নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এবার তোমরা আঘাত কর।

এই ব্লগের যেকোন লেখা যেকেউ সূত্র না দিয়েও কপি/ইডিট/শেয়ার করতে পারবে।

মুক্তির প্রজন্ম

ঠিক যেভাবে এই প্রজন্মও একটা স্বপ্ন দেখবে যা পূরন করবে পরের প্রজন্ম।

মুক্তির প্রজন্ম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্ণ দেখে কখন আশ্চর্য হবেন না!এটা ভেরি বেড।এমন কি আপনার সন্তানের স্ক্রীনে দেখলেও না।

১৭ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৩৮

পর্ণ দেখে কখন আশ্চর্য হবেন না! এটা ভেরি বেড।এমন কি আপনার সন্তান, জুনিয়র বা অন্য কারো কোন ট্যাবে/ড্রইভে পর্ণ দেখলে ফাল দেয়ার মত কিছু নেই।বরং ফাল না দিয়া সময় করে বুঝিয়ে দিন।দরকার পরলে পুনপুন বুঝান।কারন পর্ন বলে চেঁচিয়ে ওঠা একটা বিষয়টা সামান্য না, অনেক গভীর, অন্ধকার, অবরুদ্ধ, কুসংষ্কারের তীর্থ এই দেশে গত দুই দশক ধরে এই পর্ন পর্ন ভয়ই তথ্যপ্রযুক্তির বেসিক ফ্রিডম গুলোও কোন সরকারই দেইনি।তাই বলছিলাম পর্ন বলে চেচামেচি থামান।তবে তার আগে নিজে বিষয়টা ভালো করে বুঝে নিন, জিনিষটা কি ?



আচ্ছা, রাস্তায় ল্যাংটা পাগল দেখলে কি ফাল দিয়া উঠেন, ফ্যামিলি সাথে থাকলেও কি ? কেন না ? কারন এটা সমাজের একটি স্বাভাবিক ঘটনা।ভেরি নরমাল।আপনার বাচ্চা কে বুঝিয়ে দেন, সেও বুঝে।আর ইন্টারনেট হলো আরও দক্ষ সহজ একটা নতুন পৃথিবী, ভার্চুয়াল পৃথিবী, তবে ধরা যায়, ছোয়া যা, আউটপুট এন্ডে মানুষকে এনালগেই সংযুক্ত হতে হয়, যেমন আপনি কিবোর্ড টিপেন।এই ভার্চুয়াল পৃথিবী মানুষ কে অনেক অনেক পাওয়ারফুল, ইফিসিয়েন্ট করে দেয়, প্রাকটিক্যাল লাইফের যোগাযোগের অন্যতম উপযোগিতা ভয়েস, ট্যাক্সট, স্ট্রিমিং, টাকা পয়সা তো অবশ্যই, সহ সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়ানোর কাজের সুজোগ দেয়।এটা আরেকটা ওয়ার্ল্ড, সবুজ বিশ্ব, যেখানে মুহর্তে বাংলাদেশ থেকে পিতা আমেরিকায় অধ্যায়নরত তার কন্যার ঘরে টিভির দিকে তাকিয়ে মেয়েকে দুই চারটা উপদেশ দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় ট্রান্সফার করা কয়েক হাজার ডলার বের করে নগদে দিয়ে এসে বাংলাদেশে তার ড্রয়িং রুমে মককেলদের সাথে চাপা চালাইয়া যাইতে পারে, এক ফোটাও কার্বন নিষঃরন না করে।



যাক যা বলছিলাম, এত ইফিসিয়েন্ট যে যোগাযোগ ব্যবস্থার যে ভার্চুয়াল দুনিয়া সেখানেও পরিচিত পৃথিবীর মত কিছু অস্বস্তি থাকতেই পারে স্ববৈশিষ্টে।যেকারো কাছে যেকোন ভাবে সে অস্বস্তি আসতে পারে, বা রাখতে পারে, ক্ষতির কিছু নাই।সমাজে যদি প্রকাশ্য শহরের মাঝখানে রেড এলার্ট এরিয়া থাকতে পারে, তাহলে নেটে আরও কম ক্ষতিকর, রক্তমাংশে না, পর্ন থাকতে অসুবিধা কোথায় ? রেড এলার্টে যেমন ইকোনোমিক এ্যাকটিভিটি হয়, সাইবারপর্নেও ইকোনোমিক এ্যাকটিভিটি আছে তবে আরও স্মার্ট ওয়েতে।



