![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের সাথে এখন কোন দেশের যুদ্ধ শুরু হইলে কি অবস্থা দাঁড়াবে? ধরি বাংলাদেশের সাথে আমেরিকারযুদ্ধ শুরু হল। নির্ঘাত ফেসবুক দিয়েই বাঙালীরা মার্কিনীদের পরাজিত করে ফেলবে। অন্তত মানসিক ভাবেতো হারাবেই। আর মানসিক ভাবে হারার সেই প্রভাবটা পড়বে যুদ্ধক্ষেত্রে। ফলাফল শারীরিক ভাবেও মার্কিনীরা হারবে। ব্যাপারটা ক্লিয়ার করি। যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো। বাংলাদেশের এখনকার তরুন প্রজন্ম প্রথমেই ফেসবুকে বসবে। এডমিন সমাজ শুরু করবে পেজ খোলা। “আমেরিকারগুষ্ঠি কিলাই”, “মার্কিন পাতা ১৮+”, “এখানে আমেরিকান সৈন্যদের পচানো হয়”, “ওবামা, ইউ পম গানা” ইত্যাদি নামে হাজার হাজারফেসবুক পেজে ফেসবুক সয়লাব হয়ে যাবে। তারপর সেসব পেজ থেকে পোস্ট দেওয়া হবে “আমেরিকা কে ধূলিসাৎ করতে চাইলে লাইক দিন”, “ওবামা কে ফাঁসি দিতে চাইলে লাইক, ব্রাশ ফায়ার করতে চাইলে কমেন্টএবং যাবজ্জীবন দিতে চাইলেশেয়ার করুন”, এরপর আমেরিকার সেনাপ্রধানের ছবি দিয়ে বলবে “আসুন সবাই মিলে এই সাদা চামড়ারে থাব্রাই। এক লাইক এক থাবড়, এক শেয়ার এক জুতার বাড়ি”
এভাবে চলবে আক্রমন। বাঙালি করবেও এভাবে আক্রমন। ধুমছে চলবে লাইক, কমেন্ট, শেয়ারের ছড়াছড়ি। মার্কিন সেনাবাহিনীর কারও ফেসবুক থেকে এরকম একটা পোস্ট চোখে পড়লে সে ঢোক গিলতে বাধ্য। কারন হাজার হাজার পেজে একই পোস্টে হাজার হাজার মানুষ লাইক, কমেন্ট,শেয়ার করে আক্রমন করতেছে,সেনাবাহিনী প্রধানরে জুতামারতেছে।আক্রমন শেষে এইবার আমেরিকা দখলের পালা। এডমিনরা পোস্ট দিবে“মিশিগান রাজ্য দখল করতে চাইলে লাইক দিন, ভার্জিনিয়া দখল করতে চাইলে কমেন্ট করুন আর যদি নিউইয়র্ক সিটি দখল করতে চান তাইলে শেয়ার করুন” হয়ে যাবে দখল। ওবামার কে পাঠিয়ে দেওয়া হবে পারিবারিক অশান্তির মুখে।বিভিন্ন পেজ থেকে পোস্ট দেওয়া হবে ওবামার বউ এর সাথে সেনাবাহিনী কর্মকর্তার গোপন ভিডিও দেখতে চাইলে অমুক পেজ লাইক দিন। মনে রাখবেন ভিডিওটা লক করা আছে, লাইক না দিলে খুলবেনা। শুধু এভাবে যে ওদেরকে মানসিকভাবে ভেঙ্গে ফেলে দেওয়া যাবে তা না। উলটাদিকে মানসিক ভাবে চাঙ্গা করে দেওয়া যাবে আমাদের সেনাবাহিনীকেও। মনে করেন আমাদের সেনাবাহিনী কোন একটা মার্কিন বিমান গুলি করে ভুপতিত করলো। তারপর সব পেজ থেকে সেনাবাহিনী সদস্যদের ছবি দিয়ে বলা হবে আমাদের বীরদের জন্য কয়হাজার লাইক? আমাদের সেনাবাহিনী প্রধানের ছবি দিয়ে বলা হবে “এই লোকের পাশে কে কে আছেন লাইক দেন”, কোনভাবে এরকম একটা পোস্ট আমাদের সেনাবাহিনীরচোখে পড়লে নির্ঘাত পরেরদিন আরও দুইটা মার্কিন বিমান ভুপতিত হবে। তারপর ইভেন্ট খোলা হবে “আমেরিকাকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করার দাবীতে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন” মানববন্ধনে কয়জন যাবে নাযাবে সেটা পরের হিসাব কিন্তু ইভেন্টের ফিডব্যাকযত আসবে আর ইভেন্টের ওয়ালে জ্বালাময়ী যেসব বক্তৃতা লেখা হবে সেগুলা দেখেই রক্ত হিম হয়ে যাবে ইউএসএ আর্মির। এভাবে চলতেচলতে একসময় ডাইরেক্ট পোস্ট দেওয়া হবে “আপনে বাংলাদেশ আর আমারিকার মধ্যে কার জয় দেখতে চান? বাংলাদেশ হলে লাইক, আমেরিকা হলে কমেন্ট”।
সেদিনই লাইকের তোরে আমেরিকা পল্টন ময়দানে আত্মসমর্পণ দলিলে বাপ বাপকরে লাইক থুক্কু সই করে যাবে।
courtesy€ফাহাত ভাই।
©somewhere in net ltd.