নিতু প্রায়ই এই কাজে ওর মাকে সাহায্য করে।
আমি বসা থেকে উঠে ছাদের রেলিঙের দিকে এগিয়ে গেলাম। জামান সাহেব নিবিষ্ট চিত্তে গাছে পানি দিচ্ছেন। আমি ওনাকে ডাকলাম।
-জামান ভাই, আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
জামান ভাই পানি ঢালা বন্ধ করে আমার দিকে তাকিয়ে হাসলেন। -ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। কেমন আছেন?
-আছি ভাই আল্লাহ্র রহমতে ভালই। আপনার খবর কি?
-এই তো ভাই। আল্লাহ ভালই রাখছে।
-ভাবীর অসুখ ভাল হইছে?
-এখন কিছুটা ভাল। জ্বর নাই। তবে শরীর এখনো কিছুটা দুর্বল।
আমি মাথা নাড়লাম। -হুম............তা আজকে যাবেন ঢাকায়?
-ইনশাআল্লাহ্ যাবো। আপনারা যাবেন না?
-হ্যাঁ। ভাবি যাবে?
-আমি মানা করছি যেতে। কিন্তু ও মনে হয়না আমার কথা শুনবে।
মিলি আমাকে পিছন থেকে ডাক দিল। আমি আবার বসার জায়গায় ফিরে আসলাম। মিলি বলল- তুমি কি আরো কিছুক্ষণ ছাদে থাকবে?
-হ্যাঁ, কেন?
-আমি নিচে যাচ্ছি। নাস্তা বানাতে হবে। তুমি তাইলে একটু পরে নিচে এসো। আর রওনা দিবা কখন?
-এগারোটার দিকে রওনা দিই? আমি মিলির দিকে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকালাম।
মিলি মাথা নাড়ল। -ঠিক আছে।
মিলি নিচে নেমে গেল। আমি চুপচাপ বসে আছি বেঞ্চে। সূর্য উঠে গেছে। মেঘের আড়াল থেকে যদিও সূর্যকে দেখা যাচ্ছে না, তবে পূর্ব আকাশে লাল আভা ছড়িয়ে সূর্য তার উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। আকাশের ওপাশটা এখন লাল রঙে রাঙা হয়ে গেছে। এক মহা শক্তিধর সত্তা তার বিশাল ক্যানভাসে ইচ্ছামত রংতুলির আচড় দিচ্ছেন। আমি সেই বিশাল ক্যানভাসের দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।
আজকে আমার জন্য বিশেষ একটা দিন। আমি আজকে ঢাকায় যাব।
(২)
নিতু ঘুম থেকে উঠে নিজে নিজেই দাত ব্রাশ করে মুখ ধুয়ে আমার কাছে এসে তার সমস্ত দাঁতগুলো দেখিয়ে প্রশ্ন করল- বাবা, দেখোতো সবগুলা দাঁত পরিষ্কার হয়েছে কিনা?
আমি ওর দিকে তাকিয়ে হেসে বললাম-হ্যাঁ মা, সব দাঁত ঝকঝক তকতক করছে।
নিতু হাসিমুখে আমার পাশে বসে পড়ল। তারপর বলল- আজকে কি বার বাবা?
আমি বললাম- আজকে বুধবার মা।
-আজকে তো আমার স্কুল বন্ধ তাইনা?
-হ্যাঁ।
-আজকে ঢাকা যাবে না বাবা?
আমি মাথা নাড়লাম।
-কখন যাবে বাবা?
-তুমি নাস্তা খাও, গোসল করে রেডি হও। তারপর যাবো।
-নাস্তা তো টেবিলে নেই।
-তোমার মা মনে হয় এখনো নাস্তা বানানো শেষ করেনি। দেখোতো আর কদ্দূর বাকি নাস্তা হতে।
নিতু দৌড়ে রান্না ঘরের দিকে চলে গেল।
আমি আর মিলি নিতুর সাথে সবসময় শুদ্ধ ভাষায় কথা বলি। যার ফলে নিতুও আমাদের দেখাদেখি শুদ্ধ ভাষায় কথা বলা শিখে গেছে। যদিও আমরা নিজেরা যখন একা একা কথি বলি তখন সবসময় এই নিয়মটা মানি না। প্রথম প্রথম খুব ঝামেলা হত এই শুদ্ধ ভাষায় কথা বলা নিয়ে। মিলি তো বিরক্তই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। আর সমস্যা হয় না।
নিতু রান্নাঘর থেকে দৌড়ে আবার আমার কাছে এসে বলল- বাবা, আর শুধু ডিম ভাজা বাকি। তাহলেই নাস্তা রেডি।
-গুড।
-আমাদের সাথে আর কে কে ঢাকা যাবে বাবা?
-পাশের বাসার আঙ্কেল-আন্টিও যাবে। আরো কত মানুষ যাবে!
-আমরা কি বাসে যাব না গাড়িতে?
