![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাহিনীটা ফেসবুক থেকে নেওয়া
জটিল কাহিনি
ক্ষুদ্র ঋনের অংকটা খুব জটিল । আপনি যদি ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে ক্ষুদ্র ঋনের ব্যবসা শুরু করেন তবে - ১০০০০ টাকা করে আপনি ১০০ জনকে লোন দিতে পারবেন । এই লোনটা দিবেন ৪৪ সপ্তাহের জন্য । ১০০০০ টাকার সুদ হবে মাত্র ১০০০ টাকা । সুদে-আসলে আপনি পাচ্ছেন ১১০০০ টাকা প্রতিজন থেকে । অর্থাৎ একজন ঋনগ্রহীতা থেকে প্রতি সপ্তাহে আপনি পাচ্ছেন ২৫০ টাকা (১১০০০ /৪৪) । এক সপ্তাহ পরে আপনার হাতে ফেরৎ আসবে ২৫০টাকা X১০০=২৫০০০টাকা । এখন আপনি ১০০০০টাকা করে আরো ২জনকে লোন দিতে পারবেন হাতে থাকবে ৫০০০টাকা । এক সপ্তাহ পর লোনগ্রহীতার সংখ্যা ১০২জন । ১০২জন থেকে ২য় সপ্তাহে পাবেন ২৫০টাকাX১০২=২৫৫০০টাকা । হাতে ছিল ৫০০০টাকা , ২য় সপ্তাহ পর হাতে নগত ৩০৫০০টাকা । এখন আপনি ১০০০০ টাকা করে আরো ৩জনকে লোন দিতে পারবেন । ২য় সপ্তাহ পর মোট লোনগ্রহীতা ১০৫জন । হাতে ৫০০ টাকা । ১০৫জন থেকে ৩য় সপ্তাহে পাবেন ২৫০টাকাX১০৫=২৬২৫০টাকা । হাতে ২৬২৫০+৫০০=২৭৭৫০টাকা । এখন আপনি ১০০০০ টাকা করে আরো ২জনকে লোন দিতে পারবেন । ৩য় সপ্তাহ পর মোট লোনগ্রহীতা ১০৭জন । হাতে ৭৭৫০ টাকা । ১০৭জন থেকে ৪র্থ সপ্তাহে পাবেন ২৫০টাকাX১০৭=২৬৭৫০টাকা । হাতে ২৬৭৫০+৭৭৫০=৩৪৫০০টাকা । এখন আপনি ১০০০০ টাকা করে আরো ৩জনকে লোন দিতে পারবেন । ৪র্থ সপ্তাহ পর মোট লোনগ্রহীতা ১১০জন । হাতে ৪৫০০ টাকা । ১১০জন থেকে ৫ম সপ্তাহে পাবেন ২৫০টাকাX১১০=২৭৫০০টাকা । হাতে ২৭৫০০+৪৫০০=৩২০০০টাকা । এখন আপনি ১০০০০ টাকা করে আরো ৩জনকে লোন দিতে পারবেন । ৫ম সপ্তাহ পর মোট লোনগ্রহীতা ১১৩জন । হাতে ২০০০ টাকা । ১১৩জন থেকে ৬ষ্ঠ সপ্তাহে পাবেন ২৫০টাকাX১১৩=২৮২৫০টাকা । হাতে ২৮২৫০+২০০০=৩০২৫০টাকা । এখন আপনি ১০০০০ টাকা করে আরো ৩জনকে লোন দিতে পারবেন । বাকী অংক আপনারা করে দেখুন ------এই ভাবে কোন ব্যবসায়ী ৩৫ বৎসর ব্যবসা করে তার কত টাকা হবে ? আছে টাকা? থাকলে হয়ে যাক এক দান
২| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: কষ্টবিলাসী বলেছেন: সরকারী ঋণ পেতে সমস্যা জামানত, যাদের কিছুই নাই তারা সরকারী-বেসরকারী ব্যাংক থেকে ঋণ পান না। গ্রাম বাংলায় যে মহাজনী ঋণ ব্যবস্থা চালু আছে তাতে শতকরা সুদের হার ১১০%।
উপরের এই দুই হিসেবে ক্ষুদ্রঋণ মন্দের ভাল। আপনার কিছু না থাকলেও বা একজন দিনমজুর জামানত ছাড়া এবং ২২% সুদে ঋণ পেতে পারে। এভাবে গ্রাম বাংলার মানুষের অনেকেরই পরিবর্তন এসেছে।
যদি পারেন, জামানত ছাড়া এবং ৫% সুদে বা সুদহীন ঋণের প্রবর্তন করুন। না পারলে দরিদ্র মানুষের ক্ষতি করবেন না প্লিজ।
৩| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:০০
নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: বাইরের দেশেও এই সিস্টেম আছে, https://www.paydayking.com.au/ এই সাইটে গেলে দেখতে পাবেন লোন এর সুদ কেমন। EU,USA,Aus এটা ভালই চলে চাইলে search করে দেখতে পারেন এবং সেগুলো আরও জটিল, সেগুলো দেখলে মনে হবে দেশি মহাজনরা তো অনেক ভাল। এবং মজার কথা হলো সেসব লোন শুধুই ভোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। আমাদের মত ছোট হাসমুরগীর খামার করার জন্য নয়।
