নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাংলায় কথা কই

আমি অতি সাধারণ মানুষ

মুহিত আলম

অনুমতি ব্যতিত কোনো লেখা বা লেখার অংশ কপি করবেন না। এই নিন্দনীয় কাজটা আমিও করি না, আশা করবো আপনিও করবেন না।

মুহিত আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলেমদের আপনি কোন দৃষ্টিতে দেখেন? বন্ধুরূপে না শত্রুরূপে?

০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

কয়েক বছর আগের কথা। চাকরির প্রয়োজনে ঢাকার বাইরে থাকি। অনেকটা গ্রাম্য এলাকা। একদিন মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে একটি মাসআলা নিয়ে এক হুজুরের সাথে আমার ব্যাপক তর্ক হয়। হুজুর প্রায় আমার সমবয়সী। তর্কের এক সময় হুজুর আমাকে জিজ্ঞেস করে- আপনি কি আরবী লাইনে পড়ছেন নাকি জেনারেল লাইনে? কিছুটা ধর্মীয় পড়াশুনা করায় আমার নিজের ওপর প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস। আমি মোটামোটি শিওর যে মাসআলার ব্যাপারে আমি সঠিক। আমি ঐ হুজুরকে বললাম- আরবী লাইনে পড়ি নাই বলে যে জানবো না তেমন কোনো কথা নাই। আপনে নিজেই জানেন না।

ঐ হুজুর আমাকে বলেন- এই জন্যই আপনি জানেন না। আরবী লাইনে পড়লে জানতেন।



আমি আরো কিছুক্ষণ ঐ হুজুরের সাথে তর্ক করলাম। মোটামোটি তাকে এক প্রকার অপমান করেই বাসায় ফিরলাম।



পরদিন আমি অফিসের এক মুরুব্বীকে মাসআলাটা জিজ্ঞেস করি। আমাকে অবাক করে দিয়ে হুজুরের উত্তরটাই ঐ মুরুব্বী আমাকে দেন। আমি ব্যাপারটা আরো শিওর হওয়ার জন্য ঢাকায় এসে আমাদের এলাকার মসজিদের খতিবকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনিও ঐ হুজুরের দেয়া উত্তরটাই দিলেন।



ঐদিনই আল্লাহ্‌ আমার চোখ খুলে দিয়েছেন। আমি আজকে ইঞ্জিনিয়ার হয়েছি ২০ বছর পড়ালেখা করার পর। ক্লাস টু-থ্রী এর বাচ্চা যদি আমার সাথে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে তর্ক করে তখন ব্যাপারটা যেরকম হাস্যকর দেখায়, তেমনি আমরাও এই হালকা পাতলা আরবী পড়নেওয়ালারা যখন ধর্মীয় বিভিন্ন ব্যাপার স্যাপার নিয়ে আলেমদের সাথে তর্ক জুড়ে দেই তখন ব্যাপারটা ঠিক সেরকম হাস্যকর দেখায়।



আলেমদের আমরা বলতে গেলে কোনো সম্মানই করি না। বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকায় দেখা যায় এই মসজিদের হুজুর ধর্ষণ করেছে, ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক ডাকাত দলের সদস্য—এরকম আরো হরেক রকম খবর। কিন্তু এই হুজুররাই যখন কোনো দুঃস্থ মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করে তখন কোনো নিউজ হয় না, কোনো বিধবা মহিলার ভরণপোষণের ব্যবস্থা করে তখন কোনো নিউজ হয় না।



আলেমদের মাঝেও ভাল খারাপ আছে। নবী রাসুল ছাড়া আর কেউই বেগুনাহ মাসুম নয়। আলেমরাও ভুল করবে। কিন্তু আলেমদের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিটা বদলানো জরুরি। তাদের মাধ্যমে আল্লাহ্‌ এই পৃথিবীতে এখনো ইসলাম টিকিয়ে রেখেছেন। তারাই ইসলামকে পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে দেয়ার কাজটা করছেন, একেকজন একেকভাবে।



আপনার বন্ধু যখন কোনো ভুল কাজ করবে তখন আপনি ব্যাপারটা যে দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবেন, আপনার শত্রু যদি ঐ একই কাজটা করে তখন আপনার দৃষ্টিভঙ্গি হবে সম্পূর্ণ আলাদা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কি আলেমদের বন্ধুরূপে দেখেন না শত্রুরূপে?