-দেখি কি করে যাই।
মিলি রান্না ঘর থেকে ডাক দিল। -নাস্তা রেডি। তোমরা আসো।
আমি নিতুকে কোলে নিয়ে রান্না ঘরের দিকে এগিয়ে গেলাম। মিলি রান্নাঘরের মেঝেতে পাটি বিছিয়ে বসার আয়োজন করেছে। আমি নিতুকে কোল থেকে নামিয়ে রুটির বাটিটা তাকের উপর থেকে নিচে নামালাম। ডিম ভাজিগুলা কড়াই থেকে একটা পিরিচে বাড়লাম। নিতু সেলফ থেকে তিনটা প্লেট নামিয়ে রাখল পাটিতে। মিলি জগে পানি ভরে আনল।
আমি তিনটা ডিম তিনটা প্লেটে বেড়ে দিলাম। দুটো রুটি ছিড়ে টুকরা টুকরা করে নিতুর প্লেটে তুলে দিলাম। তারপর একটা রুটি নিজের প্লেটে উঠিয়ে খাওয়া শুরু করলাম।
একটু পরে নিতু বলল- বাবা, তুমি মনে হয় আমাকে ভুল ডিম দিয়েছ!
আমি অবাক হয়ে নিতুর দিকে তাকালাম।-ভুল ডিম দিয়েছি মানে?
নিতু তার ডিমটা দেখিয়ে বলল- দেখো,আমার ডিমে মরিচ দেয়া, আমি কি মরিচ খাই?
আমি নিতুর ডিমের দিকে তাকালাম। ঘটনা সত্যি। নিতুর ডিমে মরিচ দেয়া। আমি আমার ডিমের দিকে তাকালাম। আমার ডিমেও মরিচ দেয়া। মিলির ডিমের দিকে তাকালাম। মিলিও নিজের ডিমের দিকে তাকাল। তার ডিমেও মরিচ দেয়া।
আমি বললাম- তোমার মা আজকে ভুলে সবগুলো ডিমেই মরিচ দিয়ে দিয়েছে। থাক সমস্যা নেই। আমি তোমার ডিমের মরিচ বেছে দিচ্ছি।
আমি নিতুর ডিমের মরিচগুলো বেছে দিলাম। মিলি চুপচাপ খেয়ে যাচ্ছে। ওর কখনই এই ধরণের ভুল হয় না। আজকে হয়েছে। হতেই পারে। কারণ আজকে মিলিরও একটা বিশেষ দিন। মিলিও আজকে ঢাকায় যাবে।
(৩)
একটা মাইক্রোবাসে চড়ে আমরা ঢাকা যাচ্ছি। আমরা তিনজন, জামান ভাই এবং ভাবী, মাইক্রোবাসের ড্রাইভার জসিম আর তার দুই ভাই-এই হচ্ছে যাত্রী। আমি নিতুকে নিয়ে ড্রাইভারের পাশের সিটে বসলাম। আমরা সবাই ঢাকায় যাচ্ছি। গাড়িতে উঠেছি বেলা সাড়ে এগারোটায়। আর কিছুক্ষণের মাঝেই ঢাকায় পৌঁছে যাব।
আশেপাশে আরো অনেক গাড়িতে করে মানুষ ঢাকায় যাচ্ছে। রাস্তায় মোটামুটি ভীড়। আমি চুপচাপ সামনের দিকে তাকিয়ে আছি। কেউ কথা বলছে না। এমনকি নিতুর মত চঞ্চল স্বভাবের মেয়েও চুপচাপ আমার কোলে বসে আছে।
আমি ঘড়ি দেখলাম। সাড়ে বারোটা বাজে।একটার মধ্যে ঢাকা পৌঁছে যাব। যতই ঢাকার দিকে এগোচ্ছি, ভীড় ততই বাড়ছে। রাস্তায় অসংখ্য মানুষ। গাড়ি না পেয়ে অনেকেই হেঁটে ঢাকার দিকে রওনা করেছে। রাস্তা ভর্তি মানুষ আর মানুষ। নানান বয়সী মানুষ। কোলের বাচ্চা থেকে শুরু করে সত্তরোর্ধ বৃদ্ধও আছে। সবাই আস্তে আস্তে হেঁটে যাচ্ছে ঢাকার দিকে। কেউ কোনো কথা বলছে না। নিঃশব্দে হাঁটছে সবাই। গাড়ির হর্ণ আর মানুষের পায়ের শব্দ ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই। সবার গন্তব্যস্থল ঢাকা। আজকে সবার জন্যই বিশেষ একটা দিন।
দুপুর একটা পনেরো মিনিটে আমাদেরগাড়ি ঢাকা পৌঁছল। আমরা সবাই গাড়ি থেকে নামলাম। এবার বেশ খানিকটা হাঁটতে হবে। গাড়ি নিয়ে সামনে এগোনোর উপায় নেই। রাস্তায় প্রচুর মানুষ। আমি নিতুকে কোলে নিয়ে ধীরে ধীরে হাঁটা শুরু করলাম। মিলি আমার পাশে পাশে হাঁটছে।
আমার প্রিয় শহর ঢাকাকে এখন আর চেনা যায় না। আমরা এগোচ্ছি নিতুর নানু দাদুকে দেখতে। আমাদের আশেপাশে অসংখ্য টিভি ক্যামেরা গিজগিজ করছে। অনেকগুলো ক্যামেরার ফ্লাস একসাথে জ্বলছে আর নিভছে। আমি কোনোদিকেই তাকাচ্ছি না। আমি সামনে এগিয়ে চলেছি। আমাকে আরো অনেকটা পথ হাঁটতে হবে।
