![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনুমতি ব্যতিত কোনো লেখা বা লেখার অংশ কপি করবেন না। এই নিন্দনীয় কাজটা আমিও করি না, আশা করবো আপনিও করবেন না।
১ম পর্বের লিঙ্কঃhttp://www.somewhereinblog.net/blog/muhitalam/29955366
দুইদিন কক্সবাজার থেকে ঘুরে এসে নুবিয়া আমাকে ফোন করল। এই দুইদিনেও কক্সবাজারে গিয়ে অনেকবারই বিভিন্ন কারণে ফোন দিয়েছে নুবিয়া। আমি অফিস থেকে ফেরার পথে ওর হোটেলে গিয়ে দেখা করলাম। ও আমাকে বলল- আজকে আমার সাথে ডিনার করবে?
-তোমার দলের অন্যরা কোথায়?
-অন্যরা টায়ার্ড। সবাই যার যার রুমে আছে। তোমার সময় হবে?
আমি ওকে নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে যাই। খাবার অর্ডার দিয়ে আমি জিজ্ঞেস করলাম- কেমন লাগল কক্সবাজার?
-দারুণ। দুর্দান্ত জায়গা।
-সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে কি?
-সবকিছুই ভাল লেগেছে। সবকিছুই অসাধারণ।
-হুম।
-আমি একটা কথা বলব।
-কি কথা?
নুবিয়া কিছুটা সময় নিচ্ছে। আমি চুপচাপ ওর দিকে তাকিয়ে আছি। রেস্টুরেন্টের আলো আধারিতে নুবিয়াকে অপূর্ব লাগছে। আস্তে আস্তে করে নুবিয়া বলল- আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।
আমি নুবিয়ার কথা শুনে চমকে উঠলাম। বলে কি এই মেয়ে! আমাকে বিয়ে করবে মানে? কক্সবাজার গিয়ে বাংলা-টাংলা জাতীয় কিছু কি পেটে বেশি পড়েছে?
আমি চুপচাপ বসে আছি। কি বলব কিছুই বুঝতে পারছি না। নুবিয়াও চুপচাপ বসে আছে। রেস্টুরেন্টের মিউজিকের মধ্যে এ নীরবতা অদ্ভুত রকমের।
আমাদের দুজনকে উদ্ধার করতেই যেন ওয়েটার খাবার দিয়ে গেল। চুপচাপ আমি প্লেটে খাবার তুলে নিলাম। নুবিয়া কিছু নিচ্ছে না। আমি বললাম- কিছু খাবে না?
নুবিয়া কিছু না বলে প্লেটে খাবার তুলে নিলো। খাওয়ার মাঝে আর কোনো কথা হল না। খাওয়া শেষে বিল চুকিয়ে দিয়ে বেড়িয়ে আসলাম। বাইরে বেড়িয়ে নুবিয়া বলল- আমরা কাল চলে যাচ্ছি।
-ও।
-সকাল দশটায় ফ্লাইট।
-ও।
-তুমি আসবে আমাদের সি-অফ করতে?
-নিশ্চয়ই।
-ওকে। তাহলে কালকে সকালে দেখা হচ্ছে। বাই।
-তোমাকে এগিয়ে দিই হোটেল পর্যন্ত?
নুবিয়া হেসে বলল- দরকার নেই। হোটেল এখান থেকে দেখাই যাচ্ছে। আমি যেতে পারব। তুমি চলে যাও। গুডনাইট।
কথা শেষ করে নুবিয়া উল্টোদিকে ঘুরে হাঁটা শুরু করল। আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে নুবিয়ার চলে যাওয়া দেখছি। ও হোটেলে ঢুকার আগ পর্যন্ত আমি ওখানেই দাঁড়িয়ে রইলাম। মনে একটা ক্ষীণ আশা ছিল নুবিয়া হয়তো পিছনে ফিরে তাকাবে। কিন্তু নুবিয়া কোনোদিকে না তাকিয়ে সোজা হোটেলে গিয়ে ঢুকল। আমিও বাসার পথ ধরলাম।
পরদিন এয়ারপোর্টে নুবিয়াকে বিদায় জানাতে গেলাম। নুবিয়া হাসিমুখে আমার কাছ থেকে বিদায় নিলো। বলল- গেলাম মুহিত। আমি আবারো আসব।
আমিও হাসিমুখে বললাম- নিশ্চয়ই আসবে। তোমাকে সব সময় স্বাগতম।
-এরপর আসলে অনেকদিনের জন্য আসব। অনেক অনেকদিনের জন্য।
এয়ারপোর্টে এনাউন্সমেন্ট হচ্ছে। নুবিয়া ভিতরে চলে যাচ্ছে। যাওয়ার আগে বলল- ভাল থেকো।
আমি বললাম- তুমিও ভাল থেকো।
**************
ছুটির দিন বলে দুপুর বেলা ঘুমাচ্ছিলাম। ঘুমানোর জন্য চমৎকার পরিবেশ। সারাদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুর বেলা খিচুড়ি আর গরুর মাংস খেয়ে বেশ আয়েশ করেই আমি ঘুম দিলাম। কিন্তু মোবাইল বেজে উঠায় বেশিক্ষণ ঘুমাতে পারলাম না। একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন এসেছে।
ঘুম ঘুম গলায় ফোন রিসিভ করলাম। -হ্যালো?
