![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাশে নেই তাতে কি হয়েছে, কথা গুলোর স্পর্শ পাচ্ছি- এই তো জরুরি খবর!!
সত্য জানি- “পাবো না”। তবে কি ব্যর্থতা?
ব্যর্থতার রং কি? সাদা-কালো? হবে হয়তো!
এটা ব্যর্থতার আরেকটা বছর......
.
অনেকদিন পর দেখা হবে। যদিও দেখা হবার কথা ছিলো কিন্তু এতো বছর পর হবে কি না কে জানে।
তারপরও দেখা হচ্ছে আজ।
খুব ব্যস্ত নিজেকে ঘুছিয়ে নিতে। অনেক দিন ধরে নিজেকে ঘুছিয়ে নেই নি। পঁচিশ মিনিট নষ্ট করেছি আমাদের, নিজেকে ঘুচাতে। তারপরও তুমি বলবে কি যে করো, সামান্য চুল আঁচড়াতে পারো না তুমি আসোলে কি? আরো কতো কি হাবিজাবি আমি শুনি না। আমি তো তোমার ইন্দ্রজালে ডুবে একাকার হয়ে থাকতাম।
.
মানুষ সুন্দর। অনেক সুন্দর হয়। কিন্তু সব সুন্দরে মায়া ফুটে উঠে না। অথচ তোমাকে যতো দেখি মায়া হয়। হঠাৎ তুমি আমাকে ধমক দিয়ে চমকিয়ে দিতে বলতে কি এতক্ষণ বক বক করেছি কান দিয়ে গিয়েছে। আমি বাকপ্রতিবন্ধি হয়ে যেতাম তুমি বলতে ফাইজলামি করো না। আমি মাথা নাড়িয়ে না না বলতাম তারপরও কথা ফুটে না আমার মুখে। অথচ আমার ভেতরে ভেতরে ঠিকই কথা হচ্ছে তোমাকে নিয়ে, তোমাকে আরো জানতে, ভাবতে, খুব করে নিজের কাছে খুঁজে নিতে তোমার ঐ চিকন মায়া ভরা চোখে।
হ্যাঁ আমি খুঁজেপেতাম- যখন খুঁজে পেতাম, কিন্তু তখন নিজেকে হারিয়ে ফেলতাম!
কেনো? কিভাবে? জানি না......
.
শোনো... আরে শোনো না... ওই শুনতে পাচ্ছো না?
রাগান্বিত সুর ধরে উত্তরে আমি- কী, কী হয়েছে বলো?
তুমি ভয় পেয়ে গেলে আমার চোখ লাল হয়ে যাওয়া দেখে। নিজের কাছে নিজেকে খারাপ লাগলো। তুমি হয়তো ভেবেছিলে আমি নেশা-টেশা করেছি। কিন্তু তুমি জানতে না আমি কী নেশায় ছিলাম। তুমি নরম কণ্ঠে বললে তুমি এমন করে কী দেখছিলে? ম্যাজিক দেখছিলাম! অনেক হেসেছিলে তুমি ম্যাজিক দেখছিলাম শুনে। অনেক। তুমি একটা অদ্ভুত!
আমি চুপ করে রইলাম জবাব দিলাম না উত্তরে।
.
অনন্যা শোনো, যেহেতু শব্দের আগে ভালোবাসার জন্ম নেয়- প্রতিশ্রুতি না দিলে তা ভাঙার প্রশ্নই ওঠে না।
অনন্যা নীরব হয়ে গেলো। অনেকক্ষণ চুপ করে বসলো। ভেতরে ভেতরে আমার মনে হচ্ছিলো একি করছি আমি জোর করে আমি আমার অধিকার আদায় করে নিচ্ছি। কথা না বাড়িয়ে অনন্যাকে বললাম চলি আজ। ভালো থেকো।
শোনো অনন্যা বলল- ভালোবাসা আসলে প্রায় সম্মানিত একটি অসুখ-বিসুখ লালসার হাত ধরে, ভীষণ ব্যস্তসমস্ততায় পরস্পরে সংক্রমিত হয় এবং শেষ হয় অভিশাপ দিয়ে নিয়ে।
তাহলে কি করা এখন?
আগামীকাল দেখি আমরা কি হতে পারি। ভালো থাকো।
.