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

এম আর ইকবাল বলেছেন: যারা মুসলিম তারা কি কখনো আলেমদের শত্রু মনে করে ।
বিষয়টি নিতান্ত অমূলক ।

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

নীলাবেশ বলেছেন: আলেমদের মাঝেও ভাল খারাপ আছে। নবী রাসুল ছাড়া আর কেউই বেগুনাহ মাসুম নয়। আলেমরাও ভুল করবে। কিন্তু আলেমদের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিটা বদলানো জরুরি।

তবে কোন ব্যাপারে সন্দেহ থাকলে সেটা ক্লিয়ার হবার এবং আলেম দের জানানোর প্রয়োজন ও আছে।

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: চমৎকার একটি পোষ্ট। ভাল লাগল। জানার কোন শেষ নেই। আমরা অল্পকিছু জেনেই নিজেকে পন্ডিত ভাবি এটা মোটেও উচিত নয়। তার তর্ক করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সম্মান বজায় রাখতে হবে। তর্ক করতে হবে যুক্তি ও বুদ্ধির জোরে। একগুয়েমি দিয়ে নয়। ধন্যবাদ।

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নবী পাক সা বলেন , আলেম সমাজ কে যারা সম্মান করে আল্লাহ তাদের আখেরাত সুন্দর করে দেন , এবং তারা জান্নাতি

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

কান্টি টুটুল বলেছেন:

" নবী রাসুল ছাড়া আর কেউই বেগুনাহ মাসুম নয়। আলেমরাও ভুল করবে।"


তাই নাকি? আমাদের নবীর প্রতি আল্লাহর বাণী ....


".......আপনি আপনার গোনাহের জন্যে ক্ষমা প্রর্থনা করুন..."

সুরা আল মুমিন,আয়াত ৫৫

৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৭

বেলা শেষে বলেছেন: ....basically you are teaching us how we may fight with "Allem"! ??
...if you like please teach me about "Hightech"!

৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩৫

চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: ব্যাপারটা হচ্ছে আমাদের সো-কলড চেতনাধারীরা ফেসবুক, ব্লগ আর টক-শোতে চেতানার ঝান্ডা উড়ায় বেড়ায়। দিনের বেলা সাধু আর রাতে লাগে নিত্যনতুন এসকোর্ট আর সুধা।
দাড়ি টুপি আলা লোকজন দেখলে নব্য রাজাকার আর কাঠমোল্লা ট্যাগ লাগাতে এক সেকেন্ডও লাগেনা। তাদের চোখে মাদ্রাসা আর এতিমখানা সব জঙ্গীদের আখড়া যেখান থেকে নিত্যনতুন জঙ্গী প্রডাকশন হয়।
তো ঠিক আছে! তোমরা এতিমদের ভরোনপোষনের দায়িত্ব নাও! দেখায়া দাও যে তোমরা তাদেরচেয়ে ভাল কোন সিস্টেম প্রোভাইড করতে পারো!!
এই কথা বললেই সমস্যা। তখন দেখা যায় চেতনার উদিয়মান লৌহদন্ড পুরাতন ত্যানার মত ঝুলে যায়। পিঠটান মারে।
আর যদি কেও আলেম ওলামাদের সাপোর্টে ব্লগ বা সোশাল নেটওয়ার্কে কিছু লিখে তখন দেখবেন তারে কোপানোর জন্য বাইনোকুলার হাতে স্পেশাল পার্টি হাজির।

৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪১

উড়োজাহাজ বলেছেন: সমস্ত ব্যাপারটাই নির্ভর করছে আপনি তাকে কি প্রশ্ন করেছিলেন সেটার উপর । আলেম অর্থ জ্ঞানী। যিনি সত্যিকার জ্ঞানী হবেন তাকে অপমান করার কো ন মানেই হয় না। তবে মাদ্রাসা শিক্ষিত এবং আরবী জানলেই যে আলেম হয়ে যাবে তাও সঠিক নয়। কথিত আরবী শিক্ষিত আলেমদের মধ্যে হাজার হাজার বিভক্তি রয়েছে। সুতরাঙ তারা সবাই যদি আলেম হতো তাহলে জাতি বিদ্ধংসী এত মতবাদ, অনৈক্য সৃষ্টি হতো না।

৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪২

মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: মাশাআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, জাজাকাল্লাহু খাইরান। শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।

"আলেমদের মাঝেও ভাল খারাপ আছে। নবী রাসুল ছাড়া আর কেউই বেগুনাহ মাসুম নয়। আলেমরাও ভুল করবে। কিন্তু আলেমদের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিটা বদলানো জরুরি। তাদের মাধ্যমে আল্লাহ্‌ এই পৃথিবীতে এখনো ইসলাম টিকিয়ে রেখেছেন। তারাই ইসলামকে পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে দেয়ার কাজটা করছেন, একেকজন একেকভাবে।" - একমত।

মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।

১০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১২

দূষ্ট বালক বলেছেন: আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: চমৎকার একটি পোষ্ট। ভাল লাগল। জানার কোন শেষ নেই। আমরা অল্পকিছু জেনেই নিজেকে পন্ডিত ভাবি এটা মোটেও উচিত নয়। তার তর্ক করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সম্মান বজায় রাখতে হবে। তর্ক করতে হবে যুক্তি ও বুদ্ধির জোরে। একগুয়েমি দিয়ে নয়। ধন্যবাদ।

১১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৬

আজাদ আল্-আমীন বলেছেন: sondor likhechcen

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.