-হ্যালো, মুহিত?
-হুম, কে বলছেন?
-আই কান্ট আন্ডারস্ট্যান্ড। আর ইউ মুহিত? আই এম নুবিয়া।
লাফ দিয়ে বিছানায় উঠে বসলাম। নুবিয়া ফোন করেছে। তারমানে সে বাংলাদেশে এসেছে! অথচ আমাকে কিছুই জানায়নি। এতদিন ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু একবারের জন্য সে বলেনি ও বাংলাদেশে আসছে। আমি বললাম- আর ইউ ইন বাংলাদেশ?
-ইয়েহ।
-কিন্তু তুমি তো আমাকে জানাওনি যে তুমি আসছো?
-সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য। তুমি কোথায়?
-আমি বাসায়। তুমি কোথায়?
-আমি আগের হোটেলেই উঠেছি। তোমার বাসার ঠিকানা বলো।
-কেন?
-তোমার বাসায় আসব।
-মানে?
-মানে টানে কিছু না। তোমার বাসায় আসব। ঠিকানা বল।
আমি ঠিকানা বললাম। নুবিয়া বলল- আজকে সন্ধ্যায় তোমার বাসায় আসছি।
আমি ফোন রেখে বিছানায় কিংকর্তব্যবিমুড়ের মত বসে রইলাম। এখন বাসায় নুবিয়ার আসার ব্যাপারটার একটা গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে হবে। নুবিয়া যদি উল্টাপাল্টা কিছু বলে তাহলে খবর আছে আমার। বাবা-মা কিছুতেই একটা বিদেশীর সাথে বিয়ের ব্যাপারে সম্মত হবে না।
আমি আমার ছোটবোনকে নুবিয়ার ব্যাপারটা খুলে বললাম। সে আমাকে অভয় দিয়ে বলল- ভাইয়া, কোনো চিন্তা করবা না। আমি পুরো ব্যাপারটা হ্যান্ডেল করবো। সমস্যা হবে না।
সমস্যা না হলেই হয়। মাকে বললাম সন্ধ্যায় আমার এক মিশরীয় কলিগ আসবে বাসায়। আমার মা তো মহাখুশি। বিদেশী আসবে বাসায়! এতো বিরাট ব্যাপার। আম্মা বিরাট তোরজোড় শুরু করল। বাবাকে বাজারে পাঠাল। বাবা বাজার থেকে জিনিসপত্র নিয়ে ফেরার পর দেখা গেল আরো কিছু জিনিস দরকার। এবার আমাকে বাজারে পাঠাল। আমি জিনিসপত্র নিয়ে বাসায় ফিরলে আমাকে বলল- মিশরীয়রা কি খেতে পছন্দ করে?
-আমি জানি না।
-তা জানবি কোত্থেকে! দেখি আমার মোবাইলটা আন।
আমি মোবাইল এনে দিলাম। আম্মা গুগলে সার্চ দিলেন মিশরীয়দের পছন্দের খাবার। আমি প্রমাদ গুনলাম। কি উল্টাপাল্টা খাবার এখন বানাবে আল্লাহই জানে।
নুবিয়া সন্ধ্যা সাতটার সময় আমাকে ফোন দিল। সে মেইন রোডে দাঁড়িয়ে আছে। এবার কোনদিকে যেতে হবে জানতে চাইল। আমি ওকে গাড়ি ছেড়ে দিয়ে ওখানেই দাড়াতে বললাম।
আমি মেইন রোডে গিয়ে দেখি নুবিয়া হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখে তার মুখের হাসি আরেকটু চওড়া হল। আমি ওকে নিয়ে আমাদের বাসার গলিতে ঢুকলাম। -হঠাৎ বাংলাদেশে?
-তোমাকে বিয়ে করতে এসেছি।
আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়লাম। -মানে?
