![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মধ্য বয়সের সঙ্কট মধ্য বয়সের বিড়ম্বনা ও জীবনের অপরিহার্য বাস্তবতা তথা ‘MIDDLE AGE CRISIS’
মানুষের জীবনে ৪৫-৬৫ বছর বয়সে নানা রকম সঙ্কট দেখা দিতে পারে। আর এই সঙ্কটকেই বলে মধ্যবয়সের সঙ্কট তথা Middle age crisis বা Middle-life crisis বলেই একটা বিষয় হিসেবে সারা পৃথিবীতে আলোচিত বিষয়।
মানুষের জীবনে জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রযুক্তি আর নানা বিষয়ে যে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় এগিয়ে যাচ্ছে তাতে সবাই হয়তো তার ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনা ধ্যান-ধারণা বা নিজস্ব শিক্ষা-সংস্কৃতি বা নিজস্ব পরিবেশ প্রতিবেশে গড়ে ওঠা মূল্যবোধের দ্রুত পরিবর্তণ করে হালনাগাদ করতে বা চলতি শ্রোতে ভাসতে পারেনা। তখন একজন ব্যক্তির পক্ষে সবসময় সকল পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে এবং নিতে পারেনা। এমন কি তার নিজস্ব পরিবারে স্ত্রী সন্তানের সাথেও তার একটা দুরত্ব তৈরি হয়ে যায়। আর এই দুরত্বকেই বলা হয় ‘Generation Gap’ বা প্রজন্ম দুরত্ব।
একজন মধ্যবয়সী মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠতে পারে তিনটি কারণে। এক, তার স্বচ্ছলতার অভাব। মানে, প্রয়োজনের তূলনায় তার আয় বা সম্পদ কম থাকা। দ্বিতীয়ত, এই সম্পদ না থাকার কারণে এবং নিত্যদিনের সাংসারিক অস্বচ্ছলতা কেন্দ্রিক ঝগড়া কিম্বা স্বচ্ছলতার পরেও তার ঝগড়াটে বা সন্দেহপ্রবণ কিম্বা অবিশ্বস্ত স্ত্রী এবং সর্বশেষ তার অবাধ্য অযোগ্য অশিক্ষিত কুশিক্ষিত সন্তান।
একজন মানুষের জীবনে তার নিজের আর পরিবারের অন্যান্য সকলের সুস্থতার থেকে আর বড় কোনো সম্পদ নেই বা হতে পারেনা। এরপরেই তার কাছে বড় সম্পদ হচ্ছে তার বিশ্বস্ত আর বিনয়ী জীবনসঙ্গী আর তৃতীয় এবং মূল্যবাণ সম্পদ হচ্ছে তার সুশিক্ষিত আলোকিত সুসন্তান যারা মা বাবা ছাড়াও যেকোনো মানুষের কাছে সর্ব অবস্থায় একজন মানবিক মানুষ। লেখাপড়া শিখে উচ্চতর কোনো পেশাজীবী হলেই যে একজন মানুষ মানুষ হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। একজন মানুষ উচ্চ ডিগ্রিধারী নাও হতে পারে তার বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী না থাকলেও ক্ষতি নেই সে যদি স্বশিক্ষিতও হয় এবং আলোকপ্রাপ্ত মানবিক মানুষ হয় সে-ই হতে পারে যথার্থ মানুষ বা যথার্থ সুসন্তান।
অর্থ-বিত্ত প্রাচুর্য সকলক্ষেত্রে একজন মানুষের জীবনে সফলতার নির্দেশক বা নিয়ামক নয়। অর্থ-বিত্ত একজন মানুষের কাছে তার স্বচ্ছন্দভাবে জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজন অবশ্যই তবে তা সর্বক্ষেত্রে তা তার জন্য সম্পদ নাও হতে পারে।
ধরুন একজনের অনেক টাকা বা অনেক সম্পদ আছে কিন্তু সেই টাকা বা সম্পদের সংরক্ষণের জন্য তার যে পরিমান টেনশণ বা এ্যাটেনশনে উদ্বিগ্নতায় থাকতে হয় তাতে একসময় দেখা দেয় তার হাইপারটেনশন বা উচ্চরক্তচাপ ডায়বেটিস হৃদরোগ কিম্বা কিডনি জটিলতার মতো নানা প্রাণঘাতী অসুখ বিসুখ। আর তখন তার জীবনে অর্থ-বিত্ত থাকলেও সুখ-শান্তি দুরে চলে যায়। মানুষের জীবনে শত শত বা হাজার কোটি টাকা থাকলেও বা কি লাভ যদি তা মানুষের কল্যাণে না লাগে বা আপনি যদি রসগোল্লা রসমালাই বা সন্দেশ রাজভোগই খেতে না পারেন তাহলে সেই অঢেল বিত্ত নিয়ে রাজা হয়ে থাকার কোনো মানে আছে?