এই সামান্য বিষয়টা নিয়ে কেন এত কথা ? কারন বিষয়টা সামান্য না, আমাদের সমাজে এর প্রভাব বিশাল, আমাদের পশ্চাদপদতার পেছনেও বাঁধা এই পর্ন।তাই বাংলাদেশের অবস্থা এখনও নব্বুই দশকের পর্যায় আছে।তখন বিশ্বে ইন্টারনেটে মোট কন্টেন্টের প্রায় ৩০% পর্নগ্রাফী ছিল, কিন্তু ২০০০ সালের দিকে এসে দেশে দেশে মোবাইল ব্রডব্যান্ড ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং পেয়ে মানুষ তার প্রাকটিক্যাল লাইফের অনেক দৌড়াদৌড়ি কমিয়ে ডিজিটালে নিয়ে যায়, আসলে টাকা ডিজিটাল হয়ে যাওয়ায় ও ব্রডব্যান্ড ব্যান্ডউইথ পাওয়ায় মানুষ অটমেটিক ডিজিটাল হতে থাকে।যার ফলে পর্নগ্রাফির টাইম কই, আপনি নিশ্চই অফিসে যাওয়ার রাস্তায় রেড এলার্ট এলাকা ঘুরে যাবেন না !যার ফলে আরেক জরিপে ২০১১ সালে দেখা যায় নেটে মোট পর্নগ্রাফির পরিমান মাত্র ১% এর নিচে নেমে এসেছে।তবে দূঃখের বিষয় হলো এই ১% এর ৩০% ইউজার ও ক্রিয়েটর বাংলাদেশের।কারন এখানে নীতি নির্ধারকরা পর্ণগ্রাফির ভয়ে আজও এক যুগ আগের ইন্টারনট দিয়ে রেখেছে, যেখানে কাজের নূন্যতম গতি নেই ও টাকা/ডলার লেনদেনের ক্ষমতা নেই।খুবই সুপরিকল্পিত ভাবে রাখা হয়েছে এই অবস্থায়।আর এই অবস্থায় রাখার তাদের অন্যতম অস্ত্র পর্ন দেখে লাফ মারা।



কি ভাবে ? কারা রেখেছে ? আমাদের ওল্ড জেনারেশন, সমাজের সবচেয়ে শিক্ষিত মেধাবী সচেতন নাগরীক যদি সিভিল সার্ভেন্ট হয়, তাহলে তাদের সিনিয়র সিনিয়র এ্যাসিসটেন্ট স্যাকরেটারী, বয়স ৩৫-৪০ থেকে শুরু করে ডেপুটি সেক্রেটারী, জেয়েন স্যাক, এডি, ফুল স্যাক পর্যন্ত আমলারা আজও মনে করে তথ্যপ্রযুক্তি অর্থ ব্লুফ্লিম দেখা ও করা।কম্পিউটার কে মনে করে, পেনড্রাইভে ব্লুফ্লিম চালানোর ভিসিডি, ইন্টারনেট কে অশ্লিল ছবির পোষ্টার, ইমেইল নেকেড ছবি পাঠানোর ঠিকানা।যেমন করে তৎকালিন আমলা, ইঞ্জিনীয়ারা ১৯৯৩ সালে সাবমেরিন ক্যবল সংযোগ নেয়ার প্রস্তাবে তথ্য পাচার ছারাও পর্নগ্রাফির ভয়টা বেশি দেখিয়ে ছিল।২০০৪ সালে ওয়ারিদকে থ্রীজি দিতে চাইলে আমলারা নিষেধ করে বলেছিল, এটা দিলে আমাদের ইয়ংজেনারেশন নষ্ট হয়ে যাবে, ছেলে মেয়ে একে অন্যকে উলঙ্গ হয়ে ভিডিও কল করে ভিডিও সেক্স করবে।এদিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষনা দিলেও তিন বছরেও থ্রীজি দিতে পারেনি, এই পর্নগ্রাফীর ভয়েই।ইন্টারনেটে ভিডিও স্ট্রমিংয়ের মিনিমাম ব্যান্ডউইথ দিচ্ছে না, ভিডিও সেক্সের ভয় দেখিয়ে।বলে মেয়েরা সাইট খুলে উলংঙ্গ হয়ে বসে থাকবে আর নিয়ন্ত্রীত দর্শনার্থী ডিজিটাল টাকা দিয়ে ভিজিট করে যাবে।একটা ইসলামীক দেশে এটা নাযায়েজ।



