![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রিয় শিক্ষক কবিয়াল এস,এম, নুরুল আলম (মরহুম) বলতেন,'অখ্যাত থেক তবু কুখ্যাত হয়োনা'। আমি আমার এই সাধাসিধে জীবনে এই শিক্ষাটুকু পরম ভক্তির সাথে মেনে চলার চেষ্টা করি।
সংখ্যাগরিষ্টের মতে ইসলামে গায়েবানা জানাজা জায়েজ নেই।
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রঃ) ও ইমাম শাফেয়ী (রঃ) এর মতে জায়েজ। তাঁদের যুক্তি হলোঃ রাসুলে আকরাম (দঃ) বাদশা নাজ্জাসীর জানাজা পড়েছেন।
হানাফি মাজহাব মতে, জানাজার জন্য মৃতদেহের উপস্থিতি শর্ত। সুতরাং মৃতদেহের অনুপস্থিতিতে গায়েবানা জানাজা জায়েজ নেই। ( দুররুল মুখতার, প্রথম খন্ড, পৃষ্টা ৬৪১)।
রাসুলে আকরাম (দঃ) এর বাদশাহ নাজ্জাসীর জানাজা পড়ার প্রেক্ষাপটে হানাফী আলেমরা বলেন, বাদশা নাজ্জাসীর জানাজা পড়ার সময় রাসুলে আকরাম (দঃ) এর সামনের সব পর্দা সরিয়ে মৃতদেহকে তাঁর সামনে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাই তা রাসুলে আকরাম (দঃ) এর জন্য গায়েব ছিলনা। ( ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া, সপ্তম খন্ড, পৃষ্টা ২২৬)।
এছাড়া আর কোন সময় রাসুল (দঃ) গায়েবানা জানাজা পড়েননি।
আমাদের দেশের অধিকাংশ মুসলমান হানাফি মাজহাবের অনুসারী, সুতরাং হানাফিদের জন্য গায়েবানা জানাজা একটি নাজায়েজ কাজ।
যারা গায়েবানা জানাজা জায়েজ বলেছেন তারাও দুটি শর্ত আরোপ করেছেনঃ ১. যদি মৃতদেহের কোন জানাজা নাহয়, ২. মৃতদেহ যদি বিনষ্ট না হয়।
দেশে কি জানাজা ছাড়া কোন মুসলমানকে দাফন করা হয়?
মাজহাব অনুসরণের ক্ষেত্রে যেকোন একটি অনুসরণ করতে হবে। সুবিধাবাদী অবস্থান নিয়ে জগাখিচুরি পাকালে হবেনা।
সুতরাং আমাদের দেশে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এই গায়েবানা জানাজা কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়।
এটি এখন রাজনৈতিক একটি কর্মসূচীতে পরিণত হয়েছে।
২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪
এই আমি সেই আমি বলেছেন: মুসলমানদের চিতায় তুলে (বাসে পুড়িয়ে ) ওরা প্রতি সপ্তাহে হাস্যকর ভাবে গায়েবানা জানাজা পড়ছে । এটা আগুনে পোড়া মানুষদের প্রতি ক্রুর রসিকতা ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: যারা গায়েবানা জানাজা জায়েজ বলেছেন তারাও দুটি শর্ত আরোপ করেছেনঃ ১. যদি মৃতদেহের কোন জানাজা নাহয়, ২. মৃতদেহ যদি বিনষ্ট না হয়।