৪| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:১১
খাটাস বলেছেন: বার্ষিক সুদের হার ১০ টাকা হলে ও মাসে তার খুব বেশি প্রভাব পড়ে না। কিন্তু দরিদ্ররা যেহেতু ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে কোন অর্থ আয় সংক্রান্ত কার্যকলাপে সম্পৃক্ত হন, তাই তাদের উদ্যোগ আর্থিক সফলতা লাভ না করলে- মাসিক কিস্তি দেয়া অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সেই প্রেক্ষিতে শুধু ঋণ নয়, ক্ষুদ্র অর্থনৈতিক উদ্যোগ এর জন্য পরামর্শ সম্পর্কিত বিভাগ যদি দরিদ্র মানুষ গুলোর পাশে দাঁড়াত- অর্থনীতির গতি ত্বরান্বিত হত। মাইক্রো ক্রেডিট সিস্টেমে যে কারনে মানুষ কিছুটা আশাহত হয়েছে, তা কিস্তি আদায়ে কিছুটা অমানবিক হউয়ার কারনে। কিন্তু সাধারণ মানুষ না জেনেই গালাগালি সমালোচনায় পটু।
৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:২১
মোঃ মুশফিকুর রহমান বলেছেন: একজন অদক্ষ মানুষকে ক্ষুদ্র ঝণ দেওয়া কত টুকু যুক্তিসঙ্গত?
৫| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:১১
নিষ্কর্মা বলেছেন:
চমৎকার হিসাব তো! চেষ্টা করে দেখব ভাবছি।
৬| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪২
খাটাস বলেছেন: অদক্ষ বলে সাধারণত কিছু নেই শুধু শিশু, পাগল আর কর্মক্ষম ছাড়া। একেক জনের দক্ষতা একেক কাজে। তবে সাধারণত ব্যাংক কিছু টা দেখে ঋণ আবেদন কারী ঋণ দিয়ে কি করতে চায়। কিন্তু ক্ষুদ্র ঋণ আবেদন কারীরা ঋণ দিয়ে কি করা উচিৎ, তা নিয়ে খুব বেশি যৌক্তিক হতে পারে না অধিকাংশই অশিক্ষিত বলে। গ্রামীণ ব্যাংক তাদের বিনিয়োগ কিভাবে করা উচিৎ তা নিয়ে আলোচনায় যায় না। এটা একটা সীমাবদ্ধতা হলে ও অন্যায় নয়। সরকার অবশ্য যুব উন্নয়ন ট্রেনিং দিয়ে কিছুটা নাম মাত্র চেষ্টা করে । যাই হোক, যে যা বলে বলুক, আমি নিজে ও বলি, কিন্তু ডঃ ইউনুসের পক্ষে আছি, থাকব।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
মোঃ মুশফিকুর রহমান বলেছেন: আমি ডঃ ইউনুসের বিপক্ষের লোক নই। তার জন্যই গত কয়েক বছরে বিপুল সংখ্যক বিদেশি নাগরিক এসেছে ক্ষুদ্র ঝণ এবং সামাজিক ব্যাবসার ধারণা নিতে বিশ্বে কাছে বাংলাদেশ ডঃ ইউনুচের জন্য আলোকিত।
গণতন্ত্র সারা বিশ্বে একটি জনপ্রিয় শাসন ব্যবস্থা তারপরও গণতন্ত্রের কিছু দোষ আছে।
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ঝণ কি এমন ধরনের দোষ থেকে মুক্ত?
আমি ক্ষদ্র ঝনের সমালোচনা করি এজন্য যে ক্ষুদ্র ঝণ বর্তমানে এদেশের মানুষের কাছে অভিশাপ হয়ে যাচ্ছে। যে সব কারনে অভিশপ্ত হচ্ছে তা পরিমার্জন করা দরকার।
আর একজন নোবেল বিজয়ী গর্বিত মানুষ কে হেনস্থা করার পক্ষে আমি নয়।
৭| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ঋণের সিস্টেম বা সুদের হার কোন বিষয় নয় । বিষয় হচ্ছে টাকাটার প্রফার ইউজ হচ্ছে কিনা ?
আমাদের সাবেক কাজের ছেলে মালদ্বীপ গিয়ে সর্বস্ব খুইয়ে এসেছে ।
একদিন আমার কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নিয়ে সব টাকার কলমি শাক কিনেছে , যা শহরে নিয়ে বিক্রি করেছে ।
বিকালে দেখি আমার জন্য ৪৫০ টাকা মুল্যের ক্ষীর মোহন মিষ্টি নিয়ে এসেছে । সাথে আমার ৫০০ টাকাও । বললাম ব্যাপার কি ?