-মানে আবার কি? তোমাকে বিয়ে করতে এসেছি।
-তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে নুবিয়া?
-আমার মাথা ঠিকই আছে।
-তাহলে কি আমার মাথা খারাপ হয়েছে?
নুবিয়া হাসতে হাসতে বলল- তোমার মাথা খারাপ হবে কেন?
-আমি তো তোমার ব্যাপার স্যাপার কিছুই বুঝতে পারছি না।
-কি বুঝতে পারছ না?
-তুমি আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছো কেন?
-তোমাকে ভাল লেগেছে তাই।
-আমার বাবা-মা এ ব্যাপারটা মেনে নিবে না।
-তাদেরকে মানানোর জন্যই তো এসেছি।
-দেখ তুমি তাদের উল্টাপাল্টা কিছু বলো না। আমার বাসায় থাকাই তাহলে মুশকিল হয়ে যাবে।
নুবিয়া হেসে দিল। বলল- আমার উপর ভরসা রাখতে পারো। আমি উল্টাপাল্টা কিছুই করবো না। আর তুমি কি আমাকে এখন তোমার বাসায় নিবে না রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখবে?
আমি নুবিয়াকে বাসায় নিয়ে গেলাম। চমৎকার একটা সন্ধ্যা কাটল। আমার বোন এবং মা নুবিয়ার পুরো ফ্যান হয়ে গেল। বাবাও নুবিয়াতে মুগ্ধ। নুবিয়া বিয়ের ব্যাপারে কিছুই বলল না।
রাত সাড়ে নয়টায় নুবিয়া বিদায় নিলো। আমি ওকে একটা ট্যাক্সিক্যাব ঠিক করে দিলাম। নুবিয়াকে জিজ্ঞেস করলাম- কেমন লাগল?
নুবিয়া বলল- দারুণ। খুব ভাল কিছু সময় কেটেছে।
আমি বললাম- তোমাকে ধন্যবাদ। আবার এসো।
নুবিয়া ট্যাক্সিতে ঢুকতে ঢুকতে হাসিমুখে বলল- তোমাকে বলতে হবে না। আমি আবার আসব।
দুই সাপ্তাহ পরে একদিন অফিস থেকে ফেরার পর মা বললেন- যা তো, বাজার থেকে দুইটা মুরগী নিয়ে আয়।
আমি ডাইনিং রুমে বসে পানি খেতে খেতে জিজ্ঞেস করলাম- এখন মুরগী দিয়ে কি হবে? রান্না করবা নাকি?
মা মাথা নাড়ল। -হু, নুবিয়া আসবে।
পানি খেতে গিয়ে বিষম খেলাম। পানি নাকেমুখে উঠে গেল। কাশতে কাশতে বললাম- নুবিয়া আসবে মানে?
-ও ফোন করেছিল। বলল যে সন্ধ্যার সময় আসবে।
-ও তোমার ফোন নাম্বার পেল কোত্থেকে?
-যেদিন প্রথম এসেছিল সেদিনই ফোন নাম্বার নিয়েছি। মাঝে মাঝে ফোনে কথাও বলি ওর সাথে। যদিও খুব ঝামেলা হয় কথা বলতে। ইংরেজিতো অত ভাল বলতে পারি না।
আমি আর কিছু না বলে বাজারে গেলাম মুরগী আনতে। আম্মা খুব বেশি মানুষকে তার ফোন নাম্বার দেন না। নুবিয়া যখন আম্মার ফোন নাম্বার নিতে পেরেছে তখন এই ঘরের বউয়ের জায়গাটাও নিতে পারবে।
***************
নুবিয়ার সাথে আমার বিয়েটা হয়ে যায় দুই মাস পরেই। এই ঢাকাতেই বিয়ে হয়। ওর বাবা-মা আর ছোট দুই বোন বিয়েতে যোগ দেয়ার জন্য মিশর থেকে এখানে আসে। আমাদের বাসাতেই কাজী বিয়েটা পড়ায়। বিয়েতে আমি শেরওয়ানী পড়ি। আর নুবিয়া মিশরীয় ঐতিহ্য অনুযায়ী বিয়ের পোশাক পরে। যদিও ব্যাপারটা কিছুটা বেখাপ্পা লাগছে। তবে আমাদের বিয়েটাতো এমনিতেই অদ্ভুত ধরণের। বিয়ে সব সময় হয় সাধারণত মেয়ের বাড়িতে। এখানে হচ্ছে ছেলের বাড়িতে। কবুল বলার সময় নুবিয়া কাঁদেনি। স্বাভাবিকভাবেই কবুল বলেছে। বাবার বাড়ি থেকে বিদায় নেয়ার বালাইও নেই। বাবা মাও কাঁদেনি, মেয়েও কাঁদেনি। সবাই হাসি হাসি মুখে মেয়েকে আমার হাতে তুলে দিয়েছে। বিয়ে হচ্ছে আনন্দের, এখানে কান্নাকাটির বালাই নেই।
আমি যখন রাতে বাসর ঘরে ঢুকতে যাব তখন মা বাঁধা দিল। বলল- মুহিত, তুই কিছুক্ষণ পরে ঢুক। নুবিয়ার মাথা ধরেছে সম্ভবত। সুমাইয়া ওর মাথাটা একটু টিপে দিচ্ছে।
আমি বললাম- তা আমি ভিতরে ঢুকলে সমস্যা কি?