বেলা ২টা ৫ মিনিটে আমি আমাদের বাসার সামনে পৌছলাম। এটা নিতুর নানু এবং দাদুর বাড়ি। আমি আর মিলি চাচাতো ভাই-বোন।আমার বাবা-চাচারা এই বাড়িতে একসাথেই থাকত। নিতুকে কোল থেকে নামিয়ে আমি ধীরে ধীরে রাস্তায় বসে পড়ি। মিলিও আস্তে করে আমার পাশে বসে পরে। আমার চোখ দিয়ে হঠাৎ করেই অশ্রুধারা নেমে আসে। আমি হাউমাউ করে কাঁদতে থাকি। মিলিও আমার হাত চেপে ধরে কাঁদতে থাকে। নিতু চুপচাপ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার বাবা-মার কান্নার দৃশ্য দেখে। সে প্রতি বছরই দেখে তার বাবা-মা ঢাকায় তার দাদু-নানুর সাথে দেখা করতে এসে এভাবে কাঁদে। তার দাদু-নানুর সাথেও তার দেখা হয় না। তার বাবা-মার কান্নাও থামে না।
নিতু জানে না আজ থেকে ছয় বছর আগে এক প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পে ঢাকা শহর এক প্রকার ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। অসংখ্য মানুষ মারা যায়। আমার বাবা-মা, বোন, শ্বশুর-শ্বাশুড়ি, দেবর, শ্যালিকা-সবাই মারা যায় এই বাসায়।তাদের লাশটা পর্যন্ত পাইনি। আমি আর মিলি কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়ায় আমরা বেঁচে যাই। নিতু তখন মিলির পেটে। আমি আর মিলি এক নিমিষেই এতিম হয়ে যাই। আমাদের সাজানো গোছানো সংসার ভেঙে চুরে খান খান হয়ে যায়। বলা যায় এক প্রকার দিশেহারা হয়ে যাই। কয়েক মাস পর নিতুর জন্ম হওয়ায় আমাদের মাঝে ধীরে ধীরে স্থীরতা আসে। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় তখন যদি নিতুর জন্ম না হতো, তাহলে বোধহয় আমরা শোকে পাগলই হয়ে যেতাম।
আমরা কাঁদছি। আমাদের চারপাশে আরো অনেকেই কাঁদছে। হাউমাউ করে কাঁদছে। আজকে আমাদের কান্নার দিন। আজকে আমরা সবাই কাঁদবো, একসাথে কাঁদবো।
(গল্পটা আমার উদ্ভট মস্তিষ্কের কল্পনা। আমি মনেপ্রাণে চাই যেন এই কল্পনা কোনোদিনই বাস্তবে পরিণত না হয়। কিন্তু মাঝে মাঝে আমার ভয় হয়। খুব ভয় হয়। আল্লাহ্ আমাদের হেফাজত করুন। আমিন।
যেকোনো ধরণের গঠনমূলক সমালোচনা সাদরে গ্রহনযোগ্য।)
©Muhit Alam
৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৫
মুহিত আলম বলেছেন: ধন্যবাদ । আপনার নামটা পরিচিত লাগছে। আপনি কি ফেসবুকেও এই নামেই আছেন নাকি?
২| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৬
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: সত্যি চমৎকার লিখেছেন!!!!!!!!!
০১ লা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৩৫
মুহিত আলম বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: শেষে এমন পরিণতি আসবে আন্দাজ করতে পারিনি। ভালো লাগলো আপনার লেখা। (লেখার মাঝে স্পেস একটু কমায়া দিয়েন)।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৩৫
মুহিত আলম বলেছেন: ওকে। স্পেস কিমি। দিবনি। আর ধন্যবাদ
৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫৩
নাজমুল শািকল বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার লেখা।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৩৫
মুহিত আলম বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
নুসরাত আহসান বলেছেন: আমি খুলনাতে থাকি। আর আমার বাবা-মা ঢাকায় থাকেন। আমার মনের মাধ্যেও মাঝেমাঝে এ ধরনের আশংকা কাজ করে। যদি এমন কিছু......................................................
০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৬
মুহিত আলম বলেছেন: আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং দোয়া করতে হবে যাতে এরকম না হয়
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪০
সোহাগ সকাল বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন। এখন থেকে নিয়মিত আপনার গল্প পড়ার চেষ্টা করবো।