সে জানালো শাক গুলি বেচে সে মোট ২৩৬৫ টাকা পেয়েছে ।
( ঘটনা টা কয়েক দিন আগের । বাসায় কেউ নাই বলে ,আমি অবশ্য মিষ্টি গুলি ফেরত দিয়েছিলাম ।)
যাক , এ ঘটনা বলার উদ্দেশ্য হল , ৫০০ টাকারও যদি প্রফার ইউজ হয় তাহলে ৫০০ টাকার দৈনিক সুদ ৪৫০ টাকা দিতেও ব্যবহার কারীর অসুবিধা হওয়ার কথা নয় ।
২৩৬৫ টাকা আয়ের জন্য ৫০০ টাকা সময় মত পাওয়াই বড় কথা ।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৩
মোঃ মুশফিকুর রহমান বলেছেন: ব্যবসা এমন একটি অর্থনৈতিক কারবার যা প্রতিদিন একরকম হয়না। ৫০০ টাকা মূল্যের পণ্য ২৩৬৫ টাকা বিক্রি প্রতিদিন হবেনা।
৮| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৮
তিক্তভাষী বলেছেন: যে হিসাব দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে সেটা শুধু ক্ষুদ্র ঋণ নয়, সকল ব্যাংক ব্যবসার জন্যই সত্য। কেবল মাত্রার পার্থক্য। বানিজ্যিক ব্যাংকগুলো ত্রৈমাসিক কিস্তির মেয়াদী ঋণ দেয়, সেখানে তিনমাস পর আদায় করা কিস্তির টাকা ফেরত নিয়ে নিশ্চয় চুপচাপ বসে থাকে না। তারা মাসিক কিস্তির কনজিউমার লোন দেয়, সেখান থেকে মাসে মাসে আদায় করা টাকা অন্য লোকজনকে নতুন ঋণ হিসাবে দেয়। কাজেই সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা আদায় করে তা নতুন ঋণ হিসাবে বিতরণ করাতে মহাভারত অশুদ্ধ হবার কোন কারণ দেখছি না।
৯| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৭
আশীষ কুমার বলেছেন: প্রথম দুই কমেন্টে দেখলাম সরকারী বেসরকারী ব্যাংক ঋণের সমালোচনা করেছেন। আপনারা কি যেনে করেছেন নাকি 'লোকে বলে' আপনিও বললেন?
ব্যাংকগুলোকে এখন অনেক ক্রেডিট প্রোগ্রাম যার জন্য কোন জামানত প্রয়োজন হয় না। একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন। সুদের হার অনেক কম।
সরকারী ব্যাংকগুলোতে অনেক আগে থেকেই মাইক্রো ক্রেডিট এর ব্যবস্থা আছে।
বিআরডিবি'র নাম শুনেছেন? সেটা এখন বিআরডিবি। পাকিস্তান আমলে ভিন্ন নাম ছিল। তখনো কিন্তু সমিতি করে লোন বিতরণ করা হতো। এবং তার সাথে ব্যাংকগুলো জড়িত ছিল এখনো আছে।
ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণের জন্য মুখিয়ে আছে। একটু কষ্ট করে সঠিক কাগজপত্র নিয়ে যান। দেখেন পান কিনা। আর সুদের হার অনেক কম।
১০| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৮
লিংকন১১৫ বলেছেন: খাইছে আমারে
১১| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
মোঃ নূরুজ্জামান খান (সালেহীন) বলেছেন: আপনি যদি ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে ক্ষুদ্র ঋনের ব্যবসা শুরু করতে পারেন এটা্ও হিসাব রাখবেন যে, টাকা কাউকে ধার দিলে তা ফেরত পা্ওয়া আরও কঠিন একটা কাজ। তাছাড়া ক্ষুদ্র ঋণের জন্য কস্টিং, তদারকী ইত্যাদি কারণে অনেক খরচ হতে পারে। তাই এর জন্য প্রয়োজন একটি ভাল নেট্ওয়ার্ক। আমি এমনিতেই কয়েকজনকে বিনা সুদে স্বাভাবিক সাহায্য করেছি। কিন্তু ঘটনা হল যে, ১০ দিনের জন্য নেয়া টাকা বছর গেলেও ফেরত পাচ্ছিনা আবার পরিচিত বলে অল্প টাকার জন্য বলতেও পারছিনা।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
কষ্টবিলাসী বলেছেন: সরকারী ঋণ পেতে সমস্যা জামানত, যাদের কিছুই নাই তারা সরকারী-বেসরকারী ব্যাংক থেকে ঋণ পান না। গ্রাম বাংলায় যে মহাজনী ঋণ ব্যবস্থা চালু আছে তাতে শতকরা সুদের হার ১১০%।
উপরের এই দুই হিসেবে ক্ষুদ্রঋণ মন্দের ভাল। আপনার কিছু না থাকলেও বা একজন দিনমজুর জামানত ছাড়া এবং ২২% সুদে ঋণ পেতে পারে। এভাবে গ্রাম বাংলার মানুষের অনেকেরই পরিবর্তন এসেছে।
যদি পারেন, জামানত ছাড়া এবং ৫% সুদে বা সুদহীন ঋণের প্রবর্তন করুন। না পারলে দরিদ্র মানুষের ক্ষতি করবেন না প্লিজ।