![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনুমতি ব্যতিত কোনো লেখা বা লেখার অংশ কপি করবেন না। এই নিন্দনীয় কাজটা আমিও করি না, আশা করবো আপনিও করবেন না।
একজন একটি ওয়াইনের বোতল থেকে গ্লাসে ওয়াইন ঢেলে তা এগিয়ে দিচ্ছে বাকি দুজনের দিকে। এই তিনজন ছাড়া রুমে আর তৃতীয় কোনো ব্যক্তি নেই। এটাকে রুদ্ধদ্বার বৈঠক বলা যায়। রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পরিবেশ সাধারণত খুব গুরুগম্ভীর থাকে। কিন্তু এখানে পরিবেশ মোটেই গুরুগম্ভীর নয়। বরং এটাকে তিন বন্ধুর আড্ডা হিসেবে চালিয়ে দেয়া যায়।
এই তিনজনের কথাবার্তা শুনে এদের অন্তরঙ্গ বন্ধু বলে মনে হলেও এরা মূলত সার্থান্বেষী বন্ধু। যেহেতু বর্তমানে তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একই, তাই তারা পরম বন্ধুর মত আচরণ করছে। সার্থে আঘাত লাগলে এই অবস্থা পরিবর্তন হতে বিন্দুমাত্র সময় লাগবে না।
এই তিন বন্ধুর প্রত্যেকেই তাদের দেশের সরকার প্রধান। বিশ্ব রাজনীতিতে এই তিন দেশের বেশ ভাল রকমের প্রভাব রয়েছে। প্রেসিডেন্ট বুরবক অল্প একটু ওয়াইন মুখে দিয়ে গ্লাসটা টেবিলে রাখতে রাখতে বলল- কি মনে হয় আপনাদের? আর কয়দিন এভাবে অভিযান অব্যাহত রাখা দরকার?
প্রধানমন্ত্রী নেমিত বলল- যতদিন এই জঙ্গিদের শিক্ষা না হয় ততদিন এই অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। উচিৎ শিক্ষা এবার দিতে হবে। বেশি বাড় বেড়ে গেছে এরা।
প্রেসিডেন্ট বুরবক বললেন- কিন্তু এটা বেশিদিন অব্যাহত রাখা যাবে কি? চারিদিক থেকে কিন্তু প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে। আর এই ইন্টারনেটের যুগে আপনি মানুষকে ভুজুং ভাজুং দিয়ে চুপ রাখতে পারবেন না। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো খুব সমস্যা করছে।
রুমের অপর মানুষটি এতক্ষণ চুপচাপ কথা শুনছিলেন। এবার তিনি মুখ খুললেন- তা মিষ্টার বুরবক, আপনি কি করতে বলছেন?
-আমাদের এমন কিছু করতে হবে যাতে মানুষের মনোযোগ অন্যদিকে সরে যায়।
-আপনি কিসের কথা বলছেন?
-মিসর, সিরিয়া, ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান- যেকোনো দেশে ভিতরে কোনো গ্যাঞ্জাম লাগিয়ে দিলে কেমন হয়?
প্রধানমন্ত্রী কিসিঞ্জার মাথা নাড়লেন। -লাভ হবে না। এই দেশগুলোয় এমনিতেই অনেক গ্যাঞ্জাম লেগে আছে।
-তাহলে রাশিয়ার সাথে কোনো কিছু করলে কেমন হয়?
-বিশ্বযুদ্ধ লেগে যাবে মিষ্টার বুরবক।
-যুদ্ধতো এমনিও লাগতে পারে।
-তা ঠিক। আমাদের এমন কিছু করতে হবে যাতে পুরা বিশ্বের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু অন্যদিকে সরে যায়।
নেমিত বললেন- একটা কাজ করা যায়।
বুরবক বললেন- কি কাজ?
-৯/১১ এর মত একটা ঘটনা যদি ঘটানো যায় তো ভাল হয়।
চুপ হয়ে গেল বাকি দুজন। নেমিতের কথার গুরুত্ব বুঝার চেষ্টা করছে।
কিছুক্ষণ পরে মুখ খুললেন বুরবক। -কিন্তু এবার ঘটনাটা হবে কোথায়?