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০২
মাতাল গদ্য মাতাল পদ্য বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩২
কানিজ রিনা বলেছেন: তাহলে এবয়সের একজন নারীর বেলায় কি
হতে পারে? যদি তার জীবন সঙ্গী একটা
মাতাল চরিত্রহীন হয়। সন্তানেরা কিভাবে
একটা মাতাল বাপের সান্নিধ্যে থেকে সুশিক্ষা
পাবে। কথায় আছে একটি মেয়ে বড় হয়ে
বাবাকে বলবে বাবা আমার জীবনে যেন
তোমারই মত একজন ভাল ছেলে আমার
জীবন সঙ্গী হয়। বাবারা সেখানেই পরিপুর্নতা
পায়। একটি ছেলেও তার মাকে বলবে মা
তোমারই মত পারদর্শী একটি গৃহলক্ষী যেন
আমার ঘরের বউ হয়। মায়েরও সেখানে
পরিপুর্নতা পায়। জীবন সঙ্গী হিসাবে সততা
আর বিশ্বাসই উভয় জীবন সুখ শান্তির হয়।
হতে পারে সংশারে অভাব অনুটন, দৃঢ়তার
সাথে সুখ দুঃখ মোকাবেলা করাই মানুষের
আসল সংগ্রাম। ধন্যবাদ,
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৫
মাতাল গদ্য মাতাল পদ্য বলেছেন: ব্যক্তির জীবনে সে নারীই হোক বা পুরুষ, দুজন মানুষ যখন এক হয়ে সংসার শুরু করে তখন বা যদি পরস্পরের প্রতি ভালোবাসার সম্পর্ককেও সামনে এগিয়ে নিতে হয়, তাহলে দুজনার প্রতি দুজনার পারস্পরিক শ্রদ্ধা ভালোবাসা আস্থা আর বিশ্বাসটাকে মজবুত করা দরকার। যে কোনো সম্পকের ক্ষেত্রেই এটা জরুরী। আর দাম্পত্য সম্পর্কের বেলায় এটা আরো বেশি জরুরী। দাম্পত্য সম্পর্ক মানেই সমঝোতার এক মহান শিল্প।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মানুষের জীবনে সুখের মেয়াদ খুবই কম। ভালোভাবে লক্ষ্য না করলে এটা বোঝা যায় না।
গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৪
মাতাল গদ্য মাতাল পদ্য বলেছেন: কষ্ট করে নিজের একান্ত সময় নষ্ট করে আমার লেখা পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬
মাতাল গদ্য মাতাল পদ্য বলেছেন: আমার লেখাটি যারা কষ্ট করে পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন সকলকে ধন্যবাদ। তবে এখানে বলে রাখা ভাল যে এই লেখাটা এখনও অসমাপ্ত এবং এর পরের অংশ শিঘ্রই দিতে পারব আশা করি। তখন সামগ্রিকভাবে পুরো বিষয়টা পরিস্কার হবে আশা করি। সংশ্লিষ্ট সকলকে আবারো ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১২
আহলান বলেছেন: আপনার লেখার বিষয়টা সুন্দর। ...