কিছু কথা ভাষায় বোঝানো যায় না। যেহেতু এসব কথা...... নিত্যন্ত মামুলি ভদ্রতা ভেবে হয়তো ওই ঘন আনন্দের বহিঃপ্রকাশ।
তার ছিলো এমন হৃদয়! ঠিক কিভাবে বুঝাবো আমার বোধগম্যের বাহিরে।
যে হৃদয় সহজে উৎফুল্ল, সহজে বশীভূত; দেখা মাত্র সব কিছু ভালো লাগে। কি দেখা উচিৎ, কি নয়, বাছবিচারহীন। তার এবং পশ্চিম দিগন্তে সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখা কিংবা সাদা খচ্ছরের পিঠে চড়ে বেড়ানো নিদেনপক্ষে। লজ্জায় লাল হওয়ার অভ্যেস। মনের ভাষা মনের জন্য...... খুঁজে- বোঝে- নিভৃতে- নিঃশব্দে। সাথে সাথে ধন্যবাদ দিতাম সৃষ্টিকর্তাকে, তার যতোসব অবারিত।
.
এখনো হেমন্তের ডায়রী থেকে অভিমানের পাতা হারিয়ে যায় নি। অভিমান! সেটা তো শুধু “ভুলে গিয়ে আবার ভুলে যাওয়া হয় না কেনো, তা নিয়ে।”
একবার অনন্যা অভিমান করেছিলো। আমি ভুলে গিয়েছিলাম আমাদের প্রণয়খেলায় তার সুঘ্রাণে ফেলে যাওয়া সব কষ্টবোধ।
তারপর আমি চষে ফেলেছিলাম প্রান্ত থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত অনন্যার ভেতর বাহির। গোটা দিন তন্ন-তন্ন করে খুঁজে-খুঁজে পেয়েছিলাম তার একাকীত্ব! সেটা কি? যা, এখন আমার দীর্ঘশ্বাসের রন্ধে-গন্ধে মিশে একাকার।
উরুসেভস্কি গার্বেস্তা লিখেছিলেন- তুমুল বর্ষা শেষে যে গাছ জানে বৃষ্টি তার কেউ না; সে গাছ কিভাবে বাঁচে! আমি তখনও পড়েছিলাম কিন্তু ধারণ করতে পারিনি শব্দ গুলো।
.
অনন্যা’কে বলেছিলাম চলো আমরা স্বপ্ন এবং জীবনের সাথে সমঝোতা করি! স্বপ্ন এবং জীবন?
বেঁচে থাকার জন্য “জীবনটা একটা সার্থকতা” আর “স্বপ্ন” সে তো জীবনের মধ্যে নূতন রং খুঁজে নেওয়ার আরেক অধ্যায়।
অনন্যা কী রং পেয়েছিলো? কেমন ছিলো সেটা হলুদ, সাদা, লাল নাকি বেগুনি? কে জানে! ওর জানানোর প্রয়োজন ছিলোনা বলে জানতে আর ইচ্ছে হয়নি।
.
সত্যি বলতে দিন শেষে আমরা কারোর না- না নিজের না অন্যের। আমরা হয়ে যাই আগামী দিন’টার। কে জানে আগামী দিনে কী আছে? শেষ যেদিন দেখা হয়েছিলো অনন্যার সাথে ও বলে ছিলো “আগামীকাল দেখি আমরা কি হতে পারি” শেষ কথা’টা! আশায় আশা করে গিয়েছিলো সেই আগামীকাল’টা এবং যাচ্ছে এখনও আগামীকালের আশায়। আশা শব্দের মানে কী? মাহাপাপ নাকি যন্ত্রণা! আশা করে থাকা মানে কী? চলে যাচ্ছি নাকি তুমি ভুলে যাও!
সন্ধ্যা নেমে আসছে আবার আরেক’টা আগামীকালের সূচনা হবে।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৭
মাহির মুনিম বলেছেন: ধন্যবাদ!
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৫
মার্কো পোলো বলেছেন:
সময়ই সব কিছু ওলট পালট করে দেয়। আগামীকালের আশায় অপেক্ষা করতে করতে সেটি পরিণত হয় মহাকালে, যার সময়কাল অসীম।
সুন্দর লিখেছেন। ভাল লাগলো।