-আরে তুই যদি এখন ভিতরে ঢুকিস তাহলে ও বিব্রত হবে না? বিয়ের রাতে এভাবে অসুস্থ হয়ে গেল। তুই আধাঘন্টা পরে ঢুক। ততক্ষণে আশা করি কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠবে। আর আমিও ওকে একটু কফি বানিয়ে দিয়ে আসি। হয়ত এটা খেলে ও একটু ভাল ফিল করবে।
আমি অন্যরুমে গেলাম। আমার কিছু কাজিন মিলে পিসিতে ফিফা-১৪ খেলছে। আমিও ওদের সাথে ফিফা-১৪ খেলায় মেতে উঠলাম।
রাত একটার দিকে আমি আমার রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করলাম। খুব হালকা একটা আলো জ্বলছে রুমে। এই লাইটটা আজকে সুমাইয়া লাগিয়েছে। এই হালকা আলোতে রুমের চারপাশ অদ্ভুত লাগছে। কেমন জানি ঘোর লাগা ঘোর লাগা একটা আলো। এই ঘোর লাগা আলোতে আমি দেখলাম খাটে একটা অপরিচিত মেয়ে বসা। একটা লাল শাড়ি পরে বসে আছে মেয়েটা। ঘোমটার কারণে মেয়েটার চেহারা দেখা যাচ্ছে না। আমি আস্তে আস্তে মেয়েটার দিকে এগিয়ে গেলাম। মেয়েটা নড়ছে না। মূর্তির মত বসে আছে। আমি মেয়েটার সামনে গিয়ে আস্তে করে তার ঘোমটা সরালাম। এবং তখনই আমি আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর নারীর মুখটা দেখলাম।
নুবিয়া আমার দিকে একটু তাকিয়ে আবার তার মুখ নামিয়ে ফেলল। আর আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি। তাকিয়েই আছি।
******************
মিশর থেকে (হানিমুন+শ্বশুড়বাড়ি) ঘুরে এসে নুবিয়া বাংলাদেশে অবস্থিত মিশরীয় দূতাবাসে চাকরি করছে। আমরা ভাল আছি। সময় ভালই কাটছে। তবে সারাক্ষণ ইংরেজীতে কথা বলতে হয় বলে একটু সমস্যা হয়। আমি আরবি শিখার চেষ্টা করছি। নুবিয়াও বাংলা শেখার চেষ্টা করছে।
একদিন ও ইন্টারনেটে একটা নিউজ আমাকে দেখায়। এক অবৈধ বাংলাদেশীকে আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এই লোক অনেকদিন ধরেই অবৈধভাবে আমেরিকায় বসবাস করছে। ভদ্রলোকের স্ত্রী যদিও আমেরিকান নাগরিক, কিন্তু তবুও ভদ্রলোককে এদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। স্ত্রীর সাথে তার এতদিনের দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ হয়ে যাচ্ছে। নিউজ আর্টিকেলটা খুবই হৃদয়স্পর্শী। কিন্তু স্ত্রী যদি তার স্বামীকে এতই ভালবেসে থাকে তো সে কেন স্বামীর সাথে বাংলাদেশে আসল না এটা আমার মাথায় ঢুকেনি।
আমি নুবিয়াকে বললাম- তোমার ভয় নেই। এই দেশে যতদিন ইচ্ছা থাকতে পারবে। আমেরিকা তাদের জামাইকে হয়ত বের করে দিতে পারে, কিন্তু আমরা আমাদের বউকে বের করে দিব না।
২৪ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৫
মুহিত আলম বলেছেন: হুম
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৪৩
ঘাসফুল বলেছেন: চমৎকার লেখা.... এটা কি শেষ পর্ব?