-আপনার ওখানেই হবে ধরেন।
মাথা নাড়লেন বুরবক। -না এটা সম্ভব না।
-কেন? জিজ্ঞেস করলেন নেমিত।
-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। এত ক্ষয়ক্ষতি সামাল দেয়া যাবে না।
-সামাল দেয়া সম্ভব হবে। আই উইল ম্যানেজ দ্যাট।
-পারবেন না। এমনতেই অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল না। তার ওপর যদি এরকম একটা ঘটনা ঘটে তাহলে অর্থনীতির ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।
-আমি তাও সামাল দেয়ার ব্যবস্থা করবো। ইনফ্যাক্ট এখানে আসার আগে ব্যাপারটা নিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা করেই আমি এসেছি। তালেবানের সাথে যদি এই জঙ্গি গ্রুপটার কোনো সম্পর্ক তৈরি করা যায় তাহলে কাজটা একেবারেই সহজ হয়ে যাবে।
কিসিঞ্জার বললেন- কিন্তু কিভাবে আপনি এই জঙ্গিদের সাথে তালেবানের সম্পর্ক তৈরি করবেন?
নেমিত হাসলেন। -মিষ্টার কিসিঞ্জার, আপনি মিডিয়ার কথা ভুলে গেলেন?
-বুঝলাম। কিন্তু আমাদের যা করা দরকার খুব দ্রুত করতে হবে। আমাদের হাতে খুব বেশি সময় নেই। অল্প সময়ের মাঝে মিডিয়া এ ব্যাপারটা কিভাবে করবে?
নেমিত তার সামনে থাকা ল্যাপটপে কিছু একটা বের করল। তারপর সেটা ঘুরিয়ে দিল বাকি দুজনের দিকে। -দেখুন মিডিয়া অলরেডি তার কাজ শুরু করে দিয়েছে। এই নিউজটা মনে হয় আপনাদের চোখে পরেনি।
বুরবক আর কিসিঞ্জার তাকালো ল্যাপটপের দিকে। ব্রিটেন থেকে বের হওয়া একটা বিখ্যাত পত্রিকার অনলাইন ভার্সন। তালেবান নিয়ে একটা নিউজ। দুজনেই নিউজটা পড়লেন। অতি সুচারুরূপে জঙ্গি গ্রুপটার সাথে তালেবানের সম্পর্ক তুলে ধরা হয়েছে। দুর্দান্ত হয়েছে নিউজটা।
-তাহলে মিষ্টার বুরবক, আপনি রাজি?
-দেখুন আপনি শুধু কাজটা শুরু করেছেন। কিন্তু আপনার টোটাল প্ল্যানটা এখনো আমাকে জানাননি। আমি পুরোটা না শুনে কিভাবে রাজি হবো?
-এখনি শুনবেন?
-হুম এখনি।
-বলতে সময় লাগবে। তার আগে চলুন আপনার ঐ লনটায় গিয়ে একটু বসি। বাইরে হাওয়া দিচ্ছে। প্রাকৃতিক বাতাসে শরীরটা একটু জুড়িয়ে নেই। তারপর না হয় শুরু করি।
বুরবক উঠে দাঁড়ালেন। -চলুন।
তিনজন দরজা ঠেলে লনে এসে দাঁড়াল। লনের সামনে অনেকটা জায়গা খালি পরে আছে। একটা পায়ে চলা মেঠো পথ এঁকেবেঁকে চলে গেছে বাউন্ডারির বাইরে। মেঠো পথটার দুপাশে লম্বা লম্বা ঘাস জন্মেছে। সূর্য ডুবেছে বেশ কিছুক্ষণ আগে। আকাশ থেকে এখনো লালচে ভাবটা মিলিয়ে যায়নি। বেশ ভালই হাওয়া বইছে। আকাশের এক কোণে মেঘ জমেছে কিছু। মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে।
তিনজন রাষ্ট্রপ্রধান তিনটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসলেন। টাটকা বাতাস তাদের মন ভাল করে দিয়েছে। তারা চুপচাপ মাঠের দিকে চেয়ে আছেন। প্রেসিডেন্ট বুরবক হঠাৎ অনেক দূরে কিছু একটা নড়তে দেখে ভাল করে সেদিকে তাকালেন। আস্তে আস্তে জিনিসটা বড় হচ্ছে। আরো কাছে আসলে বুঝা গেল একটা বাচ্চা ছেলে ঐ মেঠো পথটা ধরে হাঁটছে। বয়স বারো তেরো বছর হবে। বাচ্চাটা এই বাড়িটার দিকেই এগিয়ে আসছে। একা একা। সাথে আর কেউ নেই।
ব্যাপারটা কৌতুহলী করে তুলেছে তিনজনকেই। তিন রাষ্ট্রপ্রধান আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে বাচ্চাটার দিকে। বাচ্চাটা ধীরে ধীরে হেঁটে আসছে এই বাড়ির দিকেই। বাড়ির সীমানা বড় একটা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। মেঠো পথটা শেষ হয়ে গেছে বাড়ির সীমানায়। বাচ্চাটা এরপর কোথায় যাবে?
