নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\" অগুছালো চিন্তা ধারায় কিছু অনভীজ্ঞ লিখা।\"

মোজাহিদ আলী

খুব সাধারণ পরিবারে জন্ম আর সাধারণভাবে বেড়ে উঠার এক আত্মজীবনি আছে আমার। লিখতে পারব...? সন্দেহ হয় ! অভীজ্ঞতা ছাড়া লিখা অনভীপ্রেত। সাধারণ জীবনের অনভীজ্ঞ লিখাগুলি পাঠকেরা পড়বে কি না সন্দেহ আছে...... তারপরেও লিখি, নিজের আত্ম সন্তুষ্টির জন্য না হয় একটু আধটু লিখবার চেষ্টা করলাম.........।।

মোজাহিদ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসার সাতকাহন

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২০



আমি অতোশত বুঝিনা, সোজা সাপ্টা ভাবে বলছি ভালোবাসা নামক মধুর একটি শব্দকে বিকৃত্ মানসীকথা আর কুরুচিপুর্ণ কিছু মানুষ নোংরা শব্দের সমার্থক হিসেবে দাড় করাতে চাইছে। হ্যাঁ প্রেক্ষাপট তাই বলছে। অনভীজ্ঞ লিখার স্রোতধারা কতদুর গড়াবে জানি না। লিখাটি থেকে খুব গভীর কিছু খুঁজে পাওয়া দুষ্কর অস্বীকার করছি না। কিছু মানুষ ব্যাঙ্গ করবে, কেউবা মুক্তমনা প্রগতিশীলদের বিরুদ্দে দাড় করাবে,কেউ দুই একটা অশ্রাব্য শব্দ প্রয়োগে শান্তি খুঁজবে, আর কেউ অন্তত দুই একটা শব্দ খুঁজবে একটু প্রশান্তি পেতে। তবে আমি ধরে নিয়েছি খুব মানসম্পন্ন লিখার যোগ্যতা আমার নেই।

ভালোবাসার দিবস নয় স্রেফ ভালোবাসার কথা বলছিলাম আমি যখন জন্ম নিয়েছিলাম আমার মা আমাকে নিয়েই সপ্ন দেখতো , শুধু আমার জন্য মায়ের বেঁচে থাকার ইচ্ছে হতো, সারাক্ষন আমার খাওয়া নিয়ে চিন্তা করতো , আমি বড় হবো যা যা করবো মা সব আগে থেকেই পাড়া পড়শির সাথে গল্প করতো। আজ নাকি ভালোবাসার দিবস, প্রশ্ন করছি ক'জন সেই হতভাগীকে জড়িয়ে ধরে বলছে মা ভীষন ভালোবাসি তোকে !!! জানি লজ্জা পাইছো, ভালবাসা দিবসকে লজ্জা দিলে না ?

দিবসের তেজে অনেক সুন্দর পরিপাটি বস্ত্রাবৃত করে বেরিয়েছো, নতুনত্তের ছোঁয়ায় অস্বাভাবিক লাগছে অভায়বে উচ্ছবিত্তের বৈশিষ্টের কোন ঘাটতি নেই। ছেড়া বস্ত্রের মানুষগুলির খুব সাধ হয় একটু কাছে আসতে, ভয় পায় চোখ রাঙ্গানো আর ধমকের কথা মনে পড়ে যায়। ক'জন আজ সেই অসহায় বস্ত্রহীন হতভাগা মানুষগুলির একজনকে জড়িয়ে ধরে বলেছেন ভাই প্রতিটা দিন আমার জন্য আজকের দিনটা না হয় তর জন্য আয় একটা নতুন কাপড় পরিয়ে দেই। হাসছেন পাগল বলছেন ? কথা হলো উচ্চবিত্ত আর নিম্ন বিত্ত মানুষের মাঝে যে ভালবাসা অর্থহিন সেঠিকে ঘটা করে পালনের নাম ভন্ডামি। ভালোবাসা দিবসকে লজ্জা দিলেন না ?

