| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খান ইখতিয়ার
আমার প্রিয় শিক্ষক কবিয়াল এস,এম, নুরুল আলম (মরহুম) বলতেন,'অখ্যাত থেক তবু কুখ্যাত হয়োনা'। আমি আমার এই সাধাসিধে জীবনে এই শিক্ষাটুকু পরম ভক্তির সাথে মেনে চলার চেষ্টা করি।
ছয় বছরের কাছাকাছি সময় ধরে বন্ধ হয়ে আছে প্রবাসে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার। নানা কূটনৈতিক তৎপরতা বারবার আভাষ দিয়েও বাস্তবে সুসংবাদ বয়ে আনতে পারে নি। ২০১৮ এর শেষাংশে দুই দফা বৃদ্ধিসহ মোট ৫ মাসের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে আমিরাত সরকার। অভূতপূর্ব এ সাধারণ ক্ষমায় অবৈধ বাংলাদেশিদের বৈধ হওয়ার জন্য নানা সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। এমনকি অবৈধ শ্রমিকদের ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন ভিসা দিয়ে সুবিধামত পেশা ও স্পন্সর খুঁজে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, যা অতীতে কোনসময় দেখা যায় নি। সাথে সহজলভ্য করা হয় ভিজিট ভিসাও। নতুন ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করা না হলেও সহজলভ্য ভিজিট ভিসার সুযোগ নিয়ে দলে দলে বাংলাদেশিরা আমিরাতে পাঁড়ি জমাতে থাকেন। ভাগ্যবান কেউ কেউ নতুন কাজের ভিসাও যোগাড় করে ফেলাতে এই আগ্রহের পালে জোর হাওয়া লাগে। এ মাসের মাঝামাঝি ভিজিট ভিসায় আগতদের নতুন ভিসা প্রাপ্তি বন্ধ করে দেওয়া হলেও এখনো কিন্তু ভিজিটে আসা থেমে নেই।
ভিজিট ভিসা নিয়ে এলেও আগত এরা কিন্তু বেড়াতে আসেনি, কর্মের সন্ধানেই সিংহভাগের আগমন হওয়াই নতুন ভিসা ইস্যু না হলে একটি বৃহৎ পরিমাণ শ্রমিকের আবার অবৈধ হয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। আমিরাত সরকারের সদিচ্ছাও এই অবৈধ শ্রমিকদের কারণে আটকে যাওয়ার আশংকায় এখন আমিরাতের কর্মবাজার উন্মুক্ত হওয়ার আশায় অপেক্ষার প্রহর গুণা রেমিটেন্স যোদ্ধারা।
ভিজিটে আসা লোকজন যদি নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে দেশে ফিরে না যায়, বা নতুন ভিসা পেতে সক্ষম না হয়, তবে এরা অবৈধ হয়ে গেলে এদের কারণে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা ভেস্তে যেতে পারে। এই সহজলভ্য ভিজিটের সুবিধা গলার কাঁটা হবে কিনা এই আশংকায় এখন প্রবাসিরা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয় এই বিষয়ে নজরদারি করা উচিত।