![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মে,২০১৪এর শেষ সপ্তাহের কথা।সানপাবলো সিটি থেকে যেতে হবে লিপা সিটিতে। গাড়ীতে প্রায় এক ঘন্টার দূরত্ব। একটি নতুন স্বল্প দুরত্তের রাস্তা নির্মাণাধীন, প্রায় শেষের পথে। সময় কম থাকায় নতুন পথ ধরেই এগুতে থাকলাম। রাস্তাটা পাহাড়ের পাদদেশের কয়েকটি গ্রামের মধ্য দিয়ে চলেছে। সামনে এগুতে এগুতে পাহাড়ের ঠিক নিচেই রাস্তার ওপর কিছু মানুষের জটলা চোখে পড়লো। কৌতূহল বসত থেমে জানার চেষ্টা করতেই দেখলাম কিছুটা ভেজা যায়গা পাথর দিয়ে ঘিরে মোমবাতি জ্বালানো হয়েছে, তার ওপর একটি টিনের শেড। কিছু মানুষ একমনে প্রার্থনা করছে।বিষয়টা কি?
কয়েক দিন আগে একটি কোমল পানীয়বাহী গাড়ী এখানে দুর্ঘটনায় পড়ে।পানীয় সমেত অনেক বোতল ভাঙায় ভিজে যায় অনেকটা রাস্তা।কয়েকদিনের রোদে ভেজা রাস্তা শুকালেও কিছু অংশ ভেজাই থেকে যায়।স্থানীয় গ্রামবাসীর নজরে পড়ে ভেজা যায়গাটুকু মা মেরীর কলে শিশু যীশুকে নিয়ে আঁকা চিত্রের প্রতিবিম্ব।খবরটি ছড়াতে থাকে এক কান থেকে দুই কান।বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়।প্রার্থনা,শেড নির্মাণ,মোমবাতি প্রজ্বলন সহ চলছে মানত্।
ছোট বেলায় দেখেছিলাম আমাদের গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় এক কলা গাছে ৭২ টি মোচা বের হওয়ায় কিছু মানুষ এই কলা গাছকে অলৌকিক কিছুর ইঙ্গিত দিয়ে শুরু করে প্রার্থনা,আগরবাতি জ্বালানো এবং এক পর্যায়ে লালশালু দিয়ে ঘিরে তাদের আয় রোজগারের যায়গায় পরিণত করতে চেষ্টা করে।দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসতে থাকে।বাড়তে থাকে দান খয়রাত ।কিছু পত্রিকাতেও খবরটি ছাপা হয়।শেষপর্যন্ত এলাকার কিছু তরুণদের উদ্যোগে কলা গাছটি কেটে ফেলা হয়।
বাংলাদেশ থেকে ফিলিপাইনের দুরত্ত প্রায় তিনহাজার পাঁচশত কিলোমিটার,কয়েকটি সাগর আর দেশ পাড়ি দিয়ে আসতে হয় এখানে। আমাদের চেয়ে দুই ঘন্টা আগেই এখানে সূর্য্য উদয় হয়। আধুনিক শিক্ষা ও অর্থনৈতিক অবস্থায় আমাদের চেয়ে অনেক খানি এগিয়ে। সংখ্যা গরিষ্ঠের ধর্ম খৃষ্টান। কিন্তু কিছু বিশ্বাস একই সুত্রে গাঁথা।
মে,২০১৪এর শেষ সপ্তাহের কথা।সানপাবলো সিটি থেকে যেতে হবে লিপা সিটিতে। গাড়ীতে প্রায় এক ঘন্টার দূরত্ব। একটি নতুন স্বল্প দুরত্তের রাস্তা নির্মাণাধীন, প্রায় শেষের পথে। সময় কম থাকায় নতুন পথ ধরেই এগুতে থাকলাম। রাস্তাটা পাহাড়ের পাদদেশের কয়েকটি গ্রামের মধ্য দিয়ে চলেছে। সামনে এগুতে এগুতে পাহাড়ের ঠিক নিচেই রাস্তার ওপর কিছু মানুষের জটলা চোখে পড়লো। কৌতূহল বসত থেমে জানার চেষ্টা করতেই দেখলাম কিছুটা ভেজা যায়গা পাথর দিয়ে ঘিরে মোমবাতি জ্বালানো হয়েছে, তার ওপর একটি টিনের শেড। কিছু মানুষ একমনে প্রার্থনা করছে।বিষয়টা কি?
কয়েক দিন আগে একটি কোমল পানীয়বাহী গাড়ী এখানে দুর্ঘটনায় পড়ে।পানীয় সমেত অনেক বোতল ভাঙায় ভিজে যায় অনেকটা রাস্তা।কয়েকদিনের রোদে ভেজা রাস্তা শুকালেও কিছু অংশ ভেজাই থেকে যায়।স্থানীয় গ্রামবাসীর নজরে পড়ে ভেজা যায়গাটুকু মা মেরীর কলে শিশু যীশুকে নিয়ে আঁকা চিত্রের প্রতিবিম্ব।খবরটি ছড়াতে থাকে এক কান থেকে দুই কান।বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়।প্রার্থনা,শেড নির্মাণ,মোমবাতি প্রজ্বলন সহ চলছে মানত্।
ছোট বেলায় দেখেছিলাম আমাদের গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় এক কলা গাছে ৭২ টি মোচা বের হওয়ায় কিছু মানুষ এই কলা গাছকে অলৌকিক কিছুর ইঙ্গিত দিয়ে শুরু করে প্রার্থনা,আগরবাতি জ্বালানো এবং এক পর্যায়ে লালশালু দিয়ে ঘিরে তাদের আয় রোজগারের যায়গায় পরিণত করতে চেষ্টা করে।দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসতে থাকে।বাড়তে থাকে দান খয়রাত ।কিছু পত্রিকাতেও খবরটি ছাপা হয়।শেষপর্যন্ত এলাকার কিছু তরুণদের উদ্যোগে কলা গাছটি কেটে ফেলা হয়।
বাংলাদেশ থেকে ফিলিপাইনের দুরত্ত প্রায় তিনহাজার পাঁচশত কিলোমিটার,কয়েকটি সাগর আর দেশ পাড়ি দিয়ে আসতে হয় এখানে। আমাদের চেয়ে দুই ঘন্টা আগেই এখানে সূর্য্য উদয় হয়। আধুনিক শিক্ষা ও অর্থনৈতিক অবস্থায় আমাদের চেয়ে অনেক খানি এগিয়ে। সংখ্যা গরিষ্ঠের ধর্ম খৃষ্টান। কিন্তু কিছু বিশ্বাস একই সুত্রে গাঁথা।
২| ১১ ই জুন, ২০১৪ ভোর ৬:১৮
পথিক মুরাদ বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জন্য কৃষ্ণচূড়ার শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রইল।
৩| ১১ ই জুন, ২০১৪ ভোর ৬:৫৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অদ্ভুত!
১১ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০২
পথিক মুরাদ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১১
রাহাত লতিফ তৌসিফ বলেছেন: কুসংস্কারের জয় সর্বত্র ।