![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুগ যুগ ধরে আমাদের কথাবার্তায়, আচার অনুষ্ঠানে আমরা অনেক ধর্মীয় অনুশাসনকে লালন করে থাকি, যেটা সত্যিই আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিকতার মাঝে লুকায়িত সমৃদ্ধিশীলতাকে প্রমাণ করে। এর একটি প্রকৃৃষ্ট উদাহরণ হল আমাদের সময় নির্দেশনা।
আমাদের দেশের সিংহভাগ মানুষ এখনও নামাজের ওয়াক্তের সাথে সময় মিলিয়ে কথা বলতে অভ্যস্ত। যেমন ধরুন আপনার আব্বা বাড়ির বাইরে গেছে, ফিরতে একটু দেরী হচ্ছে দেখে আপনি ফোন দিলেন, কখন আসবেন আব্বা? আপনার বাবার উত্তর হয়ে থাকবে ঠিক এমনটি: হ্যারে বাজান আজকে অফিসে লম্বা লাইন ছিল, আমার বাড়ি আসতে আসতে মনে হয় আসর হয়ে যাবে।
এলাকার নেতার সাথে জরুরী ব্যাপারে কথা বলতে হবে, দেখা করে সময় নিতে গেলেন, নেতা মাগরিবের পরে দেখা করতে বললেন, যদিও নেতা হয়ত নামাজের ধার ধারেন না।
নিজে দেখে আরবী পড়তে পারেন না, ছোটবেলায় কোরআন শেখা হয় নি, তাই আদরের ছোট্ট বাচ্চাটিকে কোরআন শেখানোটা মিস করতে চাননা, দেখা করতে গেলেন হুজুরের কাছে, হুজুর বলল ফজরের পরে মক্তবে পাঠিয়ে দিয়েন, অনেক ছেলেমেয়ে আসে একসাথেই ভালো হবে।
এলাকার বড় ভাই যেমন লেখাপড়ায় জিনিয়াস তেমন জ্ঞান বিতরণে। পরীক্ষার আগে একদিন গেলেন যে, ভাই সামনে তো পরীক্ষা বুঝতেই পারছেন! কিছু পরামর্শ টরামর্শ দেন। ভায়ের এককথা – এশারের পরে মোবাইলের দিকে চোখ তুলে ও তাকাবিনা, তাহলেই পারবি লক্ষ্যে পৌঁছাতে।
হাইস্কুলে পড়েন, উচ্ছ্বাসে ভরা এক বহতা জীবন, বৃহস্পতিবার, তাই দুপুরের ক্লাশ শেষে খেলা আছে বাড়ির পাশের মাঠে। খেয়েদিয়েই দৌড় দেবার কথা থাকলেও বাঁধ সাধল মা। এই কোথায় যাচ্ছিস?? খাঁড়া যোহরের সময় বাইরে যেতে হবেনা।
এভাবে আরো অনেক অনেক মিষ্টি হাসি আর কথার মাঝে নিহিত আমাদের ধর্মীয় সম্পর্ক।
কিন্তু আজ পথহারা পথিক আমি, নিজের স্বকীয়তা কে হারিয়ে ফেলে অন্যের মাঝে খুঁজে বেড়াচ্ছি। আর আল্লাহ আমাদের জিজ্ঞেস করছেন
يَا أَيُّهَا الْإِنسَانُ مَا غَرَّكَ بِرَبِّكَ الْكَرِيمِ
হে মানুষ কিসে তোমাকে তোমার মহামহিম পালনকর্তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল?
তাই আসুন যেই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আমাদের সামাজিক সময় নির্দেশনা গড়ে উঠেছে তাকে ভুলে না যায়, নিয়মিত নামাজ পড়ি অন্যকেও পড়তে তাগিদ করি। আল্লাহ যেন আমাদের নেক আমলগুলাকে কবুল করেন, এবং ভুলগুলোকে মাফ করে দেন।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৭
মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ, আসলে আপনি যেই পয়েন্ট ধরে মন্তব্য করেছেন আমি সেটা বুঝাতে চাইনি, আমি বুঝাতে চেয়েছি আমরা সময়গুলোকে নামাজের সাথে নির্দেশ করে ব্যবহার করছি কিন্ত নামাজের কথাই ভুলে যাচ্ছি সেই পয়েন্টটা।
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: অই তো কথার কথা হিসাবে আমরা তো কত কিছুই বলি।
আমি কাউকে নামাজ পড়তে বলি না। কেউ আমাকে নামাজের কথা বললে আমার বিরক্ত লাগে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৮
মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১০
প্রেক্ষা বলেছেন: নাস্তিক হইলে কথা নাই,সে তার মতো চলবে। কিন্তু কোনো ধর্ম পালন করলে সেটা ঠিকমতো করা উচিৎ হোক সেটা ইসলাম,হিন্দু বা খ্রিষ্টান।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৮
মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১২
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনার লেখাটি ভালো লেগেছে
৫ ওয়াক্ত নামাজের সময় আমাদের জীবনের সাথেই জড়িত বেশ গভীর ভাবেই
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৮
মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবা আশা করি সাথেই থাকবেন
৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বেশ, ভালোবাসা ও শুভ কামনা আপনার জন্য।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৯
মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬
ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: উঁহু আমি বিষয়টা একটু ভিন্নভাবে দেখি আসুন।
ঘড়ির বহুল প্রচলন আমাদের দেশে সারা দুনিয়ার অনেক পরে। আর আগে যখন ঘড়ির ব্যবহার খুব বেশি ছিল না, তখন ধরুন বর্ষায় বা মেঘলা দিনে সূর্যের ওপরে আস্থা রাখা সম্ভবপর হতো না স্বাভাবিকভাবেই। কিন্তু খেয়াল করে দেখবেন যে আজানের জন্যে ইমাম আর মুয়াজ্জিনের সময়ের খেয়াল রাখা অত্যাবশ্যক ছিল। স্বাভাবিকভাবেই যে কেউই বুঝবে যে মুয়াজ্জিন যখন আজান দিচ্ছেন তখন অতি অবশ্যই সঠিক সময়েই দিচ্ছেন। আর সেটা সর্বজনীন সময় ও বটে এবং সেটা সবাই জানে ও (সে নামাজ পড়ুক কি নাই পড়ুক)।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনার কি মনে হচ্ছে মানুষ ওসব ভুলে যাচ্ছে ?হলে কেন মনে হচ্ছে ?