কিন্তু বাচ্চাটা সীমানার বেশ কিছুটা দূরে হাঁটা বন্ধ করে কিছু একটা খুঁজতে লাগল। এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। বাচ্চাটার কাজকর্ম বিশ্বের তিন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে। বাচ্চাটা মাটি থেকে কিছু একটা কুড়িয়ে নিলো। কি কুড়ালো তা অবশ্য এত দূর থেকে বুঝতে পারল না কেউই। বাচ্চাটা আবার হাঁটা শুরু করেছে। এগিয়ে আসছে বাড়িটার দিকে। ডান হাতের মুঠোতে কিছু একটা ধরা। তাকিয়ে আছে যেনো তিন রাষ্ট্রপ্রধানের দিকেই।
বাড়িটার দিকে আরো কিছুটা এগিয়ে আবার থেমে গেল বাচ্চাটা। ভাল করে তাকাল এই বাড়িটার দিকে। তারপর হঠাৎ করেই তার হাতের মুঠোতে থাকা জিনিসটা ছুড়ে মারল।
তিন রাষ্ট্রপ্রধান চরম উত্তেজনা নিয়ে দেখছেন কি ছুড়ে মারল বাচ্চাটা। খুব ক্ষুদ্র একটা জিনিস। কি এটা? জিনিসটা তাদের দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসছে। জিনিসটা যত কাছে আসছে ততই যেনো এর আকার বড় হচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা বুঝলেন যে এটা একটা পাথর। কিন্তু এটা কিভাবে এত বড় হয়ে যাচ্ছে তা তাদের মাথায় ঢুকছে না। পাথরটা ক্রমেই বড় হচ্ছে। আঘাত করার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে বুরবকের মনে হল যেনো তার পুরো পৃথিবীটাই এই পাথরটা ঢেকে ফেলেছে!
ধড়মড় করে উঠে বসলেন প্রেসিডেন্ট বুরবক। কি হয়েছে বুঝতে তার একটু সময় লাগল। একটা দুঃস্বপ্ন দেখেছেন। আসলে গত কয়েকদিন ধরে এই ব্যাপারটা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। তিনি বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধটা নিয়ে অনেক কথাবার্তা বলছেন, তাই হয়ত স্বপ্নটা দেখে থাকবেন। দেয়াল ঘড়িতে সময় দেখলেন। রাত তিনটা বাজে। তিনি বিছানা থেকে নেমে বাথরুমে গেলেন। বাথরুম থেকে মুখ ধুয়ে বের হবার পর তার পানির তেষ্টা পেল। বিছানার পাশে সাইড টেবিল থেকে পানি নিয়ে পানি খেলেন।
তার স্ত্রী আজ বাসায় নেই। বোনের বাসায় গেছে। বাচ্চারও তার মায়ের সাথে গেছে। এখন আর শুয়ে লাভ নেই। ঘুম আসবে না। তিনি তার বেডরুমের সাথে লাগোয়া বারান্দাটায় গিয়ে চেয়ারে বসলেন। চারিদিক সুনশান। কয়েকটি নিশাচর পাখি মাঝে মধ্যে রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে দিয়ে উড়ে যাচ্ছে।
তার বারান্দা থেকে কিছুটা দূরে বাড়িটার সীমানা প্রাচীর। এরপর সামনে অনেকটা জায়গা খালি। আশেপাশে কেউ থাকে না। লম্বা লম্বা ঘাসে পুরো জায়গাটা ভর্তি। এই ঘাসের মাঝখানে দুই তিনটা মেঠোপথ আছে। এই পথ দিয়ে লোকজন আসা যাওয়া করে।
রাতের নীরবতা খান খান করে তার মোবাইলটা বেজে উঠল। চমকে উঠলেন বুরবক। এত রাতে তাকে ফোন করল কে? তাছাড়া তার পার্সোনাল মোবাইলে ফোনটা এসেছে। এই নাম্বার খুব বেশি মানুষ জানে না। কোনো দূর্ঘটনা ঘটেনি তো? তিনি উঠে গিয়ে বালিশের পাশ থেকে তার ফোনটা তুলে নিলেন। নেমিত ফোন দিয়েছে! এত রাতে সে কেন ফোন দিল? আজকে সকালেইতো তার সাথে মিটিং হয়েছে। অন্য কিছু দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও ছিল। খারাপ কোনো ঘটনা ঘটেছে কি?