তানা হলে, বলুন, বুঝান, আর কোন যুক্তিতে ব্যান্ডউইথের দাম এত কমানোর পরেও কেন নেটের গতি বাড়ে না, দেখার কেউ নাই, বিটিআরসি এত দুর্বল, এত মূর্খ ? তিন মাসের থ্রীজি তিন বছরেও কেন দিতে পারলো না, তিন বছরেও কেন হাতের মোবাইল থেকেই ডিজিটাল টাকা লেনদেন করার অনুমোদন দিল না ??? কেন কেন কেন ??? কারন এরা বলে, আমাদের ছেলেমেয়েরা নষ্ট হয়ে যাবে, মেয়েরা সাইট খুলে উলংঙ্গ হয়ে বসে থাকবে, আর নিয়ন্ত্রীত দর্শনার্থী ডিজিটাল টাকা দিয়ে ভিজিট করে।



তাহলে এরা যে দেখি ডিজিটাল বাংলাদেশ বান্নাচ্ছে প্রতিদিন ? আসল কাজ রেখে এদের করা এসকল কাজ সব ফালাইয়া দিতে হবে।তাই তো দেখি এরা ঢাকা থেকে গাড়ি চড়ে গিয়ে জেলা তথ্যবাতায়ন দেখে আসছে, ঢাকায় পাঁচ হাজার অফিসার ডেকে এনে ইমেইল চেক করা ও সেন্ড করা ট্রেনিং দেয়, কি করতেছে তার আগা মাথা কিছুই বুঝে না, অনেকটা কোন ডিসি সাহেবের নির্দেশে বাংলায় এমএ এনডিসির রকেট বানানোর কাজে ঝাপিয়ে পরার মত।আর সমাজের, রাষ্ট্রের সবচেয়ে মেধাবী, শিক্ষিত, দেশবিদেশ ঘোরা, গুরুত্বপূর্ন সিভিল সার্ভেন্টরাই যদি এই অবস্থায় থাকে তাহলে সাধারন, নেতা, ব্যবসায়ী বুইড়াদেরকি অবস্থা ভাবুন ? এই তো সেদিন তথ্যপ্রযুক্তিতে অনেক ক্ষ্যাতি অর্জন করা, সারাদিন ফিজ্যিক্যাললি গাড়ি সহ ঘোরা, ঘোরানো এক ডিসি বলছিল, এদের কম্পিউটার ইন্টারনেট দেয়া যাবেনা, এরা এতে ব্লুফিল্ম দেখে।আরও বলে দেশে নো মোর পিসি, সবাইকে আইপ্যাড দিতে হবে! বুঝুন তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞান ও দেশ সম্পর্কে ধারনার অবস্থা ?



তাই বলছিলাম, পর্ণ দেখে কখন আশ্চর্য হবেন না!এটা ভেরি বেড।এমন কি আপনার সন্তান, জুনিয়র বা অন্য কারো কোন ট্যাবে/ড্রইভে পর্ণ দেখলে ফাল দেয়ার মত কিছু নেই।বরং ফাল না দিয়া সময় করে বুঝিয়ে দিন।আর একটু বয়স্ক মানুষের সামনে বিষয়টা গুরুত্বই দিবেন না, উল্টা, উল্টা বুঝার জন্য ঝারি নিবেন।তানা হলে এমনি তো শয়তান নাচুনে বুড়ি, তার উপর ঢাকের বারি পরলে উপায় নাই!



মাতৃ ভাষায় ডিজিটাল বাংলা প্রকাশনা।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১২:০৩

নিশাচর নাইম বলেছেন: সব মাথার উপর দিয়ে গেল...এন্টেনা ধরতে পারেন নাই... :|

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১২:২৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: Apnar shob guli post ar uddaso aki toba laka vinno.
+

১৮ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৮

মুক্তির প্রজন্ম বলেছেন: কারন আছে।

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ১১:০০

হাসান41554 বলেছেন: ভালো লিখসেন।

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৩৮

কলম.বিডি বলেছেন: ভালো বলেছেন। তবে কিছু বাচ্চা আছে একবার লজ্জ্বা ভেঙ্গে গেলে কনফিডেন্টলি বিটলামি করে। এদের কি করা? এরপর কি নেট কেটে দেয়ার মত হার্ডলাইনে যাওয়া যায়? কিন্তু ঘর থেকে বের হয়েও তো ভার্সিটি বা সাইবার ক্যাফেতে যেতে পারে? আপনার কি মনে হয়?

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১২ ভোর ৫:৪৩

বাতিল প্রতিভা বলেছেন: আপনার পোস্ট গুলো ভালো লাগে বস ।

১৯ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:১১

মুক্তির প্রজন্ম বলেছেন: কারন আমি আপনাদেরই মনের কথা বলে দেই।ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.