নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন আম-প্রযুক্তিপ্রেমী। অনলাইনে সময় কাটানোর প্রিয় উপায় প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন নিবন্ধ পড়া। বাংলা ভাষায় প্রযুক্তির উৎকর্ষ ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী। পাইরেসিকে নিরুৎসাহিত করি। মনে-প্রাণে বাঙালি। রবীন্দ্রভক্ত এবং বাঙালি সংস্কৃতির একজন ধারক।

মুশাফ

দ্বিতীয় জীবন

মুশাফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপাতত উইন্ডোজ ১০-এ আপগ্রেড করা থেকে বিরত থাকুন

২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:২২

উইন্ডোজ ১০ নিয়ে মাইক্রোসফটের একটি উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য আছে। সেটি হলো তিন বছরের মধ্যে ১০০ কোটি উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারী তৈরি করা। মাইক্রোসফটের মাতামাতি এবং নিজের অপারেটিং সিস্টেম ঘাঁটাঘাঁটির স্বভাব থেকে কিছু দিন উইন্ডোজ ৭-এর সাথে ডুয়াল বুটে উইন্ডোজ ১০ চালালাম। সেই ব্যবহার অভিজ্ঞতা থেকে এই পোস্ট।

২৯শে জুলাই রিলিজ হওয়া উইন্ডোজ ১০ ভার্সনে 'ফাইনাল' তকমা লাগলেও সেটা অত্যন্ত বাগি এবং আনস্ট্যাবল রয়ে গেছে। বাগগুলি দূর করতে রিলিজের দুই সপ্তাহের মধ্যে মাইক্রোসফটকে তিনটি কিউমিউলেটিভ আপডেট রিলিজ করতে হয়েছে। তাতে কিছু বাগ দূর হলেও অনেক বাগ এখনও রয়ে গেছে যেগুলি ধীরে ধীরে আপডেটের মাধ্যমে মাইক্রোসফট দূর করবে। ধরে রাখা যায়, উইন্ডোজ ৮-এর সমস্যাগুলি দূর করে যেমন ৮.১ এসেছিল, উইন্ডোজ ১০ এর ক্ষেত্রেও ছয় মাস বা এক বছরের মধ্যে ১০.১ বা একটা আপডেটেড ভার্সন চলে আসবে এবং সেটা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য অনেক বেশি স্ট্যাবল হবে।

স্ট্যাবিলিটির পরে পার্ফরমেন্সে আসা যাক। ক্ষেত্রবিশেষে উইন্ডোজ ১০ যথেষ্ট স্লো। বুট হতে বেশ ভালো সময় নেয়। উইন্ডোজ অ্যাপগুলি এখনও ডেস্কটপ অ্যাপের মতো পারফর্ম করতে পারে না। 'মুভি অ্যান্ড টিভি' অ্যাপে একটা ১০৮০পি এমকেভি ভিডিও চালালেই পার্ফরমেন্সের ঘাটতি বুঝা যায়। টেকস্পটের বেঞ্চমার্কেও দেখা গেছে অনেক ক্ষেত্রেই উইন্ডোজ ১০ উইন্ডোজ ৭ বা ৮.১ এর চেয়ে পার্ফরমেন্সে পিছিয়ে আছে।

তৃতীয় ব্যাপার হচ্ছে প্রাইভেসি। উইন্ডোজ ১০ ডিফল্ট সেটিংয়ে একটি স্পাইওয়্যার। সে নিয়মিত আপনার ইমেইল, চ্যাট, ব্রাউজিং হিস্ট্রিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য মাইক্রোসফটের কাছে পাঠাতে থাকে এবং মাইক্রোসফট এগুলি নিয়ে যা খুশি তাই করতে পারে। আগের উইন্ডোজ ভার্সনগুলিও ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করতো কিন্তু সেগুলি মূলত টেকনিক্যাল তথ্য (যেমন: হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন, পার্ফরমেন্স রিপোর্ট, ইউজার সেটিংস ইত্যাদি) এবং সাধারণত ডিফল্টভাবে সেগুলি চালু থাকতো না। উইন্ডোজ ১০ শুরু থেকেই এগুলি চালু করে রাখে। সুতরাং ইন্সটলের পর প্রথমেই আপনার উচিৎ হবে Settings > Privacy থেকে তথ্য সংগ্রহের অপশনগুলি বন্ধ করে দেয়া।

আমার পরামর্শ হলো, আপাতত উইন্ডোজ ১০-এ আপগ্রেড না করা। মাইক্রোসফট খুব অ্যাগ্রেসিভভাবে উইন্ডোজ ১০ প্রমোট করছে। উইন্ডোজ ৭ বা ৮.১ ব্যবহারকারীরা নিয়মিত উইন্ডোজ ১০-এ আপগ্রেড হবার নোটিফিকেশন পাচ্ছে। যারা উইন্ডোজ ১০-এ ইতিমধ্যে আপগ্রেড করে ফেলেছেন তারা প্রাইভেসি সেটিংস বন্ধ করে উইন্ডোজ আপ-টু-ডেট রাখুন। আর যারা এখনও আপগ্রেড করেননি তারা উইন্ডোজ ৭ বা ৮.১ ব্যবহার করতে থাকুন যতদিন না ১০ আরও স্ট্যাবল হচ্ছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.