বুরবক ফোন ধরলেন। -হ্যালো।
-সরি আপনার ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য।
-না না, আমি ঘুমাচ্ছিলাম না। ঘুম আসছিলো না বলে বারান্দায় বসে ছিলাম।
-ও আচ্ছা। আসলে একটা দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙ্গে গেল। স্বপ্নে আপনাকে দেখেছি। স্বপ্নটা এতটাই বাস্তব যে আপনাকে ফোন না দিয়ে পারলাম না।
বুরবক অবাক হলেন। নেমিতও দুঃস্বপ্ন দেখেছে! –কি দুঃস্বপ্ন দেখেছেন? প্রশ্ন করলেন বুরবক।
এরপর নেমিত যা বলল তা অবিশ্বাস্য। হুবহু বুরবকের দেখা স্বপ্নটার কথাই বলল সে! দারুণ চমকে উঠলেন বুরবক। এটা কিভাবে সম্ভব? এতো অবিশ্বাস্য! একেবারে হুবহু একই স্বপ্ন একসাথে দুইজন মানুষ দেখবে কেন? তিনি তার নিজের দেখা স্বপ্নের কথা চেপে গিয়ে নেমিতকে চিন্তা না করে ঘুমাতে যেতে বললেন। কিন্তু তার ঘুম দূর হয়ে গেল। তিনি আবার বারান্দায় গিয়ে বসলেন। ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতে হবে। ঠাণ্ডা মাথায় ভাবতে হবে।
দশ মিনিট পর আবার তার পার্সোনাল ফোনে ফোন আসল। এবার ফোন দিয়েছে কিসিঞ্জার! তিনিও আজ সকালের মিটিঙে ছিলেন। এত রাতে উনি ফোন দিবেন কেন? উনিও কি সেই একই স্বপ্ন দেখেছেন? বুরবক ফোন ধরতে ভয় পাচ্ছেন। ফোনটা সাইলেন্ট করে উনি পাশের টেবিলে রেখে দিলেন।
অনেক দূরে মেঠো পথে বুরবক কিছু একটা নড়তে দেখলেন। কি সেটা তা এতদূর থেকে স্পষ্ট নয়। চাঁদের আলোতে খুব একটা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে না জিনিসটা। তবে কিছুক্ষণ পরেই জিনিসটা পরিষ্কার হলো। একটা বাচ্চা ছেলে আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছে এদিকে। বাচ্চাটার বয়স বারো তেরো বছর। সে খুব শান্তভাবে এগিয়ে আসছে। কোনো তাড়াহুড়া নেই। বাচ্চাটা একসময় থামল। আশেপাশে কিছু একটা খুঁজছে। তারপর মাটি থেকে কিছু একটা কুড়িয়ে হাতে তুলে নিল। বুরবক আর বারান্দায় বসে থাকতে পারলেন না। দৌড়ে রুমের ভেতর ঢুকে গিয়ে বারান্দার দরজা লাগিয়ে দিলেন। এই অভিশপ্ত রাত থেকে তিনি মুক্তি চান। আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে তাকে। কিছুক্ষণ পরেই নতুন দিনের সূর্য উঠবে। সময় খুব একটা বাকি নেই।
ঐ বাচ্চা ছেলেটাও জানে আর কিছুক্ষণ পরেই এ অভিশপ্ত রাত শেষ হয়ে নতুন দিনের সূর্য উঠবে। সেই নতুন দিনের জন্যই তার এ পথচলা। জন্ম থেকে এ নতুন দিনের জন্যই সে অপেক্ষা করে আছে। ভোরের আলো ঐ দেখা যায়।
©Muhit Alam
০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯
মুহিত আলম বলেছেন: হুম। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়। হোপ ফর দ্য বেস্ট।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আশাবাদী লেখা। ভালো লাগলো। আশার কথা এই যে, ইসরাইল গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করেছে। ভোর আসছে।