এই শোনছো আজ না ভালোবাসা দিবস। চলো আজ বাহিরে খাবো । বাসার বুয়াকে ফোন করে বলো আজ না আসতে। অনেক ভালো খাবার খাবে নিশ্চয়ই ! বুয়া শব্দটার মাঝে কেমন জানি একটা অবহেলা আর হেয় মনোভাব মিশে আছে। তাই উচ্চবিত্তের ছুট্ট বাবুটিকেও বুয়া বলার অভ্যেস করতে হয়। আজ ভালবাসা দিবস নয় বুয়ার উপোস থাকার দিবস। যদি বুয়া রান্না করতে আসতো তবে উচ্ছিষ্টঠুকু খেয়ে ক্ষিদে মিটাতো। গরীবেরা রুচির জন্য খায় না ক্ষিদে মেটাতে খায়, কিজানি আজ সেই বুয়া বোধহয় রোজা রাখার কথা ভাবছে।
ক'জন আছেন প্রতিদিন যে রান্না করে খাওয়ায় আজ তাকে নিয়ে একসাথে খেয়েছেন ? এমন করছেন কেনো লজ্জা পাইছেন?
আপনি নয় ভালোবাসা দিবসকে লজ্জা দিছেন !

ফুল কেনার হিড়িক পড়েছে- প্রি্যতমা,প্রি্যত্‌ম,প্রিয়জন, বন্ধু,শুভাকাংখি যে যার জন্য পারছে ফুল কিনছে। ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা বলে হাতে ধরিয়ে দাত কেলিয়ে একটু হাঁসি দিলো ব্যাস ফুলের কাজ শেষ। লাইনে দাঁড়িয়ে ফুল কেনার দৃশ্য দেখে মনে হয় ফুলের মাঝে সব ভালবাসা লুকিয়ে আছে। তার মাঝে একজন ভিক্ষুক দুই টাকা চাইলো ফুল কেনার জন্য নয় দুপুরে দু'মুটো ভাত খাবার জন্য, স্টুপিট, ভন্ডামির জায়গা পাও না, বিরক্ত করো না তো এমন কতো পরিচিত শব্দ গড় গড় করে বলে দেয়। একজন মানুষ আছেন যিনি রাস্তায় ভিক্ষুক কে একটা ফুল দিয়ে বলেছেন ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা ?
তবে কি ভালোবাসা দিবসকে লজ্জা দিলেন না ?

এমন হাজার উদাহরন আছে আমাদের পরিচিতো। থাক আর এগুচ্ছি না, অগুলিই প্রতিনিইয়ত ঘটছে এইতো আমরাই ঘটাচ্ছি এ দু'ইয়ের মাঝে সমন্বয়ের কথা বলা আর সমাধানের আশা করা দিনে দিনে খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।এই সমাজ কে পাল্টানোর সাধ আছে অনেক সাধ্য নেই। কথা হচ্ছে আমরা ওসব মানিয়ে নিয়েছি।

একটু কষ্ট হয় তখন যখন তথাকথিত মুক্তমনা,সমাজবাদি আর প্রগতিশীলরা ভালোবাসা দিবসকে কপোত-কপোতিদের মিলনমেলা হিসেবে তুলে ধরতে চায়। ভালোবাসা প্রেম শব্দগুলিকে যুবক যুবতির নির্লজ্জের মতো যৌবনের উম্মাদনা, উম্মত্ততা আর অশ্লিল ঢলাঢলির মাঝে সীমাবদ্দ রাখে। তাদের প্রতি একটাই কথা জন্মের পর মায়ের মমতা থেকে যে ভালবাসা যে প্রেম শুরু এত্ত গভীর শব্দগুলিকে নোংরা আর অশ্লিল শব্দের সমার্থক হিসেবে দাড় করাবেন না। একটাই কামনা যুগ যুগ ধরে ভালোবাসা শব্দটির পবিত্রতা অক্ষুন্ন থাকুক।

আজকের শ্লোগান হোক মানুষের জন্য ভালবাসা !!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.