![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দু' বছর আগের কথা। আশুরার(১০ মহরম) দিনে তেহরানের সাজমানে বারনামের আমাদের পাড়া থেকে দুপুরের দিকে শোক মিছিল বের করার প্রস্তুতি চলছে। তার আগে নামাজ পড়তে হবে। জামায়াতে ইমামতির জন্য উপযুক্ত কাউকে পাচ্ছিলেন না উদ্যোক্তারা।
এরমধ্যে বয়সী কয়েকজনকে দেখলাম আগা বান্নার সঙ্গে কথা বলছেন। তারা সবাই বান্নার চেয়ে বয়সে বড়। কি নিয়ে কথা হচ্ছে দূরে থাকায় বুঝতে পারছিলাম না।
আগা বান্না আমাদের পাড়ার একজন আলোকচিত্রী। চমৎকার ছবি তোলেন। নানা অনুষ্ঠানে আমরা এক অন্যের ছবি তুলতেও কার্পণ্য করি না। একবার ঈদের দিনে আমাদের এভাবে ছবি তুলতে থেকে এক ইরানি ভদ্রলোক বললেন, আরে বাপস! এ যে দেখি ক্যামেরার ডুয়েল!
যাই হোক, এক পর্যায়ে বয়সী লোকদের হাত থেকে বাঁচার জন্য আগা বান্না দৌড় দেয়ার চেষ্টা করলেন। কিন্তু কয়েকজন তাগড়া তরুণ আটকে দিলো তাকে। তিনি এবার হু হু করে কাঁদতে শুরু করলেন। বার বার বলছিলেন, এ কাজ আমার মতো মস্তও গুনাহগারকে দিয়ে হবে না। দয়া করে আমাকে ছেড়ে দাও। নাছোড়বান্দা লোকগুলো তবু তাকে নিস্তার দিল না।
ক্যামেরা পাশে রেখে নামাজের ইমামতিতে দাঁড়ালেন আগা বান্না। তখন বুঝতে পারলাম ঘটনা। ভদ্রলোক ধার্মিক তার আচরণ দেখেই বোঝা যায়। কিন্তু তিনি যে গভীর ভাবে ধর্মচর্চা করেন বুঝতে পারলাম সে'দিন।
(যন্ত্র: নাইকন ডি৫২০০, আইএসও:৪০০, এফ: ১০, লেন্স: ৫৫-২০০, স্পিড: ১/৪০০)
©somewhere in net ltd.